• অতল-প্রেম
    কবিতা,  জিন্নাত আরা রোজী,  সাহিত্য

    অতল প্রেম, কবির কথামালা

    অতল প্রেম জিন্নাত আরা রোজী     তোমাকে প্রেম দেবো আঁচল ভরে,ভালোবাসায় ভরে যাবে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত,জীবনের অলিগলি ছেয়ে যাবে সুখের নীলিমায়।দিগন্ত জোড়া নীলাকাশ চেয়ে রবে অপলক,সোনালী ডানায়, ভর করে রোদ নামবে ঝিকিমিকি।তোমাকে প্রেম দেবো হৃদয় জমিন উজাড় করে;তুমি যদি চাও বৃষ্টি হয়ে ভিজাবো মধ্য দুপুরে।নিয়ে যাবো অতল সাগরে ঢেউ ঠেলে ঠেলে,সাগরে সেচে মুক্তোর মালা পরিয়ে দেবে আমার গলে;তোমাকে প্রেম দেবো যতটুকু চাও তার চেয়ে ঢের বেশি।লজ্জা ঢেকে দুটি হাতে হাত রেখে শপথ নিবো,তোমাকে প্রেম দেবো হৃদয় চুইয়ে,নীলিমার মতো শুভ্র স্নিগ্ধ ভালোবাসায় জড়িয়ে রবো মোরা একসাথে।জীবনের নিশ্চিত প্রহর,তুমি হবে আমার গৃহের শুকতারা,এভাবেই সাজাবো আগামীর স্বপ্ন বাসর, সোনালী নীড়।আমার জীবনের সমস্ত…

  • রৌদ্রডোবা-চাঁদ-২য়-পর্ব
    আবু জাফর খান (গল্প),  গল্প,  সাহিত্য

    রৌদ্রডোবা চাঁদ (২য় পর্ব)

    রৌদ্রডোবা চাঁদ (২য় পর্ব) আবু জাফর খান   সে রাতের কথা বিদিতা কখনো কোন বন্ধুকে বলেনি। রুদ্রকে সে যতদূর চেনে, সে নিশ্চিত, রুদ্রও কাউকে কিছু বলেনি। রুদ্র-বিদিতার দূরে সরে যাওয়াকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি ওদের বন্ধুরা। তারা ভেবেছিল এটি সাময়িক চিড়। কেউ কেউ মধ্যস্থতা করতে এসেছিল। বিদিতা রাজি হয়নি। নাক উঁচু বলে তাকে নিয়ে বন্ধু মহলে এক ধরনের গুঞ্জন আছে। সে বরাবরই একটু জেদি টাইপের। বিদিতা ভেবেছিল রুদ্র নিজেই এসে ক্ষমা চাইবে। তাহলেই সব আবার আগের মতো হয়ে যাবে। তা হয়নি। রুদ্র আসেনি আর। সেটি ছিল ফাইনাল ইয়ার। দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করে ছিটকে গেল এদিক-সেদিক। কেউ কারও ঠিকানা রাখেনি। বিচ্ছিন্ন…

  • ভাষা-শহিদ-স্মরণে
    কবিতা,  ফকির শরিফুল হক,  সাহিত্য

    ভাষা শহিদ স্মরণে

    ভাষা শহিদ স্মরণে ফকির শরিফুল হক   ১৯৫২, ২১ শে ফেব্রুয়ারি আমার অহংকার বিবেক চেতনা বোধে বাংলা ভাষা সমৃদ্ধ অলংকার সেদিন ফাগুন আগুনে ভাষা সৈনিকেরা ছিলো ত্যাগি দুরন্ত দূর্বার, অ আ ই ক মা মাটি বর্ণ বাংলায় সদা সর্বর। মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর অযাচিত ঘোষণা বাংলায় উর্দু-ই হবে রাষ্ট্র ভাষা, ছিলো মিছে সে তামাশা মূহুর্তেই বজ্র প্রতিবাদ না না, হবে না এমন আশা এ বাংলায় হবে না উর্দুর বাদ্য বয়ান, হবে হবেই বাংলার জয়গান। সমস্বর কন্ঠে ছাত্র জনতা ফুলে ফেঁপে আর্তচিৎকারে ধ্বনিত হয়, বাংলার বুকে বাস মোরা বাংলায় রই মা মাটিতে হাসি বাংলা স্বত্ত্বায় ভাসি বাংলাকেই ভালোবাসি। তাজা সে সব প্রাণে…

  • বাংলা-ভাষার-দুর্দশা
    কবিতা,  তাহমিনা খাতুন,  সাহিত্য

    বাংলা ভাষার দুর্দশা

    বাংলা ভাষার দুর্দশা  তাহমিনা খাতুন   দুখিনী বাংলা কাঁদে, কাঁদে আমার মায়ের ভাষা যেদিকেই চাই, দেখি শুধু হায় তাহার দুর্দশা! ভাষার মান রাখিবে বলিয়া, বাংলার সন্তান পিচ ঢালা পথে ঢালিয়া দিল, আপন  প্রিয় প্রাণ, “রাষ্ট্র ভাষা বাংলা চাই” গর্জিল দৃপ্ত শপথে তপ্ত শোণিত ঢালিয়া দিল, কঠিন সে রাজপথে। বিদেশি প্রভুর রক্ত চক্ষু, উপেক্ষিয়া অনায়াসে রফিক, শফিক, বরকত সেদিন, রক্ত গাঙেতে ভাসে, যে ভাষার তরে জীবন সঁপিল শফিউর, জব্বার, সে ভাষার তরে কারও কারও আজ, ঘৃণা ভরা অন্তর। বাংলা ভাষারে উপেক্ষিয়া চলে, বিদেশি ভাষার বন্দনা বুঝি না এ কোন আত্মগ্লানি, আত্মপ্রবঞ্চনা, ভিনদেশি ভাষা আসীন আজ,আত্ম অহমিকায় বাংলা ভুলিতে ব্যস্ত যেন, না…

  • রৌদ্রডোবা-চাঁদ-১ম-পর্ব
    আবু জাফর খান (গল্প),  গল্প,  সাহিত্য

    রৌদ্রডোবা চাঁদ (১ম পর্ব)

    রৌদ্রডোবা চাঁদ (১ম পর্ব) আবু জাফর খান   সুবর্ণ আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভৈরব বাজার স্টেশন ছেড়ে একটু আগে বেরিয়েছে। ট্রেনের জানালা দিয়ে মিষ্টি বিকেলটির দিকে তাকিয়ে আছে বিদিতা। দূরের আঁকাবাঁকা পথ ধরে কয়েকটি মেয়ে হেঁটে আসছে। পড়ন্ত সূর্যের সোনালি আলোয় রাঙানো তাদের মুখ। খানিক বাদেই আলোটি মুছে গেল জানালা থেকে। একটি শ্বাস ফেলে ভেতরের দিকে তাকাল বিদিতা। ট্রেনটি ধীরে ধীরে গতি বাড়াচ্ছে। দেখতে দেখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পেরিয়ে গেল। বিদিতার পাশের সিট এখনো খালি। আখাউড়ায় ট্রেন দাঁড়াল বেশ কিছুক্ষণ। টিকেট এগজামিনার এলেন কামরায়। তখনই ব্যস্তসমস্ত হয়ে ট্রেনে উঠলেন এক সুদর্শন ভদ্রলোক, সঙ্গে এক প্রৌঢ়া। ডেনিম জিন্‌স আর খয়েরি শার্টের মানুষটিকে দেখে চমকে…

  • স্মৃতিতে-অম্লান
    কবিতা,  জহুরা ইরা,  সাহিত্য

    স্মৃতিতে অম্লান, বদল

    স্মৃতিতে অম্লান জহুরা ইরা   ওগো রফিক, শফিক, ছালাম, বরকত, জব্বার, মোদের স্বশ্রদ্ধ সালাম লহ লক্ষ হাজার বার। দেখিনি তোমাদের তবু মনে হয় কত না যুগের চেনা সকল কাজে কথার মাঝে, তোমাদের দান কভু ফুরাবে না। কে বলে তোমরা মরে গেছ? কে বলে পাশে নাই? আছ মনের গভীরে স্মৃতিতে, লেখনিতে পেয়ে বর্ণমালায় ঠাঁই। অ-আ-ক-খ বর্ণ দিয়ে যখন লিখি মনের কথা, প্রতি বর্ণ তোমাদের মুখচ্ছবি, হেসে বলে মোরা হেথা। গভীর আবেগে হৃদয়ের কথা, যবে লিখি কাগজের বুকে, তোমরাই যে সাহস যোগাও কালিতে মিশে থেকে। দুটি ঠোট ছুঁয়ে বেড়িয়ে আসা মনকাড়া সব ধ্বনি, সে ধ্বনি তোমরা তাই ঠোঁট ছুঁয়ে থাকে তোমাদের মুখখানি।…

  • একুশ-বছর-পর
    কবিতা,  পথিক জামান,  সাহিত্য

    একুশ বছর পর

    একুশ বছর পর পথিক জামান   একুশ বছর পর সেদিন রাতে তোমার সঙ্গে আমার প্রথম দেখা হলো। তুমি ছিলে সিঁড়ি বারান্দায় বসা, মেয়েদের মাঝে গল্পে মশগুল। বিদ্যুতের আলোটা ঠিকরে পড়ছিল বার বার তোমার সুন্দর মুখের উপর। পিছন ফিরে বসেছিলে কিছুটা সামনে ঝুঁকে। বার বার মন বলছিল তুমিই সে, যাকে একটি বারের জন্যও দেখিনি একুশটি বছর। দুরু দুরু বুকে ভীরু পদক্ষেপে একটু একটু করে এগুলাম, ঠিক তোমার পিছনটায়। বুকের মধ্যে হঠাৎ কেমন যেনো করে উঠল, হার্ট বিটটাও বেড়ে গেল অনেক গুনে। ডাকব কি ডাকব না, এমনি করে দ্বিধাহীনতায় ভুগছিলাম অনেকক্ষণ ধরে। তারপর শত ভাগ নিশ্চিত হয়েই ডাক দিলাম তোমার নাম ধরে।…

  • মধুর-স্মৃতি
    আত্মজীবনী,  আহম্মদপুর,  দ্বারিয়াপুর,  লেখক পরিচিতি,  সাহিত্য,  স্মৃতিচারণ

    মধুর স্মৃতি

    মধুর স্মৃতি তাহমিনা খাতুন   অল্প বয়সের স্মৃতি হয়তো মানুষ কখনো ভোলে না। তেমনি একটি স্মৃতি এখনও মনে পড়ে। আমার বড় ভাবী ও ওনার মায়ের টাইফয়েড বা ম্যালেরিয়া জাতীয় কোন জ্বর হয়েছিল। আমার ভাবী ছিলেন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। ভাবীর বাবার একার পক্ষে দুই জন অসুস্থ মানুষকে সুশ্রুষা করা কঠিন হয়ে উঠেছিল। খবর পেয়ে মা ওনাদের সেবা করার জন্য আমাকে আর ছোট দুই ভাই-বোন বাসার আর তুষারকে নিয়ে ভাবীর বাবার বাড়ি সৈয়দপুর গেলেন। কয়েকদিন পর আব্বা আমাকে আনতে গেলেন। কয়দিনেই ভাবীর চাচাত বোনদের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছিল। আমি ফিরে আসার আগে আমার বন্ধুটি আমাকে ভালবেসে তার কিছু পুতুলের কাপড় আমাকে…

  • একজন-পূজারী-ও-প্রণয়কাল
    আবু জাফর খান,  কবিতা,  সাহিত্য

    একজন পূজারী ও প্রণয়কাল

    একজন পূজারী ও প্রণয়কাল আবু জাফর খান   ধরো, নিকষ মেঘে ঢাকা বৈশাখের রাত্রি নিবিড় এই তমসায়ও কিন্তু মন খারাপ স্পষ্ট ঠাহর করা যায়। অদৃশ্যমানতাই কি নিয়তি? আমার আসলে বক্ষবর্ম বলে কিছু নেই। যোজন দূরত্ব যেখানে- তার নাম বিপুল বালিয়াড়ি; অদর্শনের নাম প্রবল খরা আমার আভূমি পাথর-পাঞ্চালে তেত্রিশ বছরের অনাবৃষ্টি। ঠিক কতদিন নিরুপায় আটকে আছে পা- আমি ভুলে গেছি সেসব; জনবিরল ইচ্ছেগুলি রোজ নিভিয়ে রাখি ধুলোর দানাগুলি চোখে করে বসে থাকি রোজ; আলোছায়াহীন মাটির পাতাল- হেডিসের হিম-প্রাসাদ আমায় টানেনি কোনদিন। দেবী, আমি কেবল তোমার সোনালি সৌকর্যের পূজারি! একদিন আপ্রাণ মেঘলা হোক অঝোর বৃষ্টি ভালোবাসার মতো শুষে নিক মাটি তোমার চিরহরিৎ…

  • উচ্চশিক্ষা-পরিকল্পনায়-গ্রন্থাগার
    খ ম আব্দুল আউয়াল,  প্রবন্ধ,  সাহিত্য

    উচ্চশিক্ষা পরিকল্পনায় গ্রন্থাগার

    উচ্চশিক্ষা পরিকল্পনায় গ্রন্থাগার খ ম আব্দুল আউয়াল   স্বাধীনতাকামী বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের ফসল স্বাধীন গণপ্রজাতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করে ১৯৭১ সালে। বাঙালির জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর স্বাধীন জাতি হিসেবে বাঙালির অমিত সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যায়। ১৯৭২ সালের নভেম্বরে মাত্র এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষ স্বশাসনের সংবিধান জাতীয় সংসদের মাধ্যমে অর্জন করে। ১৯৭৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে জারি হয় বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আইন (১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতি আদেশ নং ১০ Presidential Order No.10 of 1973)। ১৯৭৩ সালে দেশের উচ্চশিক্ষা তথা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে যে পাঁচটি আইন জারি হয় তার মধ্যে প্রথমটিই বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন আইন এবং বাকী চারটি দেশের সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে…

error: Content is protected !!