ছোটবেলার-ইদ-ও-আমি
সাহিত্য,  স্মৃতিচারণ

ছোটবেলার ইদ ও আমি

ছোটবেলার ইদ ও আমি

মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান

 

ছোট্টবেলায় ইদ বলতে -আমার গ্রামে আর দশজন ছেলের মত আমার ইদ ছিল না। আমি খুব সুখের এবং দুঃখের দুই ধরনের অনুভূতি লাভ করেছি। সুখের অনুভূতি এমন যা আজও অনুভবে নিজেকে হারিয়ে যাই। আমাদের গ্রামের বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের গুপিনপুর গ্রামে। তখন আমি খুব ছোট্টো। এ টুকুই বলতে পারবো, আমার বাবা পরিবারের সবার জন্যই নতুন জামা-কাপড় কিনতেন। আমার পরিবার গ্রামের ধনী পরিবারের মধ্যে একটি ছিলো। আমার বাবা পরিবারের বড় ছেলে। তিনি দাদা-দাদী, দুই চাচা-চাচী, চাচাতো ভাইবোন, একমাত্র ফুফু, ফুফাতো ভাইবোন সবার জন্যই জামাকাপড় কিনতেন। ফুফু’র বাড়িতে আগেই নতুন কাপড় পাঠিয়ে দিতেন। যেদিন ইদ -“ঠিক সেদিন সকালে বাড়ির উঠোনে পাটি বিছিয়ে (সে সময় শীতের দিনে ইদ হতো) বসে সবার জন্যই কিনা নতুন কাপড় গুলো ঘরে-ঘরে পাঠিয়ে দিতেন”। আর আমরা যারা ছোট ছিলাম তাদের কাপড়গুলো পড়িয়ে দিতেন। এরপর মিষ্টি, পায়েস, সেমাই খাওয়ার পর দাদা আমাদেরকে সাথে নিয়ে ইদগাহতে যেতেন।

তখন আমাদের পাশের গ্রাম মাছপাড়াতে ‘ইদগাহ’ ছিলো, সেখানে ইদের বড় জামাত হতো। মাছপাড়া গ্রাম মানিকহাট ইউনিয়নে আর আমাদের গ্রাম ছিলো সাতবাড়িয়া ইউনিয়নে কিন্তু ভালোবাসা ও সম্প্রীতির কোনো অভাব ছিলো না। বহুমানুষ একসাথে ইদের নামাজ আদায় করতেন। ইদের নামাজ পড়ানোর জন্য নোয়াখালী থেকে একজন ইমাম আসতেন। খুব লম্বা ছিলেন তিনি, গায়ে সুন্দর জুব্বা পড়তেন। চোখে সুরমা ব্যবহার করতেন দেখলেই মনে হতো কত পরহেজগার। তিনি আমাদের বাড়িতে থাকতেন। বলে রাখি ঐ ইদগাহর প্রধান ছিলেন আমার দাদা। আমার দাদা আশে-পাশের বেশ কয়েক গ্রামের মানুষকে সাথে নিয়ে সম্প্রীতির সাথে ঈদগাহ পরিচালনা করতেন। ইমাম সাহেব আমাদের বাড়িতে এলে বহু মানুষ ভীড় করতেন। কেউ তেলপড়া, কেউ পানি পড়া আবার কেউ বা ছোটো বাচ্চাদের নিয়ে আসতো দু’আ পড়ে মাথায় ফু দেওয়ার জন্য। আমার দাদা আমাকে কোলে নিয়ে কতবার যে ফু দেওয়াইয়েছে তা বলতে পারবো না। দাদা, প্রায়ই ইমাম সাহেবের সাথে বসে গল্প করতেন।

আরও পড়ুন মধুর স্মৃতি

উল্লেখ্য ইমাম ইদের বেশ কয়েকদিন আগেই আমাদের বাড়িতে আসতেন। গল্পের সময় আমি দৌড়ে গিয়ে দাদার কোলে বসতাম আর দাদাকে বলতাম, আমার মাথায় ফু দিবো, একথা শুনার পর ইমাম সাহেব আমাকে আদরের সাথে কোলে নিয়ে দু’আ পড়ে মাথায় ফু দিয়ে দিতেন- আমার খুব ভালো লাগতো। আমার দাদা আমাকে খুব ভালোবাসতেন। তাঁর অনেক নাতি-নাতনি ছিলো, কিন্তু আমাকে একটু বেশি ভালোবসাতেন। আমি ছোট বেলায় দাদার কাছেই ঘুমাইতাম। গল্পটা এমন থাকলে অনেক ভালো হতো, জীবনটা অনেক সুখের হতো, আমি রাজপুত্রের মত বড় হতে পারতাম।

যাক, সবসময় জীবনের সমীকরণ মেলে না, জীবন তো উতালপাতাল অসম জোয়ালে চলে। আমারও সুখ বেশি দিন সহ্য হয় নাই। স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাবা ১৯৭১ সালে ১২ মে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলিতে শহিদ হলে সমীকরণ বদলে যায়। আমার বাবার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়া হয়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদাররা তার টাকা পয়সা মেরে দেয়। এখন জমি জমা ছাড়া অন্য সব আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তাছাড়া মুক্তিযুদ্ধে আমার পরিবার অত্র অঞ্চলে রাজনৈতিক নেতৃত্বে থাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের অনেক সহযোগিতা করায় আর্থিক সমস্যায় পরে।

বাংলাদেশ স্বাধীনের পর নয় মাস আমার চাচারা একসাথে ছিলেন। তারপর মাত্র দেড় সের চাউল দিয়ে আমাদের পৃথক করে দেওয়া হয়। আমাদের চার ভাই ও দুই বোনকে নিয়ে মা বিপদে পরে যায়। কারণ তখন আমার বড় ভাই মাত্র নবম শ্রেণিতে পড়েন। অন্যরা সবাই খুবই ছোট। জমিজমা কিছুই চেনেন না। এ সমস্যা থেকে আজও বের হতে পারিনি। অনেক প্রভাবশালী লোকজন জোরপূর্বক এখনও আমাদের শত বিঘা জমি জোড়পূর্বক দখল করে খাচ্ছে। অতি সম্প্রতি জোড় করে খাওয়া জমির মধ্যে আমার নিজের অংশের ২৬ বিঘা জমি খারিজ খাজনা পরিশোধ করে কাগজপত্র ঠিক করেছি। এই জীবনে বহু আত্নীয় স্বজনকে দেখেছি কিভাবে আমাদের জমি জোরপূর্বক, অন্যায় ভাবে দখল করে খায়।

আরও পড়ুন ছেলেবেলার ষড়ঋতু

যাক, ছোট্ট বেলার ইদ নিয়ে যা বলছিলাম, বাবা মারা যাবার পর দাদা-দাদী আমাদের সাথে থেকে যায় এবং আমাদের বড় করার চেষ্টা করে। আমার দাদা বৃদ্ধ মানুষ, তখন আর ব্যবসা-বাণিজ্য কিছু করতে পারে না। তিনি আমাদের পাশের গ্রামের একজনকে কিছু মূলধন দিয়ে ব্যবসা করতে দিলেন। নিজে না থাকলে যা হয়, লোকসানের পর ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল। এদিকে দাদার চিকিৎসার জন্য টাকা পয়সার প্রয়োজন হয়। দাদা আমাদের সাথে থাকাতে প্রচ্ছন্ন সব খরচ এসে পড়ে আমাদের ওপর ৷ যেমন সামাজিকভাবে আগে যেমন স্কুল কলেজের ছাত্রদের জায়গীর রাখতেন, এখনো আমাদের বাড়িতে জায়গীর রাখা হয়, আত্নীয়স্বজনসহ পরিবারের সব খরচ আমাদের বহন করতে হয়। আর এসব খরচ জমিজমা থেকে যা আয় হয় তা থেকেই আসে। কিন্তু জমিজমা থেকে যা আসে তা দিয়ে সংসার চলতে চায় না। ফলে আমার ভাইবোনদের পড়াশোনা বন্ধ করতে হয়।

এবার বড় দুই ভাই পড়ালেখা বাদ দিয়ে জমিজমা চাষাবাদ শুরু করে। তখন ইদে নতুন জামাকাপড় আর তেমন কেনা হয় না। অনেক কান্নাকাটি করাতে মাঝের মধ্যে দাদা স্থানীয় দর্জিকে দিয়ে জামা বানিয়ে দিতেন। আর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জন্য স্থানীয় হাট হতে (রাইপুরের হাট) নতুন কাপড় কিনে দিতেন। রাইপুরের হাট আমার অঞ্চলের সব চেয়ে বড় হাট। তখন ইদে সেমাই হতো, মুর্গির মাংস হতো তবে পরিমাণের তুলনায় বেশ কম। কারণ বিরাট সংসারের চাপ, মানুষ অনেক বেশি হওয়ায় সবার খাওয়া শেষে মা-দাদীরা তেমন কিছু পেতেন না। এখানে আর একটা কথা স্মৃতিতে বেশ মনে পড়ে; সেটা হলো আমরা ইদ ছাড়া সেমাই খেতে পারতাম না। তবে পায়েস খেয়েছি, দাদার ইচ্ছে মতো। দাদা পায়েস ভালো বাসতেন। নিজেদের গাভীর দুধ, আর ক্ষেতের কালোজিরা ধান এগুলোর তেমন অভাব হতো না। সমস্যা হলো, পাটালি কিনতে হতো।

আরও পড়ুন শৈশবের দুঃখজাগানিয়া স্মৃতি

আমার একটা শখ ছিলো, শীতের সময় পাশের বাড়ির যত খেজুর গাছ ছিলো ঐ সমস্ত খেজুর গাছে ওলা (খেজুর রস কাটার দ্বিতীয় দিনের রস) লাগাইতাম। অনেক রস পেতাম, মানের দিক থেকে বেশ নিচু। এ ক্ষেত্রে পরিবারের সবাই তেমন রাজি হতো না, শুধু দাদা আমাকে বেশ সাপোর্ট করতেন। সেই খেজুর গুড় দিয়ে প্রায়ই পায়েস হতো। তবে সেমাই খেতে ইদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো। আমাদের বাড়ি জায়গীর ছিলেন মো. সামছুর রহমান, তিনি আমাকে পড়াতেন। আমার বড় ভাইয়ের নামও সামছুর রহমান তাই তাঁকেও ভাই বলে ডাকতাম। তিনিও আমাদের সাথে ইদ করতেন, আমাদের পরিবারের সদস্যের মতই। তিনি আমার মাকে মা ডাকতেন, অনেক শ্রদ্ধা করতেন। মাও তাকে আমাদের মত ছেলে হিসেবে সমান চোখে দেখতেন। সবাই একসাথে বসে খাবার খেতাম।

১৯৮৩ সালে আমি এসএসসি পরীক্ষা দিলাম। ঐ বছর দাদা অসুস্থ হয়ে বিছানায় পরে গেলেন। আমি তখন অনেক কষ্ট করেছি দাদার সেবা করার জন্য, একটু কম টাকায় ঔষধ পাওয়া যাবে ভেবে নদী পার হয়ে পায়ে হেঁটে সেই রাজবাড়ি জেলার পাংশা শহর থেকে ঔষধ কিনে এনেছি। সকালে গেছি আর রাতে ঔষধ নিয়ে ফিরেছি। এমন করে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলাম। সেবার ইদে আমরা কেউই নতুন কাপড় কিনতে পারিনি। পরে দাদা আমাদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আল্লাহ দাদাকে বেহেশতের সর্বোচ্চ মোকাম দান করুন। দাদার মৃত্যুর পর আমরা আর কেউই পরিবারের বিধি মোতাবেক ইদে জামা কিনতে পারিনি। কারণ সংসারের সুনির্দিষ্ট অভিভাবক ছিলো না। বড়ভাই দায়িত্ব নিতে পারেননি, দায়িত্ব অনেকটা মেজ ভাইয়ের ওপর এসে গেল। সে সবকিছুর গোলমাল পাকিয়ে ফেললো। সংসার নামক বৈতরণী আর চলতে চায় না। জমিজমাগুলো বেহাত করে দিলো। মা, তখন আমাদের পড়ায় মনোনিবেশ করতে বললেন।

আরও পড়ুন তৎকালীন গ্রামের চিত্র

আমার তৃতীয় ভাই সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হলেন। টাকা পয়সার অভাব বেড়ে গেল। এদিকে ফুফু বাড়ির একটা প্রচ্ছন্ন সামাজিক চাপ এসে পড়লো আমাদের ওপর। কারণ ফুফা, ফুফাতো ভাইদের সাথে আমার চাচাদের ভালো সম্পর্ক ছিলো না। এক পর্যায়ে ফুফার বাড়ি থেকে বাড়ি ভেঙে আমাদের বাড়িতে নিয়ে এলাম। সে সময় আমাদের বাড়িতে একজন জায়গীর ছিলো, নাম আব্দুর রাজ্জাক, চরদুলাই বাড়ি। তিনি দীর্ঘদিন আমাদের বাড়িতে ছিলেন। আমাদের বাড়ির সামনে একটা বাড়ির মেয়েকে বিয়েও করেছিলেন। তখন আমার ফুফাতো ভাইবোন, জায়গীর রাজ্জাক ভাই এবং আমরা ভাইবোন একসাথে ইদের নামাজ পড়তে যেতাম।

ইদের সময় হলে মা সব ভাইকে এক মন ধান বা অন্য কোন ফসল দিতেন, বলতেন -“বিক্রি করে জামা কিনে নাও”। আমি ধান বিক্রি করে পাঞ্জাবি কিনেছি। সে পাঞ্জাবি দিয়ে পরের ইদও করেছি ধুলাই করে। অন্য ভাইবোন বিশেষ করে ছোট্ট বোনের জন্য মা আলাদা করে টাকা দিতেন। বলে রাখা ভালো এরই মধ্যে আমার নাবালিকা বড় বোনকে বিয়ে দিয়ে দিছে। এ বিয়ে ঠেকানোর জন্য আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম। ইদ এলে সে বোনের জন্য কাপড় কিনে মা পাঠিয়ে দিতেন।

এমতাবস্তায়, আমি এইচএসসি পাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। তখন ইদ এলো, কি গেলো এ নিয়ে বেশি মাথা ব্যথা ছিলো না। ইদের একদিন বা দুইদিন আগে বাড়ি গিয়েছি। কারণ মায়ের একটা অনুশাসন ছিলো, তুমি ইদের আগে বাড়ি আসবে, কারণ তোমার বন্ধুরা জিজ্ঞাসা করবে সেলিম কোথায়, কবে আসবে এ সব কথার উত্তর আমি দিতে পারবো না। তাই তুমি যেখানেই থাকো না কেন বাড়ি আসবে।

ইদের দিনে আমরা নদীতে গিয়ে গোসল করে আসতাম। তখন পদ্মা নদী আমাদের বাড়ি থেকে একটু দূরে ছিল। এখন তো একদম কাছে অর্থাৎ নদীর একদম কিনারে। তারপর নতুন জামাকাপড় পড়তাম। মা আমার জন্য সেমাই করে আনতো। আমি একটু খেয়ে ইদের নামাজ পড়তে যেতাম। আমি কবুতরের মাংস দিয়ে খিচুড়ি খুব পছন্দ করতাম। মা, কবুতরের মাংস দিয়ে খিচুড়ি রান্না করতেন। নামাজ পড়ে এসে সেই খিচুড়ি খেতাম।

আরও পড়ুন শানশি লাইব্রেরি ও মোরগ ডাক

আমার মনে পড়ে মাস্টার্স পাশ করার পর কলেজ ছেড়ে এক সময় বসুন্ধরা গ্রুপে চাকরি করতাম। আমি বসুন্ধরা পেপার মিলস্ লিমিটেডের পারচেজ ডিপার্টমেন্টের দায়িত্বে ছিলাম, কাজ শেষ না হলে ছুটি নিতে পারতাম না। একবার ইদের একদিন আগে বাড়ি গেলাম। গাড়িতে উঠে শুনি আগামীকাল ইদ। ইদের চাঁদ দেখা গেছে। আমি যখন পাবনা পৌঁছালাম তখন গভীর রাত। বাড়ি আসার কোনো গাড়ি বা অন্য কোনো বাহন নেই। আমি আমার চাচাতো বোনের বাসায় গেলাম। আমার চাচাতো বোন দুইজন পাবনা শহরে থাকতেন। পরের দিন পাবনার আরিফপুর গোরস্থান ইদগাহ মাঠে ইদের নামাজ পড়লাম। এটি আমার প্রথম এবং সর্বশেষ আরিফপুর গোরস্থানের মাঠে ইদের নামাজ পড়া।

সেদিন চাচাতো বোনের বাসায় ভালোই ইদ কাটলো। বোন-ভাগ্নিরা বেশ খুশি। মামার সাথে ইদ বলে কথা। বোন আসতে দিতে চায় না। তারপরেও মায়ের কথা ভেবে বোন আর আপত্তি করলো না। আমার চাচাতো ভাইবোন আমার মাকে বড় মা বলে ডাকে। বিকেলে আমি বাড়ি চলে এলাম। তখন মোবাইল ফোন ছিলো না। মা তো খুবই চিন্তায় ছিলেন, এমনটি হওয়ার কথা নয়। মা, বারবার বলতে লাগলেন, আমি মনে করেছি কোনো দূর্ঘটনা হলো নাকি, আল্লাহ কাছে তোর জন্য দোয়া করেছি। সব বুঝিয়ে বলার পর মা শান্ত হলেন। মা, আজ আর নেই, কেউ আর পথের পানে চেয়ে থাকে না। ইদে বাড়ি যাওয়ার সেই আগ্রহটা আর নেই।

মা, মারা যাবার দু’বছর পর বিয়ে করেছি। তারপর ভাইদের সাথে ইদ করার জন্য বাড়ি যাই। এখন ছেলেমেয়ে, ভাই, ভাতিজা সবার সাথে ইদ আনন্দ উপভোগ করি। তবে মায়ের সাথে ইদ করার যে আনন্দ তা আর খুঁজে পাই না।

 

ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

ছোটবেলার ইদ ও আমি

Facebook Comments Box

মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান কবি, কথাশিল্পী ও গবেষক হিসেবে সমধিক পরিচিত। প্রকাশিত উপন্যাস: চেয়ারম্যান হবো, ভোরের কুহেলিকা; কাব্যগ্রন্থ: নষ্ট ভালোবাসা, গল্পগ্রন্থ: সিডরের সেই রাত এবং তারপর..; ভ্রমণকাহিনী: নোবেলের দেশে শান্তির দেশে; গবেষণা গ্রন্থ: বাংলা সাহিত্য ও বঙ্গবন্ধু। তিনি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের গুপিনপুর গ্রামের সন্তান। সম্ভান্ত মুসলিম প্রামাণিক পরিবারে ১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারিতে তাঁর জন্ম।

error: Content is protected !!