• তোমার-প্রতীক্ষায়
    কবিতা,  ফকির শরিফুল হক,  সাহিত্য

    তোমার প্রতীক্ষায়

    তোমার প্রতীক্ষায় ফকির শরিফুল হক আজ বছর সাতেক তোমার সাথে আমার দেখা নেই শেষ দেখাটা বেশ মুধুর ছিল, লাল আঁচল শাড়িতে প্রিয় ছোট্ট কালো টিপ কাজল চোখ আর হালকা লিপস্টিকে চিকন ঠোঁটে এলোকেশে প্যাঁচানো রজনীগন্ধার খোঁপায় দারুণ লাগছিল তোমায়। এক জেলাতে বাস করেও যেন আজ তুমি কত দূরে! শেষ কথাটাও বছর তিনেক আগে অপরিচিত নাম্বার থেকে ‘হ্যালো’ বলে দু’মিনিটের আলাপনে- কেমন আছ, কোথায় কী করছ? বউ বাচ্চা নিয়ে আছ তো বেশ! সহসাই আমার প্রশ্ন, তুমি কেমন আছ, হঠাৎ এতদিন পর? তোমার ছেলেটা কেমন আছে? কোন ক্লাসে এখন? তোমার স্কুল কেমন চলছে? নিরুত্তর নিঃশব্দ দীর্ঘশ্বাস আছি বেশ চলে যাচ্ছে! ঠিক আছে…

  • তোমার-একফোঁটা-জলে
    কবিতা,  সাহিত্য

    তোমার একফোঁটা জলে, আমার মৃত্যু

    তোমার একফোঁটা জলে নাজমুল হাসান তোমার একফোঁটা জলে বন্যা হতে পারে পিঁপড়ার নীড়ে তোমার একফোঁটা জলের নোনতা ক্ষারতায় ভস্ম হতে পারে পতঙ্গের শরীর, তবু কেন মিছে মায়ায় উন্মুক্ত করো বারি অবমুক্ত চোখের সুখ আর ভেজাও বক্ষস্থল। আমাকে তোমার ভালোবাসার কাছে হারিয়ে আজ কেন? খুঁজে ফের হন্য হয়ে মুছে ফেলা স্মৃতি। আমার বিরহে কেন করো নোনাজলে মুক্তার চাষ? আমার কষ্ট যখন ছিল পিঁপড়ার খাদ্য; তখন খুব করে চেয়েছি তোমার চোখের জলে প্লাবিত করো সেই পিঁপড়ার ঘর যারা কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে আমার অস্থিমজ্জা আর কষ্টের আবাস্থল। তুমিহীন চলছি ভবঘুরে জনস্রোতের উটকো গন্ধে ক্লান্তজনিত ঘর্মক্ত দেহে ফিরেছি নীড়ে। কারণ সেখানে অপেক্ষা করে বন্ধ…

  • এইচএসসি-ও-সমমান-পরীক্ষার-ফলাফল-২০২৩
    আজকাল,  উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়,  শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

    এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩

    এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল ২০২৩ ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত সুজানগর উপজেলার সকল কলেজের এইচএসসি, আলিম ও কারিগরি পরীক্ষার ফলাফল:   ১. সরকারি ড. জহুরুল কামাল ডিগ্রি কলেজ মোট পরীক্ষার্থী=৪৯৩, উপস্থিত=৪৮৭, পাশ=৩৫৮,  পাশের হার=৭৩.৫১%; জিপিএ-৫=৯ বাণিজ্য: পাশ=৩৯; ফেল=৪০; জিপিএ-৫=১ মানবিক: পাশ=২২৭; ফেল=৪১; জিপিএ-৫=৭ বিজ্ঞান: পাসশ=৯২; ফেল=৫৪; জিপিএ-৫=১   ২. সাতবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজ মোট পরীক্ষার্থী=২০২, উপস্থিত=১৯৮, পাশ=১৭৭,  পাশের হার=৮৯.৩৯%; জিপিএ-৫=২ বাণিজ্য: পাশ=২২; ফেল=১ মানবিক: পাশ=১৩৮; ফেল=২৪; জিপিএ-৫=২ বিজ্ঞান: পাশ=১৭   ৩.  সেলিম রেজা হাবিব ডিগ্রি কলেজ মোট পরীক্ষার্থী=২৩৮, উপস্থিত=২৩৮, পাশ=২২৬,  পাশের হার=৯৪.৯৬%; জিপিএ-৫=৪ বাণিজ্য: পাশ=২৫; ফেল=২ মানবিক: পাশ=১৫৫; ফেল=১০; জিপিএ-৫=৩ বিজ্ঞান: পাশ=৪৬; জিপিএ-৫=১   ৪. নিজাম উদ্দিন আজগর আলী কলেজ মোট পরীক্ষার্থী=৩২০, উপস্থিত=৩১৮, পাশ=২৫৪, …

  • স্পর্শ
    কবিতা,  সাহিত্য

    স্পর্শ, লাল চোখ, মৃত্যু

    স্পর্শ আবুল হাশেম বসন্তের শেষে বাতাসে উড়া শিমুল তুলোর মতো তুমি এক বাতাসে উড়ে এসে সেই যে জড়িয়ে ধরলে, স্পর্শ এখনও মনে পড়ে। হৃদয়ে বসন্তের ফুল ফুটালে ফুলের সুবাস বাতাসে দোলে ঝরা ফুল হয়ে হৃদয়ের মালা হলে কানে কানে অলিরা গুন গুন করে বলে বসন্তের ফুল কোথায় হারালে? বসন্তের ফুল বাতাসে গেছে ঝরে ফুলের সুবাস হৃদয়ে দোলে। ঝরা ফুল ঝরে গেছে হৃদয়ে স্পর্শ মেলে।   লাল চোখ পাখির ঠোঁটে উড়ে গেল ভালোবাসার চিরকুট ভালোবাসা হলো পাখির বাসা বনপোড়া ময়ূরের মতোন। সুন্দর ভালোবাসা সবুজের মাঝে লাল সবুজ ঘাসের হলুদ কালার মন হলো পোড়াবন। ভালোবাসা পেখম তুলা ময়ূর ভালোবাসা সুন্দর প্রেমিক পোড়াবাড়ি…

  • গোলাপি-শহর-জয়পুরে
    তাহমিনা খাতুন (ভ্রমণকাহিনি),  ভ্রমণকাহিনি,  সাহিত্য

    গোলাপি শহর জয়পুরে

    গোলাপি শহর জয়পুরে তাহমিনা খাতুন জয়পুর। ভারতের রাজস্থান রাজ্যের রাজধানী। ভারতের রাজধানী দিল্লি  থেকে সড়ক পথে ৪/৫ ঘন্টার দূরত্বে জয়পুর। জয়পুর এক ঐতিহাসিক শহর। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে দিল্লি থেকে সড়ক পথে ঐতিহাসিক এই শহর দেখতে গেলাম। ঐতিহাসিক এই শহরের ভবনগুলো অধিকাংশই গোলাপি রঙের! ইতিহাস থেকে জানা যায়, ১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে বৃটিশ সম্রাজ্ঞী ভিক্টরিয়ার স্বামী প্রিন্স আলবার্টের জয়পুর ভ্রমণকালীনে জয়পুরের মহারাজা রাম সিংহ কর্তৃক শহরের ভবনগুলো গোলাপি রঙ করা হয়। কারণ গোলাপি রঙ আতিথেয়তার প্রতীক। অধিকাংশ ভবনের রঙ গোলাপি হওয়ায় এই শহরের নাম হয়েছে পিংক সিটি বা গোলাপি নগরী। জয়পুরকে রাজধানী হিসেবে তৈরি করার আগে আম্বর ফোর্ট বা আম্বর দূর্গ থেকেই…

  • গল্প,  শাহানাজ মিজান,  সাহিত্য

    আলতা বানু (শেষ পর্ব)

    আলতা বানু (শেষ পর্ব) শাহানাজ মিজান এক এক করে জীবন থেকে প্রিয়জনেরা সবাই হারিয়ে গেল। প্রচণ্ড ঝড়ে ডালপালা ভাঙা এক বিধ্বস্ত বট গাছ যেমন করে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে, তেমন করে শুধু আমি দাঁড়িয়ে রইলাম। এত বড়ো শূন্য ঘরে একা একা কি করে থাকব আমি। সমাজপতিরা পরামর্শ করে আমাকে খোকনের ঘাড়ের বোঝা করে দিয়ে গেল। এখন থেকে আমার সমস্ত দায়িত্ব খোকনের। শরিফুলকে ওরা লেখাপড়া করতে ঢাকায় পাঠিয়ে দিল। আমি আরও একা হয়ে গেলাম। ওরা খাওয়ার সময় আমাকে ডাকে না। ওদের খাওয়া হয়ে গেলে আমার ঘরে খাবার দিয়ে যায়। ইদানীং নিজের প্রতি নিজেরই খুব রাগ হয়। কেন এত ক্ষিধে পায় আমার।…

  • রবীন্দ্রনাথের-গ্রন্থাগার-চিন্তা
    খ ম আব্দুল আউয়াল,  প্রবন্ধ,  সাহিত্য

    রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থাগার চিন্তা

    রবীন্দ্রনাথের গ্রন্থাগার চিন্তা খ ম আব্দুল আউয়াল রবীন্দ্রনাথ যুগস্রষ্টা চিন্তাবিদ। তাঁর চিন্তায় তাঁর সমকালের সকল দিকই অনবদ্য ভঙ্গিতে প্রকাশ পেয়েছে। গ্রন্থাগার ভাবনাও তাঁর সচেতন মনে রেখাপাত করেছে এবং তাঁর রচনার মধ্যে তা ছড়ানো রয়েছে। উনিশ শতকের শেষ দশকে (১৮৮৬ সালে) ১২৯২ বঙ্গাব্দে তিনি ‘লাইব্রেরি’ প্রবন্ধটি লেখেন। (১৯২৮ সালে) ১৩৩৫ বঙ্গাব্দে নিখিল ভারত গ্রন্থাগার সম্মেলনে প্রদত্ত সভাপতির ভাষণে তিনি যা বলেন তা ‘লাইব্রেরির মুখ্য কর্তব্য’ নামে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। এ দুটি প্রবন্ধে বরীন্দ্রনাথের যে চিন্তা চেতনা প্রকাশিত হয় তা ১৯৩১ সালে ভারতীয় গ্রন্থাগার বিজ্ঞানী এস আর রঙ্গনাথনের পঞ্চনীতি (Five Laus of library Science) প্রকাশের আগে। উপমহাদেশের শিক্ষা সংস্কৃতির জগতে গ্রন্থাগার নিয়ে…

  • আলতা-বানু-৪র্থ-পর্ব
    গল্প,  শাহানাজ মিজান,  সাহিত্য

    আলতা বানু (৪র্থ পর্ব)

    আলতা বানু (৪র্থ পর্ব) শাহানাজ মিজান ভোর থেকে উনার প্রচন্ড জ্বর, বড়ো বুবু উনার কাছে রইলেন; আমি রান্না করছি। ও বাড়ির কোবাদের মা এসে খবর দিল খোকন আর তার বউ ব‍্যাগ পেটরা নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যাচ্ছে। পাড়ার লোকজনদের ডেকে তাদের কাছে বলেছে পোয়াতি বউটার উপর আমরা অত‍্যাচার করেছি। কখনও যদি তাদের আলাদা সংসার হয় তো ফিরে আসবে, নয়তো আসবে না। আমি শুধু শুনলাম, কিছু বললাম না। সাতদিন জ্বরে ভুগে উনি একটু সুস্থ হলেন কিন্তু শরীরটা বেশ দুর্বল। খোকন আর বউ বাড়িতে ফিরে এলে উনি খোকনকে ডেকে বললেন, — আজ থেকে তোমরা আলাদা খাবে। খোকন মাথা নিচু করে রইল ঠিকই,…

  • শীতার্ত
    কবিতা,  সাহিত্য

    শীতার্ত, ফায়ার ফাইটার সীতাকুণ্ড

    শীতার্ত রাফিয়া লাইজু কিলিজ  তোমরা যারা দালান কোঠায় কিংবা অট্টালিকায় থাক তারা কি কখনও আমাদের খোঁজ রাখ? অপরিচ্ছন্ন-জীর্ণশীর্ণতায় বসবাস প্রতিনিয়ত তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য ভরা হেয়তায় ভাসমান একটু আশ্রয়, একটু খাবারের জন্য কত যুদ্ধ করতে হয় রোজ! কখনও ফুটপাতে, কখনও ওভার ব্রিজের নিচে, বস্তিতে… কখনও বা স্টেশনের প্ল্যাটফরমে কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তার ধারে… ক্ষুধার তাড়নায় কখনও বা তোমাদের উচ্ছিষ্টের খোঁজে ডাস্টবিনে… আবার কখনও বা আবর্জনার স্তূপে….কুকুরের সাথে সন্ধি! ক্যান পানীয় বোতল-প্লাস্টিক বা পরিত্যক্ত জিনিস টোকাই বলে… তোমরা যারা আমাদের নাম দিয়েছ টোকাই… হ্যাঁ, আমরা গৃহহীন-বস্ত্রহীন জীবিকার দুর্ভাবনায় জর্জরিত। একটু আশ্রয়, একটু উষ্ণতার খোঁজে বহুল কাঙ্ক্ষিত…উৎকণ্ঠিত দৃষ্টিতে… সূর্যের তীব্রতার অপেক্ষায় দিন শুরু হয় কুয়াশার চাদর…

error: Content is protected !!