-
সাইদ মো. আহসান হাবিব
সাইদ মো. আহসান হাবিব : একজন বীর যোদ্ধার কথকতা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী উত্তরাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনসভায়, হালকা পাতলা ঝাকরা চুলের যে যুবকের বক্তৃতা জনতার মনে ঝড় তুলতো, তিনি আর কেউ নন ভাগ্যবিড়ম্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান হাবিব।পুরো নাম সাইদ মো. আহসান হাবিব। সাধারণ মানুষের কাছে পাগলা হাবিব বলেই বেশি সমাদৃত। তিনি নিজ যোগ্যতায় তৎকালিন কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নজর কাড়েন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আহসান হাবিবকে অত্যন্ত আদরের সাথে বুকে টেনে নেন। ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নগরবাড়ি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ উদ্বোধনীতে লাখো জনতার সমাবেশে, আহসান হাবীবের বক্তব্য শুনে আবেগ আপ্লুত বঙ্গবন্ধু আহসান হাবিবকে হেলিকপ্টারে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসায় নিয়ে যান।…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), পড়াশোনা, বই পর্যালোচনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিজ্ঞানী, ভায়না, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, সাহিত্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৭ম পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৭ম পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন প্রকাশনা (২য় অংশ): ৪। খগোল পরিচয় (বাংলা একাডেমী, ১৯৬৫ খ্রি.) অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এর অগ্রজ, বিজ্ঞানে মুসলমানের দান-এর লেখক মোহাম্মদ আকবর আলী, তারা সম্বন্ধে কিছু লিখতে এবং তারার গল্প দিয়ে ছোটদের জন্য একখানা বই লিখতে তাঁকে উৎসাহিত করেন। এই প্রেক্ষিতে তিনি ছোটদের জন্য তারার গল্পের বই লিখবার জন্য পড়াশোনা আরম্ভ করেন। বিভিন্ন দেশে তারা নিয়ে বিভিন্ন গল্প প্রচলিত আছে। এ সমস্ত গল্প সাধারণত পৌরাণিক কাহিনীর সাথে জড়িত। গ্রিস, চীন, মিসর, আরব ও ভারত ইত্যাদি দেশ প্রাচীন জোতির্বিদ্যার জন্য সুপ্রসিদ্ধ। পাশ্চাত্য জগতে যে সমস্ত তারার গল্প প্রচলিত আছে,…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), বই পর্যালোচনা, বিজ্ঞানী, ভায়না, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, সাহিত্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৬ষ্ঠ পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৬ষ্ঠ পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন প্রকাশনা: ১। বিশ্ব রহস্যে নিউটন ও আইনষ্টাইন (মালিক লাইব্রেরি, ১৯৪২ খ্রি.) বাংলাদেশের বিশিষ্ট বিজ্ঞানী মরহুম ড. ম. কুদরত-এ-খুদা, ৫ জানুয়ারি, ১৯৪৯ সালে, বিশ্ব রহস্যে নিউটন ও আইনষ্টাইন বইয়ের সমালোচনা করতে গিয়ে লিখেছিলেন, “স্নেহভাজন আব্দুল জব্বার বিশ্ব- রহস্যে নিউটন ও আইনস্টাইনের বিশেষ অবদানের কথা এই পুস্তকে আলোচনা করেছেন। আমাদের ছেলেরা নিউটন ও আইনস্টাইনের বিশেষ অবদানের কথা তেমন ভাল জানতে পারে না (১৯৪৯ সালে), কারণ এই সব তথ্য নিয়ে বাংলা ভাষায় ভাল কোন আলোচনা এখনও হয় নাই। মনে হয় এই পুস্তক আমাদের ঐদিকের অভাব অনেকখানি পূরণ করতে পারবে। পুস্তকের ভাষা যেমন…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), বিজ্ঞানী, ভায়না, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, সাহিত্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৫ম পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৫ম পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন কর্মময় জীবন: কর্মময় জীবনের শুরুতেই তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। এরপর যোগদান করেন চট্টগ্রাম কলেজে, পরবর্তীতে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অংক শাস্ত্রেও শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে তিনি রাজশাহী কলেজে গণিত বিভাগের প্রধান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। কিন্তু পরের বছরেই ১৯৪৮ সালে তিনি তৎকালীন ঢাকার আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমান বুয়েট) গণিত বিভাগে যোগদান করেন। বুয়েটে তিনি দীর্ঘ কর্মময় জীবন অতিবাহিত করেন। গণিত বিভাগের প্রধান হিসাবে ছিলেন একটানা প্রায় পনের বছর। ১৯৬২ সালে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হবার পর তিনি নিযুক্ত…
-
ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম
পাবনার বরেণ্য সন্তান ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলামের প্রত্যক্ষ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার যে কয়জন ব্যক্তিকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি তাদের মধ্যে তিনি নিঃসন্দেহে অন্যতম একজন। জন্ম: ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ১৯৪১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আলহাজ্জ্ব মির্জা আব্দুর রশীদ। তাঁরা চার ভাই ও তিন বোন। শিক্ষা জীবন:…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তালিমনগর, মুরারীপুর, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, শ্যামসুন্দরপুর, সমাজসেবক, সাগরকান্দি, সাগরকান্দি ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সাহিত্য
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (২য় পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (২য় পর্ব) খ ম আবদুল আউয়াল ধর্ম সাধনা ও সমাজ সেবা: অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন নিজে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন যাকে বলে self made man. তিনি ছিলেন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ, সত্যনিষ্ঠ, আদর্শবাদী মানুষ। ধর্মবোধ থেকেই পিতামাতার প্রতি ছিলেন পরম ভক্ত ও কর্তব্যনিষ্ঠ। তাই পিতার ইচ্ছানুযায়ী ধর্মীয় জ্ঞানেই আধুনিক উচ্চ শিক্ষা লাভ করেছিলেন, যদিও তাঁর মেধা ও আকাঙ্ক্ষার বিষয় ছিল গণিতশাস্ত্র। শিক্ষা লাভের শুরু থেকেই তিনি আদর্শ মানব হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন হযরত মুহম্মদ (সা.) কে। তাই সচেতনভাবে তরুণ বয়স থেকেই মহানবীর মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বনবীকে গভীর ভালোবেসে অনুসরণ করে আমরণ জীবন যাপন করে গিয়েছেন। তিনি একাধারে যেমন ছিলেন পরম…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তালিমনগর, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, শ্যামসুন্দরপুর, সমাজসেবক, সাগরকান্দি, সাগরকান্দি ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সাহিত্য
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (১ম পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (১ম পর্ব) খ ম আবদুল আউয়াল ঊনিশ শতকের শেষে কেউ কেউ নিজেকে গড়ে তুলে সমাজকে এগিয়ে নেয়ার অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছিলেন। মুহাম্মদ খোয়াজউদ্দিন তাঁদেরই একজন। বিশ শতকের শুরুতে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় ও উগ্র জাতীয়তাবাদের বিকাশে ইউরোপে যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। এই যুদ্ধ প্রথম মহাযুদ্ধ বা বিশ্বযুদ্ধ নামে ইতিহাসে খ্যাত । প্রথম মহাযুদ্ধের সময়ে মুহম্মদ খোয়জউদ্দিন (১৯১১-১৯৮৫ খ্রি.) ছিলেন শিশু। আকাশে তখন দু’একটি নব আবিষ্কৃত যুদ্ধের উড়োজাহাজ দেখা দিলে মানুষ বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে ভাবতো মানুষ উড়তে শিখেছে। এটি তাঁর শৈশবের যুদ্ধ স্মৃতি। তিনি তখন স্থানীয় মক্তবে পড়াশুনা করেন। এ মক্তবটি এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়, তাই এর নামকরণ…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), ভায়না, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লেখক পরিচিতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, সাহিত্য
এম. আকবর আলী
বাঙালি রেনেসাঁর অগ্রদূত এম. আকবর আলী। সুজানগর তথা পাবনার কৃতী সন্তানদের মধ্যে এম. আকবর আলী প্রথম সারির একজন। শিক্ষাবিদ, গবেষক, লেখক, চিন্তাবিদ, ইতিহাসানুরাগী, ঐতিহ্য সন্ধানী, দানশীল প্রভৃতি অভিধায় তাঁকে ভূষিত করা যায়। সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সাতবাড়িয়া কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। জন্ম: লেখক এম. আকবর আলী ১৯১১ সালের ১ মার্চ, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে জন্ম জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মুন্সি মিয়াজান মল্লিক ও মাতা বুলুজান নেছা। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে এম. আকবর আলী ছিলেন দ্বিতীয়। মোহাম্মদ আবিদ আলী, এম. আকবর আলী ও মোহাম্মদ আবদুল জব্বার এই তিন সহোদর যেন…
-
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলপার্ট মেডিকেল স্কুলের একজন অধ্যাপক। তিনি ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভস এর কার্যকরী সদস্য। এছাড়া তিনি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল-HAEFA এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ২১১ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন। একই সঙ্গে তাঁর অলাভজনক সংস্থা HAEFA (হায়েফা) তাঁর সঙ্গে শান্তি পুরস্কারে মনোনীত হয়। জন্ম: ডা. আবিদ ১৯৬১ সালের ২৭ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম লেখন। তাঁর পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সুজানগর পৌরসভায়। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। ঢাকায় বাস করেছেন বিভিন্ন উপশহরে-মালিবাগ, ইন্দিরা রোড, কলাবাগান ও শ্যামলীতে। পারিবারিক জীবন:…
-
হাইবাত জান চৌধুরী
হাইবাত জান চৌধুরী কৃষ্ণ ভৌমিক হাইবাত জান চৌধুরী ইতিহাসের মহিরুহ। তিনি ভারত স্রষ্টা জওহর লাল নেহেরু, সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের মতো নেতাদের স্বচক্ষে দেখেছেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের মেজর জেনারেল শাহ নেওয়াজ ও কর্ণেল ধিলনের মত সামরিক কর্মকর্তার সাহচার্য পেয়েছেন । নিখিল ভারত মুসলিম লীগ কনফারেন্সে অংশগ্রহণের স্মৃতি তিনি এখনও ভুলেননি। পাকিস্তানি বন্দিশিবিরের চার বছরের মানসিক নির্যাতনের স্মৃতিও আজ তাঁর চোখের উপর ভাসছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কলকাতা দাঙ্গায় জীবন নিয়ে পালিয়ে বাঁচার স্মৃতি ধূসর হয়নি। জন্ম: হাইবাত জান চৌধুরী ১৯২৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, তৎকালীন দুলাইয়ের প্রখ্যাত মুসলিম জমিদার আজিম চৌধুরীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: হাইবাত জান চৌধুরীর বাবা…