-
সাইদ মো. আহসান হাবিব
সাইদ মো. আহসান হাবিব : একজন বীর যোদ্ধার কথকতা মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী উত্তরাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনসভায়, হালকা পাতলা ঝাকরা চুলের যে যুবকের বক্তৃতা জনতার মনে ঝড় তুলতো, তিনি আর কেউ নন ভাগ্যবিড়ম্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান হাবিব।পুরো নাম সাইদ মো. আহসান হাবিব। সাধারণ মানুষের কাছে পাগলা হাবিব বলেই বেশি সমাদৃত। তিনি নিজ যোগ্যতায় তৎকালিন কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নজর কাড়েন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আহসান হাবিবকে অত্যন্ত আদরের সাথে বুকে টেনে নেন। ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নগরবাড়ি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ উদ্বোধনীতে লাখো জনতার সমাবেশে, আহসান হাবীবের বক্তব্য শুনে আবেগ আপ্লুত বঙ্গবন্ধু আহসান হাবিবকে হেলিকপ্টারে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসায় নিয়ে যান।…
-
শৈশবের দুঃখজাগানিয়া স্মৃতি
শৈশবের দুঃখজাগানিয়া স্মৃতি আজও অম্লাণ কৃষ্ণ ভৌমিক শৈশব যেন দুঃখজাগানিয়া স্মৃতি। আর যদি সে হয় গ্রামীণ শৈশব, তাহলে মধুময় সে সোনালী দিন মনের পর্দায় বারবার ফিরে আসে। তখন মনে অনুভুত হয় আনন্দ, বেদনা। আমার শৈশব কেটেছে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার রাণীনগর ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিল গাজনার পার্শ্ববর্তী বাঘুলপুর গ্রামে। কৃষিজীবি পরিবারে গ্রাম বাংলার ধুলা, কাদা মাটির সাথেই জড়িয়ে থাকে শৈশব। আমারও তার ব্যতিক্রম নয়। বনজঙ্গল, খাল-বিল, মাঠ-ঘাটে শৈশবের দৌঁড়-ঝাপ, গ্রামীণ মেঠোপথ, বর্ষায় ডুবু ডুবু গ্রামের ছবিও যেন এখনো স্মৃতিতে ভেসে উঠে। এখনো দেখতে পাই দিগন্তজোড়া সবুজ ফসলের মাঠ। আউশ ধানের জমিতে সাথি ফসল, ডাবধান, ভুরা আর কাউনের…