-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), পড়াশোনা, বই পর্যালোচনা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বিজ্ঞানী, ভায়না, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাহিত্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (শেষ পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (শেষ পর্ব) মোহাম্মদ আব্দুল মতিন প্রকাশনা (৩য় অংশ): ১০। বিশ্ব ও সৌরজগৎ (বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ১৯৮৬ খ্রি.) বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপাচার্য ড. আব্দুল মতিন পাটোয়ারী লিখেছেন (১৬ জুন, ১৯৮৬), “ড. রশীদ চেয়ারে অধিষ্ঠিত থাকাকালীন প্রফেসর আব্দুল জব্বার এই মূল্যবান গ্রন্থখানি রচনা করে ইপ্সিত উদ্দেশ্য সাধনে যে বহুলাংশে সফল হয়েছেন, তাতে কোন সন্দেহ নেই। এই গ্রন্থে বিধৃত হয়েছে পৃথিবীর তথা মহাবিশ্বের জন্মলগ্ন থেকে শুরু করে নানা ক্রমবিবর্তনের মাধ্যমে কি ভাবে বর্তমান রূপ পরিগ্রহ করেছে। সৌরজগতের সৃষ্টি রহস্য মানব জাতির কাছে এখনও বিরাট কৌতূহলের বিষয়। গণিত ও জোতির্বিজ্ঞানের গবেষকদের কাছে এই বই যেমন সহায়ক হবে তেমনি…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), বিজ্ঞানী, ভায়না, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, সাহিত্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৫ম পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৫ম পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন কর্মময় জীবন: কর্মময় জীবনের শুরুতেই তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগে ১৯৪১ থেকে ১৯৪৩ সাল পর্যন্ত শিক্ষকতায় আত্মনিয়োগ করেন। এরপর যোগদান করেন চট্টগ্রাম কলেজে, পরবর্তীতে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে অংক শাস্ত্রেও শিক্ষক হিসাবে যোগদান করেন। দেশ বিভাগের পর ১৯৪৭ সালে তিনি রাজশাহী কলেজে গণিত বিভাগের প্রধান পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। কিন্তু পরের বছরেই ১৯৪৮ সালে তিনি তৎকালীন ঢাকার আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমান বুয়েট) গণিত বিভাগে যোগদান করেন। বুয়েটে তিনি দীর্ঘ কর্মময় জীবন অতিবাহিত করেন। গণিত বিভাগের প্রধান হিসাবে ছিলেন একটানা প্রায় পনের বছর। ১৯৬২ সালে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হবার পর তিনি নিযুক্ত…
-
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৪র্থ পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৪র্থ পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন ১৯৮৫ সালে হ্যালির ধূমকেতুর পুনরাবির্ভাবের সময় যখন এগিয়ে এলো, তখন সারা দুনিয়াতেই বেশ উৎসাহের সৃষ্টি হতে লাগল। তার জোয়ার সংবাদ মাধ্যমগুলির কল্যাণে আমাদের দেশেও এসে পৌঁছলো। ধূমকেতু কি করে দেখা যায় এবং জনসাধারণকে দেখানো যায় তার উপায় খুঁজতে গিয়ে, উদ্যোক্তাগণ লক্ষ্য করলেন, দেশে ধূমকেতু সম্পর্কে সাধারণ তথ্যের অনেক বই পুস্তক আছে। তবে হ্যালির ধূমকেতু দেখতে হলে যে সমস্ত বিশেষ তথ্যের প্রয়োজন তা কোথাও নেই। যেমন হ্যালির ধূমকেতু কবে আকাশের কোন অঞ্চলে দেখা যাবে, তার উজ্জ্বলতা কেমন থাকবে, তার গতিপথ কি হবে, এসব তথ্য দেশের কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না। অতএব,…
-
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৩য় পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৩য় পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন রাজশাহী কলেজ থেকে অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার ১৯৪৮ সালে তৎকালীন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমান বুয়েট) গণিত বিভাগে যোগদান করেন। তিনি কলেজ হোস্টেলের (বর্তমানে রেজিস্ট্রারের অফিস) সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে হোস্টেলের দক্ষিণ প্রান্তের দোতলার কোয়ার্টারের বরাদ্দ পেয়ে ওখানে বসবাস করতে থাকেন। কোন এক কারণে ছাত্ররা হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তাঁর বাসায় হামলা চালায়। কর্তৃপক্ষ তাকে হোস্টেলের দায়িত্ব গ্রহণ করে পুলিশে রিপোর্ট করতে বলেন। তিনি অস্বীকার করলে তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি নিরুপায় হয়ে তাঁর মেজ ভাইয়ের ফরাশগঞ্জের বাসায় উঠলেন। এরপর তিনি আজিমপুরের একটি সরকারি…
-
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (২য় পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (২য় পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার সাতবাড়িয়া স্কুলে পড়ার সময়েই বন্ধুদের নিয়ে হাতে লেখা পত্রিকা বের করতেন। সেইখান থেকেই তিনি লেখার দিকে ঝুঁকে পড়েন। এই সময়ে ঢাকার এক ভদ্রলোক, তাঁর একখানা বইয়ের সমালোচনা আহবান করে এক বিজ্ঞাপন দেন, তখনকার কোন এক সাপ্তাহিকে। সমালোচক হতে হবে স্কুল কলেজের ছাত্র এবং সমালোচনার জন্য দেওয়া হবে তিনটি পুরস্কার। অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এই সমালোচনায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় পুরস্কার পান। অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়া অবস্থাতেই আজাদ, মোহাম্মদী প্রভৃতি কাগজে ছোটদের জন্য বিজ্ঞান সম্বন্ধে লেখালিখি শুরু করেন। তাঁর অগ্রজ, বিজ্ঞানে মুসলমানের দান-এর লেখক…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), বিজ্ঞানী, ভায়না, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাহিত্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (১ম পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (১ম পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার অগ্রপথিক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বহুপূর্ব থেকে, প্রকৃতপক্ষে ভারত বিভক্তির পর থেকেই তিনি একাকী জোতির্বিজ্ঞান চর্চা শুরু করেছিলেন। তিনি অবিভক্ত ভারতে প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়া অবস্থায়, অর্থাৎ ছাত্র অবস্থায় জোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তাঁরা ৫ ভাইবোন, ৩ ভাই আর দুই বোন। অধ্যাপক আব্দুল জব্বার ভাইদের ভেতর সবার ছোট আর ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ। তাঁর পিতার নাম ছিল মুন্সী মিয়াজান মল্লিক, মা বুলুবেগম। তাঁদের পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে, উনার মেজ ভাই জনাব মোহাম্মদ আকবর আলী লিখেছিলেন, “আমাদের বাপ মা ছিলেন খুবই গরীব। জমিজমা কিছুই ছিল…