-
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (১ম পর্ব)
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (১ম পর্ব) সৈকত আরেফিন বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ‘দেশভাগ’ প্রপঞ্চটি বাঙালির মনোজগৎকে এক অব্যাখ্যেয় জটিলতার আবর্তে নিক্ষেপ করে। যে আকাঙ্ক্ষা একটি জনগণতান্ত্রিক রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠার পথকে সুগম করে দিতে পারতো, কিন্তু বিভাগোত্তরকালে জনগণের প্রতি বিশেষ করে পূর্ব পাকিস্তান, পূর্ববঙ্গ তথা বাংলাদেশের জনগণের প্রতি পাকিস্তান রাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী ও নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ডে বাঙালির আশা ক্রমে হতাশায় রূপ নিতে থাকে। তাছাড়া সামাজিক-সাংস্কৃতিকভাবে আলাদা দুটো অঞ্চলের রাষ্ট্র হিসেবে সফল হবার সম্ভাবনা এমনিতেই কম ছিল। কেননা, যে প্রাচীন আধা সামন্ততান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামোয় পাকিস্তান রাষ্ট্র দাঁড়িয়েছিল, পূর্ববঙ্গের মুসলিম মধ্যবিত্ত কখনো তা সমর্থন করেনি। অথচ কৃষিপ্রধান বাংলাদেশ ভূখন্ড তথা দেশভাগোত্তর পূর্ব পাকিস্তান পাকিস্তানের পশ্চিম অংশের চেয়ে সমৃদ্ধ হলেও…
-
এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল-২০২৩
এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল-২০২৩ পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফল-২০২৩ সুজানগর পৌরসভা ১। সুজানগর সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মোট পরীক্ষার্থী:২৭১ , উপস্থিত: ২৬৬; পাস: ২৪২, পাসের হার: ৯০.৯৮ বাণিজ্য: পাস=১০; ফেল=১ মানবিক: পাস=১২১; ফেল=২২; জিপিএ-৫=২ বিজ্ঞান: পাস=১১১; ফেল=৬; জিপিএ-৫=৩১ ২। শহিদ দুলাল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মোট পরীক্ষার্থী:১৮৩, উপস্থিত:১৮০; পাস:১৭৮, পাসের হার:৯৮.৮৯ মানবিক: পাস=১২৫; ফেল=৪; জিপিএ-৫=৪ বিজ্ঞান: পাস=৫৩; ফেল=১; জিপিএ-৫=১৯ ৩। সুজানগর মোহাম্মাদিয়া দাখিল মাদরাসা সধারণ: পাস=২৬; জিপিএ-৫=১ ভায়না ইউনিয়ন ১। মথুরাপুর উচ্চ বিদ্যালয় মোট পরীক্ষার্থী:৭৯ , উপস্থিত:৭৮ ; পাস:৭৭ , পাসের হার:৯৮.৭২ বাণিজ্য: পাস=১২; জিপিএ-৫=২ মানবিক: পাস=৪৬; ফেল=২ বিজ্ঞান:…
-
আহম্মদপুর, কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তাঁতিবন্ধ, দুলাই, নাজিরগঞ্জ, ভায়না, মানিকহাট, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, রানিনগর, সাগরকান্দি, সাতবাড়িয়া, হাটখালি
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার পৌরসভা এবং ইউনিয়নভিত্তিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: সুজানগর পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: শহিদ আ. আউয়াল শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল মো. তোফাজ্জল হোসেন (যুদ্ধাহত ) মো. শাহজাহান আলী মন্টু (যুদ্ধাহত ) শ্রী সুনিল কুমার সাহা মো. আব্দুস ছামাদ মো. আব্দুল হাই মো. আব্দুল কাদের মো. আব্দুল হামিদ মো. সুলতান মাহমুদ মো. আবুল কালাম আজাদ মো. মসলেম উদ্দিন মো. মোজাম্মেল হক চুন্নু মৃত আকবর আলী মো. আববাস আলী আব্দুল বাতেন শ্রী পরেশ চন্দ্র সাহা লিয়াকত আলী খন্দকার আবুল কালাম মো. সেলিম বদর মৃত হাবিবুর রহমান মো. ইয়াছিন উদ্দিন মো. আ. গণি মো. মনসুর রহমান…
-
রোমান সাম্রাজ্যে কয়েক দিন (শেষ পর্ব)
রোমান সাম্রাজ্যে কয়েক দিন (শেষ পর্ব) তাহমিনা খাতুন রোমান সাম্রাজ্যের ক্ষমতাধর সম্রাটদের পতনের পর সাম্রাজ্যের ক্ষমতা চলে যায় চার্চের বা গির্জার হাতে এবং কয়েক শতাব্দী পর্যন্ত গির্জার মাধ্যমেই রোমান সাম্রাজ্য পরিচালিত হতে থাকে। রেঁনেসাসের শুরু থেকে প্রায় সব পোপই রোম শহরটিকে শৈল্পিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে পরিণত করার চেষ্টা চালিয়ে যান। রেঁনেসাস স্থপতিরা রোমকে তাঁদের স্থাপত্য কর্মের কেন্দ্রে পরিণত করেন এবং শহরটি জুড়ে শ্রেষ্ঠ সব শিল্প কর্ম তৈরি করেন। রোম ১৮৭১ সালে ইতালিয় রাজ্যের এবং ১৯৪৬ সালে স্বাধীন ইতালির রাজধানী হয়। রোমের সব প্রাচীন স্থাপনাই ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। ‘ভ্যাটিক্যান সিটি’ বা পোপের দেশ! এক দেশের অভ্যন্তরে আরেক দেশ! বিশাল…
-
রোমান সাম্রাজ্যে কয়েক দিন (৩য় পর্ব)
রোমান সাম্রাজ্যে কয়েক দিন (৩য় পর্ব) তাহমিনা খাতুন রোম পর্যায়ক্রমে রোমান রাজ্য, রোমান প্রজাতন্ত্র এবং রোমান সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল। টাইবার নদীর তীরে রোম। সাতটি পর্বত দিয়ে বেষ্টিত। প্রথম দিকে রোমান সভ্যতা গ্রীক সভ্যতার মতোই অনেকগুলো নগর রাষ্ট্রের সমষ্টি বা কনফেডারেশন ছিল, যার নাম ছিল ‘রিপাবলিকা বা প্রজাতন্ত্র’। সিনেটর বা জনপ্রতিনিধিদের পরামর্শে রোম পরিচালিত হতো। রোম প্রজাতন্ত্রের স্থায়িত্বকাল ছিল পাঁচ শত বছর আর রাজতন্ত্র স্থায়ী হয়েছিল পনের শত বছর! এই দুই হাজার বছর মানব সভ্যতার ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। এর প্রভাব এবং ফলাফল আইনী ব্যবস্থা থেকে শুরু করে অদ্যাবধি অনেক কিছুতে রয়ে গেছে। ‘রোমান জাতি’ বসবাস করার কারণে…
-
তাঁতিবন্দ জমিদার বাড়ি
তাঁতিবন্দ জমিদার বাড়ি তাঁতিবন্দ জমিদার বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের তাঁতিবন্দ গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। উক্ত জমিদার বাড়িতে এই জমিদার বংশের তৈরি করা মঠ ‘বিজয় বাবুর মঠ’ নামে জনসাধারণের কাছে বেশ পরিচিত। উপেন্দ্রনারায়ণ এই জমিদার বংশ ও জমিদার বাড়ির প্রতিষ্ঠাতা হলেও মূলত জমিদার বিজয়গোবিন্দ চৌধুরী সময় জমিদার বাড়িতে বিশাল বিশাল সুন্দর কারুকার্যখচিত একাধিক অট্টালিকা তৈরি করা হয়। এছাড়াও তিনি কয়েকটি দিঘি ও দুইটি সুউচ্চ মঠ নির্মাণ করেন। তিনি প্রভাব-প্রতিপত্তিতে পাবনা জেলার মধ্যে অন্যতম ছিলেন। ভারতবর্ষের মধ্যে সিপাহী বিদ্রোহের (১৮৫৭ খ্রি.) সময় বিজয়গোবিন্দ বৃটিশ সরকারকে সহায়তা দিয়েছিলেন বলে রাধারমণ সাহার ‘পাবনা জেলার ইতিহাস’ গ্রন্থ থেকে জানা…
-
রোমান সাম্রাজ্যে কয়েক দিন (২য় পর্ব)
রোমান সাম্রাজ্যে কয়েক দিন (২য় পর্ব) তাহমিনা খাতুন ‘পালাজ্জো ডুকেল’ (Palazzo ducale) বা ডজের প্রাসাদ মার্কস স্কোয়ারের আরেক অনবদ্য সুন্দর স্থাপত্য। এটি ভেনিসের প্রাচীনতম এবং সবচেয়ে সুন্দর প্রাসাদগুলোর একটি। গথিক স্থাপত্যের এক অনন্য নিদর্শন এই পালাজ্জো ডুকেল। পালাজ্জো ডুকেল ছিলো ডজের বাসভবন। ডজ ছিলেন ভেনিসের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের দ্বারা আজীবনের জন্য নির্বাচিত নেতা এবং ম্যাজিষ্ট্রট। ৭২৬-১৭২৭ শতাব্দী পর্যন্ত ডজ এর শাসন ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল। এই ব্যবস্থা কোন রাজতান্ত্রিক ব্যবস্থা ছিল না, ছিল রীতিমতো গণতান্ত্রিক। ডজের প্রাসাদের বাইরের দেয়াল স্বর্ণ এবং বহুমূল্য রত্ন খচিত! এই প্রাসাদের সাদা মার্বেল পাথরের থামের মাঝে রয়েছে দুটি গোলাপি রঙের থাম। এখান থেকেই ডুকেল অপরাধীদের মৃত্যুদন্ড…
-
ভালোবাসার উপহার, যেওনা অন্য কোথাও, ফিরে এসো
ভালোবাসার উপহার কে এম আশরাফুল ইসলাম ভালো লাগে তাই ভালোবেসে যাই ভাবনায় হই হারা, ঠিকানা জানাই হৃদয় আকাশে হয়ে আছো ধ্রবতারা। চির অনির্বাণ তুমিই প্রিয় প্রাণ কল্পিত আরাধ্য নীড়ে, দীপ্ত নিশান উড়ায়ে চলি এ জীবনের তীরে তীরে। এই যে আঁখি তৃষিত পাখি প্রত্যাশার পাখায় ভর, প্রণয় রাখী দিয়ে বাঁধি ভালোবাসার নব ঘর। সেই ঘরে রহিবো চিরতরে যেখানে দু’জনায়, পরম আদরে সুখের জীবনে হারাবো আপনায়। নহে ফুল কোনো ভুল সুরম্য অট্টালিকার স্বপন, তুমি অতুল প্রশান্ত চিত্তের স্পন্দিত আরাধ্য জীবন। এই মন এই জীবন মরমে থাকা যত ভালোবাসা, প্রিয়জন তুমিই আমার নিও উপহার মিটিবে তিশা। আরও পড়ুন কে এম আশরাফুল ইসলামের…
-
রোমান সাম্রাজ্যে কয়েক দিন (১ম পর্ব)
রোমান সাম্রাজ্যে কয়েক দিন (১ম পর্ব) তাহমিনা খাতুন ইতালি। নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে হাজার হাজার বছরের এক প্রাচীন সভ্যতা, যার পাতায় পাতায় জড়িয়ে আছে জুলিয়াস সিজার, ক্লিওপেট্রা, মাইকেল অ্যাঞ্জেলো, লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, ভ্যাটিক্যান সিটি, ভেনিসের গন্ডোলা, ফুটবল প্রেমী মানুষদের প্রিয় ক্লাব এ সি মিলান ইত্যাদি। সেই শতাব্দী প্রাচীন, ঐতিহাসিক ইতালি দেখতে যাওয়া হল। আমার মেয়ে সঞ্চিতার সহকর্মী জাবেদ ইতালির মিলানের কনসাল জেনারেল। জাবেদের আমন্ত্রণে জেনেভা থেকে মিলানে যাত্রা করলাম। জেনেভা থেকে বাসে চার ঘন্টার কিছু বেশি সময়ে মিলানে পৌছালাম। মিলানের বাস টার্মিনালে জাবেদের পাঠানো গাড়িতেই আমাদের ইতালি ভ্রমণ শুরু হলো। আমাদের ভ্রমণ সঙ্গী মিলান কনসুলেটের আর এক…