-
স্মৃতিতে সুজানগর
স্মৃতিতে সুজানগর ড. রেবেকা বানু আমি সুজানগরেরই সন্তান। আমার বাড়ি সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামের পদ্মা পারে, যদিও আমার জন্ম এবং বড় হওয়া ঢাকাতেই। সুজানগরকে চেনা মূলত মুক্তিযুদ্ধের সময়; আতাইকুলা, কামারহাট, আবার গাজনার বিল পার হয়ে আলোক চরে কিছুদিন থেকে আতাইকুলা হয়ে ঢাকায় ফিরে আসা। আমার স্বামী অধ্যাপক ফজলুল করিম ১০ বছরের মতো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছেন। সে সময় তিনি বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় দেশে উদ্ভাবিত লাগসই প্রযুক্তির উপর অনুষ্ঠান করতে যেতেন। সালটা ঠিক মনে নেই, সম্ভবত ১৯৯৮ বা ৯৯ হবে। অনুষ্ঠানগুলো হতো শুক্রবার আর শনিবার। স্থানীয় যেকোন স্কুল বা কলেজের মাঠে চারদিকে ছোট ছোট স্টল করা হতো;…
-
নতুন সূর্যের অপেক্ষায় (শেষ পর্ব)
নতুন সূর্যের অপেক্ষায় (শেষ পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল পর পর দু’বার মোবাইলে রিং বেজে চলেছে। কোথাও আবার কোন অঘটন ঘটলো কিনা। বাজে সময় যাচ্ছে। মোবাইল হাতে নিতেই চোখে পড়ে তার বাবার নম্বর। মনের ভেতরে কেমন যেন একটা ভয়ের ঢেউ খেলে গেল। তার মা ব্লাড প্রেশার রোগী। – বাবা, সব ঠিক আছে তো? – আমরা সবাই ভালো আছি খোকা। একটা বিপদে পড়ে এত সকালে তোকে বিরক্ত করছি। – বাবা, এমন করে বলছো কেন? কি হয়েছে খুলে বলো। – আনোয়ার কে তো চিনিস? – বারে চিনবো না, তোমার শিক্ষকতা জীবনের সেরা একজন ছাত্র। তাকে নিয়ে গর্ব করো। বল কি হয়েছে?…
-
অনন্য বাতিঘর
অনন্য বাতিঘর এ এফ এম মনিরুল ইসলাম তরুন ফেসবুকে যখনই চোখ বুলাই আমাদের সুজানগরের পোস্ট সর্বাগ্রে খুঁজে বেড়াই। উৎসাহ উদ্দীপনা জাগরণ সৃষ্টি, করেছে মন জয় লেখনিতে ফুটিয়ে তুলেছেন, শিক্ষনীয় নানা বিষয়। বুদ্ধিদীপ্ত সুশিক্ষিত এক ঝাঁক উদীয়মান লেখক-কবি লেখালেখিতে আঁকিয়ে চলেছেন এলাকার প্রতিচ্ছবি। বিমল কুন্ডু, খলিফা আশরাফ উভয়ই বীরমুক্তিযোদ্ধা কর্মজীবন বর্ণাঢ্য, ছিলেন সরকারের সাবেক কর্মকর্তা। বিমল কুন্ডু’র ঔপন্যাস-গল্প-প্রবন্ধ কিংবা কবিতা বহু বইয়ের রচয়িতা, পাঠকের বাড়ায় সচেতনতা। খলিফা আশরাফ কবি ও গল্পকার দেশব্যাপী আলোচিত, তার লেখা বই প্রিয় সবার। উভয়ই গুরুজন লেখালেখি করেন প্রতিদিন মাঝে মধ্যেই আবৃত্তি করেন ড. জয়নুল আবেদীন। এ কে আজাদ দুলাল, সেলিমুজ্জামান, জিন্নাত আরা রোজী গল্প প্রবন্ধ…
-
বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর বংশ পরিচয়
বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর বংশ পরিচয় পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুইজন বড় জমিদারের দেখা মেলে। তার মধ্যে একজন তাঁতিবন্দের চৌধুরী জমিদার এবং অপরজন দুলাইয়ের জমিদার আজিম চৌধুরী। তাঁতিবন্দ চৌধুরী জমিদাররা শুধু সুজানগর উপজেলার মধ্যে নয়, পাবনা জেলার মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন। এরা ছিলেন বারেন্দ্র শ্রোত্রীয় ব্রাহ্মণ; এদের পূর্ব উপাধি সান্যাল। এদের আদি নিবাস ছিল চাটমোহর উপজেলার বোঁথর গ্রামে। এ জমিদার বংশের পূর্বপুরুষ রাজবল্লভ চৌধুরী তার মায়ের সঙ্গে শৈশবে এসে তাঁতিবন্দের অদূরে চণ্ডীপুর গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন। পূর্বে তাঁতিবন্দে কুলিন ব্রাহ্মণ ছিল না। পরবর্তীতে উপেন্দ্রনারায়ণ ও তার বংশধরদের সময়ে কুলিন ব্রাহ্মণদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করে তাদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করলে, তারা…
-
নতুন সূর্যের অপেক্ষায় (২য় পর্ব)
নতুন সূর্যের অপেক্ষায় (২য় পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল শীতের সকালটা একটু দেরিতে শুরু হয়েছে। সামনে মাঠ ভরা কুয়াশা। কুয়াশা ভেদ করে ধোঁয়া বের হচ্ছে। হায়াত কাজীর ঘুম একটু দেরিতেই ভাঙলো। তার ধারণা চাষার বাচ্চা দুটো ভোর না হতেই আঙিনায় এসে দাঁড়িয়ে থাকবে। হাতমুখ ধুয়ে নাস্তা-কফি খেতে খেতে প্রায় সাড়ে আটটা বেজে গেলো; তখনো রহিম তার ছেলেকে নিয়ে হাজির হয়নি। প্রায় পনের মিনিট পর খবর এলো রহিম সরদার তার ছেলেকে নিয়ে এসেছে। হায়াত কাজী অঙ্ক কষেই রেখেছে, এদের সাথে একটু মিষ্টি সুরে কথা বললে কাজ হাসিল হবে। তাই বেশ খুশি খুশি মেজাজ। দাদার আমলের বৈঠকখানায় গিয়ে বসলো। রহিম এবং…