-
পাহাড়ি ললনা, অবাঞ্চিত কবিতা
পাহাড়ি ললনা কে এম আশরাফুল ইসলাম সবুজের মিতালি শাওড়াতলী অদূরেই পাহাড়ের মায়া, নিত্য কলকাকলি উড়ায়ে আঁচল ডেকেছিল প্রশান্তির ছায়া। মায়াময় আঁখি প্রশান্তির পাখি বিস্তার করিয়া ডানা, বাঁধিয়া রাখি পরাণে পশিয়া দিয়েছিল ঠিকানা। জীবনের আশা নিরঙ্কুশ ভরসা প্রত্যয়ের বাতিঘর, তৃষিত ভালোবাসা প্রণয় বাঁধনে কেউ হবে না তো পর! লালমাই পাহাড় আকর্ষণ দুর্নিবার ময়নামতির আঁচল, কোটবাড়ি তার হৃদয়ে ‘BARD’ ঐতিহাসিক কমল, সর্পিল পথ লালমতি কিছমত পার হয়ে সেই প্রাণ, করিয়া শপথ বেলতলী স্কুলে সতীর্থ হৃদয়ের টান, মুক্ত হিয়া ডাকিয়া প্রিয়-প্রিয়া চির রাখি বন্ধন, বিরহিয়া খোঁজে সান্ত্বনা মিলনে প্রস্ফুটিত নয়ন! সেই সাথী দানিয়া প্রীতি আপন পিত্রালয়ে রাখি, দিবস-রাতি রাখিত যতনে প্রণয়ের ময়না পাখি!…
-
কলকাকলি, ছলনার ফসল
কলকাকলি কে এম আশরাফুল ইসলাম দেখেনি ভুবন ভাষার রণাঙ্গন কালে কস্মিনে কোথাও, বাংলার কানন খুনে রাঙ্গা ভাষা শহিদানের দিকে চাও! শকুনি মামারা হায়েনার বেয়ারা কাড়িতে মায়ের ভাষা, ক্ষিপ্ত মাতোয়ারা মূর্খতার মুকুটে এলো করিতে সর্বনাশা! বীরের জাতি না মেনে বজ্জাতি ভাষার দাবিতে অটল, বীরত্বে মাতি জরুরী আইন ভাঙ্গিয়া অবাধ কোলাহল! বুলেটে ঝাঁঝরা নির্বোধ পাকেরা করিলো অকুতোভয় বীর, দেখিলো ধরা ভাষার তরে বিশ্বে কাহাদের দুর্বিনীত শির! মায়ের ভাষা পরম খাসা জন্মসূত্রে ভূমে ভূমে চিরকাল, পুরায় আশা কোল থেকে দোলনায় আজীবন উদয়াচল! সেই অধিকার অপহরণে আরবার নির্বোধ অপরিণামদর্শী, ছাড়িয়া হুঙ্কার গর্জিলে রাজপথে প্রাণ দিলো ভালোবাসি! সন্তান জননীর বীর বীরাঙ্গনা ধরণীর যাহাদের তরে দেশ,…
-
অসমাপ্ত অধ্যায়, কবিতার আকাশে তুমি
অসমাপ্ত অধ্যায় কে এম আশরাফুল ইসলাম তুমি ছিলে তাই ফুটিলে কবিতার সুষম ছন্দে, পথ ভুলে চলে গেলে ভালোবাসার দ্বিধাদ্বন্দে! দৃঢ় শপথে বাঁধিয়া হিয়াতে বিনিময় করিলে মন, দিবা-রাতে এখনো খুঁজি হারানো কাঙ্ক্ষিত রতন! চলি ভাবনায় সেই ভালোবাসায় যা কেড়ে নিয়ে সুখ, অযথা হারায় না ফেরার মান্সে দিয়ে অযাচিত দুখ। বলিতে তখন আমাদের ভুবন আসিলেও প্রলয় ঝড়, অটুট এ বন্ধন রহিবে অটুট না হবো কখনো পর! সময়ের চাকা সরল না বাঁকা অজানাই আদি অন্ত, ফাঁকিতে ফাঁকা রচিয়া অদেখা করিলে চির অশান্ত। অবগুণ্ঠন চোরাগুপ্তা নয়ন তীর্যক চাহনিতে দেখে, সর্বস্ব লুণ্ঠন করিয়া প্রত্যয় আপনাকে দূরে রাখে। অযাচিত দূর পথ বন্ধুর প্রত্যাশার বাতিঘর দোলে,…
-
ভালোবাসার উপহার, যেওনা অন্য কোথাও, ফিরে এসো
ভালোবাসার উপহার কে এম আশরাফুল ইসলাম ভালো লাগে তাই ভালোবেসে যাই ভাবনায় হই হারা, ঠিকানা জানাই হৃদয় আকাশে হয়ে আছো ধ্রবতারা। চির অনির্বাণ তুমিই প্রিয় প্রাণ কল্পিত আরাধ্য নীড়ে, দীপ্ত নিশান উড়ায়ে চলি এ জীবনের তীরে তীরে। এই যে আঁখি তৃষিত পাখি প্রত্যাশার পাখায় ভর, প্রণয় রাখী দিয়ে বাঁধি ভালোবাসার নব ঘর। সেই ঘরে রহিবো চিরতরে যেখানে দু’জনায়, পরম আদরে সুখের জীবনে হারাবো আপনায়। নহে ফুল কোনো ভুল সুরম্য অট্টালিকার স্বপন, তুমি অতুল প্রশান্ত চিত্তের স্পন্দিত আরাধ্য জীবন। এই মন এই জীবন মরমে থাকা যত ভালোবাসা, প্রিয়জন তুমিই আমার নিও উপহার মিটিবে তিশা। আরও পড়ুন কে এম আশরাফুল ইসলামের…
-
ভালোবাসার চিঠি, ভালোবাসা ডাকে ঐ, কে কাঁদে
ভালোবাসার চিঠি কে এম আশরাফুল ইসলাম জাগি নিশি জানে ঐ শশী আর মম হিয়া, নহে পড়শি ভালোবাসা নিও ওগো প্রিয়া। অর্পিত মন দেখে স্বপন যতনে আঁকি ছবি, ওগো জীবন তোমার ভাবনায় হয়ে যাই কবি। লিখে যাই ছন্দ হারাই না হারিয়ে তোমায়, আমাতে পাই অন্তরের গভীরে অতি মমতায়। ঐ আঁখি আমাকেই ডাকি অপলক বাঁধনে, হইয়া পাখি করে উতলা ঘুমে কি জাগরণে। অপরূপ সৃজন অতুল নয়ন সুকান্তি সুকেশিনী, শিল্পীত আনন লিওনার্দো পিকাসোও দেখেনি! যতই দেখি সতৃষ্ণ আঁখি সতত দেখিবারে, পিঞ্জরে পাখি করিয়া রাখিতে তাড়ার আমারে। নয়নের আড়ে যাপিত অন্তরে কুঠারে করে আঘাত, নিঃশব্দে ঝরে তাপিত অশ্রু হইয়া নায়াগ্রা প্রপাত! দোহাই সখী…
-
ভালোবাসার সুখ, ভালোবাসার রঙিন খামে, হারানোকে খুঁজি
ভালোবাসার সুখ কে এম আশরাফুল ইসলাম ভালোবাসার সুখ বেশিই দুখ; সুখ অতি অল্প সফলতায়, ভালোবাসার দুখ জীবন ব্যাপিয়া স্মৃতিময় বিফলতায়! আসে পাশে ভালোবাসে কথা কয় উজারিয়া মন, মিষ্ট হাসে কপট,অন্তরালে মরীচিকাময় আনন! হলে সফল করে গণ্ডগোল তিল পরিমাণ ভুল, ঢালে অনল হয় ভস্মীভূত যতনে ফুটানো ফুল। করে ক্রন্দন বিমর্ষ বদন ভুলের মাশুল গোনে, শান্ত সদন অশান্ত বায়ে তিক্ত হয় শোষণে। বিনিময় হলে পরিচয় বাঁধার প্রাচীর নাশে, করে জয় মন প্রাণ অশান্ত ভালোবাসে। অভিমান পেরেশান কাছেই ডাকে ফের, বিদ্যমান পরাণে পরাণ চিন্তনে পায় টের। এই মন অসুখে গমন ভাঙিলে প্রত্যয়, করে ক্রন্দন তাহারই লাগি জীবন হলে লয়। নাই সুখ পেলে…
-
অবচেতন মন, আমার সেই তুমি, নিও ভালোবাসা
অবচেতন মন কে এম আশরাফুল ইসলাম অবচেতন মন বৃন্দাবন রংধনুর রঙে হাসে, তৃষিত নয়ন খোঁজে চিরবসন্ত বারো মাসে! ভালোবাসা দীপ্ত আশা না চাহে এমন বিরল, সুপ্ত আশা খোঁজে পঙ্কে প্রস্ফুটিত শতদল। বন্ধী খাঁচায় রাখে ভাবনায় রঙিন কল্পনায়, রঙে দোলায় শিল্পীর তুলি মনকে কবিতায়! আঁকে ছবি হয় কবি উতলা বাসন্তী হাওয়া, জাগে রবি বিহগ কূজনে কল্পকে কাছে পাওয়া! রহস্যে মন সমগ্র ভুবন চারণ করিয়া চলে, ভাবে আপন ব্যাপিয়া সৃজন অতৃপ্ত হিয়াতলে! আরও পড়ুন কে এম আশরাফুল ইসলামের কবিতা- রেখে যাই এ হৃদয় আমার ভালোবাসার প্রতিদান বিরঞ্জনা রয় গোপনে সবার মনে আমার সেই তুমি বলিতে না পারি এসো অপ্সরী হারাই…
-
শিরোনামহীন, স্মৃতির পাতায়
শিরোনামহীন কে এম আশরাফুল ইসলাম (‘আমাদের সুজানগর’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ) আমি নগন্য সমবেত গন্যমান্য যোগ্যদের আগমনে, সবাই অনন্য অযোগ্য আমি এই বিকশিত কাননে। করি বিচরণ পুলকিত মম আনন উপজেলার যত ফুল, করিতে চয়ন আসিয়াছি হেথায় নামিক আশরাফুল! ভালো লাগে তাই লিখে লিখে যাই বরেণ্য বরণীয় সুধী, তোমাতেই হারাই সেখানেই পাই সবাই পরাণের দরদি! কেউ হাসে কেউ পিপাসে মূল্যায়নের তুলাদণ্ডে, কেউ ভালোবাসে নব রূপায়নের অযাচিত রিমান্ডে! এই ভাষা বিন্যাস ঘাসফুলের চাষ শিশিরে মুক্তোর দানা, এলোকেশী নিবাস তাণ্ডবে মাতাল দিয়েও হারায় ঠিকানা! খুঁজি আরবার দোলায়িত পারাবার মহাশূন্য অটবী, জোসনায় হাহাকার প্রেমাঞ্জলি মোর অলকাপুরী পৃথিবী! মরু মরীচিকা প্রত্যাশার…
-
বেদনার কূলে কূলে, তবুও ভালোবাসা অমর হোক
বেদনার কূলে কূলে কে এম আশরাফুল ইসলাম ভাটাতে রেখা বুকেতে দেখা নদীর অন্তর কাঁদে, এসেছিলে সখা পদাঙ্ক তাই লুকানো নীলিমার চাঁদে! মম হিয়াখানি প্রচ্ছদ আসমানি অগণন তারার আঁখি, মায়ার খনি নিকষ অমায় খোঁজে অভিমানী পাখি। চলেই গেলে আর নাহি এলে অবাঞ্চিত অমানিশা, রেখে গেলে বেণু বনে জোনাক জ্বলা ভালোবাসা! তারারা হাসে আঁধারে ভাসে ঐন্দ্রজালিক স্বর্ণলতায় , টানে পিপাসে তোমার প্রেম শিশিরের মুক্তো কচুপাতায়! তবু কূলে কূলে প্রত্যয়ের বেদিমূলে সাজিয়ে ফুলের ডালি, ভুলে অভুলে হই ফেরারি অর্পি তপ্ত ভক্তির নয়ঞ্জলি! যেই কূলে যাই অকস্মাৎ হারাই তর্জনে গর্জনে পরাণ, শুনে নাই নাই বিষাক্ত শেলে ক্লান্তিতে হয় পেরেশান। ভিখারিনী নয়ন নন্দিনী কেনো…
-
প্রতীক্ষায় আছি, সখী প্রেম কারে কয়
প্রতীক্ষায় আছি কে এম আশরাফুল ইসলাম প্রত্যাশার কাননে প্রতীক্ষার ভুবনে ধৈর্যের তীর্থনীড়ে, তোমারই স্মরণে পথ চেয়ে আছি রঙিন মান্সের ভিড়ে। আসবে বলে সেই চলে গেলে প্রত্যয়ী হিয়াতে আমি, নয়ন মেলে বসে আছি মায়াবী গমনের পথ চুমি। এতটুকু ব্যতয় ক্ষণিকেও নাহি হয় পরাণের সকল দ্বারে, দিয়ে পরিচয় রাখিয়াছি সেথায় প্রেম নিবন্ধনে চিরতরে! এ মন প্রাণ করে পেরেশান মহাসিন্ধুর তাণ্ডবি কল্লোলে, স্মৃতি অম্লান মননে নয়নে শ্রীবুদ্ধ হয়েছি বয়সী বটমূলে। সাধু সন্যাসি হয়ে বারোমাসী একাগ্র ধ্যানেতে সমর্পিত মন, স্মরি অহর্নিশি ছায়া কায়াতে নিমগ্নতায় প্রকম্পিত বৃন্দাবন! গোঁফ দাড়ি অযত্নে মৃত্তিকায় পড়ি বটের শাখা মূলের মত, মেহমানদারি অকৃত্রিম বন্ধনে আপনারে হারাই অবিরত। মম আঁখি…