• নিঃশব্দে-নীড়ে-ফেরা-।।-১ম-পর্ব
    উপন্যাস

    নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১ম পর্ব।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল

    নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১ম পর্ব এ কে আজাদ দুলাল  প্রবল আপত্তির মুখে শেষ পর্যন্ত বাবার কথা রাখতে হলো রাকার। এককালের জাঁদরেল সিএসপি কর্মকর্তা রাকিব আহমেদ রাকার বাবা। চলনে, কথাবারতায় ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে রের্কড নম্বর পেয়ে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকারী তিনি। কিছু দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেছিলেন। শিক্ষকতা জীবনে বৈচিত্র্য আনতে পারেননি এই তুখোড় মেধারী রাকিব আহমেদ। স্বপ্নের জাল বঙ্গোপসাগরের ধুঁ ধুঁ দৃষ্টির বাইরে। সিনিয়র বড়ো ভাইদের সরকারি চাকরিতে প্রশাসনিক ক্ষমতার কথা শুনে নিজের ভেতরে নতুন স্বপ্ন জেগে ওঠে। তার চাই উপরে ওঠা আর ক্ষমতা। বলতে গেলে এই বয়সে তাকে ক্ষমতার মোহ পেয়ে বসেছিল। সারা পাকিস্তানে সুপিরিয়র সার্ভিস প্রতিযোগিতা…

  • সুতা-ছেঁড়া-ঘুড়ি-৩য়-পর্ব
    উপন্যাস,  তাহমিনা খাতুন,  সাহিত্য

    সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৩য় পর্ব)

    সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৩য় পর্ব) তাহমিনা খাতুন চার. দুইদিন পর জয়নালকে নৌকা করেই গঞ্জে পরেশ ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল শাহাবুদ্দিন। সকাল দুপুর গড়িয়ে গেল। জয়নালকে নিয়ে শাহাবুদ্দিন ফিরলো না। উৎকণ্ঠায় ঘরে পায়চারি করছে হালিমা। বিকালের দিকে দুইজন লোক ধরে ধরে অসুস্থ জয়নালকে শাহাবুদ্দিনের বাড়ি পৌঁছে দিয়ে গেল। শাহাবুদ্দিন কোথায় জানতে চাইলে কোনো জবাব না দিয়ে লোক দুজন বেরিয়ে গেল। জয়নালকে জিজ্ঞেস করলে সেও চুপ করে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর হু হু করে কেঁদে উঠল সে। “তোমার ভাই আমার অনেক বড়ো সর্বনাশ করেছে। আমাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে গেছে। আমি সামান্য কয়েকটা টাকা ধার নিয়েছিলাম তার কাছ…

  • চকখড়ি-উপন্যাস-রিভিউ
    উপন্যাস,  বই পর্যালোচনা,  সাগতা,  সাহিত্য,  হাটখালি

    চকখড়ি উপন্যাস রিভিউ

    চকখড়ি উপন্যাস রিভিউ   ‘চকখড়ি’ উপন্যাসটি ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দে আর্ট ইউনিয়ন থেকে প্রকাশিত হয়। উপন্যাসটির পটভূমি আনন্দ বাগচীর (১৯৩২-২০১২ খ্রি.) জন্মভূমি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের সাগতা গ্রামকে কেন্দ্র করে। সাগতার পাশাপাশি ব্যক্তিজীবন অধ্যয়ন ও কর্মজীবনের জন্য কলকাতার কথা এসে গেছ। পঞ্চাশের দশকের কখনো পরিণত পরিণতি, কখনো সুখ-দুঃখের মিশ্রণ, রাজনৈতিক ভাঙা-গড়া, সব হারিয়েও নতুন কিছু পাওয়ার আস্বাদে শীতল রক্তের মানুষের বেঁচে থাকা। আনন্দ বাগচী শৈশবের সেই কলকাতা দেখেছেন এবং তা লিখেছেন ‘চকখড়ি’ উপন্যাসে। এটি তাঁর প্রথম উপন্যাস। প্রচুর ভালোবাসা আর অন্তরঙ্গ জীবনের কথা লিখেছেন। কলকাতাকে যেমন দেখেছেন তেমনই লিখেছেন। দরজায় দরজায় তালা ঝুলছে। মানুষজন শূন্য কলকাতা। ফাঁকা রাস্তাঘাট।অন্ধকারে ডুবে গিয়ে…

error: Content is protected !!