-
সেদিন কি আর আসবে কভু ফিরে, তোমায় ভোলা সহজ নয়
সেদিন কি আর আসবে কভু ফিরে পথিক জামান ধানসিঁড়ি আর পদ্মা নদীর তীরে আসবে কি আর মধুর অতীত ফিরে, কাটবে কি আর রাখাল দিনের বেলা, হায়রে জীবন হায়রে মধুর স্মৃতি হায়রে আমার মধুর পল্লিগীতি হায়রে আমার পুতুল পুতুল খেলা। স্মৃতিকাতর মানুষগুলো ভাই বাল্যকালের জন্য কাদেঁ তাই মনটা আমার কেঁদে ওঠে ছোট্ট শিশুর মতো, মনটা বলে এমন হয়না কেনো জন্মে মানুষ বুড়ো হয়না যেন তাহলে কি দুঃখ অত হতো? ছবির মতো দিনগুলো যায় চলে কেউ ডাকে না মানুষ বৃদ্ধ হলে সেই তো সবার বৃদ্ধকালের জ্বালা, তারুণ্য যার ছিলো সারা অঙ্গে বেড়াতো সে কত রঙে ঢঙে নাতিরা কয় আসছে বুড়ো পালা…
-
দোয়েল পাখি, নির্ঘুম রাত কাটে, সেই ছেলেটি
দোয়েল পাখি পথিক জামান দোয়েল পাখি, ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই তোমার উপস্থিতি অনুভব করি ভোরের অন্ধকারে, তুমি অদ্ভত চঞ্চলা পলে পলে এ গাছে ও গাছে- আমার বাড়ির আঙিনায় তোমার ফুরুত ফুরুত পাখনার শব্দ প্রতিদিন কানে বাজে – আমি অপলক চেয়ে থাকি তোমার ধূসর কালো চঞ্চল দুটি ডানার দিকে। প্রকৃতির কোলে তুমি অনিন্দ্য সুন্দর এক তিলক রেখা- আলকুশি গাছটায় প্রতিদিন তোমায় দেখি সকাল সন্ধ্যায়। তোমাকে ভূষিত করেছি জাতীয় পাখির বিশাল উচ্চ মর্যাদায় জাতীয় জীবনে তুমি এক নতুন অধ্যায়- তোমাকে প্রতিদিন দেখি আলকুশি গাছটায়। ভোরের আলো ফোটার আগে তোমাকে চিরদিন দেখতে চাই – আমার বাড়ির আঙিনায় চিরচেনা আলকুশি গাছটায়। আরও…
-
আমার জন্মভূমি
আমার জন্মভূমি পথিক জামান এই যে মধুর স্নিগ্ধ কোমল মুগ্ধ স্নেহের পরশ, সে যে আমার জন্মভূমি চিত্তে জাগায় হরষ। আমার প্রাণে পুলক জাগায় আমার মায়ের ছোঁয়া, লাবণ্যময় মুখখানি তার শরৎ শিশির ধোয়া। ভোরের বেলা হাজার পাখির হরেক রকম গান, খুশিতে তাই দুলে ওঠে পথিক জনের প্রাণ। কি যে মধুর ডাকাডাকি বসে গাছের ডালে, এমন মধুর মাতৃমূর্তি দেখেছে কোন কালে। কৃষক ছোটে মাঠের পানে শিশুর কোলাহল, সবুজ ঘাসে শিশির কণা রোদ্রে ঝলমল। নদীর বুকে পাল তোলা নাও চলছে অবিরত, নদীর চরে অচীন পাখি জুটছে শত শত। প্রেম পিয়াসী পথিক জনে হাঁটে নদীর পাড়ে, বিকাল বেলার অপূর্বরূপ সবার হৃদয় কাড়ে। পূবের…
-
শুধু দীর্ঘ শ্বাস ফেলি, আমার ন্যায্য দাবি
শুধু দীর্ঘ শ্বাস ফেলি পথিক জামান ঘৃণার আগুন দাউদাউ করে জ্বলে – এখনো তা জ্বলছে আমার সমস্ত অঙ্গ জুড়ে। কি ভয়ংকর বৈষম্যের বেড়াজালে আটকা পড়ে আছে জাতি, আর এ জাতির মেধাবী সন্তান। প্রতি পদে পদে মানুষ অবহেলিত, নির্যাতিত বঞ্চিত শোষিত অহরহ, রাজদণ্ডের প্রবল দৌরাত্ম্যে, শঙ্কিত খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ, সত্য ভয়ে থরথর কাঁপে- মাদকের উলঙ্গ থাবা সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে, ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে একটি গর্বিত জাতি ধুঁকে ধুঁকে মরছে তোমার আমার চোখের সম্মুখে উদাস দাঁড়িয়ে দেখি গর্বিত জাতির উত্থান পতনের বিচিত্র ইতিহাস – শুধু দীর্ঘ শ্বাস ফেলি নীরবে নিঃশব্দে। আরও পড়ুন কবি পথিক জামানের কবিতা- মাছ-বিল-পাখি-পদাবলি আমার গানের পাখি…
-
রহস্যের সন্ধান, যখন নামিবে সন্ধ্যা, মিথ্যা অহংকার
রহস্যের সন্ধান পথিক জামান তুমি অসীম শূন্যতায় মিশে আছো, সকল দৃষ্টির আড়ালে অনাদি অনন্তকাল ধরে। কি অসম্ভব ক্ষমতা তোমার! তোমার বিশাল আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র আর তারার মিছিল, চরম গরমে শীতল বাতাসের নরম ছোঁয়া, কি অদ্ভুত মুগ্ধতা আনে এ অস্থির প্রাণে। স্তম্ভবিহীন বিশাল আকাশ চাঁদ সূর্যের শৃঙ্খলিত অস্ত উদয় বিশাল বিস্ময় জাগায় এ অন্তরে, কোন ইন্দ্রজাল কাজ করে অলক্ষ্যে অগোচরে, কবে খুঁজে পাবো তোমার রহস্যের সন্ধান? তুমি প্রকাশিত, তুমি বিকশিত শতরূপে স্রষ্টার মহান মহিমায়। আরও পড়ুন কবি পথিক জামানের কবিতা- মাছ-বিল-পাখি-পদাবলি প্রেমের পরশ ভালোবাসা রঙ পাল্টায় যখন নামিবে সন্ধ্যা যখন নামিবে সন্ধ্যা ঘটাবে এ জীবনের অবসান, আমারে শোনায়ো তুমি…
-
বিবর্ণ স্বাধীনতা
বিবর্ণ স্বাধীনতা পথিক জামান আজ নিজের ঘরটিকেও নিরাপদ ভাবতে পারছিনা আগের মতো, বর্গীরাতো চলে গেছে কবে কোনকালে – তবুও কেনো আতঙ্ক জনমনে? কেনো অন্ধকার রাতগুলোকে যমের মতে ভয় পায় সাধারণ মানুষ? বর্গীদের তাড়ালাম আমাদের শান্তি, স্বাধীনতা আর স্বপ্ন কেড়ে নিয়েছিলো বলে। ওরা চলে গেলো ঠিকই, কিন্তু রঙিন স্বপ্ন আর স্বাধীনতা বিবর্ণ হয়ে ধরা দিলো বাংলায়। এমন স্বাধীনতার জন্যে তো রণাঙ্গনে যুদ্ধ করিনি সেদিন, কিন্তু কেনো এ বেহাল দশা? উত্তর তোমাকে দিতেই হবে লীলাবতী। দিন দিন এ স্বাধীন দেশটা কি খুনী সন্ত্রাসী আর চাঁদাবাজদের স্বর্গ রাজ্য হবে? না, না এমনটা হতে দিতে পারি না। ওরাতো সংখ্যায় কম, তবু কেনো ভয়…
-
আমার দুটি হৃৎপিণ্ড, সুখের সন্ধান, একদিন অবশেষে
আমার দুটি হৃৎপিণ্ড পথিক জামান জীবন সায়াহ্নে এসে কতকিছু ভাবি প্রগাঢ় অন্ধকারে একাকী বসে বসে। কী পেলাম কী পেলাম না সে হিসেব মিলাতে পারিনি আজও। ঘুম আসে না আগের মতো, রাত যত গভীর হয় আমার ভাবনাগুলো আরো গভীরে বিচরণ করে অলক্ষ্যে অগোচরে নিশাচর পাখির মতো, তারপর আবার ভোর হয় সূর্য ওঠে, আবার নতুন স্বপ্নবুনি। আমার যে দুটি হৃৎপিণ্ড দুপাশে নড়াচড়া করে একসাথে, মায়া লাগায়,আরো মায়া, ভাবি ওদের অনাগত ভবিষ্যৎ নিয়ে, কী হবে কী হবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। ওদের চির মঙ্গল কামনায় শুধু আমার প্রার্থনা যেন দেখে যেতে পারি দুটি উজ্জ্বল মুখের জ্বলজ্বলে হাসি। আরও পড়ুন কবি পথিক জামানের কবিতা-…
-
ভালোবাসা রঙ পাল্টায়, শ্রাবণে
ভালোবাসা রঙ পাল্টায় পথিক জামান এখন কী দেখছি বর্তমান হালটায়, ভালোবাসাও রঙ পাল্টায়। প্রেম -পিরীতি ভালোবাসা রবে চিরকাল, ডিজিটাল ভালোবাসা করে নাজেহাল। বেশি রঙে রঞ্জিত হলে ভালোবাসা, ফিকে হয়ে যাবে সব কাঙ্ক্ষিত আশা। পথে ঘাটে দেখি শুধু প্রেম প্রেম খেলা, প্রেম প্রেম খেলে খেলে কেটে যায় বেলা। বহুরূপী প্রেম তুমি বহুরূপ ধরে, প্রেমিককে ধোঁকা দাও সবশেষ করে। প্রেম তুমি অপরূপ রূপের ডালা, ডিজিটাল প্রেমে ভাই অত নাই জ্বালা। ডিজিটাল ছেলেমেয়ে, ডিজিটাল প্রেম, প্রেম নিয়ে খেলে তাই অদ্ভুত গেম। প্রেম তুমি বেঁচে থাকো স্বকীয়তা নিয়ে, ওরা প্রেম করে নাকো, করে শুধু ইয়ে। শুনে রাখো উত্তম পবিত্র যে প্রেম আর নয়…
-
স্বপ্ন দিয়ে ছাওয়া, আশায় বুক বাঁধি
স্বপ্ন দিয়ে ছাওয়া পথিক জামান বাংলা আমার পাখিমুখরিত ভোর হতে কালো সন্ধ্যা, রাত হলে ফোটে শিউলি বকুল শাপলা রজনী গন্ধা। ফুলে আর ফলে ভরে থাকে মাঠ ডালে ডালে নানা পাখি, এত শোভা দেখে ভরে ওঠে মন জলে ভরে দুটি আঁখি। আহা এত রূপ এত যে শোভা আর কি কোথাও আছে? লাল লাল সাজ বাসন্তী রঙ শোভা পায় গাছে গাছে। তুল তুলে ফুল আমের মুকুল মৌমাছি গায় বাগে, রাতে হাসে চাঁদ সুনীল আকাশে প্রেম প্রেম ভাব জাগে। বসন্তকালে বসন্ত দূত শিমুলের রাঙা ডালে, কুহু কুহু গেয়ে বেঁধেছে আমায় অদ্ভুত মায়া জালে। আহারে আমার রূপসী বাংলা এত রূপ সারা গায়, গাংচিল…
-
জ্বালাও তোমার অগ্নি মশাল, তুমিতো তুমি-ই, ঝড়ের পূর্বাভাস, ক্ষণিকের অতিথি
জ্বালাও তোমার অগ্নি মশাল পথিক জামান আমার দু’চোখে বিন্দু বিন্দু জল কখনো তা গড়িয়ে পড়ে নিঃশব্দে নীরবে। সর্বদা অন্তরে তীব্র দহন প্রশ্ন রাখি, এই কি স্বাধীন দেশ? কোথায় তোমার স্বকীয়তা? কোথায় তোমার জাতীয়তাবোধ? আত্মমর্যাদাবোধ ধুলোয় ভূলুণ্ঠিত আজ, সে হুঁশও হারিয়ে বসে আছি বহুকাল আগে। কী আর আছে তোমার আমার। গর্বিত জাতির এ-কি করুণ অবক্ষয়। এমন তোষণ নীতি শোষণের অশনি সংকেত ভয়ে তাই কেঁপে ওঠে বুক, আবার ঘৃণাও ক্ষোভের অগ্নি শিখা পুড়িয়ে মারে কোটি জনতা কিন্তু আমরা আজ বড় অসহায় জেগে ওঠো বীরজনতা জ্বালাও তোমার অগ্নি মশাল বিপথগামী পথযাত্রীকে টেনে আনো আলোর পথে। শোনাও তাদের অতীত ইতিহাস, শোনাও তাদের গোলাভরা…