-
শিক্ষক কবির উদ্দিন চৌধুরী
শিক্ষক কবির উদ্দিন চৌধুরী ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জানুয়ারি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার রানীনগর ইউনিয়নের বাঘুলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যকাল: কবির উদ্দিন চৌধুরীর বাল্যকাল কাটে বাঘুলপুর গ্রামে। অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটতো। ছোটবেলা থেকেই মসজিদে গিয়ে আজান দিয়ে নামাজ পড়াতেন। পাশাপাশি ছোটদের বাংলা, আরবি, ইংরেজি, গণিত শিক্ষা দিতেন। এরপর ধীরে ধীরে সবার মাঝে শিক্ষক হিসেবে পরিচিতি পান। পারিবারিক জীবন: তিনি পাঁচ ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। শিক্ষাজীবন: কবির উদ্দিন চৌধুরী প্রথমে খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন; পাশাপাশি শীতলপুর মাদ্রাসায়ও লেখাপড়া করতেন। নিয়মিত ৮ থেকে ১০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে বিদ্যালয়ে যেতেন। ১৯৫০ খৃস্টাব্দে কৃতিত্বের সাথে আর এস কে উচ্চ…
-
নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। শেষ পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। শেষ পর্ব এ কে আজাদ দুলাল রাশিদ নির্বাক। কী করবে এখন। কঠিন বাস্তবতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পঞ্চাশ বছর পর। আজ বাবা-মা বেঁচে থাকলে কী করতেন। বাবা-মায়ের অবর্তমানে মেজো ছেলে হয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হচ্ছে। আমাদের ধর্মে সন্তান ত্যাজ্য করার কোনো বিধান নেই। তাই বাবা করতে পারেননি। আবার এটাও হতে পারে যতদোষ করুক সে তো ঔরসজাত প্রথম সন্তান। কিন্তু তাদের মধ্যে সম্পর্কে ছেদ পড়ে যায়। কিন্তু তার বড়ো ছেলের প্রাপ্ত সম্পদ হতে বঞ্চিত করে যাননি। তারাই ব্যবহৃত ঘরটি রেখেছেন যদি বড়ো ছেলের কোনো ওয়ারিশ দাবি করে। বড়ো ভাইয়ের ওয়ারিশ ঠিকই এসেছে, কিন্তু সে তো এখনো…
-
নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১২শ পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১২শ পর্ব এ কে আজাদ দুলাল বাড়ির অপর ঘরটি রাকাকে দেখানোর জন্য সবাই ঘরটির সামনে এসে দাঁড়ায়। রাকাকে পাশে ডাকা আরিফা। রাকা পাশে দাঁড়ায়। সে কিছু বুঝতে পারছে না তাকে কেন পাশে ডাকা হলো। ঘরটি অন্য সর ঘর হতে একদম আলাদা এবং পুরাতন। এ ঘরটি টিনের চালে তৈরি। আলিফা ঘরের চাবি রাকার হাতে দিয়ে বলল, — তালা খুলে তুমি প্রথমে ঘরের ভেতরে ঢুকবে। তারপর আমরা সবাই। আলিফার কথা শুনে সবাই অবাক হয়ে যায়। মনিকা মনে মনে নিশ্চিত এটাই রাকার পৈতৃক ভিটা। রাকাকে এরা প্রথম দর্শনে অনুভব করতে পেরেছে; এখন বিষয়টি নিশ্চিত করতে চায়। রাকা আলিফার কথা…
-
নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১১শ পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১১শ পর্ব এ কে আজাদ দুলাল ঘড়ির কাঁটায় বারোটা বাজে। মনিকা-রাকা দুজন পুকুর পাড়ে এসে দাঁড়ায়। গোসলের জন্য শানবাঁধানো ঘাট। শ্যাওলা পড়ে ঘাটের সিঁড়িগুলো সবুজ হয়ে গেছে। সম্ভবত এখন আর কেউ এটা ব্যবহার করে না। দুপুরের সূর্যের আলোতে পানি নীল রঙের পরিণত হয়েছে। দু’জন আস্তে আস্তে শেষ সিঁড়ির কাছে এসে দাঁড়ায়। — রাকা, বলত পানির রং কী? রাকা একটু গম্ভীর মুখে বলে, — পানির কোনো রং নেই। — তাহলে এই পুকুরের পানির রং নীল দেখাচ্ছে কেন? রাকা চুপ থেকে আকাশের দিকে তাকায়। তারপর হো হো হেসে বলে, — আমাকে বোকা বানানো সহজ নয়। আকাশের নীল রঙের…
-
নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১০ম পর্ব ।। ধারাবাহিক উপন্যাস ।। এ কে আজাদ দুলাল
নিঃশব্দে নীড়ে ফেরা ।। ১০ম পর্ব এ কে আজাদ দুলাল ক্লান্ত মন ও শরীরে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুমিয়ে যায় দু’জন। মাঝ রাতে স্বপ্ন দেখে হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় রাকার। মনিকাকে ডেকে তোলে। মনিকা ভয় পেয়ে যায়। ঘুম ভাঙতেই দেখে রাকা তার বিছানায় বসে আছে। মুখখানি কেমন যেন ফ্যাকাসে দেখাচ্ছে। কাছে গিয়ে জানতে চায় খারাপ কোনো স্বপ্ন দেখেছে কি-না। রাকা কিছু সময় চুপ থেকে স্বপ্নের ঘটনা খুলে বলে। আজ রাতে সেই মহিলাকে স্বপ্নে দেখেছে। পরনে আগের মতো হালকা সবুজ জমিনে খয়েরি রঙের পাড়ের শাড়ি এবং গায়ে খয়েরি রঙের ব্লাউজ। আজকে তার আচরণ ভিন্ন। আজ রাকাকে বুকে টেনে নিয়ে জড়িয়ে ধরে। রাকা…