• নিমগ্ন-ভালোবাসার-বৃক্ষ
    কবিতা,  জহুরা ইরা,  সাহিত্য

    নিমগ্ন ভালোবাসার বৃক্ষ

    নিমগ্ন ভালোবাসার বৃক্ষ জহুরা ইরা অমর জীবনের প্রত্যাশা নয়, ভালোবেসে অমর হবো সাহারার শূন্যতা বুকে নিয়ে জোৎস্না ভেজা রাতে গা ভেজানো রোদে তীর মাড়িয়ে মাঠ পেরিয়ে ছুটেছি অনেক। শুদ্ধ ভালোবাসার দূর্ভিক্ষে ক্লান্ত হয়ে ডুবে গেছি গহীন কালোর অন্তহীন গহ্বরে। জীবনের ধূসর গোধুলি বেলায় হঠাৎ মন ভেজানো বৃষ্টি হয়ে তুমি এলে ভালোবেসে বন্দি করলে আমাকে বললে ভালোবাসা দাও অমরত্ব দেবো। যে বুকে ব্যবিলনের শূন্যোদ্যান-সেখানে জন্ম দিলে আমাজানের দ্রাবিড় অরণ্য। বিষণ্ন বুকের গভীরে জ্বালিয়ে দিলে হাজার তারার দীপাবলি এখন তুমি চলে যেতে বললেই তো আমি যাব না। আমার কাছে তোমার জন্য সঞ্চিত একটি পবিত্র ভোর উদ্দেশ্য কথা বিনিময়-বিধেয় ভাবিনি কখনো। তোমার প্রতিক্ষায়…

  • জলচোখ
    আদ্যনাথ ঘোষ,  কবিতা,  সাহিত্য

    জলচোখ, নীলজল, রক্তমুখী চাঁদ, উপপাদ্য

    জলচোখ আদ্যনাথ ঘোষ আতুর ঘরের পূর্ণিমা চাঁদ ইচ্ছের আক্ষেপে রমণীর ভ্রুণ থেকে উঠে আসা আলো শরীরের গোপনে বেড়ে ওঠা ছায়া আজ বুঝি সহজেই বিদায়ী ট্রেনের মতো হুইসেল বাজায়। ভররাত অভিসারে মুগ্ধময়ী নিয়তির কাঠগড়ায় বাসা বাঁধে শ্লেষ আলোর বিছানা পড়ে থাকে জলচোখ, তৃষ্ণার ভেতর। ঝরে কি গেছে ফাগুন পালক? অথচ অরণ্য কাঁদে সবুজের ধ্বনিময় বুকভরা ফসলের কোলে। স্মৃতিগুলো অতৃপ্ত রয়, ভেসে উঠে সেফটিফিনের ফোঁড় সূর্যের উচ্ছ্বাসে সবুজের গন্ধ জ্বলে দহনে ভরে উঠে ভরণ কলস, ঘোরের আকাশ। বাসনার অঙ্গারগুলো মেতে উঠে ধ্বংসের উৎসবে কোথাও সাজানো নেই; আলোর শিরদাড়ায় ঢুকেছে পেরেক উড়ন্ত পাখির ঠোঁটে শিঙগুলো গুঁতো মারে আঁধার রাতে। কীভাবে যে গিলে ফেলি…

  • দহন
    কবিতা,  রিঙকু অনিমিখ,  সাহিত্য

    দহন, রোমস্থন, প্রকৃত কান্নার স্মৃতি, গমন ও গন্তব্য

    দহন রিঙকু অনিমিখ অপেক্ষার পরিধি ভেঙে সে যখন মগ্ন হলো মন্ত্রে মুগ্ধতা তখন নিমেষেই ছড়ালো প্রতিবেশ মুগ্ধতাই যে নীরবতার প্রতিরূপ তার প্রচল প্রথা ভেঙে সে আরো একবার চূড়ায় দাঁড়ালো ধমনীর ভেতর যে লোহিত স্রোত তাকে বলি আগুনের নদী চোখ বেয়ে নামে যে উদ্গীরিত লাভা—লাভাস্রোত হৃদপুর থেকে আসে বিপরীতগামী পথ পথের শেষে নোনতা জ্বরের উপগ্রাম আরও পড়ুন কবি রিঙকু অনিমিখের কবিতা- দ্বিধা শোকবার্তা   রোমস্থন যে প্রেমিক তার প্রেয়সীর মুখে ছড়াতো আগুনের হল্কা, সে আর কিছু নয় ঢেউয়ের ফেনা থেকে কুড়িয়ে আনা নাবিকের দীর্ঘশ্বাস। ঢেউয়ে ঢেউয়ে হাতছানি— দূরের সমুদ্র ডাকে—আয়! যেতে যেতে ক্লান্ত অভিযান; মরীচিকা সাঁতরায় সৈকতে দাঁড়িয়ে যাকে সমুদ্রের হাহাকার…

  • প্রেম-ও-নির্জনতা
    আবু জাফর খান,  কবিতা,  সাহিত্য

    প্রেম ও নির্জনতা

    প্রেম ও নির্জনতা আবু জাফর খান   কত আর তাঁবু পালটানো যায়? চোখের ভেতর রৌদ্র পোড়ে, সুর মেলাতে পারি না ডাহুক ওড়ে যন্ত্রের মতো স্বপ্ন টলে; আমি এতকাল নির্জন খুঁজে… শমেশ্বরীর তীর ধরে হেঁটে হেঁটে না পেয়েছি ওমের জল না জোনাকির বাতিঘর। আঙুলের ভাঁজে শূন্যতার শোক আমাকেই দেখে! না বিপুল তুষার না তেতে ওঠা আগুন, কিচ্ছু নেই বারবার শরণার্থী হতে গিয়ে পুড়ে গেছে ঠোঁটের ঘ্রাণ, হারিয়েছি পাতার শরীর; হিম ডিঙিয়ে অগ্নি-আতশের দিকে দীর্ঘ সফর আসলে… জলের ভেতরে জমে ওঠা অন্ধকার ছাড়া কিছু নয়। জানালার রৌদ্রালোক ধীর হতে ধীরে… ঘন হয় যখন, আমরা বিভাজন করি বিকেল-সন্ধ্যা, কিংবা পাহাড়ের গা বেয়ে রোদ…

  • অসমাপ্ত-অধ্যায়
    কবিতা,  কে এম আশরাফুল ইসলাম,  সাহিত্য

    অসমাপ্ত অধ্যায়, কবিতার আকাশে তুমি

    অসমাপ্ত অধ্যায় কে এম আশরাফুল ইসলাম   তুমি ছিলে তাই ফুটিলে কবিতার সুষম ছন্দে, পথ ভুলে চলে গেলে ভালোবাসার দ্বিধাদ্বন্দে! দৃঢ় শপথে বাঁধিয়া হিয়াতে বিনিময় করিলে মন, দিবা-রাতে এখনো খুঁজি হারানো কাঙ্ক্ষিত রতন! চলি ভাবনায় সেই ভালোবাসায় যা কেড়ে নিয়ে সুখ, অযথা হারায় না ফেরার মান্সে দিয়ে অযাচিত দুখ। বলিতে তখন আমাদের ভুবন আসিলেও প্রলয় ঝড়, অটুট এ বন্ধন রহিবে অটুট না হবো কখনো পর! সময়ের চাকা সরল না বাঁকা অজানাই আদি অন্ত, ফাঁকিতে ফাঁকা রচিয়া অদেখা করিলে চির অশান্ত। অবগুণ্ঠন চোরাগুপ্তা নয়ন তীর্যক চাহনিতে দেখে, সর্বস্ব লুণ্ঠন করিয়া প্রত্যয় আপনাকে দূরে রাখে। অযাচিত দূর পথ বন্ধুর প্রত্যাশার বাতিঘর দোলে,…

  • প্রিয়তমার-লাল-চোখ-শেষ-পর্ব
    কবিতা,  মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান

    প্রিয়তমার লাল চোখ (শেষ পর্ব)

    প্রিয়তমার লাল চোখ (শেষ পর্ব) মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান   মিজান সাহেব দ্রুত হোস্টেল থেকে বের হয়ে একটা রিকশা নিয়ে হোস্টেল অরবিন্দতে গিয়ে ব্যাগ নিয়ে এলো। তারপর সিট বুঝে নিয়ে চাবিটা হাতে করে রাঁধুনি রেস্টুরেন্টের দিকে রওনা দিলো। রাঁধুনি রেস্টুরেন্টে এসে দেখে রেস্টুরেন্টটি মোটামুটি ফিল-আপ। বসার জায়গা তেমন নেই। এমন সময় হঠাৎ দেখলো এক ভদ্র মহিলা তার দুই সন্তান নিয়ে নাস্তা করছে। সামনের সিটগুলো ফাঁকা । মনে পড়ে গেল তার সন্তানদের কথা, সে গিয়ে সামনের সিটে বসে পড়লো। মিজান সাহেব দেখলো বাচ্চাগুলো কী সুন্দর করে একাই ডাল দিয়ে পরোটা খাচ্ছে। কিন্তু তার ছেলেরা একা খেতে চায় না। তাদের গালে উঠিয়ে খাওয়াতে হয়।…

  • ফেলানী
    কবিতা,  তাহমিনা খাতুন,  সাহিত্য

    ফেলানী

    ফেলানী তাহমিনা খাতুন   ফেলানী! সে এক ছোট বালিকার নাম পেটের ক্ষিধে নিয়ে কাঁদে অবিরাম। ঘরে তার আছে আরও ছোট ভাই বোন ক্ষুধায় তাদেরও বুঝি না থামে ক্রন্দন। পিতা তার জোটাতে না পারে ক্ষুধার আহার বাঁচার তরে সে যুদ্ধ তাই করে অনিবার। প্রাণান্ত পরিশ্রম সে করে দিন রাত সন্তানের মুখে তবু পারে না দিতে দুই মুঠো ভাত। ক্ষুধাতুর শিশুর কান্না সহিতে না পারে ফেলানীরে সাথে নিয়ে তাই দেশ ছাড়ে। সীমান্ত পাড়ি দিয়ে তবে, যাবে সে ভারত ভাবিল জুটিবে এবার দুটো ডালভাত। ক্ষিদের জ্বালা বড় জ্বালা না মানে দেশ কাল ক্ষুধার অন্নের লাগি বাড়ালো জঞ্জাল। ছোট্ট ফেলানীও ভাবিল বুঝি দুঃখ হবে…

  • পাপ
    কবিতা,  সাহিত্য

    পাপ, মানবতার ঢাল, গরু

    পাপ এ এফ এম মনিরুল ইসলাম তরুন   পাপের ভয় নাই বলে, পূণ্যের আগ্রহ এত কম এমন মানসিকতা না ছাড়লে, ধরবে কিন্তু যম। কিসে কখন পাপ হয়, জানবে তুমি কেমনে? পাপ বোধ অন্তরে রেখে, এগিয়ে চল সামনে। হাজারো কাজের মাঝে, লাগবে পাপের ছোঁয়া নমনীয়তায় জীবন চালাও, নাও সবার দোয়া। নবী রসূল পয়গম্বর, সবাই চলেছে অতি ভেবে যদি কখনো কিছু ভুল হয়, আল্লাহ অসন্তুষ্ট হবে। পাপীও ভাবে পাপ কাজে, হচ্ছে না কোনো ভুল যা করছি ঠিক করছি, সবই হচ্ছে নির্ভুল। এমনি ভাবে অবহেলা করে, করছি সবাই পাপ এখনো সময় আছে, শুধরে পথে আসো বাপ। হালাল রুজি ন্যায়ে চলো, করো আল্লাহর বন্দেগী…

  • জয়-বাংলা-জয়
    মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান,  সাহিত্য

    জয় বাংলা জয়, বঙ্গমাতা

    জয় বাংলা জয় মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান   পিতা তোমায় ভালো লাগে দেখতে মুজিব কোটে। কি চমৎকার দেখায় তোমার রাখলে পাইপ ঠোঁটে! কালো ফ্রেমের চশমা তোমায় মানায় ভালো বেশ পাজামা আর পান্জাবিতে-ই এলো বাংলাদেশ। তোমার চুলের উল্টো ভাজে জানায় ‘ডোন্ট কেয়ার।’ শত্রু তোরা অনেক করেছিস এবার বাংলা ছাড়। তোমার কথা ভালো লাগে ‘মুক্তির সংগ্রাম’ আগুল তুলে দেখিয়ে দিলে স্বাধীনতা তার নাম। আকাশ ছোঁয়া তর্জনীতে শত্রু পেল ভয়। বিশ্ববাসি দেখলো বসে বাংলা স্বাধীন হয়। বীর বাঙালি আওয়াজ দিলো শেখ মুজিবের জয় বাংলাদেশ স্বাধীন হলো জয় বাংলার জয়। আরও পড়ুন মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামানের কবিতা- রক্তে স্বাধীনতার নেশা উইপোকাদের ঘরবসতি   বঙ্গমাতা ঠিকানা আমার বঙ্গবন্ধু জয়…

  • কবিতা,  সাহিত্য

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব

    বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব এ এফ এম মনিরুল ইসলাম তরুন   ১৯২০ ১৭ই মার্চ রাত ৮টায় জন্ম ফরিদপুর গোপালগঞ্জ টুঙ্গিপাড়া, শেখ পরিবার আলোকিত বাবা-মা সবাই খুশিতে আত্মহারা। ১৯৪৭ ধর্মীয় ভিত্তিতে ভারত বিভাগ কায়দে আজম জিন্না জাতির পিতা, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শেখ মুজিবের গুরু আদর্শিক নেতা। ১৯৬৬ শেখ মুজিব আন্দোলন সংগ্রামের একমাত্র অধিবক্তা, পূর্ব পাকিস্তান বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনিই প্রধান প্রবক্তা। স্বাধিকা প্রতিষ্ঠার ছয় দফা আন্দোলন প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন, পাকিস্তান সরকার শুরু জনতার উপর নির্যাতন নিপীড়ন। ১৯৬৮ পশ্চিমা সরকার দায়ের করেন আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, নেতাদের ধরপাকড় অভিযান শুরু বাসায় করা হয় হামলা। ১৯৬৯ আন্দোলন সংগ্রাম গণঅভ্যুত্থানে আগরতলা মামলা প্রত্যাহার, ক্ষমতার ভিত নড়ে যায় পশ্চিমাদের…

error: Content is protected !!