-
ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম
পাবনার বরেণ্য সন্তান ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং শেয়ারবাজার বিশেষজ্ঞ। তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলামের প্রত্যক্ষ প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠিত হয় পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার যে কয়জন ব্যক্তিকে নিয়ে আমরা গর্ব করতে পারি তাদের মধ্যে তিনি নিঃসন্দেহে অন্যতম একজন। জন্ম: ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ১৯৪১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম আলহাজ মির্জা আব্দুর রশীদ। তাঁরা চার ভাই ও তিন বোন। শিক্ষা জীবন:…
-
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৩য় পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (৩য় পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন রাজশাহী কলেজ থেকে অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার ১৯৪৮ সালে তৎকালীন আহসানউল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের (বর্তমান বুয়েট) গণিত বিভাগে যোগদান করেন। তিনি কলেজ হোস্টেলের (বর্তমানে রেজিস্ট্রারের অফিস) সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট হিসাবে হোস্টেলের দক্ষিণ প্রান্তের দোতলার কোয়ার্টারের বরাদ্দ পেয়ে ওখানে বসবাস করতে থাকেন। কোন এক কারণে ছাত্ররা হোস্টেল সুপারিনটেনডেন্টের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে এবং এক পর্যায়ে তাঁর বাসায় হামলা চালায়। কর্তৃপক্ষ তাকে হোস্টেলের দায়িত্ব গ্রহণ করে পুলিশে রিপোর্ট করতে বলেন। তিনি অস্বীকার করলে তাঁকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। তিনি নিরুপায় হয়ে তাঁর মেজ ভাইয়ের ফরাশগঞ্জের বাসায় উঠলেন। এরপর তিনি আজিমপুরের একটি সরকারি…
-
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (২য় পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (২য় পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার সাতবাড়িয়া স্কুলে পড়ার সময়েই বন্ধুদের নিয়ে হাতে লেখা পত্রিকা বের করতেন। সেইখান থেকেই তিনি লেখার দিকে ঝুঁকে পড়েন। এই সময়ে ঢাকার এক ভদ্রলোক, তাঁর একখানা বইয়ের সমালোচনা আহবান করে এক বিজ্ঞাপন দেন, তখনকার কোন এক সাপ্তাহিকে। সমালোচক হতে হবে স্কুল কলেজের ছাত্র এবং সমালোচনার জন্য দেওয়া হবে তিনটি পুরস্কার। অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার এই সমালোচনায় অংশ নিয়ে দ্বিতীয় পুরস্কার পান। অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়া অবস্থাতেই আজাদ, মোহাম্মদী প্রভৃতি কাগজে ছোটদের জন্য বিজ্ঞান সম্বন্ধে লেখালিখি শুরু করেন। তাঁর অগ্রজ, বিজ্ঞানে মুসলমানের দান-এর লেখক…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তালিমনগর, মুরারীপুর, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, শ্যামসুন্দরপুর, সমাজসেবক, সাগরকান্দি, সাগরকান্দি ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সাহিত্য
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (২য় পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (২য় পর্ব) খ ম আবদুল আউয়াল ধর্ম সাধনা ও সমাজ সেবা: অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন নিজে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন যাকে বলে self made man. তিনি ছিলেন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ, সত্যনিষ্ঠ, আদর্শবাদী মানুষ। ধর্মবোধ থেকেই পিতামাতার প্রতি ছিলেন পরম ভক্ত ও কর্তব্যনিষ্ঠ। তাই পিতার ইচ্ছানুযায়ী ধর্মীয় জ্ঞানেই আধুনিক উচ্চ শিক্ষা লাভ করেছিলেন, যদিও তাঁর মেধা ও আকাঙ্ক্ষার বিষয় ছিল গণিতশাস্ত্র। শিক্ষা লাভের শুরু থেকেই তিনি আদর্শ মানব হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন হযরত মুহম্মদ (সা.) কে। তাই সচেতনভাবে তরুণ বয়স থেকেই মহানবীর মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বনবীকে গভীর ভালোবেসে অনুসরণ করে আমরণ জীবন যাপন করে গিয়েছেন। তিনি একাধারে যেমন ছিলেন পরম…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), বিজ্ঞানী, ভায়না, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাহিত্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (১ম পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (১ম পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার অগ্রপথিক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বহুপূর্ব থেকে, প্রকৃতপক্ষে ভারত বিভক্তির পর থেকেই তিনি একাকী জোতির্বিজ্ঞান চর্চা শুরু করেছিলেন। তিনি অবিভক্ত ভারতে প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়া অবস্থায়, অর্থাৎ ছাত্র অবস্থায় জোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তাঁরা ৫ ভাইবোন, ৩ ভাই আর দুই বোন। অধ্যাপক আব্দুল জব্বার ভাইদের ভেতর সবার ছোট আর ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ। তাঁর পিতার নাম ছিল মুন্সী মিয়াজান মল্লিক, মা বুলুবেগম। তাঁদের পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে, উনার মেজ ভাই জনাব মোহাম্মদ আকবর আলী লিখেছিলেন, “আমাদের বাপ মা ছিলেন খুবই গরীব। জমিজমা কিছুই ছিল…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তালিমনগর, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, শ্যামসুন্দরপুর, সমাজসেবক, সাগরকান্দি, সাগরকান্দি ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সাহিত্য
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (১ম পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (১ম পর্ব) খ ম আবদুল আউয়াল ঊনিশ শতকের শেষে কেউ কেউ নিজেকে গড়ে তুলে সমাজকে এগিয়ে নেয়ার অগ্রগামী ভূমিকা পালন করেছিলেন। মুহাম্মদ খোয়াজউদ্দিন তাঁদেরই একজন। বিশ শতকের শুরুতে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় ও উগ্র জাতীয়তাবাদের বিকাশে ইউরোপে যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠে। এই যুদ্ধ প্রথম মহাযুদ্ধ বা বিশ্বযুদ্ধ নামে ইতিহাসে খ্যাত । প্রথম মহাযুদ্ধের সময়ে মুহম্মদ খোয়জউদ্দিন (১৯১১-১৯৮৫ খ্রি.) ছিলেন শিশু। আকাশে তখন দু’একটি নব আবিষ্কৃত যুদ্ধের উড়োজাহাজ দেখা দিলে মানুষ বিষ্ময়ে হতবাক হয়ে ভাবতো মানুষ উড়তে শিখেছে। এটি তাঁর শৈশবের যুদ্ধ স্মৃতি। তিনি তখন স্থানীয় মক্তবে পড়াশুনা করেন। এ মক্তবটি এলাকায় শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেয়, তাই এর নামকরণ…
-
মোহাম্মদ আবিদ আলী (২য় পর্ব)
মোহাম্মদ আবিদ আলী (২য় পর্ব) মোহাম্মদ আবিদ আলীর ‘হাদীসের গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছিলেন সুজানগর উপজেলার আরেক কৃতি সন্তান লোকসাহিত্য বিশারদ মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে লিখিত ভূমিকাটি- “ইসলাম ধর্ম সভ্য সমাজে সুপরিচিত। ইসলাম ধর্মের পয়গম্বর হজরত মুহম্মদ (সা.)। আরব দেশে সর্বপ্রথম এই শ্রেষ্ঠ পয়গম্বরের বাণী প্রচারিত হয়েছিল। আরবেরা তখন অসভ্য এবং সভ্য জগত হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে নানা পাপাচারে লিপ্ত হয়ে জীবন যাপন করত। সেদেশে এবং সে জাতির মধ্যে হজরত মুহম্মদের অভ্যুদয় একটি পরম বিস্ময়ের ব্যাপার। আরও অধিক বিশ্বয়ের কথা এই যে তাঁর একক এবং আপ্রাণ চেষ্টার ফলে ইসলামের তৌহিদ-বাণী সমগ্র আরব দেশে পরিগৃহীত হয়েছিল; বর্বর আরবজাতি নব উন্মাদনায় দুর্বার…
-
মোহাম্মদ আবিদ আলী (১ম পর্ব)
মোহাম্মদ আবিদ আলী (১ম পর্ব) মোহাম্মদ আবিদ আলী (১৯০৪-১৯৮৭ খ্রি.) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ ও লেখক। জন্ম: মোহাম্মদ আবিদ আলী ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মুন্সি মিয়াজান মল্লিক ও মাতা বুলুজান নেছা। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মোহাম্মদ আবিদ আলী ছিলেন সবার বড়ো। মোহাম্মদ আবিদ আলী, এম. আকবর আলী ও মোহাম্মদ আবদুল জব্বার এই তিন সহোদর যেন একই বৃত্তে তিনটি ফুল। তাঁদের জন্মদায়িনী মা ‘রত্নগর্ভা’ জননীর সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। পিতা মিয়াজান মল্লিক প্রথম জীবনে মাঝি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি স্বাধীনভাবে ছো্টো ছোটো ব্যবসা শুরু করেন এবং এই ব্যবসার সীমিত…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), ভায়না, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লেখক পরিচিতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, সাহিত্য
এম. আকবর আলী
বাঙালি রেনেসাঁর অগ্রদূত এম. আকবর আলী। সুজানগর তথা পাবনার কৃতী সন্তানদের মধ্যে এম. আকবর আলী প্রথম সারির একজন। শিক্ষাবিদ, গবেষক, লেখক, চিন্তাবিদ, ইতিহাসানুরাগী, ঐতিহ্য সন্ধানী, দানশীল প্রভৃতি অভিধায় তাঁকে ভূষিত করা যায়। সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সাতবাড়িয়া কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। জন্ম: লেখক এম. আকবর আলী ১৯১১ সালের ১ মার্চ, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে জন্ম জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মুন্সি মিয়াজান মল্লিক ও মাতা বুলুজান নেছা। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে এম. আকবর আলী ছিলেন দ্বিতীয়। মোহাম্মদ আবিদ আলী, এম. আকবর আলী ও মোহাম্মদ আবদুল জব্বার এই তিন সহোদর যেন…
-
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলপার্ট মেডিকেল স্কুলের একজন অধ্যাপক। তিনি ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভস এর কার্যকরী সদস্য। এছাড়া তিনি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল-HAEFA এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ২১১ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন। একই সঙ্গে তাঁর অলাভজনক সংস্থা HAEFA (হায়েফা) তাঁর সঙ্গে শান্তি পুরস্কারে মনোনীত হয়। জন্ম: ডা. আবিদ ১৯৬১ সালের ২৭ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম লেখন। তাঁর পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সুজানগর পৌরসভায়। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। ঢাকায় বাস করেছেন বিভিন্ন উপশহরে-মালিবাগ, ইন্দিরা রোড, কলাবাগান ও শ্যামলীতে। পারিবারিক জীবন:…