-
হোড় জমিদার বাড়ি
হোড় জমিদার বাড়ি পাবনার সুজানগর উপজেলার হাটখালি ইউনিয়নের কামালপুর গ্রাম, সুপ্রাচীনকালের স্মৃতিবাহী, ঐতিহ্যের বাতিঘর। এ গ্রামের মাটি গভীরভাবে ধারণ করে আছে অতীতের গৌরব, স্মৃতি, আর বংশপরম্পরায় চলে আসা প্রতাপের গল্প। এ গ্রামের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য নিদর্শন হলো হোড় জমিদার বাড়ি—একসময়কার ক্ষমতার প্রতীক, প্রভাবশালী হোড়ে বংশের কীর্তির সাক্ষী। সময়ের আবর্তে হয়তো ধূসরিত হয়েছে সেই দিনগুলো, কিন্তু ইতিহাসের পাতায় রয়ে গেছে তাদের স্মৃতি। হোড়ে বংশের দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব, শ্রীনাথ হোড় ও অক্ষয়কুমার হোড়, ছিলেন এ জমিদার বাড়ির মূল কর্ণধার। তারা শুধুমাত্র ধনসম্পত্তির অধিকারীই ছিলেন না, ছিলেন এ জনপদের শাসক। দুলাই জমিদার আজিম চৌধুরীর অধীনস্থ থাকলেও, হোড়ে বংশের জমিদাররা ছিল তাদের নিজস্ব অঞ্চলে একচ্ছত্র…
-
অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং-এর অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন একজন শিক্ষাবিদ। জন্ম: অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেন ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দে আজকের এই দিনে (২৫শে ডিসেম্বর) পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোয়াজ্জেম হোসেনের পিতা খোন্দকার আবুল হাশেম ওরফে চুনু মিয়া (১৯১৫-২০০০ খ্রি.), যিনি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে দ্বারিয়াপুর ১০ ন. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমি দান করে স্কুল প্রতিষ্ঠায় রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় ও মহত্ত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চুনুমিয়া তিন বছর বয়সে পিতৃহারা হন, পাঁচ বছর বয়সে মমতাময়ী মাকে হারান। খুব অল্প বয়সে এতিম হয়ে তিন ভাইবোন দুঃখ কষ্ট ভাগাভাগি করে বড়ো…
-
অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এর উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ। জন্ম: অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেন ১৯৫৮ খ্রিষ্টাব্দের ২৫শে ডিসেম্বর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: অধ্যাপক ড. খোন্দকার মোকাদ্দেম হোসেনের পিতা খোন্দকার আবুল হাশেম ওরফে চুনু মিয়া (১৯১৫-২০০০ খ্রি.), যিনি ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দে দ্বারিয়াপুর ১০ ন. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৩ শতাংশ জমি দান করে স্কুল প্রতিষ্ঠায় রেখে গেছেন অবিস্মরণীয় ও মহত্ত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। চুনু মিয়া তিন বছর বয়সে পিতৃহারা হন, পাঁচ বছর বয়সে মমতাময়ী মাকে হারান। খুব অল্প বয়সে এতিম হয়ে তিন ভাইবোন দুঃখ…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, পৌরসভা, ভবানীপুর (পৌরসভা), মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে সুজানগর, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা
শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল
শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল ও সুজানগরের মুক্তিযুদ্ধ মো. মনসুর আলী ১৯৭১ সালে বাংলার আপামর জনসাধারণ দেশমাতৃকার মুক্তির লক্ষ্যে জীবন-পণ সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছিল। মুক্তিপাগল বাঙালি সেদিন নিজ জীবনের চেয়ে মাতৃভূমির স্বাধীনতাকে অধিকতর মূল্যবান ভেবে কামান-ট্যাংক-মর্টার-মেশিনগানে সুসজ্জিত পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী এবং তাদের এদেশীয় দোসরদেরকে দেশপ্রেমের অস্ত্র দিয়ে মোকাবেলা করে বাঙালির চির আরাধ্য স্বাধীনতার সূর্যকে ছিনিয়ে এনে বিশ্বের বুকে প্রথম বাঙালিদের একটি নিজস্ব স্বাধীন রাষ্ট্র ‘বাংলাদেশ’ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছিল। মুক্তির নেশায় বেসামাল ত্রিশ লক্ষ বাঙালির রক্ত-স্রোতে ভেসে স্বাধীনতার সোনালি সূর্যটি বাঙালির দুয়ারে এসেছিল। তাদেরই একজন আমাদের সুজানগর উপজেলার অকুতোভয় বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ…
-
আজকাল, কামালপুর, কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, জনপ্রতিনিধি, বিজ্ঞানী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাহিত্য, সুজানগর উপজেলা, হাটখালি
‘আমাদের সুজানগর’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠিত
পাবনার সুজানগরে ‘আমাদের সুজানগর’ সাহিত্য সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২০ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার কামালপুর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ চত্বরে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কৃষি বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে, শিক্ষক শরিফুল ইসলাম ও আফরোজা খাতুনের সঞ্চালনায় মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পাবনা ২ আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির। ‘আমাদের সুজানগর’ সংগঠন কর্তৃক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য ড. আ ফ ম মফিজুল ইসলাম; উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন এবং সংগঠনের উপদেষ্টা ও কথাসাহিত্যিক এ কে আজাদ দুলাল; উপদেষ্টা, কবি ও কথাশিল্পী মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান; উপদেষ্টা ও সাতবাড়িয়া ডিগ্রি…
-
শহিদ আব্দুস সাত্তার
ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলনে শহিদ আব্দুস সাত্তার আমিরুল ইসলাম রাঙা বাঙালি জাতির শত সহস্র বছরের রাজনৈতিক ইতিহাসে বলার মতো তিনটি ঘটনা উল্লেখ করা হয়। একটি বাহান্নর ভাষা আন্দোলন, দ্বিতীয়টি ঊনসত্তরের গণ-আন্দোলন এবং তৃতীয়টি হলো একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ। এর আগে বাঙালি জাতির ইতিহাস শুধু পরাজয় এবং পরাধীনতার। বিগত সাত দশকে বাঙালির প্রথম বিজয় হয়েছিল ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দের ভাষা আন্দোলনে। আটচল্লিশ থেকে বাহান্ন পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনে শত শত সংগ্রামী জেল-জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়ে পরিশেষে বাহান্নের একুশে ফেব্রুয়ারি সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, শফিকদের জীবন বির্সজন দিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাঙালির বাংলা ভাষা। সেই থেকে বাঙালির হৃদয়ে স্থান করে নেয়, আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি…
-
আহম্মদপুর, কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তাঁতিবন্ধ, দুলাই, নাজিরগঞ্জ, ভায়না, মানিকহাট, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, রানিনগর, সাগরকান্দি, সাতবাড়িয়া, হাটখালি
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার পৌরসভা এবং ইউনিয়নভিত্তিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: সুজানগর পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: শহিদ আ. আউয়াল শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল মো. তোফাজ্জল হোসেন (যুদ্ধাহত ) মো. শাহজাহান আলী মন্টু (যুদ্ধাহত ) শ্রী সুনিল কুমার সাহা মো. আব্দুস ছামাদ মো. আব্দুল হাই মো. আব্দুল কাদের মো. আব্দুল হামিদ মো. সুলতান মাহমুদ মো. আবুল কালাম আজাদ মো. মসলেম উদ্দিন মো. মোজাম্মেল হক চুন্নু মৃত আকবর আলী মো. আববাস আলী আব্দুল বাতেন শ্রী পরেশ চন্দ্র সাহা লিয়াকত আলী খন্দকার আবুল কালাম মো. সেলিম বদর মৃত হাবিবুর রহমান মো. ইয়াছিন উদ্দিন মো. আ. গণি মো. মনসুর রহমান…
-
বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর বংশ পরিচয়
বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর বংশ পরিচয় পাবনার সুজানগর উপজেলায় দুইজন বড় জমিদারের দেখা মেলে। তার মধ্যে একজন তাঁতিবন্দের চৌধুরী জমিদার এবং অপরজন দুলাইয়ের জমিদার আজিম চৌধুরী। তাঁতিবন্দ চৌধুরী জমিদাররা শুধু সুজানগর উপজেলার মধ্যে নয়, পাবনা জেলার মধ্যে বিখ্যাত ছিলেন। এরা ছিলেন বারেন্দ্র শ্রোত্রীয় ব্রাহ্মণ; এদের পূর্ব উপাধি সান্যাল। এদের আদি নিবাস ছিল চাটমোহর উপজেলার বোঁথর গ্রামে। এ জমিদার বংশের পূর্বপুরুষ রাজবল্লভ চৌধুরী তার মায়ের সঙ্গে শৈশবে এসে তাঁতিবন্দের অদূরে চণ্ডীপুর গ্রামে এসে বসবাস শুরু করেন। পূর্বে তাঁতিবন্দে কুলিন ব্রাহ্মণ ছিল না। পরবর্তীতে উপেন্দ্রনারায়ণ ও তার বংশধরদের সময়ে কুলিন ব্রাহ্মণদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি দান করে তাদের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করলে, তারা…
-
কালো কঙ্কাল (১ম পর্ব)
কালো কঙ্কাল (১ম পর্ব) সাইফুর রহমান তালেব মিয়াকে দেখলে যে কোনো তীক্ষ্ণ দৃষ্টিসম্পন্ন মানুষেরই চমকে ওঠার কথা। এত মানুষ নয়, যেন জীবন্ত এক কঙ্কাল। পার্থক্য বোধকরি এতটুকুই, যেখানে মানুষ সাদা কঙ্কাল দেখে অভ্যস্ত, সেখানে হয়তো তারা দেখে জাজ্বল্যমান কালো এক কঙ্কাল। মুখ বুজে কাজ করছে কামারশালায়। লিকলিকে, দির্ঘাঙ্গী ও কুচকুচে কালো হাত-পাগুলো এতটাই শীর্ণ যে, শরীরের হাড়গুলো যেন চামড়া ভেদ করে বেরিয়ে আসার জন্য সদা উন্মুখ। হাড়চর্মসার মানুষটি যখন উবু হয়ে বসে হাপরটা টানতে থাকে, তখন খানিকটা দূর থেকে সত্যি বোঝা যায় না কোনটা হাপর আর কোনটা তার পেট। জীর্ণ ও কৃষ্ণাভ লুঙ্গিটা হাঁটু ডিঙ্গিয়ে চলে যায় একেবারে উরু…
-
উপজেলার ইতিহাস, জমিদার, তাঁতিবন্দ (গ্রাম), তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, তাঁতিবন্ধ, সুজানগর উপজেলা
জমিদার বিজয় গোবিন্দ চৌধুরী
জমিদার বিজয় গোবিন্দ চৌধুরী বিজয় গোবিন্দ চৌধুরী ছিলেন ইতিহাসখ্যাত এক হিন্দু জমিদার ও প্রখ্যাত শিকারি। জন্ম: বিজয়গোবিন্দ চৌধুরী আনুমানিক ১৮২৪ সালে, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার তাঁতিবন্দ ইউনিয়নের তাঁতিবন্দ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম গুরুগোবিন্দ চৌধুরী। তৎকালীন নাটোর কালেক্টরির সেরেস্তাদার উপেন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী তাঁতিবন্দের জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা হলেও তার উত্তসূরী বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর শাসনামলেই তাঁতিবন্দসহ আশপাশের এলাকায় তাদের জমিদারিত্বের প্রভাব প্রতিপত্তি ছড়িয়ে পড়ে। জমিদারী: অত্যন্ত দক্ষ এবং প্রতিভাবান বিজয় গোবিন্দ চৌধুরী অতি অল্প সময়ে জমিদারিত্বের হাল ধরে তাঁতিবন্দসহ আশেপাশের এলাকায় হাজার হাজার বিঘা জমি ক্রয় করে তাঁর জমিদারিত্বের বিস্তৃতি এবং প্রসার ঘটান। মূলত বিজয় গোবিন্দ চৌধুরীর…