-
কৃষকের ধান, ভালো লাগে এই দেশ, স্মরণ
কৃষকের ধান মো. শরিফুল ইসলাম যত দূরে মোর দৃষ্টি মেলে দেখি যে সোনার ধান মাথার উপরে বিশাল আকাশ গাঁয়ে মানুষের তান। কাঁচা নাড়ার সুবাস ভাসে কাস্তের পোঁচে পোঁচে ধানের আগায় সোনার বাইল দক্ষিণা বাতাসে নাচে। পতিত ভূমিতে ঘাম ঝরিয়ে ফলিছে ভূমিতে সোনা কৃষক নাচে দেখিয়া আজ ধানের সোনার দানা। রোদ্রে সোনা বাইল চক চক করে কৃষকের মনে হাস এই সোনা লয়ে যত্নে রাখিয়া খাইবে বারো মাস। শরীর পোড়া গন্ধ যে আজ ধানের সুবাসে ম্লান দুঃখ যাতনা ভুলিয়া আজ কণ্ঠে মধুর গান। কাটিয়া ধান সিন্নি বিলাবে মন্দিরে দিবে প্রসাদ স্রষ্টার খুশিতে ভুলবে যাতনা মনে কৃষকের স্বাদ। সবারে অন্ন জুটিতে আজ সুখের…
-
কে এম এস শফিকুল ইসলাম
জন্ম ও পারিবারিক জীবন কে এম এস শফিকুল ইসলাম ১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ই জুলাই পাবনার বেড়া উপজেলার দয়রামপুর গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। পৈতৃক নিবাস পাবনার সুজানগর উপজেলার রানিনগর ইউনিয়নের শারীরভিটা গ্রাম। তাঁর বাবা মোসলেম উদ্দিন খান একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। শিক্ষাজীবন কে এম এস শফিকুল ইসলাম ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দে দুলাই উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে মাধ্যমিক এবং ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে রসায়নশাস্ত্রে স্নাতক সম্মানে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৯৫ খ্রিষ্টাব্দে সম্মান এবং ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবন তিনি শিক্ষাজীবনেই, ১৯৯৯ খ্রিষ্টাব্দের ২রা জুন সুজানগর…
-
পৃথিবীর স্বর্গ সুইজারল্যান্ডে (১ম পর্ব)
পৃথিবীর স্বর্গ সুইজারল্যান্ডে (১ম পর্ব) তাহমিনা খাতুন সুইজারল্যান্ড! নাম শুনলেই মনে হয় এক স্বপ্নের দেশ। কাউকে এমনও বলতে শুনেছি, আহা! এমন দেশ শুধু হয়তো ছবি দেখেই খুশি থাকতে হবে। নিজের চোখে দেখার সৌভাগ্য কি হবে কখনও! সেই স্বপ্নের দেশ, শুধু মাত্র দেখা নয়, দীর্ঘ তিনটি বছর থাকার সৌভাগ্য হলো! সুইজারল্যান্ডের নাম শুনলেই কয়েকটি জিনিসের নাম যেন সাথে সাথেই মনে চলে আসে যেমন-ঘড়ি, চকোলেট, পনির, ব্যাংক, যাতায়াত ব্যবস্থা। সুইজারল্যান্ডের সত্তর ভাগ এলাকা পর্বতবেষ্টিত। আল্পস্ পর্বতমালাসহ অসংখ্য পর্বত, হৃদ, ঘন সবুজ বন-বনানী, ইউরোপের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত, বিখ্যাত সব দর্শনীয় স্থান সমৃদ্ধ পশ্চিম ইউরোপের মধ্যভাগের একটি দেশ সুইজারল্যান্ড। এখানে তিন হাজার মিটারের বেশি উচ্চতাবিশিষ্ট…
-
প্রজ্বলিত স্মৃতি
প্রজ্বলিত স্মৃতি জাহাঙ্গীর পানু আজ এই পড়ন্ত অবেলায় কৃষ্ণচূড়ার তলায় দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করি কোথাও কী একটু অবসর ছিল না? একান্তে নিজেকে জানিবার, বুঝিবার। এইতো সেদিন – গোলাপের পাপড়ি আর শিউলি ফুলের মালা হাতে নিয়ে এসে বলেছিল- “প্রিয়তমেসু, অল্প সময়ের জীবনে আমাদের চাওয়াগুলো অফুরন্ত, নিটোল। জানি তোমাকে পাব না! কিন্তু আজ এই পড়ন্ত বিকেলে নীলাকাশকে স্বাক্ষী রেখে বলে গেলুম, তোমাকে জীবনে হারাতেও চাই না আমি রব নিরবে তোমার শয়নে, স্বপনে, তোমার হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে।” শাব্দিক কথা শেষ হয়েছিল পুস্পিতার । কিন্তু! তার প্রতিটি নিশ্বাসের হা-হুতাশের উচ্চারিত বাক্যগুলো ছিল খুবই স্পষ্ট এবং আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। তার কথার গভীরতা সেদিন বুঝিনি। কিন্ত আজ…
-
উপেক্ষিত
উপেক্ষিত শফিক নহোর আমি মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়ে ঢাকায় চলে আসি, আমার চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে। তিন মাস ‘মৌসুমী গার্মেন্টস’-এ কর্মরত ছিলাম সহকারী অপারেটর হিসাবে। অনেক মেয়ে আমার সঙ্গে সস্তা প্রেমের আবদার করত, আমি এসব বুঝি না বলে এড়িয়ে যেতাম। কেউ-কেউ আমাকে একটু ভিন্ন নজরে দেখত। অনেক-ই সন্দেহ করত আমি তৃতীয় লিঙ্গের কেউ কি না, আমি প্রচণ্ড লজ্জা পেতাম। পরের মাসে আমার ফলাফল প্রকাশ হলো; আমি রাজশাহী বিভাগে ১১তম। সারা বাড়িতে আনন্দের ঢেউ। আবেগ আপ্লুত হই, আনন্দে চোখ ভিজে ওঠে। আমি আগামী দিনের স্বপ্নের বীজ বপন করি। কিন্তু তা থেকে যায় আমার কল্পনার ভিন্ন জগতে। তবুও স্বপ্ন দেখি। একদিন এ সমাজে মাথা…