কবিতা,  ফজলুল হক,  সাহিত্য

প্রগাঢ় বৈরিতা

প্রগাঢ় বৈরিতা

ফজলুল হক

 

নিঃশব্দসঞ্চারীর মতো চলে গেলো আর একটি পূর্ণিমা রাত
কী এমন সখ্য তোমার নিরবতার সাথে?
যেনো শীতমাখা অলস রাতের শেষ প্রহরের নিমগ্নতা;
জোছনা এসে দাঁড়ায়নি আমার অভিমানী কার্ণিশে
আমিও খুঁজিনি ফেরারি চাঁদমুখ রাতের আকাশে।
ফেরার ছাড়পত্র হাতে থমকে দাঁড়িয়ে
কিশোরী নদীর ভুল পাড়ে,
লোনা অভিশাপে ছেঁড়া পাল
দিশাহীন মাঝি-মাল্লা।
ঝরা ফুলের মতো
কিছু টুকরো খবরের বাসি গন্ধ অগোচরে বিলীন হলো কালের উঠোনে;
যুবতী নদীর মোহনার বাঁকে নোঙর ফেলেছে বণিক সওদাগর
সওদার হাতবদল চলছে হরদম।
প্রস্ফুটিত যে মুখের অবয়বে
লেখা ছিলো জীবন দর্শন
নিরবতার মলাট খুলে বুঝিয়ে দিলে
কৃত্রিমতার প্রগাঢ় প্রণয় তোমার।
এ এক ভিন্ন আকাশ তলে দাঁড়িয়ে নির্বাক একা!
কোনো কাজে মন নেই আমার
আর কোনো নতুন কবিতা নয়,
পথ হারাবার সংশয় রেখাপাত এঁকে গেছে মনের অতল গহীনে।
অপ্রকাশিত হাজারো কবিতার অযুত অভিযোগ তুমি,
থেমে গেলো পথচলা বহুদূর!

 

ঘুরে আসুন আমাদের ফেসবুক পেইজে

Facebook Comments Box

ফজলুল হক মূলত একজন কবি। তাঁর লেখায় জাগতিক জগতের প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ-ব্যথা, প্রকৃতি ও সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অসঙ্গতি স্পষ্টভাবে ফুটে ওঠে। তিনি ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দের ১লা আগস্ট পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের (বর্তমান ভাটপাড়া) বিশ্বাস পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। 

error: Content is protected !!