সুতা-ছেঁড়া-ঘুড়ি-৮ম-পর্ব
উপন্যাস,  তাহমিনা খাতুন,  সাহিত্য

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৮ম পর্ব)

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৮ম পর্ব)

তাহমিনা খাতুন

ষোলো.
শ্রাবণ মাস। বিকালের দিকে নূরপুরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া আত্রাই নদীর পাড়ে একটি বড়ো নৌকা এসে থামল। নৌকা ভর্তি চাল, ডাল, লবণ, তেলের বড়ো বড়ো বস্তা এবং আরও বিভিন্ন মনিহারি সামগ্রীতে ঠাসা। নৌকা থেকে নামল হাবিবুর রহমান; সাথে আরও চার পাঁচ জন লোক। তারা মালপত্রগুলো ধরাধরি করে নামাতে লাগল। মৃত শিহাব উদ্দিন খোন্দকারের বড়ো ছেলে হাবিবুর রহমান এখন বাইশ তেইশ বছরের পরিপূর্ণ যুবক। শিহাব উদ্দিনের বড়ো বোন আর খালা মিলে তাঁর তিন ছেলে মেয়েকে মানুষ করেছেন।
আত্রাই নদীর পাড় থেকে সামান্য দূরে নূরপুর গ্রামে প্রবেশের হালট ঘেঁষে হাবিবুর রহমানের মনিহারি সামগ্রীর দোকান। বড়ো একটা চারচালা টিনের ঘরে দোকান। দুই তিন বছর যাবৎ হাবিব দোকানটা চালায়। হাবিবুরের বয়স যখন আঠারো, তখনই ছোটো ভাই ফজরকে নিয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরে এসেছে। বাপের রেখে যাওয়া জমি-জমা এত দিন বড়ো বোন আর খালা মিলে তত্ত্ব তালাশ করেছেন। জমি-জমার আয় রোজগার জমা করে তা দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের বিয়ে দিয়েছেন। তাদের দুই ভাইয়ের লেখাপড়া, বাবা-মায়ের ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য ব্যয় করেছেন।
আজ দুই বছর হলো হাবিবুর রহমানের স্নেহময়ী খালা জমিলা বিবি মারা গেছেন। জান্নাতুল ফেরদৌসের বিয়ে দেওয়ার কিছু দিন পর হাবিবুর বড়ো বোন লাইলি বেগমকে বলল,
“বু’জান, আমরা তো এখন বড়ো হয়েছি, আমরা এখন নিজেদের বাড়িতে ফিরে যাই। আমাদের তো নিজের পায়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে হবে।”                                                                                                                                                                                  “ঠিক আছে। আব্বা-মায়ের ভিটা তো খালিই পড়ে আছে বহুকাল ধরে। চাচা জান তো মাথার উপরে মুরব্বি আছেন। ওনার পরামর্শ মতো চলিস।”
এরপর থেকে হাবিবুর ফজরকে নিয়ে নিজেদের বাড়িতে ফিরে এসেছে এবং মাদ্রাসায় শিক্ষকতা, মসজিদের ইমামতি করার পাশাপাশি নিজেদের জমি-জমা চাষাবাদ শুরু করেছে। নিজেদের বাড়ির আশেপাশে ফলের গাছ, কাঠের গাছ লাগিয়ে সবুজে ভরে দিয়েছে। দুই তিন বছর কঠোর পরিশ্রম করে কিছু টাকা-পয়সা জমিয়ে ব্যবসা শুরু করেছে হাবিবুর।
কয়েক দিন আগে হাবিবুরের চাচা কলিমউদ্দিন হাবিবুরকে ডেকে বললেন, “শোন হাবিব, এখন তো বড়ো হয়েছ। ব্যবসা-বাণিজ্য করছ। আয় রোজগারও মন্দ না। বয়সও তো বাইশ পেরিয়ে তেইশ বছরে পড়ল। এবার তোমাকে বিয়ে করানো আমার দায়িত্ব। চাচার কথায় চুপ করে থাকল হাবিবুর।”
ফাল্গুন মাস শেষের দিকে নূরপুর গ্রামে আরও একটা বসন্ত এসেছে। আম লিচুর বাগানে গাছে গাছে বোল আসতে শুরু করেছে। মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত চারদিক। ভোর হতেই পাখির কিচিরমিচির, কোকিলের কুহুতান, চারদিকে রং-বেরঙের ফুলের মেলা মনকে মুগ্ধতায় ভরিয়ে দেয়! শীত যাই যাই করেও যাচ্ছে না।
এর মধ্যে একদিন সিদ্দিকুর রহমান তাঁর ভাই আবুল হাশেমকে নিয়ে নুরুল ইসলামের বাড়িতে এসে উপস্থিত হলেন। উদ্দেশ্য, মোমিনার সঙ্গে হাবিবুর রহমানের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলা। নুরুল ইসলাম হাবিবুরের চাচা কলিমউদ্দিনকে ডেকে আবুল হাশেমের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন এবং আবুল হাশেম হাবিবুর রহমানের সঙ্গে মোমিনার বিয়ের কথা পাকাপাকি করে বিদায় নিলেন।

সতেরো.
জৈষ্ঠ্যের বিকাল। নূরপুরের মধ্যপাড়ার আতিকুল ইসলামের বিশাল ফলের বাগানটির গাছে গাছে পাকা আম, জাম, লিচু কাঁঠাল ঝুলছে। বাগানের পশ্চিম দিকে ছোটো একটা পুকুর। পুকুরের টলটলে স্বচ্ছ পানিতে কয়েকটা লাল শাপলা ফুটে আছে। কয়েকটা পাতি হাঁস ছানা পোনা নিয়ে পুকুর পাড়ে বসে চোখ বন্ধ করে দিবা নিদ্রা উপভোগ করছে। পুকুরের পাড়ে চারদিক ঘিরে অনেকগুলো নারকেল গাছ। পুকুর পাড় থেকে একটু দূরে একটা শিউলি গাছ।
শিউলি গাছ ছাড়িয়ে একটু সামনে এগুলে নূরপুরের মধ্যপাড়ার কাজি নুরুল ইসলামের বাড়ি। সন্ধ্যার কিছু আগে আতিকুল ইসলামের একমাত্র ছেলে ফেরদৌস একটা বাঁশের কঞ্চি হাতে নিজের হাঁটার পথের সামনে পড়ে থাকা গাছের পাতা, খড়কুটো সরিয়ে আস্তে আস্তে বাড়ির দিকে ঢুকল। ঢেউ টিনের ছাউনি দেওয়া বড়ো চারচালা ঘরটার পিছনে দিকের ঢালু বারান্দাটায় একটা কাঠের পিঁড়ে রাখা। ফেরদৌসের মা জান্নাতুল ফেরদৌস আর তাঁর দুই মেয়ে রেশমা আর শান্তি মিলে ফেরদৌসকে ধরে ধরে নিয়ে পিঁড়েটাতে বসিয়ে দিল। এরপর তিন জন মিলে ফেরদৌসকে টেনে টেনে ঘরের মধ্যে নিয়ে বিছানায় বসিয়ে দিল।
আতিকুল ইসলামের পিতা নুরুল ইসলাম একমাত্র পুত্র আতিকুল ইসলামকে বিয়ে দেওয়ার দুই বছর পরেই একদিন রাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লেন। মহিষের গাড়িতে করে বহু কষ্টে তাঁকে প্রায় পঁচিশ ছাব্বিশ মাইল দূরের পাবনা শহরের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো। কি এক দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা রোগটা নির্ণয় করতে ব্যর্থ হলেন। বেশ কিছু দিন ভুগে নুরুল ইসলাম পাবনার হাসপাতালেই মারা গেলেন।
প্রায় পনের বছর হলো শিহাব উদ্দিনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের বিয়ে হয়েছে নুরুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলামের সঙ্গে। বিয়ের আট বছরের মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌসের কোল জুড়ে এসেছে তিন সন্তান। কিন্তু এক বছর বয়সে পিতা-মাতাহীন জান্নাতুল ফেরদৌসের দুঃখের জীবন বুঝি শেষ হওয়ার নয়। আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর মাত্র তেরো বছর সংসার করেছে জান্নাতুল। বিয়ের তেরো বছর পরেই স্বামীকে হারিয়ে মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে সাদা থান পরনে উঠেছে তার।
বড়ো ছেলে ফেরদৌসের বয়স প্রায় পনের বছর। ফেরদৌস দেখতে মায়ের মতোই হয়েছে। ফর্সা ধবধবে গায়ের রং, সুস্বাস্থ্য, বুদ্ধিদীপ্ত চেহারা। জন্মের পর সুস্থ সবল ছেলেটি কোনো এক অজ্ঞাত রোগে দিন দিন চলৎ-শক্তিহীন হয়ে পড়ছে। এখনও হাঁটা চলা করতে পারলেও সামান্য উঁচু জায়গায় একা ওঠা-নামা করতে পারে না। ডাক্তার, কবিরাজ অনেক দেখানো হয়েছে। ফেরদৌসের শারীরিক অবস্থার কোনো পরিবর্তন নাই। বরং বয়স বাড়ার সাথে সাথে সমস্যাটা বেড়েই চলেছে। প্রতিদিনই মা আর দুই বোন মিলে ফেরদৌসকে ধরে ধরে ঘর থেকে কষ্টে উঠানে নামিয়ে দেয়। আবহাওয়া ভালো থাকলে ফেরদৌসকে দেখা যায় নূরপুরের হালট ধরে একটা কঞ্চি হাতে সামনের খড়কুটো সরিয়ে সরিয়ে প্রায় নির্মাণাধীন পাবনা নগরবাড়ি হাইওয়ে পর্যন্ত হেঁটে যেতে আবার একইভাবে বাড়ির উঠান পর্যন্ত ফিরে আসতে!
জান্নাতুল ফেরদৌসের ছোটো মেয়েটির নাম শান্তি। শান্তির প্রতীক যেন মেয়েটি। অনিন্দ্য সুন্দর দুধে আলতায় মেশানো গায়ের রঙ তার। মেয়ের জন্মের পর আতিকুল ইসলাম আদরের মেয়ের নাম রেখেছিল শান্তি। দুধে আলতা গায়ের রঙের কারণে মধ্যপাড়ার সবাই আদর করে শান্তিকে ডাকে ‘দুদু’ বলে! মাত্র এক বছর বয়সে পিতাহীন হয়েছে শান্তি! স্নেহময়ী জননী আর বড়ো ভাই আর বোনের আদরে, ভালোবাসায় বড়ো হচ্ছে সে।
আত্রাই নদীর ওপারের গ্রাম গোপালপুর। গোপালপুরের অবস্থাসম্পন্ন গৃহস্থ জমশেদ মিয়া। জমশেদ মিয়ার মেয়ে জরিনা। শান্তি আর জরিনা দুজনে একই স্কুলে পড়ে। একদিন ক্লাস শেষ হওয়ার পর দুজন স্কুলের সামনের বিশাল খেলার মাঠটায় অন্য মেয়েদের সঙ্গে রুমাল চুরি খেলছে। এর মধ্যে সহপাঠী মেরিনা খেলায় জিততে না পেরে প্রচন্ড রেগে শান্তিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিল। একটা ইঁটের টুকরা লেগে শান্তির পায়ের গোড়ালি কেটে রক্ত পড়তে লাগল। শান্ত স্বভাবের শান্তি কোনো প্রতিবাদ না করে চুপ চাপ বসে বসে কাঁদতে লাগল। শান্তিকে কাঁদতে দেখে দৌড়ে এল জরিনা।
দৌড়ে পাশের ঝোপ থেকে তেলাকুচোর পাতা ছিঁড়ে হাতের তালুতে থেঁতো করে শান্তির পায়ের গোড়ালিতে লাগিয়ে দিল। জরিনাকে আসতে দেখেই মেরিনা দৌড়ে পালাল। কারণ মেরিনা জানে শান্তি তাকে কিছু না বললেও জরিনা তাকে ছেড়ে দিবে না। শান্তি একটু শান্ত হলে জরিনা বলল, ‘তুমি আমার সই হবে’। সেদিন থেকেই দুই জন সই। গলায় গলায় ভাব দুই সইয়ের। স্কুল ছুটির পর মাঝে মাঝেই জরিনা শান্তির সাথে ওদের বাড়িতে যায়। জান্নাতুল ফেরদৌসও জরিনাকে আদর করেন।
প্রাইমারি স্কুল পাশ করেছে শান্তি। এর মধ্যে জান্নাতুল ফেরদৌস বড়ো মেয়ে রেশমাকে বিয়ে দিয়েছেন। বড়ো বোনের বিয়ে হয়ে যাওয়ায় শান্তি একা হয়ে গেছে। জরিনা এসে শান্তির সাথে থাকলে জান্নাতুল ফেরদৌসের বেশ ভালো লাগে।
কিছু দিন আগে নূরপুর থেকে মাইল চারেক দূরের গ্রাম হুঁইখালি থেকে শান্তির একটা বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন নূরপুর প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক জব্বার সাহেব। পনের বছর বয়সে শান্তিকে বিয়ে দিয়েছে জান্নাতুল ফেরদৌস। দুর্ভাগ্য শান্তির, দুর্ভাগ্য জান্নাতুল ফেরদৌসের। বিয়ের পর থেকেই টাকা-পয়সা আর জমির দাবিতে শান্তিকে মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করেছিল শান্তির স্বামী নজরুল ইসলাম। মাঝেমধ্যে চড় থাপ্পড় দিতেও বাধতো না পাষণ্ড লোকটার! চুপ চাপ শান্তি প্রিয় শান্ত স্বভাবের শান্তি কখনও মা, ভাই বোনদের জানায়নি সে কথা। চুপচাপ সহ্য করে গেছে সব নিপীড়ন। এসবের মধ্যেই গর্ভধারণ করেছে শান্তি। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কয়েক মাস পরেই মায়ের কাছে চলে এসেছে। মানসিক পীড়ন দিন দিন অন্তঃসত্ত্বা মেয়েটিকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছিল।
আষাঢ় মাসের এক দূর্যোগপূর্ণ রাত। ঘুটঘুটে অন্ধকার। মাঝে মাঝে বিদ্যুতের চমকে একটুখানি আলোর ছটা দেখা দিয়ে আরও আঁধারে ঢেকে দিচ্ছে চারদিক; সাথে মেঘের গর্জন। কড় কড় শব্দে দূরে কোথাও বাজ পড়ল।
জনশূন্য অন্ধকার গ্রামের রাস্তায় একটা হ্যারিক্যানের আলো সম্বল করে দুই নারী ছুটে যাচ্ছে পাশের গ্রামের মান্নান ডাক্তারের বাড়ির দিকে। কাঁদতে কাঁদতে মান্নান ডাক্তারের বাড়ির দরজায় করাঘাত করতে লাগল জান্নাতুল ফেরদৌস।
“ডাক্তার ভাই, দরজাটা খোলেন। কষ্ট করে আমার বাড়িতে একটু চলেন। আমার মেয়েটাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। আমার শান্তিকে বুঝি আর বাঁচাতে পারলাম না।”
তড়িঘড়ি করে দরজা খুললেন মান্নান ডাক্তার।
“কি হয়েছে জান্নাতুল? এত রাতে তুমি এভাবে আমার বাড়িতে।”
“ডাক্তার ভাই, আমার ছোটো মেয়ে শান্তি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা। খানিকক্ষণ আগে ওর প্রসব বেদনা শুরু হয়েছে। খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েছে। নিরুপায় হয়ে বড়ো মেয়ে রেশমাকে ওর কাছে রেখে আপনার কাছে ছুটে এসেছি। আপনি দয়া করে একটু আসুন। আমার শান্তিকে বাঁচান।”
মান্নান ডাক্তার জান্নাতুলকে পেছনে ফেলে ছুটে চললেন শান্তিকে দেখতে।
বাড়িতে যখন ঢুকলেন, তখন মাতম শুরু হয়েছে। বুক চাপড়ে বিলাপ করছে রেশমা। পাশে স্থানুর মতো বসে আছে ফেরদৌস।
মান্নান ডাক্তার পরীক্ষা করলেন শান্তিকে। মাথা নাড়ালেন। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। মাত্র সতেরো বছর বয়সে আপন মানুষগুলোকে চোখের জলে ভাসিয়ে পরপারের যাত্রী হলো শান্তশিষ্ট সবার আদরের দুধে-আলতায় মেশানো দুদু।

আরও পড়ুন সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি-   
১ম পর্ব
২য় পর্ব 
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
৫ম পর্ব
৬ষ্ঠ পর্ব
৭ম পর্ব
৯ম পর্ব
১০ম পর্ব
১১তম পর্ব
শেষ পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও  ইউটিউব চ্যানেলে

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৮ম পর্ব)

Facebook Comments Box

তাহমিনা খাতুন একজন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব। তিনি ছড়া, কবিতা, গল্প, ভ্রমণকাহিনি এবং নারীর অধিকার নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। তার পেশাগত জীবনে তিনি নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করতেন। তাহমিনা খাতুন ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে এই গ্রামেই।

error: Content is protected !!