সাতচল্লিশ-থেকে-একাত্তর-শেষ-পর্ব
প্রবন্ধ,  সাহিত্য

সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (শেষ পর্ব)

সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (শেষ পর্ব)

সৈকত আরেফিন

 

কল্পনাসর্বস্ব জীবনানুভূতি নয়, বরং দেশ-কাল-জীবন-পরিবেশ ও প্রকৃতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার নিরিখেই হাসান আজিজুল হকের কথাসাহিত্যের মূল্যায়ন করতে হবে। বস্তুতপক্ষে, তাঁর মতো বহুবিচিত্র ও মাত্রিক বিষয় নিয়ে গল্প-উপন্যাস রচনার দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের সাহিত্যে খুব বেশি নেই। ১৯৬০ সালে শকুন গল্প প্রকাশের মাধ্যমে তিনি তাঁর প্রতি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। ক্রমে কথাসাহিত্যে প্রথমদিকে বিশেষত গল্পে, পরে উপন্যাসে নিজেকে অপ্রতিদ্বন্দ্বী করে তোলেন তাঁর সৃষ্টিসম্ভারে। ‘মানুষ ও প্রকৃতির দুর্জ্ঞেয় রহস্য, শিশুর সারল্য, জীবনের ব্যাখ্যাতীত চৈতন্যকে তিনি গল্পের বিষয় করেছেন। দেশভাগ, সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, দাঙ্গা, দুর্ভিক্ষকে বিষয় করে লেখা তাঁর গল্প-উপন্যাস সমগ্র বাংলা সাহিত্যের প্রেক্ষাপটে স্বতন্ত্র।’ ব্যক্তি-অভিজ্ঞতার কারণে দেশভাগ তাঁর সাহিত্যে প্রায়ই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তাঁর আত্মজা ও একটি করবী গাছ (১৯৬৭) গ্রন্থের নাম গল্পটিও শেষপর্যন্ত হিন্দু মুসলমান রাষ্ট্রনির্মাণের প্রত্যক্ষ ফলে বিপর্যস্ত পিতার অনপনেয় অক্ষমতার নিষ্কৃতিহীন যন্ত্রণার আখ্যান হয়ে ওঠে।

সমুদ্রের স্বপ্ন, শীতের অরণ্য (১৯৬৪) গ্রন্থের উত্তর বসন্তে গল্পের পরিবারটিও স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ ফেলে দেশভাগের কারণে পূর্ববঙ্গে তথা পূর্ব পাকিস্তানে দেশান্তরিত হয়। দেশভাগের মতো বিরাট ও সুদূরবিস্তারী রাজনৈতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেবল ভারতবর্ষের ভৌগোলিক কাঠামো বদলেছিল নয়, ব্যক্তিমানুষ ও পারস্পরিক বিশ্বাসের সম্পর্কসূত্রটিও বদলে গিয়েছিল। ফলত, খণ্ডিত ভারতবর্ষের দু’অংশের পরবর্তীকালের রাজনীতি ও সামাজিক বিন্যাসের সামূহিক বদল হাসান আজিজুল নিঃসন্দেহে ধরতে পেরেছিলেন বলে, স্বজীবনের অভিজ্ঞতা দিয়ে তিনি বুঝেছিলেন দেশভাগের কারণে উন্মূল মানুষের বেদনা। ফলে তাঁর হাত দিয়েই লেখা হয়েছে দেশভাগের অনবদ্য শিল্পনির্মিতি আগুনপাখি (২০০৬) উপন্যাস। তাঁর অন্য গল্পগ্রন্থ যেমন—জীবন ঘষে আগুন (১৯৭৩), নামহীন গোত্রহীন (১৯৭৫), পাতালে হাসপাতালে (১৯৮১), আমরা অপেক্ষা করছি (১৯৮৮), মা মেয়ের সংসার (১৯৯৭) ও বিধবাদের কথা ও অন্যান্য গল্প (২০০৭) প্রভৃতি; উপন্যাস—সাবিত্রী উপাখ্যান (২০১৩), শামুক (২০১৫) প্রভৃতি।

আরও পড়ুন প্রবন্ধ সমকালীন ভাবনা

ছয়ের দশকের বিশিষ্ট লেখক জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত প্রধানত গল্পকার। তাঁর গল্পের প্রেক্ষাপট জুড়ে বাংলাদেশের ভূগোল ও মানুষ। কিন্তু তাঁর শিল্পীর চোখ কিংবা হৃদয় সেই মানুষের জীবনে কোনো সুখের ছোঁয়া দেখে না। ফলত, বিয়োগান্তকতা তাঁর গল্পের কেন্দ্রে স্থান করে নেয়। জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের প্রথম গল্পের বই দুর্বিনীত কাল (১৯৬৫)-এ তিনি যতটা মনস্ততত্ত্বের বর্ণনা দেন ততটা কাহিনি নির্মাণে আগ্রহী নন। বস্তুত, প্রচলিত ধারার গল্পরচনায় নয়, বরং নিরীক্ষার মাধ্যমে গল্পভাষায় ও বিষয়ে নতুন কিছু করতেই তাঁর বেশি উৎসাহ।

গল্পের বিপুলায়তনের কাছে  জ্যোতিপ্রকাশ দত্তের উপন্যাস নিতান্ত অল্প—১৯৫৮ সালে লেখা কুয়াশা ছাড়া অন্য যে উপন্যাস তিনি লেখেন তা হলো—শূন্য নভে ভ্রমি, স্বপ্নের সীমানায় পারাপারউড়িয়ে নিয়ে যা কালোমেঘ। তাঁর গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি যেমন—বহে না সুবাতাস (১৯৬৭), সিতাংশু তোর সমস্ত কথা (১৯৬৯), দিন ফুরানোর খেলা (১৯৮৮), পুনরুদ্ধার (১৯৮৯), ফিরে যাও জ্যোৎস্নায় (১৯৯৭), প্লাবনভূমি (২০০০) ও মুক্তিযোদ্ধারা (২০০১) প্রভৃতি। মূলত অবক্ষয়িত সমাজে মানুষের জীবন আশা ও নৈরাশ্যে যেপ্রকারে স্পন্দিত হয়, যেভাবে মানুষ বাস্তব প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়, মানুষের সেই অন্তর্শায়ী অনুভূতিকে জ্যোতিপ্রকাশ দত্ত তাঁর কথাসাহিত্যে শিল্পিত করে তোলেন।

কথাশিল্পী রিজিয়া রহমানের নাম উচ্চারিত হলেই প্রথমত তাঁর দুটো উপন্যাসের কথা আসে, একটি রক্তের অক্ষর (১৯৭৭) ও দ্বিতীয়টি বং থেকে বাংলা (১৯৭৮)। দেহপসারিণীদের নিয়ে লেখা রক্তের অক্ষর উপন্যাসটি বিচিত্রা পত্রিকায় ছাপা হবার পরই রিজিয়া রহমান পাদপ্রদীপের আলোয় উদ্ভাসিত হন। নিষ্ঠা ও অধ্যবসায়ের সঙ্গে ইতিহাসজ্ঞান ও শিল্পভাবনার সমবায়ে রিজিয়া রহমান বাঙালির অস্তিত্বকে সমূলে তুলে আনেন তাঁর বং থেকে বাংলা উপন্যাসে। ইতিহাসকে শিল্পে রূপান্তর করে অসীম দক্ষতায় ধূসর ইতিহাসের ক্যানভাসে মিশিয়ে দেন কল্পনার রঙ। প্রথম গল্পগ্রন্থ অগ্নিস্বাক্ষরা (১৯৬৭) সূচিত সাহিত্যজীবনে রিজিয়া রহমান প্রচুর লিখেছেন—নির্বাচিত গল্প (১৯৭৮), চার দশকের গল্প (২০১১)  প্রভৃতি গল্পসংকলন ছাড়া উপন্যাসও লিখেছেন প্রচুর; উল্লেখযোগ্য আরও কয়েকটি উপন্যাস যেমন—ঘর ভাঙা ঘর (১৯৭৪), উত্তর পুরুষ (১৯৭৭), অরণ্যের কাছে (১৯৮০), সূর্য সবুজ রক্ত (১৯৮১), ঝড়ের মুখোমুখি (১৯৮৬) ও বান্ধবী প্রিয়দর্শিনী ও অন্যান্য (২০১২) প্রভৃতি। এসব গল্প-উপন্যাসে রিজিয়া রহমান তাঁর লেখকসত্তার প্রতি যত্নশীল—সত্যনিষ্ঠ, ন্যায়বান ও সচেতন।

আরও পড়ুন প্রবন্ধ বইমেলা ও সরদার জয়েনউদদীন

লেখক হিসেবে প্রচারবিমুখ ও ব্যক্তি হিসেবে নিভৃতচারী হলেও বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে মাহমুদুল হক সতর্ক, রুচিশীল ও নিরীক্ষাভিমুখী গুরুত্বপূর্ণ লেখক। তাঁর কথাসাহিত্যের জন্য ‘প্রত্যেকটা শব্দ তিনি গ্রহণ করেছেন বাংলার নির্বাক নিসর্গলোক থেকে, আঞ্চলিক শব্দপুঞ্জ থেকে, লোকায়ত সংস্কৃতি, বাগধারা, প্রবাদ-প্রবচন ও বিশ্ব-পরিপ্রেক্ষিত থেকে; কিন্তু তাঁর আঞ্চলিক শব্দ এলিয়ে পড়া আঞ্চলিকতাদুষ্ট নয়, নয় অনাধুনিক। বরং অত্যন্ত তীব্র, তীক্ষ্ণ, ক্ষিপ্র।’ কথাসাহিত্য সৃজনে নতুনতর চিন্তা ও জিজ্ঞাসু জীবনরসে উদ্দীপ্ত মাহমুদুল হকের উল্লেখযোগ্য উপন্যাসের মধ্যে অনুর পাঠশালা (১৯৬৭), নিরাপদ তন্দ্রা (১৯৬৮), জীবন আমার বোন (১৯৭২), কালো বরফ (১৯৭৭) প্রভৃতি এবং গল্পগ্রন্থ প্রতিদিন একটি রুমাল (১৯৯৪), মাহমুদুল হকের নির্বাচিত গল্প (১৯৯৯) ও অগ্রন্থিত গল্প (২০১০)। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের তুলনায় জীবন আমার বোন একেবারেই স্বতন্ত্র; এখানে সংলাপ, স্বগতোক্তি ও মূল চরিত্রের অনুভব-উপলব্ধি মাহমুদুল হকের স্বসৃষ্ট ভাষায় গতিশীল। উপন্যাসের মতোই গল্পের ভাষাতেও মাহমুদুল হক এমন সুসমঞ্জস সমন্বয় করতে পারেন যে, সে ভাষাতে প্রায় আকাক্সক্ষাহীন, লোভ-শোকে, দীনতায়-হীনতায় যে জীবন পর্যুদস্ত গভীর মমতায় অঙ্কিত হয়।

কথাসাহিত্যে নতুন বয়নপ্রকৌশল নির্মিতির ক্ষেত্রে—ভাষায়, বাক্য ও শব্দবিন্যাসে, শৈলী ও বিষয়গত সংবীক্ষণে আখতারুজ্জামান ইলিয়াস অনন্য। যদিও তিনি স্বল্পপ্রজ লেখক, তাঁর উপন্যাসের সংখ্যা বেশি নয়, মাত্র দুটি—চিলেকোঠার সেপাই (১৯৮৭) ও খোয়াবনামা (১৯৯৬); গল্পগ্রন্থও গুটিকয়েক—অন্য ঘরে অন্য স্বর (১৯৭৬), খোঁয়ারি (১৯৮২), দুধভাতে উৎপাত (১৯৮৫), দোজখের ওম (১৯৮৯) ও জাল স্বপ্ন, স্বপ্নের জাল (১৯৯৭)। কিন্তু অত্যল্প রচনাতেই আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তাঁর অন্তস্থ দাবাগ্নি দিয়ে বাংলা সাহিত্যে গণপ্রণোদনামূলক সাহিত্য সৃষ্টি করেন। চিলেকোঠার সেপাই-এ একদিকে তিনি ঊনসত্তরের গণআন্দোলনকে শৈল্পিক মাত্রা দেন, অন্যদিকে খোয়াবনামায় ব্রিটিশ শাসিত ভারত উপমহাদেশের দুটি বৃহৎ ধর্ম-সম্প্রদায়ের মধ্যকার বিস্তৃত পটভূমির একটি নান্দনিক ও অবিস্মরণীয় ইতিহাস রচনা করেন। ভারতবিভক্তি কিংবা হিন্দু-মুসলমানের সুদীর্ঘকালের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কীভাবে বিনষ্ট হয়ে গেল খোয়াবনামায় ইলিয়াস শিল্পের আড়ালে ইতিহাসের নির্মম সত্যকে উন্মোচন করেন।

আরও পড়ুন প্রবন্ধ কামাল লোহানীর বিপ্লবমন্ত্রের প্রথম পাঠ

চিলেকোঠার সেপাই-এর হাড্ডি খিজির এবং খোয়াবনামার তমিজের বাপ বস্তুত বিশ্ব-উপন্যাসের প্রেক্ষাপটে দুটো গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হয়ে ওঠে। ছোটগল্পের ক্ষেত্রেও তাঁর রাজনৈতিক দর্শনের দেখা মেলে। গল্পের প্রতিটি চরিত্রের মধ্য দিয়ে তিনি সমাজের অন্তর্গত রসায়নের সন্ধান করেন। মানবজীবনের নানামাত্রিক ক্রাইসিস তাঁর গল্পের পটভূমি তৈরি করে। তাই গল্পের প্রতিটি চরিত্রই অসামান্য ব্যঞ্জনায় মূর্ত হয়ে উঠে স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ করে। দেখবার এবং দেখাবার এই নির্খুঁত কৃৎকৌশলই তাঁকে সমগ্র বাংলা কথাসাহিত্যে অনন্য আসনে অধিষ্ঠিত করে।

সূর্য তুমি সাথী (১৯৬৭), আহমদ ছফার প্রথম উপন্যাস। কিন্তু বরুমতির আঁকেবাঁকে নামের একটি বইও প্রথম গ্রন্থের মর্যাদা দাবি করে। খুবই সংক্ষিপ্ত অথচ বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের বিবেচনায় খুবই গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাস ওঙ্কার (১৯৭৫)। ওঙ্কার সম্পর্কে আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের মন্তব্য—‘ওঙ্কারে ছফার কোনো চরিত্রই শুধু একটি ব্যক্তি নয়, বহু কালের বহু মানুষের বহন করার শক্তি দিয়েই তিনি তাদের সৃষ্টি করেছেন।’ ওঙ্কার মূলত একটি পরিবারেরই গল্প। কিন্তু সেই একটি পরিবার যাদুঘোরবিহ্বলতায় লক্ষ পরিবারকে যুক্ত করে ফেলে। পরিবারের গল্পের ভেতর দিয়ে একটি কালের সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতার ভাষা অনূদিত হয়। উনিশ শ উনসত্তরের গণআন্দোলন সেই অস্থিরতার মিছিলের কারক। ওঙ্কার একইসঙ্গে পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর ক্রমাগত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক শোষণে নিপীড়নে পর্যুদস্ত হয়ে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ কীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিল তারও শিল্পভাষ্য হয়ে ওঠে। মাত্র চল্লিশ পৃষ্ঠার এ উপন্যাসে আহমদ ছফা পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় দু দশকের রাজনীতিকে অবলীলায় ধারণ করেন।

আরও পড়ুন প্রবন্ধ গ্রন্থ ও গ্রন্থাগার

তাঁর অন্যান্য উপন্যাস যেমন—অলাতচক্র (১৯৯৪)-এ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকালীন পশ্চিমবঙ্গ, শরণার্থী শিবির, কলকাতার থিয়েটার রোড, হিন্দু মুসলমানের পারস্পরিক সম্পর্ক, ভারতীয় সেনাবাহিনীর বাংলাদেশে অবস্থান ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির অন্তরালের তৎপরতার অনুপুঙ্খ তুলে আনেন আহমদ ছফা;  এছাড়া একজন আলী কেনানের উত্থান-পতন (১৯৮৮), মরণবিলাস (১৯৮৯), গাভীবিত্তান্ত (১৯৯৪), পুষ্পবৃক্ষ বিহঙ্গপুরাণ (১৯৯৬) প্রভৃতি উপন্যাসে একজন শক্তিশালী ঔপন্যাসিককেই পাওয়া যায়। আহমদ ছফার নিহত নক্ষত্র (১৯৬৮) নামে একটি গল্পগ্রন্থ আছে। তবে তাঁর গল্পে চরিত্রের স্বতঃস্ফূর্ততা থাকলেও গল্পভাষায় ভাবগাম্ভীর্যে সৃজনশীলতা হারিয়ে ফেলে।

আরও পড়ুন সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর: বাংলাদেশের কথাসাহিত্য-
১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (শেষ পর্ব)

Facebook Comments Box

সৈকত আরেফিন একজন গল্পকার ও প্রাবন্ধিক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ: পাতা ও পতত্রি, মৃদু ব্যথা হতে পারে; প্রবন্ধগ্রন্থ: সমাপ্তি-শাস্তি-অতিথি, সাহিত্য পাঠ ও পর্যেষণ। তিনি ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহাম্মদপুর ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

error: Content is protected !!