দ্বিধা, অপেক্ষা, ঘ্রাণ, গন্তব্য
দ্বিধা
এতো যে দ্বিধা
কেন তবে রুমালে গেঁথেছো লাল সূর্য— নীলের নেপথ্যে
সুইয়ের ডুব-সাঁতার—নিপুণ হাতের ঢেউ
ঢেউয়ের চাতুর্য—কী এক রহস্য আঁকো অবিরত !
রুমালে রক্তের বিভ্রম। যতবার গেঁথেছো ফুটো
বুকের পাজরে নীল বিন্দু; এতো যে বেদনার ভার
নীরবে লুকিয়ে—কার দ্বিধা ভেঙে
কামিজের ভাঁজে সাজাও গোপন উত্তাপ!
আরও পড়ুন কবি রিঙকু অনিমিখের কবিতা-
প্রচ্ছন্ন কুয়াশার দিন
বটগাছ নিরবে বাড়ে
অপেক্ষা
মেঘের উৎস তবে নদী
ধরা যাক, নীলিমার চোখে জল
মেঘের শরীর থেকে উড়ে গেলো অন্ধকার এবং
হিম হিম আর্দ্রতা
নদীর আরশিতে কম্পন – ক্রমাগত
নরম ত্রিশূল… বিদ্ধ জমাট ত্রিশূলে
জল আজ জলকেলি জলের উঠোনে
ফুলে ফেঁপে একাকার জলসংসার
নদীর উৎস তবে তো মেঘও—এই প্রাকৃত সত্য জানার পর
আমার সমস্ত অধীরতা জুড়ে চাতক-তৃষ্ণা নামে
তোমার পশ্চাতে চৈত্রের নদী — ক্রমাগত প্রসারমান…
ঘ্রাণ
জলেরও গন্ধ আছে
যেমন বাতাসেরও পালক পালক পরশ
অনুভূতির যেমন আলাদা কোন নাম থাকে না
থাকে না রঙ
তেমনি নামহীন গন্ধ। জলজ গন্ধ
যেমন গাঢ় কোন সময়ে
খুব ঘন হয়ে এলে তোমার শরীরও নামহীন
অদ্ভুত গন্ধ ছড়ায়
গন্তব্য
….সুতো ছেঁড়াটা আপেক্ষিক;
বস্তুত ছেঁড়া সুতো সন্ধির নিশ্চয়তার অনুকূলে
আর আমি ক্রমাগত অপেক্ষমান … মহাশূন্যমুখী
নিরন্তর উড়াল…
এবং শেষ পর্যন্ত ঘুড়ির গন্তব্য নাটাই
শূন্যঘরে বসত
দহন
অপেক্ষার পরিধি ভেঙে সে যখন মগ্ন হলো মন্ত্রে
মুগ্ধতা তখন নিমেষেই ছড়ালো প্রতিবেশ
মুগ্ধতাই যে নীরবতার প্রতিরূপ
তার প্রচল প্রথা ভেঙে
সে আরো একবার চূড়ায় দাঁড়ালো
ধমনীর ভেতর যে লোহিত স্রোত
তাকে বলি আগুনের নদী
চোখ বেয়ে নামে যে উদ্গীরিত লাভা – লাভাস্রোত
হৃদপুর থেকে আসে
বিপরীতগামী পথ
পথের শেষে
নোনতা জ্বরের উপগ্রাম
আরও পড়ুন কবিতা-
তিতাস নদীর পাড়ে
কবি ও কবিতা
বাংলার কৃষক
স্বর্গসুখ
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে