-
কে এম আশরাফুল ইসলাম
ঘটনাবহুল জীবনের অধিকারী কে এম আশরাফুল ইসলাম একাধারে একজন কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, গল্পকার ও গীতিকার। কে এম আশরাফুল ইসলাম পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের তালিমনগর গ্রামে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরুর দেড় বছর পূর্বে দেওয়ান বংশে মঙ্গলবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা-মাতার ভাষ্যমতে, ১৯৬৮ সালের সেপ্টেম্বর/অক্টোবরে তাঁর জন্ম। শিক্ষা সনদ অনুযায়ী ১ জুন তিনি জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মরহুম আনোয়ার হোসেন, মাতা মরহুমা জরিনা বেগম। পিতা-মাতার ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি চতুর্থ এবং সর্বকনিষ্ঠ আদরের ছোট ছেলে। অন্য ভাই বোনেরা পারিবারিক টানাপড়েনের কারণে পড়া-লেখা শিখতে পারেনি। পিতার কোনো আবাদযোগ্য ছিল না। সামান্য বসতভিটায় ছোট্ট ছনের ঘরে তাদের জন্ম এবং সে ঘরেই…
-
বিমল কুণ্ডু
বিমল কুণ্ডু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। জন্ম: বিমল কুণ্ডু ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত মানিকহাট ইউনিয়নের রাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা স্বর্গীয় জগবন্ধু ও মা অনিলা কুণ্ডুর সাত সন্তানের কনিষ্ঠ সন্তান তিনি। স্ত্রী গৃহলক্ষ্মী। ব্যক্তিজীবনে দুই পুত্রের জনক। শিক্ষা জীবন: বিমল কুণ্ডু গ্রামের স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি এবং ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়…
-
রিঙকু অনিমিখ
রিঙকু অনিমিখ একজন কবি ও চারুশিল্পী হিসেবে সমধিক পরিচিত। জন্ম: রিঙকু অনিমিখ ১৯৮২ সালের ৫ এপ্রিল, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মিয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এটি তাঁর পৈতৃক বাড়ি। পারিবারিক জীবন: পিতা মৃত সৈয়দ আব্দুস সাত্তার ও মাতা সৈয়দা রওশনারা সাত্তার। পিতা ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী এবং মা গৃহিণী। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। শিক্ষাজীবন: স্কুল কলেজ পাবনাতেই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে ঢাকায়। চারুকলায় ‘ড্রয়িং এন্ড পেইন্টিংয়ে স্নাতকোত্তর। কর্মজীবন: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় চাকরির মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। বছর তিনেক আগে একটি নিউজ মিডিয়ার প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার মধ্য দিয়ে চাকরি থেকে…
-
খোন্দকার হুমায়ূন কবীর
খোন্দকার হুমায়ূন কবীর ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের কামারহাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মরহুম খোন্দকার আকবর হোসেন। মায়ের নাম মোছা: মনোয়ারা খাতুন। পড়াশোনা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। সাংবাদিকতা দিয়ে পেশাজীবন শুরু হলেও সে পেশায় বেশিদিন থাকা হয়নি। বর্তমানে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত রয়েছেন। পাশাপাশি লেখালেখি করে চলেছেন। আরও পড়ুন বাংলাদেশে বইমেলার প্রবর্তক সরদার জয়েনউদ্দীন ছোটবেলা থেকেই তিনি লেখালেখি শুরু করেন। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ম্যাগাজিনে তাঁর একাধিক রচনা ছাপা হয়েছে। ছড়া কবিতা লিখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তবে তিনি বেশকিছু ছোটগল্পও লিখেছেন। “মৌচাকে ঢিল” পত্রিকায় একসময় নিয়মিত গল্প লিখতেন। এছাড়াও দেশের…
-
আবদুল গনি হাজারী (১ম পর্ব)
আবদুল গনি হাজারী (১ম পর্ব) পঞ্চাশ দশকে বাংলা সাহিত্যের একজন প্রচার বিমুখ কবির নাম আবদুল গনি হাজারী (১৯২১-১৯৭৬ খ্রি.)। তিনি ছিলেন একাধারে একজন কবি, সাংবাদিক ও সংবাদপত্রের দক্ষ সংগঠক। বহুমুখী প্রতিভার সমন্বয় ঘটেছিল তাঁর মধ্যে। সংবাদপত্রের শিল্পোন্নয়নে তিনি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। তিনি ছিলেন একজন সমাজ সচেতন কবি। সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ইউনেস্কো পুরস্কার ও বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং সাংবাদিকতায় অবদানের জন্য মরণোত্তর একুশে পদক লাভ করেন। জন্ম: কবি ও সাংবাদিক আবদুল গনি হাজারী ১৯২১ সালের ১২ জানুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের নওয়াগ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: আবদুল গনি হাজারীর পিতা ইজ্জত উল্লাহ…
-
সুজানগর উপজেলার কবি-সাহিত্যিক ও লেখকবৃন্দ
সুজানগর উপজেলার কবি-সাহিত্যিক ও লেখকবৃন্দ পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলা শুধু ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ নয়; এটি কবি, সাহিত্যিক, লেখক এবং চিন্তাবিদদের জন্মভূমিও বটে। এই উপজেলা থেকে উঠে এসেছে বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি, যারা তাদের সাহিত্যকর্ম, সমাজসেবার মাধ্যমে দেশের সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে নিজেদের অনন্য অবদান রেখেছেন। তাঁদের লেখা ও চিন্তা-ভাবনা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি অমূল্য দৃষ্টান্ত রেখে গেছে। সুজানগর উপজেলার কবি-সাহিত্যিক এবং লেখকবৃন্দের তালিকা (নামের উপর ক্লিক করলে পরিচিতি পাওয়া যাবে): ১. মাওলানা রইচ উদ্দিনলেখক, অনলবর্ষী বক্তা, এমএলএজন্ম: ১৮৯৬ খ্রি. মৃত্যু: ১৯৬৫ খ্রি. ২. মুহম্মদ মনসুরউদ্দীনঅধ্যাপক, সম্পাদক, লোকসাহিত্যবিশারদ, কথাসাহিত্যিকজন্ম: ১৯০৪ খ্রি. মৃত্যু: ১৯৮৭ খ্রি. ৩. মোহাম্মদ আবিদ আলীশিক্ষাবিদ, লেখকজন্ম: ১৯০৪ খ্রি.মৃত্যু:…
-
ফকির শরিফুল হক
ফকির শরীফুল হক ১৯৮২ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ই নভেম্বর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত দুলাই ইউনিয়নের চরদুলাই গ্রামে নানার বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। সুজানগর উপজেলার হাটখালি ইউনিয়নের হাকিমপুর গ্রাম তাঁর পৈতৃক নিবাস। পারিবারিক জীবন: ফকির শরীফুল হক হাকিমপুর ফকির বাড়ির সন্তান। পিতা মো. হবিবুর রহমান ফকির এবং মাতা সালেহা বেগম। বাবা কৃষক আর মা গৃহিণী। চার ভাই বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়। তিনি একই উপজেলার চরদুলাই গ্রামের রিক্তা পারভীনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। শাহরিয়ার হক রিদান নামে এক ছেলে সন্তান রয়েছে তাঁদের। শিক্ষাজীবন: ফকির শরীফুল হকের পড়াশোনার হাতেখড়ি হয় হাকিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। তিনি ১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে নাজিরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগ…
-
মো. হাতেম আলী
মো. হাতেম আলী ১৯৭২ সালের ১০ মে, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত মানিকহাট ইউনিয়নের বিলক্ষেতুপাড়া গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: মো. হাতেম আলীর পিতা মৃত সেরাজ উদ্দিন এবং মাতা মৃতা হাজেরা বেগম। তিনি পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে চতুর্থ। স্ত্রীর মিসেস হোসনেয়ারা বেগম (হাসি)। তাদের সংসারে তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। প্রথম সন্তান মো. হাসানুজ্জামান (টুটুল) সিআরপি সাভার পঙ্গু হাসপাতাল থেকে ফিজিওথেরাপিতে অনার্স শেষ করে সেখানেই চিকিৎসক হিসাবে যোগদান করে। বর্তমানে পাবনা ডায়েবেটিস হসপিটালে সিআরপি শাখায় চিকিৎসক হিসাবে কর্মরত আছে। দ্বিতীয় সন্তান মো. হারুন উর রশিদ (ঝন্টু) মেকানিক্যালে বি,এস,সি ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করে চট্রগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) থেকে।…
-
শফিক নহোর
লেখক এ সময়ের খুব জনপ্রিয় একজন গল্পকার হিসাবে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন । বিভিন্ন সময় লেখকের লেখা গল্প, প্রবন্ধ, কবিতা জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হচ্ছে নিয়মিত; লিখছেন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন সৃজনশীল ওয়েবম্যাগগুলোতে । জন্ম: গল্পকার শফিক নহোর ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দের ১১ই নভেম্বর (২৭ কার্তিক ১৩৯৩ বঙ্গাব্দ) পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের অন্তর্গত নওয়াগ্রামের শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মৃত মো. আব্দুল মাজেদ আলী শেখ এবং মাতা মৃত মোছা. হামেদা খাতুন। তিনি সাত বোন ও পাঁচ ভাইয়ের ভেতর সবার ছোটো। তিনি ২০১০ খ্রিষ্টাব্দে সুমি খাতুনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাঁদের দুই কন্যা সন্তান। শেখ সাহেরা ইসলাম লামহা ও…