-
আহম্মদপুর, কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তাঁতিবন্ধ, দুলাই, নাজিরগঞ্জ, ভায়না, মানিকহাট, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, রানিনগর, সাগরকান্দি, সাতবাড়িয়া, হাটখালী
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার পৌরসভা এবং ইউনিয়নভিত্তিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: সুজানগর পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: শহিদ আ. আউয়াল শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল মো. তোফাজ্জল হোসেন (যুদ্ধাহত ) মো. শাহজাহান আলী মন্টু (যুদ্ধাহত ) শ্রী সুনিল কুমার সাহা মো. আব্দুস ছামাদ মো. আব্দুল হাই মো. আব্দুল কাদের মো. আব্দুল হামিদ মো. সুলতান মাহমুদ মো. আবুল কালাম আজাদ মো. মসলেম উদ্দিন মো. মোজাম্মেল হক চুন্নু মৃত আকবর আলী মো. আববাস আলী আব্দুল বাতেন শ্রী পরেশ চন্দ্র সাহা লিয়াকত আলী খন্দকার আবুল কালাম মো. সেলিম বদর মৃত হাবিবুর রহমান মো. ইয়াছিন উদ্দিন মো. আ. গণি মো. মনসুর রহমান…
-
তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (৪র্থ পর্ব)
তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (৪র্থ পর্ব) খলিফা আশরাফ ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ। কাল রাত্রে ঢাকায় হাজার হাজার নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে হত্যা করলো বর্বর পাকিস্তানি বাহিনী। নৃশংস হত্যাকান্ড। রাস্তা-ঘাট, অলি-গলি, ঘরে-বাইরে সর্বত্র লাশের স্তুপ। পুড়িয়ে দেয়া হলো ঘর-বাড়ি, দোকান-পাট, অফিস-আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ঢাকা নগরী ভাগাড়ে পরিণত হলো। জীবন বাঁচাতে সব কিছু ফেলে ঊর্ধ্বশ্বাসে মানুষ পালাতে শুরু করলো। কেউ পারলো, আবার কেউবা পালাতে গিয়ে বেঘোরে প্রাণ দিলো। ২৬ মার্চে হাজি সাহেব দোকানও খোলেননি, বাইরেও বের হননি। বংশাল মেইন রোডের সাথেই তিন তলা বিশাল বাড়ি তাঁর। দোকানের ম্যানেজারও তাঁর বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু কেউই বাঁচতে পারেনি। কসাই পাকসেনারা নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো পুরো পরিবারকে।…
-
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (১ম পর্ব)
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (১ম পর্ব) সাইফুর রহমান কাশিনাথপুর থেকে যে প্রধান পাকা সড়কটি পাবনা শহরে গিয়ে মিশেছে, তারই মাঝে একটি জায়গার নাম আলাদিপুর। আলাদিপুর থেকে একেবারে দক্ষিণ বরাবর আরেকটি কাঁচা রাস্তা নদীর মতো এঁকেবেঁকে নেমে গেছে লালডাঙ্গী হয়ে গাজনার বিলে। নদী ও মানুষের মন দুটোই আঁকাবাঁকা হবে, এটাই মনে হয় প্রকৃতির এক অমোঘ নিয়ম। রেজেক আলী সদাইপাতি ভর্তি চটের থলেটি শক্ত করে ধরে কুমিরের পিঠের মতো কর্দমাক্ত রাস্তাটিতে ছোট ছেলে-মেয়েদের এক্কাদোক্কা খেলার মতো করে পা টিপে টিপে এগোতে থাকে লালডাঙ্গী বরাবর। আলাদিপুর থেকে লালডাঙ্গীর দূরত্ব মাইল দেড়েক। শুধু নামেই গ্রামের নাম লালডাঙ্গী। বর্ষা মৌসুমে যখন গাজনার বিল উপচে লালডাঙ্গীতেও…
-
দূরবর্তী তুমি একাত্তর
দূরবর্তী তুমি একাত্তর খলিফা আশরাফ তোমাকে এখন আর ছুঁতেই পারি না একাত্তর আমার নাগাল থেকে ক্রমাগত দূরবর্তী তুমি শপথের পাঠ ভুলে আজ আমি হয়েছি পাতক লজ্জায় অতি সংকুচিত কত আর উচ্চতায় যেতে পারি আমি? বামনের হাত আমার পারে না স্পন্দিত-স্পর্শ করতে বিপুল অবয়ব তোমার কেবলই ফিরে আসি ব্যর্থতার গ্লানিতে ভেসে ভেসে, আমার অস্তিত্বের সাথে প্রাণময় বাঁধা আছো তুমি সেই কবে থেকে তোমার মুক্তিলগ্নে অগ্নিঝরা রণাঙ্গন হতে, তখন স্থির প্রতিজ্ঞায় প্রত্যেয়ী কথা ছিলো স্বাধীনতা-স্বাদ আদিগন্ত প্রতিঘরে পৌঁছে দেবো সোনার বাংলার প্রশান্ত সৌরভ সহাস্য বিলাবো চৌদিকে, ধানের মৌ মৌ ঘ্রানে জুড়াবে কিষাণের প্রাণ সৌভাগ্যের অমল হাসি উৎকীর্ণ হবে শ্রমিকের ঠোঁটে মেহনতি মানুষের…
-
আত্মজীবনী, আহম্মদপুর, দ্বারিয়াপুর, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে সুজানগর, লেখক পরিচিতি, সাহিত্য, সৈয়দপুর (আহম্মদপুর)
একাত্তরের অগ্নিঝরা দিনগুলি
একাত্তরের অগ্নিঝরা দিনগুলি তাহমিনা খাতুন ১৯৭০ সালে অনুষ্ঠিত হয় পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন। সে নির্বাচনে জাতীয় পরিষদের ১৬৯ টি আসনের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ১৬৭ টি আসনে জয়লাভ করে। পক্ষান্তরে পশ্চিম পাকিস্তানে জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান পিপলস্ পার্টি ৮১টি আসনে জয়লাভ করে। পাকিস্তানের সামরিক শাসক ইয়াহিয়া খান, ৩ মার্চ ১৯৭১ ঢাকায় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন আহ্বান করেন। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষ আনন্দে উৎফুল্ল। সবার আশা এতদিনে বাঙ্গালীর হাতে পাকিস্তানের শাসন ক্ষমতা আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। কিন্তু বাঙ্গালীর স্বপ্ন ভঙ্গ হতে দেরি হলো না। পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ইয়াহিয়া খান ১৯৭০ সালের নির্বাচনের গণ রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ…
-
মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু নেই, একাত্তুরের অব্যর্থ-ট্রিগার
মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু নেই খলিফা আশরাফ কিছু কিছু তারুণ্যের মৃত্যু নেই কোন, বাড়ে না বয়স জীবনকে অকম্পিত যে ধরেছে অগ্নিশিখায় নিশ্চিত মৃত্যু মুখে দাঁড়িয়েছে সটান অনড় অকুতোভয় দিয়েছে পাল্লা সিংহের সাথে আঙ্গুলের ফলায় তুলেছে হায়েনার চোখ তাকে আর মৃত্যুভয়ে যাবে না দমানো বিনাশের আদ্যপান্ত বিলক্ষণ জানা আছে তার, মনে রেখো, জীবনকে জিতেছে সে মরনের মাঝে একাত্তুরের রণাঙ্গনে যে খেলেছে অজস্র মৃত্যুখেলা বেয়োনেটের অগ্রভাগে বেঁধেছে যে পরমায়ু সুতো গ্রেনেডের ছত্রিশ টুকরো আকণ্ঠ নিয়েছে তুলে স্টেনগানের ফুটোয় ফুটোয় দিয়েছে ফুঁৎকার মর্টারের গোলার সাথে করেছে দোস্তি আমরণ যমদূতের কণ্ঠ চেপে লক্ষ লাশের মাঝে অকুতোভয় দীপ্র হাতে উড়িয়েছে বিজয় কেতন মরনের কথা তারে শুনিওনা…
-
সুজানগর হানাদার মুক্ত দিবস
সুজানগর হানাদার মুক্ত দিবস সুজানগর থানা দখল এবং আমার আহত হওয়া ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বর। রাতে বকুল ভাই আর ইকবাল ভাই সুজানগর এলেন, সঙ্গে আরো ১৫ জন মুজিব বাহিনী এবং মকবুল হোসেন সন্টুসহ কয়েকজন এফএফ মুক্তিযোদ্ধা। থানা আক্রমণের জন্য আমি আর দুলাল ভারত থেকে ট্রেনিং নিয়ে আসার পর থেকেই পরিকল্পনা করছিলাম। সেই পরিকল্পনার সব বিষয় যেমন, ক’টার সময় আক্রমণ করলে ভালো হবে, বাঙ্কার থেকে শত্রুরা কখন বের হয়, হাতে আঁকা ম্যাপে দেখিয়ে কোথায় কোথায় পজিশন নিতে হবে সব বকুল ভাইকে দেখালাম। সুজানগর থানা এবং তার পাশে সুজানগর হাইস্কুলে তখন অবস্থান করছে রাজাকার ও মিলিশিয়া মিলে প্রায় দু’শত শত্রু। সবকিছু…
-
হাইবাত জান চৌধুরী
হাইবাত জান চৌধুরী কৃষ্ণ ভৌমিক হাইবাত জান চৌধুরী ইতিহাসের মহিরুহ। তিনি ভারত স্রষ্টা জওহর লাল নেহেরু, সরদার বল্লভভাই প্যাটেলের মতো নেতাদের স্বচক্ষে দেখেছেন। আজাদ হিন্দ ফৌজের মেজর জেনারেল শাহ নেওয়াজ ও কর্ণেল ধিলনের মত সামরিক কর্মকর্তার সাহচার্য পেয়েছেন । নিখিল ভারত মুসলিম লীগ কনফারেন্সে অংশগ্রহণের স্মৃতি তিনি এখনও ভুলেননি। পাকিস্তানি বন্দিশিবিরের চার বছরের মানসিক নির্যাতনের স্মৃতিও আজ তাঁর চোখের উপর ভাসছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে কলকাতা দাঙ্গায় জীবন নিয়ে পালিয়ে বাঁচার স্মৃতি ধূসর হয়নি। জন্ম: হাইবাত জান চৌধুরী ১৯২৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি, তৎকালীন দুলাইয়ের প্রখ্যাত মুসলিম জমিদার আজিম চৌধুরীর পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: হাইবাত জান চৌধুরীর বাবা…
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ গোলাম সারোয়ার খান সাধন
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ গোলাম সারোয়ার খান সাধন পাবনার অসীম সাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ গোলাম সারোয়ার খান সাধন। পাবনায় শহীদ সাধন নামে সমাধিক পরিচিত। বর্তমান প্রজন্মের কাছে শহীদ সাধন নামটি বেশী পরিচিত হওয়ার কারণ হলো, তাঁর নামে পাবনা শহরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শহীদ সাধন সংগীত মহাবিদ্যালয়। শহীদ সাধনের নাম পাবনার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে সবার উপরে স্থান পেয়েছে। পাবনায় প্রতিষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ দুর্জয় পাবনা’র বুকে শহীদের তালিকায় প্রথম নামটি হলো, শহীদ গোলাম সারোয়ার খান সাধনের নাম। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে সেখানে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে শহীদ সাধনের নাম খোদাই করে লিপিবদ্ধ আছে। শহীদ গোলাম সারোয়ার খান সাধন মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে পাবনা শহরে অতি পরিচিত ছিলেন । এই…