• তিনি-একজন-মহিলা-মুক্তিযোদ্ধা-১ম-পর্ব
    খলিফা আশরাফ (গল্প),  গল্প,  মুক্তিযুদ্ধ,  সাহিত্য

    তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (১ম পর্ব)

    তিনি একজন মহিলা মুক্তিযোদ্ধা (১ম পর্ব) খলিফা আশরাফ   বাসে করে মিরপুর যাচ্ছি। প্রচণ্ড ভিড়। সিট ছাড়াও গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আছে অনেক যাত্রী। কয়েকজন মহিলা যাত্রীও রড ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। এমনিতেই তিল ধারনের জায়গা নেই, তারপর আরও যাত্রী তুলতে “মিরপুর-১১/১২, মিরপুর-১১/১২” করে চেঁচাচ্ছে হেল্পার। গরমে অতিষ্ঠ কয়েকজন যাত্রী ক্ষেপে উঠলো, “ঐ মিয়া যাত্রী কি তোমার মাথায় লইবা?” কয়েকজন তো রেগে খুব বিশ্রী ভাষায় গাল দিলো হেল্পারকে। কিন্তু হেল্পার ছেলেটা খুবই বেহায়া টাইপের। ওইসব নোংরা গালটাল গায়ে না মেখে দাঁত কেলিয়ে হাসছে সে। আবার গদগদ বিনয় দেখিয়ে বলছে, “রাগ কইরেন না সাব। একটু পিছায়া খাড়ান, কম কইরা আরও ১০ জন লওন…

  • সাইদ-মো-আহসান-হাবিব
    বৃমালঞ্চি,  মুক্তিযুদ্ধ,  মুক্তিযুদ্ধে সুজানগর,  মুক্তিযোদ্ধা,  মুক্তিযোদ্ধাদের কথা,  রানীনগর,  সমাজসেবক

    সাইদ মো. আহসান হাবিব

    সাইদ মো. আহসান হাবিব : একজন বীর যোদ্ধার কথকতা   মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী উত্তরাঞ্চলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনসভায়, হালকা পাতলা ঝাকরা চুলের যে যুবকের বক্তৃতা জনতার মনে ঝড় তুলতো, তিনি আর কেউ নন ভাগ্যবিড়ম্বিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান হাবিব।পুরো নাম সাইদ মো. আহসান হাবিব। সাধারণ মানুষের কাছে পাগলা হাবিব বলেই বেশি সমাদৃত। তিনি নিজ যোগ্যতায় তৎকালিন কেন্দ্রিয় আওয়ামী লীগ নেতাদের নজর কাড়েন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আহসান হাবিবকে অত্যন্ত আদরের সাথে বুকে টেনে নেন। ১৯৭২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নগরবাড়ি বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ উদ্বোধনীতে লাখো জনতার সমাবেশে, আহসান হাবীবের বক্তব্য শুনে আবেগ আপ্লুত বঙ্গবন্ধু আহসান হাবিবকে হেলিকপ্টারে ঢাকার ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাসায় নিয়ে যান।…

  • বীর-প্রতীক-আজিজুর-রহমান
    কৃতি ব্যক্তিবর্গ,  বোনকোলা,  মানিকহাট,  মুক্তিযোদ্ধা

    বীর প্রতীক আজিজুর রহমান

    বীর প্রতীক আজিজুর রহমান (মৃত্যু: ১৯৯০ খ্রি.) বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাঁকে বীর প্রতীক খেতাব প্রদান করে। সুজানগর উপজেলার মধ্যে তিনিই একমাত্র খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা।  জন্ম: বীর প্রতীক আজিজুর রহমানের পৈতৃক বাড়ি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের বোনকোলা গ্রামে।  পারিবারিক জীবন: পিতার নাম আবদুল আলী মোল্লা এবং মায়ের নাম জাগিরননেছা। স্ত্রী  লুৎফা বেগম। তাদের তিন মেয়ে ও পাঁচ ছেলে। কর্মজীবন: আজিজুর রহমান চাকরি করতেন ইপিআরে। ১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে কর্মরত ছিলেন দিনাজপুর সেক্টরের ৯ নম্বর উইংয়ে (বর্তমানে ব্যাটালিয়ন)। তখন তাঁর পদবি ছিল হাবিলদার। প্রতিরোধযুদ্ধে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আরও পড়ুন বীর মুক্তিযোদ্ধা…

  • বীর-মুক্তিযোদ্ধা-মকবুল-হোসেন-সন্টু
    কৃতি ব্যক্তিবর্গ,  জনপ্রতিনিধি,  মাঝপাড়া,  মানিকহাট,  মুক্তিযোদ্ধা

    বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু

    বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু ছিলেন পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়া) আসনের সাবেক সাংসদ সদস্য, জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। পাবনায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল নাম বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন সন্টু। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৈরী পরিস্থিতির মধ্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ছাত্রজীবনে। ১৯৭১ সালে ২৮ ও ২৯ মার্চ পাবনায় প্রথম প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশ নেন। ১০ এপ্রিল পর্যন্ত নগরবাড়ি ঘাটে অবস্থান করে প্রতিরোধ যুদ্ধ করেন। এরপর ভারতে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে ৭ নং সেক্টরের অধীনে যুক্ত হন। সীমান্ত এলাকায় একাধিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ শেষে পাবনার এফএফ কমান্ডার নিযুক্ত হন। পাবনায় ঐতিহাসিক শানিরদিয়াড় যুদ্ধ, সুজানগর থানা আক্রমণসহ অনেকগুলো যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি মহান…

error: Content is protected !!