-
অবচেতন মন, আমার সেই তুমি, নিও ভালোবাসা
অবচেতন মন কে এম আশরাফুল ইসলাম অবচেতন মন বৃন্দাবন রংধনুর রঙে হাসে, তৃষিত নয়ন খোঁজে চিরবসন্ত বারো মাসে! ভালোবাসা দীপ্ত আশা না চাহে এমন বিরল, সুপ্ত আশা খোঁজে পঙ্কে প্রস্ফুটিত শতদল। বন্ধী খাঁচায় রাখে ভাবনায় রঙিন কল্পনায়, রঙে দোলায় শিল্পীর তুলি মনকে কবিতায়! আঁকে ছবি হয় কবি উতলা বাসন্তী হাওয়া, জাগে রবি বিহগ কূজনে কল্পকে কাছে পাওয়া! রহস্যে মন সমগ্র ভুবন চারণ করিয়া চলে, ভাবে আপন ব্যাপিয়া সৃজন অতৃপ্ত হিয়াতলে! আরও পড়ুন কে এম আশরাফুল ইসলামের কবিতা- রেখে যাই এ হৃদয় আমার ভালোবাসার প্রতিদান বিরঞ্জনা রয় গোপনে সবার মনে আমার সেই তুমি বলিতে না পারি এসো অপ্সরী হারাই…
-
শিরোনামহীন, স্মৃতির পাতায়
শিরোনামহীন কে এম আশরাফুল ইসলাম (‘আমাদের সুজানগর’ সংকলন গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান উপলক্ষে ) আমি নগন্য সমবেত গন্যমান্য যোগ্যদের আগমনে, সবাই অনন্য অযোগ্য আমি এই বিকশিত কাননে। করি বিচরণ পুলকিত মম আনন উপজেলার যত ফুল, করিতে চয়ন আসিয়াছি হেথায় নামিক আশরাফুল! ভালো লাগে তাই লিখে লিখে যাই বরেণ্য বরণীয় সুধী, তোমাতেই হারাই সেখানেই পাই সবাই পরাণের দরদি! কেউ হাসে কেউ পিপাসে মূল্যায়নের তুলাদণ্ডে, কেউ ভালোবাসে নব রূপায়নের অযাচিত রিমান্ডে! এই ভাষা বিন্যাস ঘাসফুলের চাষ শিশিরে মুক্তোর দানা, এলোকেশী নিবাস তাণ্ডবে মাতাল দিয়েও হারায় ঠিকানা! খুঁজি আরবার দোলায়িত পারাবার মহাশূন্য অটবী, জোসনায় হাহাকার প্রেমাঞ্জলি মোর অলকাপুরী পৃথিবী! মরু মরীচিকা প্রত্যাশার…
-
বেদনার কূলে কূলে, তবুও ভালোবাসা অমর হোক
বেদনার কূলে কূলে কে এম আশরাফুল ইসলাম ভাটাতে রেখা বুকেতে দেখা নদীর অন্তর কাঁদে, এসেছিলে সখা পদাঙ্ক তাই লুকানো নীলিমার চাঁদে! মম হিয়াখানি প্রচ্ছদ আসমানি অগণন তারার আঁখি, মায়ার খনি নিকষ অমায় খোঁজে অভিমানী পাখি। চলেই গেলে আর নাহি এলে অবাঞ্চিত অমানিশা, রেখে গেলে বেণু বনে জোনাক জ্বলা ভালোবাসা! তারারা হাসে আঁধারে ভাসে ঐন্দ্রজালিক স্বর্ণলতায় , টানে পিপাসে তোমার প্রেম শিশিরের মুক্তো কচুপাতায়! তবু কূলে কূলে প্রত্যয়ের বেদিমূলে সাজিয়ে ফুলের ডালি, ভুলে অভুলে হই ফেরারি অর্পি তপ্ত ভক্তির নয়ঞ্জলি! যেই কূলে যাই অকস্মাৎ হারাই তর্জনে গর্জনে পরাণ, শুনে নাই নাই বিষাক্ত শেলে ক্লান্তিতে হয় পেরেশান। ভিখারিনী নয়ন নন্দিনী কেনো…
-
প্রতীক্ষায় আছি, সখী প্রেম কারে কয়
প্রতীক্ষায় আছি কে এম আশরাফুল ইসলাম প্রত্যাশার কাননে প্রতীক্ষার ভুবনে ধৈর্যের তীর্থনীড়ে, তোমারই স্মরণে পথ চেয়ে আছি রঙিন মান্সের ভিড়ে। আসবে বলে সেই চলে গেলে প্রত্যয়ী হিয়াতে আমি, নয়ন মেলে বসে আছি মায়াবী গমনের পথ চুমি। এতটুকু ব্যতয় ক্ষণিকেও নাহি হয় পরাণের সকল দ্বারে, দিয়ে পরিচয় রাখিয়াছি সেথায় প্রেম নিবন্ধনে চিরতরে! এ মন প্রাণ করে পেরেশান মহাসিন্ধুর তাণ্ডবি কল্লোলে, স্মৃতি অম্লান মননে নয়নে শ্রীবুদ্ধ হয়েছি বয়সী বটমূলে। সাধু সন্যাসি হয়ে বারোমাসী একাগ্র ধ্যানেতে সমর্পিত মন, স্মরি অহর্নিশি ছায়া কায়াতে নিমগ্নতায় প্রকম্পিত বৃন্দাবন! গোঁফ দাড়ি অযত্নে মৃত্তিকায় পড়ি বটের শাখা মূলের মত, মেহমানদারি অকৃত্রিম বন্ধনে আপনারে হারাই অবিরত। মম আঁখি…
-
কে ভালোবাসে, প্রেমিকের প্রতিদান, তুমিই শিখালে ভালোবাসিতে
কে ভালোবাসে কে এম আশরাফুল ইসলাম যে ভালোবাসে ভুলেও নাহি নাশে অর্পিত যে প্রাণ, রয় আবেশে তাহাতেই মিশে হলেও ব্যবধান! যতই দূর তিক্ততায় মধুর তাপিত হিয়াখানি, পথ বন্ধুর হৃদয় অভিসারে করে কানাকানি! মন মুকুরে রয় অদূরে নিকট নিকটতর, ক্রীড়া করে ভাবনায় এসে অন্তরে অন্তর! কে দেখে তা হৃদয়ের মিতা সুবাসি ফুলের কায়া, স্মৃতির পাতা বসন্তবায়ে কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির মায়া। যত না সরল ততই বিরল ভুলে থাকাটাই কঠিন, প্রীতির শিকল বাঁধিয়া বাঁধনে হাঁকায় চিরদিন। ভালোবাসা কাঙ্ক্ষিত বাসা এ নহে কচু’র নীর, অন্তিম তিশা করে ফেরারি অনুতপ্ত নিয়তির। থাকিলেও দূরে তাহারেই মনে পড়ে প্রণয় প্রচ্ছদপটে, তাই আঁখি ঝরে ভালোবাসিতে তারে মরমের তটে…
-
কবির ভালোবাসা, তোমাকে ভালোবেসে, বসন্ত কোকিল
কবির ভালোবাসা কে এম আশরাফুল ইসলাম এই কবি আঁকে ছবি সকল সৃজন, হয় রবি সমতায় গড়িতে ভুবন! ভালোবাসে তাই হাসে সকলের প্রাণ, নাহি নাশে কারো সুখ হানিয়া তুফান। এই ধরা মনোহরা প্রশান্তির নিবাস, যায় গড়া নিরিবিলি করিতে আবাস। ভাবে কবি করে দাবি নিখিলের প্রাণ, সেই ছবি পৃথ্বী দেহ আপনার সমান। চায় সুখ নহে দুখ কভু কারো তরে, এতটুক অবহেলা কোনো অনাদরে। হিরোশিমা প্রিয়তমা নাগাসাকির বুকে, তিলোত্তমা করে তারে মরমে রাখে। রণাঙ্গন অপনয়ন কভু কাম্য নয়, কবি মন সুখ পাখি শান্তির কথা কয়। যত সৃজন তাহার নয়ন হাতছানি দেয়, অতি আপন আপনার ভেবে আপন করে নেয়! আরও পড়ুন কে এম…
-
বিরঞ্জনা, রয় গোপনে সবার মনে,তাহার ভালোবাসায়
বিরঞ্জনা কে এম আশরাফুল ইসলাম বিরঞ্জনা মোর ঠিকানা কেমনে ভুলিলে হায়, সুরঞ্জনা বর্ণবিহারী দূর আকাশ নীলিমায়! মেঘের পাখায় সমীরের ছোঁয়ায় বিজলী চমকে ধাও, শিশিরের ভেলায় আরোহণ করে মুক্তো হয়ে হাসাও! উঠিলে রবি হারায় ছবি রিক্ততায় দোলে ঘাস, তথৈ পৃথিবী কাষ্ঠ হাসিতে মরুতে খোঁজে নিবাস! ফোটে কলি না না আসে অলি সবুজে নাচে সাদা, না করে কেলি শূন্য সায়রে চৈতি আবেশে কাদা! লঙ্ঘিয়া বারণ হইলে চারণ অযাচিত শ্বাপদের, কাঁদে অকারণ করিয়া স্মরণ হৃত বিরঞ্জনা হৃদের! বর্ণনাশী সর্বনাশী বিরূপ মাতাল হাওয়ায়, ভালোবাসি গলার ফাঁসি বিরঞ্জনার ভালোবাসায়। ও বুকে ঢেউ সিন্ধুতে কেউ অবাধ্য নিম্নচাপের লীলা, করে কেঁউ কেঁউ অশান্ত মান্সে অসহায়ের অশ্রুমালা!…
-
তোমার ভালোবাসায়, ভালোবাসার প্রতিদান, বেদনার দান
তোমার ভালোবাসায় কে এম আশরাফুল ইসলাম অবচেতন মনে অতি গোপনে নন্দন কাননের প্রত্যাশায়, ছিল ক্ষণে ক্ষণে অস্ফুটকলি ফুটিবে সুবাসি ভালোবাসায়! সেই হতে প্রাণ করে আনচান কোথায় বাঁধিয়া নিবাস, আমারই পরাণ প্রসারি আঁচল প্রতীক্ষিত দীঘল কেশপাশ, হইয়া এলোকেশী আমাকেই ভালোবাসি বলিবে এ বুকে আয়, ষোলকলায় পূর্ণিশশী উতলা সিন্ধু দু’কূল ছায়ে মিলিবে মোহনায়! তৃষিত হিয়া ডাকিয়া প্রিয়-প্রিয়া বসন্তরাগে ঝিলিমিলি, কাঁদে বিরহিয়া তুমি এলে হেথায় অব্যক্ত শ্যেনের ডানা মেলি! কপোত কপোতি দেখিয়া মাতামাতি লাজেতে লুকায় বনে, না পোহাতেই রাতি নিজকে পেলাম কঙ্কালসার কবরস্থানে! ঝরে কি আঁখি অর্পিত পাখি যাহাকেই দিয়েছিলে জীবন, করিয়া চালাকি তাহারই সমাধিতে হেয়ালি পুষ্প অর্পণ! আরও পড়ুন কে এম…
-
ভালোবাসা তুমি, রেখে যাই এ হৃদয় আমার
ভালোবাসা তুমি কে এম আশরাফুল ইসলাম ভালোবাসা তুমি হৃদয়ের টান ভালোবাসা তুমি মরমের গান ভালোবাসা তুমি অতৃপ্ত আশা ভালোবাসা তুমি প্রশান্তির বাসা ভালোবাসা তুমি ফুলের কাঁটা ভালোবাসা তুমি জোয়ার ভাটা ভালোবাসা তুমি অভিশপ্ত নেশা ভালোবাসা তুমি হতাশায় আশা। ভালোবাসা তুমি নিজস্ব আইন ভালোবাসা তুমি বিধ্বংসী মাইন…
-
ওরা তেরোজন (শেষ পর্ব)
ওরা তেরোজন (শেষ পর্ব) কে এম আশরাফুল ইসলাম সংখ্যায় ওরা বারোজন। বিলগাজনায় নকশাল গঠনের পূর্বেই তারা বিভিন্ন অপরাধমূলক দুর্ধর্ষ ক্রিয়াকলাপে জড়িত। বিলগাজনায় নব গঠিত নকশালের উদ্দেশ্য, ‘খাও দাও ফুর্তি করো, নারী নিয়ে মজা করো!’ ওদের আরও একটি মোক্ষম উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য ছিল। আর তা হলো রিক্তদলকে নির্মূল করে নিজেরাই রাম রাজত্বে বিনা বাধায় অপরাধ জগতের সব কাজ করবে। দুই গ্রুপই একে অপরের অস্তিত্বের রক্তে লেখা ১০ নম্বর হুমকি। বারোজনের সাথে যোগ দেয় করম আলী । উদ্দেশ্য ভাই হত্যার বদলা নেওয়া। ফলে দুই গ্রুপই একে অপরের বিধ্বংসী নিশানায় পরিণত হয়। মাঝে মাঝেই গভীর রাতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চলে নিশিপুর, শ্যামাপুর,…