• আদ্যনাথ-ঘোষের-কবিতায়-প্রান্তিক-প্রতিধ্বনি
    বই পর্যালোচনা,  ভায়না,  ভায়না (গ্রাম),  লেখক পরিচিতি,  শিক্ষকবৃন্দ,  সাহিত্য

    আদ্যনাথ ঘোষের কবিতায় প্রান্তিক প্রতিধ্বনি

    আদ্যনাথ ঘোষের কবিতায় প্রান্তিক প্রতিধ্বনি জহুরুল ইসলাম    কবিদের কোনো সীমারেখা নেই। কবি সব দেশের, সব মানুষের, সব জাতির। কবি মানুষের কথা বলে, মানবতার কথা বলে। কবি তার গোপন আয়নায় দেখতে পান- সমাজের অসঙ্গতি, পতন, ঔদ্ধত্যের বিকৃত রূপ, অনাচার। তিনি কারও সঙ্গে আপস করেন না, করেন না। কোনো গোপন চক্রান্ত। তিনি গোপনে গোপনে ক্রমাগত মোচড় খেতে থাকেন। একদিন তিনি সব গোপন সত্য আয়নায় প্রতিফলিত করেন। তিনি প্রকাশ করেন- কারণ না করে তিনি থাকতে পারেন না। কবি আদ্যনাথ ঘোষও এর ব্যতিক্রম নন। তার ব্যথিত হৃদয় বারবার কেঁপে ওঠে স্বদেশের ভাবনায়- তাতার ঘোড়ার পিঠে ছুটেছে নাগরিক স্থাপত্যবিদ্যার যোদ্ধাকুল পতন হচ্ছে গাঁয়ের পর…

  • প্রেমমৃত্তিকা; amadersujanagar.com
    আদ্যনাথ ঘোষ,  কবিতা,  সাহিত্য

    প্রেমমৃত্তিকা, নিরাশার মাঝে, মঙ্গল প্রবাহে

    প্ৰেমমৃত্তিকা আদ্যনাথ ঘোষ   জীর্ণ-শীর্ণ ঝরা পাতাগুলো শুধুই কেঁদে কেঁদে যায় অনন্ত বিরহ বেদনায়- বিকেলের হলুদ-রক্তিম আভার সাথে পশ্চিমে হেলেছে সূর্য সিঁদুরের সাথে দুধে-আলতা মিশানো অই অসহ্য বেদনার সাক্ষী হয়ে। হেমন্তের ধান কাটার পরে রিক্ত মাঠের যে বিপন্ন-বিষণ্ণতা কন্যার বিদায়ের সাথে পিতার যে শূন্যতার আহাজারি কার বুকে কতো কষ্ট-কার বুকে কতো প্রেম- কার বুকে কতো কতো ঝড়- অশান্ত মনের ধূসর মেঘমালা থেকে— শুধুই ঝরে ঝরে পড়ে বৃষ্টির ফোঁটায় ফোঁটায়। হৃদয়ের দুঃসহ ক্ষত-বিক্ষত, শিরায় শিরায় অবিরত বয়ে চলে রক্তস্রোত আর আমি চেয়ে চেয়ে থাকি রিক্ত হাতে প্রেমমৃত্তিকা থেকে অসীম শূন্যতার দিকে অবলীলায় । আরও পড়ুন আদ্যনাথ ঘোষের কবিতা- কান্নার কৈলাসে কবিতার…

  • বিবাগী-মন;
    আদ্যনাথ ঘোষ,  কবিতা,  সাহিত্য

    বিবাগী মন, বিষণ্ণ বাতাসে, উৎসব

    বিবাগী মন আদ্যনাথ ঘোষ   বারোয়ারী বসন্ত জীবনের যতোসব সাধ-আহ্লাদ কোথায় হারিয়েছে সেই দিন তার বিষণ্নতায় যেন হৃদয়ের চত্বরে মুঠো মুঠো রোদ্দুর আজ বিবেকের ক্ষয়িষ্ণু হাটে। স্বপ্নময় আশান্বিত বৃক্ষেরা উপড়ে গেছে হায়! কালবৈশাখী ঝড়ে। স্রোতসিনী যমুনায় জেগে গেছে চর প্রেমময় রাধার খেয়াঘাটে প্রসন্ন হৃদয় থেকে গানের পাখিরা উড়ে গেছে অই বিন্দু বিন্দু জলকণার মন্ত্রিত মেঘমালার কাছে গভীর আঁধারের জ্বালাময়ী-দুঃসহ দুঃখমালা শ্রাবণের বৃষ্টি হয়ে ঝরছে অবিরত। সবকিছু কেনো আজ ঝাপসা মনে হয় কেনো উড়ে যায় বিদগ্ধ বিবাগী মন সর্বহারা বাউলের বিষাদিনী একতারা করুণ সুরে। কেন পুনশ্চ গায় হারানো সেই গান …. আরও পড়ুন আদ্যনাথ ঘোষের কবিতা- স্মৃতিছায়া দেহের ভাঁজে কত পথ…

  • আদ্যনাথ ঘোষ,  কবিতা,  সাহিত্য

    আনন্দের ধারা, হে তরুণ, কান্নার কৈলাসে

    আনন্দের ধারা আদ্যনাথ ঘোষ   প্রসন্ন আলোয় আনন্দের ধারা বহিছে অবিরল বুকে তার ছলছল ছোট বড় ঢেউ অঙ্গে তার আনন্দের উচ্ছল হাসির মুখরতা। উদাসি রোদ্দুরে কৃষ্ণচূড়ার দল চোখে ভেসে আসে তার সাথে জেগে ওঠে কামিনী কাঞ্চন আর রাধাচূড়া অসীম আনন্দে ওড়ে আকাশেতে পাখি। কতো যে স্বাধীন আজ তাদের আকাশ খাল বিলে ফোটে শাপলা, শালুক, কলমিলতা আরও কতো যে ভাগ্যের অলীক লতা তার পাড়ে মনসার ঝোপে ফোটে লাবণ্যভরা ফুল আশেপাশে আগাছার ছন্দময় বিস্তারের ছোট ছোট জাল উজ্জ্বল সোনালি রোদ্দুরে মেঠো পথও সেখানে পথ হারায়- উত্তাল বাতাস ডেকে নেয় আনমনা পথের ভাসমান ধূলি শব্দের পত্রালি আর স্নেহমাখা আদরের সাথে প্রজাপতিগুলো ঢেউ তুলে…

  • আত্মকথন-১ম-পর্ব
    আত্মজীবনী,  ভায়না,  সাহিত্য,  হেমরাজপুর

    আত্মকথন (১ম পর্ব)

    আত্মকথন (১ম পর্ব) আদ্যনাথ ঘোষ   আমি আদ্যনাথ ঘোষ। নেশা লেখালেখি। মানুষের অন্তরে বসবাস। জন্ম পদ্মা নদীর তীরবর্তী হেমরাজপুর গ্রামে। পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলায়। আমি যখন ছোটবেলায় সাতবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি, তখন কবিতা লেখা শুরু করি। সেটা ছিল ১৯৮৪ সাল। ছন্দে ছন্দে লিখতাম। হতো কিনা সেটা বলা মুশকিল। আমার পাশের গ্রামের একটি ছেলে পাবনা শহরে মাঝে মধ্যেই আসত। তার নাম এখন আর বললাম না। তার কাছে একটি কবিতা দিলাম পাবনার একটা পত্রিকায় দেওয়ার জন্য। সে কবিতাটি নিজের নামে পাবনার একটি পত্রিকায় ছাপিয়ে ফেলল। আমি দেখে হতাশ, হতবাক। যাহোক, পরবর্তীতে পাবনা শহরে ১৯৯১ সালে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজে স্নাতক কোর্সে…

  • আকাশে-ডানা-মেলে
    আদ্যনাথ ঘোষ,  কবিতা,  সাহিত্য

    আকাশে ডানা মেলে, কবিতার জমিনে, যদি তুমি হও কালোরাত্রি

    আকাশে ডানা মেলে আদ্যনাথ ঘোষ   তোমার হৃদয়ের গোপন গান বসন্ত বাতাসের ডানায় ভর করে সকলকে ছাড়িয়ে সব পথ ফেলে আকাশের পানে মেঘের রাজ্যে কেন বারে বারে উড়ে যায় ফেলিয়া তোমার দেহ-তনু-মন কাহারে ভালোবাসো সখি? নিবিড় ভালোবাসার সংগীতে কী গান শোনো অই নক্ষত্রপুঞ্জে আর দূর অশেষ নীলিমার কানে কী চাওয়া তোমার গোপন প্রাণে তোমাকে পাবার আশায় ঝরাপাতার মতো নিজেরে ছেড়ে বহুবার তোমার বৃক্ষতলে লুটিয়ে পড়েছি চৈতি হাওয়ার দাপটে ঘুমাতে চেয়েছে সে তোমার ছায়াতলে পাতাহীন তুমিও মৃত বৃক্ষের মতো আকাশে মেলে ডানা হারিয়ে ছিলে তুমি আপন স্বর্গ ভুবনে। আরও পড়ুন আদ্যনাথ ঘোষের কবিতা- স্মৃতিছায়া দেহের ভাঁজে কত পথ কান্নার কৈলাসে  …

  • জলখেলা
    আদ্যনাথ ঘোষ,  কবিতা,  সাহিত্য

    জলখেলা, দেহের ভাঁজে কতো পথ, নৌকোজীবন, রঙছবি

    জলখেলা আদ্যনাথ ঘোষ   আমার চোখের নদী জলের নূপুর হয়ে ঢেলে দেয় সবুজ দুপুর চেয়ে থাকে ঘাট থেকে নদী নদী থেকে কষ্ট, প্রেম। এতসব জল খেলা ভিতরে ভাঙন আনে ঋতুর খেলায়। ডুবো জলে ডুবে থাকি নদীর আশায় তবু কেনো প্রেম প্রেম নেশা কার যেন ঘর ভাঙে জলের খেলায়। আর হাঁটু গেড়ে বসে থাকি তোমার ডেরায়। আরও পড়ুন আদ্যনাথ ঘোষের কবিতা- শূন্যের নিক্তিরা যদি তুমি হও কালোরাত্রি হে তরুণ   দেহের ভাঁজে কতো পথ দেহের ভাঁজে কতো পথ কতো তার তান কতো তার লয় অনুরাগে ঝরে ঝরে পড়ে। শুকনো পাতা আর ঝরা ফুল মরাঘাট নদী, জ্বালাপোড়া মাঠ গতিহীন, নিথর নীরব। হুহু…

  • স্মৃতিছায়া
    আদ্যনাথ ঘোষ,  কবিতা,  সাহিত্য

    স্মৃতিছায়া, শূন্যের নিক্তিরা

    স্মৃতিছায়া আদ্যনাথ ঘোষ   কবোষ্ণ জলের স্নিগ্ধতা কেটে গেলে পৃৃথিবীর অন্ধচোখ ঘুমিয়ে পড়ে শীতল ডানায়। প্রহরে প্রহরে জেগে থাকে শুধু সত্যহীন প্রলাপ। মানুষের ছায়া নিয়ে একাকী হেঁটে চলে নিষিদ্ধজলের চোরাবালির সৈকত- কিম্বা খেলা করে আঁতাতের ঘেরাজাল প্রতিদিন ভোর ভোর খেলায়। মেঘেরা উল্লাস করে, ছিঁড়ে পড়ে দূরের আঁধার, অন্তরের সাক্ষী নিয়ে বাউলা বাতাসেরা কোনো এক ভোরের সন্ন্যাসে ভেসে ওঠে কেউটের বিষাক্ত ফণায়। সে যেন বিকেলের পোড়া রোদে পুষ্পিত তন্দ্রায় শিল্পের উপমায় মুখের প্রচ্ছদ এঁকে চলে। সহস্রচন্দ্র শিউরে ওঠে, শতদলপদ্মের কুঁড়ি ছিঁড়ে পড়ে। ঘুমন্ত বাউলের চোখ কেঁপে ওঠে রতিহীন সংলাপে আঁধারের ডেরায়। তবু কেনো ঘেরা টোপে গিলে খায় আঁধারের ঘোর। সূর্য ডোবার…

  • আদ্যনাথ-ঘোষ
    ভায়না,  লেখক পরিচিতি,  সাহিত্য,  হেমরাজপুর

    আদ্যনাথ ঘোষ

    কবি ও প্রাবন্ধিক আদ্যনাথ ঘোষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও স্থানীয় পত্রিকায় কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেন। কবিতা আশ্রম (ভারত) এবং কালি ও কলম সাহিত্য পত্রিকাসহ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন লিটল ম্যাগ ও সাহিত্য পত্রিকায় নিয়মিত লিখে থাকেন। জন্ম: আদ্যনাথ ঘোষ ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২রা জানুয়ারি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের  পদ্মার তীরবর্তী নিসর্গ সৌন্দর্যশোভিত গ্রাম হেমরাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন. পারিবারিক জীবন:  পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার ঘোষ এবং মাতা নিভা রানী ঘোষ। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বড় ভাই বৈদ্যনাথ ঘোষ, সত্যনাথ ঘোষ, স্বপন কুমার ঘোষ, তাপস কুমার ঘোষ এবং বড় বোন মেনোকা রানী ঘোষ, প্রতিমা রানী ঘোষ, প্রতিভা রানী ঘোষ,…

error: Content is protected !!