-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), বিজ্ঞানী, ভায়না, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, সাহিত্য
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (১ম পর্ব)
অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার (১ম পর্ব) ~ মোহাম্মদ আব্দুল মতিন বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুল জব্বার অগ্রপথিক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার বহুপূর্ব থেকে, প্রকৃতপক্ষে ভারত বিভক্তির পর থেকেই তিনি একাকী জোতির্বিজ্ঞান চর্চা শুরু করেছিলেন। তিনি অবিভক্ত ভারতে প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়া অবস্থায়, অর্থাৎ ছাত্র অবস্থায় জোতির্বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে উঠেন। তাঁরা ৫ ভাইবোন, ৩ ভাই আর দুই বোন। অধ্যাপক আব্দুল জব্বার ভাইদের ভেতর সবার ছোট আর ভাইবোনদের মধ্যে চতুর্থ। তাঁর পিতার নাম ছিল মুন্সী মিয়াজান মল্লিক, মা বুলুবেগম। তাঁদের পারিবারিক অবস্থা সম্পর্কে, উনার মেজ ভাই জনাব মোহাম্মদ আকবর আলী লিখেছিলেন, “আমাদের বাপ মা ছিলেন খুবই গরীব। জমিজমা কিছুই ছিল…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, গোপালপুর (ভায়না), ভায়না, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, লেখক পরিচিতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, সাহিত্য
এম. আকবর আলী
বাঙালি রেনেসাঁর অগ্রদূত এম. আকবর আলী। সুজানগর তথা পাবনার কৃতী সন্তানদের মধ্যে এম. আকবর আলী প্রথম সারির একজন। শিক্ষাবিদ, গবেষক, লেখক, চিন্তাবিদ, ইতিহাসানুরাগী, ঐতিহ্য সন্ধানী, দানশীল প্রভৃতি অভিধায় তাঁকে ভূষিত করা যায়। সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও সাতবাড়িয়া কলেজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তিনি। জন্ম: লেখক এম. আকবর আলী ১৯১১ সালের ১ মার্চ, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে জন্ম জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মুন্সি মিয়াজান মল্লিক ও মাতা বুলুজান নেছা। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে এম. আকবর আলী ছিলেন দ্বিতীয়। মোহাম্মদ আবিদ আলী, এম. আকবর আলী ও মোহাম্মদ আবদুল জব্বার এই তিন সহোদর যেন…
-
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ
অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের এলপার্ট মেডিকেল স্কুলের একজন অধ্যাপক। তিনি ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভস এর কার্যকরী সদস্য। এছাড়া তিনি হেলথ অ্যান্ড এডুকেশন ফর অল-HAEFA এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি। অধ্যাপক ডা. রুহুল আবিদ ২০২০ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত ২১১ ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন। একই সঙ্গে তাঁর অলাভজনক সংস্থা HAEFA (হায়েফা) তাঁর সঙ্গে শান্তি পুরস্কারে মনোনীত হয়। জন্ম: ডা. আবিদ ১৯৬১ সালের ২৭ মে ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর ডাকনাম লেখন। তাঁর পৈতৃক নিবাস পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সুজানগর পৌরসভায়। বেড়ে উঠেছেন চট্টগ্রাম ও ঢাকায়। ঢাকায় বাস করেছেন বিভিন্ন উপশহরে-মালিবাগ, ইন্দিরা রোড, কলাবাগান ও শ্যামলীতে। পারিবারিক জীবন:…
-
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (৩য় পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (৩য় পর্ব) ‘হারামণি’ নামকরণ সম্পর্কে একটি ইতিহাস আছে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ’প্রবাসী’ পত্রিকায় গ্রামাঞ্চল থেকে সংগৃহীত লুপ্তপ্রায় লোকগীতি প্রকাশের জন্য একটি বিভাগ রাখা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিভাগের নামকরণ করেন ‘হারামণি’। এই বিভাগে লোকগীতি প্রকাশিত হত। মনসুর উদ্দীন তাঁর সংগৃহীত লোকগীতি প্রকাশের জন্য সংকলন গ্রন্থের নাম ‘হারামণি’ এখান থেকেই গ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ‘হারামণি’ তাঁর সংকলন গ্রন্থের জন্যে গ্রহণ করেই ক্ষান্ত হননি, তাঁর প্রথম খণ্ড হারামণির জন্যে তাঁকে দিয়ে একটি ভূমিকা লিখিয়ে নিতে সক্ষম হন। এ পর্যন্ত মোট ১১ খণ্ড হারামণি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা: অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন রচিত মোট গ্রন্থসংখ্যা ৪০টি। সংকলন ১. হারামণি। প্রথম খণ্ড। প্রকাশ:…
-
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (২য় পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (২য় পর্ব) কর্মজীবন: অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে অস্থায়ী স্কুল সাব-ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেন। তিন বছর চাকরি করার পর ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (স্কুল শাখা), হাওড়া জেলা স্কুল, চট্টগ্রাম সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ এবং সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ছয় মাসের জন্য তিনি ঢাকায় সরকার পরিচালিত মাহে নও মাসিকপত্রের সম্পাদক ছিলেন। ঐ বছরেরই শেষ দিকে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে লন্ডন যান। সম্মেলনে ‘Bengali Folksong’ নামে একটি প্রবন্ধ পাঠ করে তিনি সকলের প্রশংসা অর্জন করেন। ঐ সম্মেলনে ফোকলোর বিশেষজ্ঞ হিসেবে গণ্য হওয়ায় তাঁকে International Folksongs Council-এর সদস্যপদ প্রদান…
-
বিমল কুণ্ডু
বিমল কুণ্ডু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচিত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। কবি, সাহিত্যিক ও গবেষক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। জন্ম: বিমল কুণ্ডু ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই সেপ্টেম্বর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত মানিকহাট ইউনিয়নের রাইপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা স্বর্গীয় জগবন্ধু ও মা অনিলা কুণ্ডুর সাত সন্তানের কনিষ্ঠ সন্তান তিনি। স্ত্রী গৃহলক্ষ্মী। ব্যক্তিজীবনে দুই পুত্রের জনক। শিক্ষা জীবন: বিমল কুণ্ডু গ্রামের স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এইচএসসি এবং ১৯৬৯ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়…
-
কৃষি বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কৃষি বিজ্ঞানী ড. মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন দেশ ও দেশের বাইরে কৃষি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রেখেছেন। জন্ম: ড. মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন ১৯৪৭ সালের ৩১শে ডিসেম্বর, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়নের কাশীমনগর শ্রীপুর (শ্রীপুর নামেই বেশী পরিচিত) গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: ড. আবেদীনের বাবার নাম মো. রহিম উদ্দিন শেখ এবং মায়ের নাম মোছা. আকিরন্নেসা। তিনি ৯ ভাই-বোনের মধ্যে দ্বিতীয়তম। বড় এক বোন আছেন। কিন্তু বিয়ে হয়ে যাওয়ায় কার্যত বড় সন্তান এর দায়িত্বই পালন করতে হয়েছে সব সময়। ড. আবেদীন ১৯৭২ সালে পাবনা শহরের নিলুফার তাসনিমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের তিন কন্যা…
-
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (১ম পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (১ম পর্ব) অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন ছিলেন একজন লোকসাহিত্যবিশারদ, লেখক ও শিক্ষাবিদ। দেহকেন্দ্রিক সাধনমার্গের বিষয়বস্তু কিংবা নিয়মকানুন এবং শারীরবৃত্তীয় ব্যবহারিক কলাকৌশলের বর্ণনা করতে গিয়ে যার বক্তব্য অনেকখানি স্বস্তি জোগায়, তিনি হলেন প্রখ্যাত গবেষক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন। লোকগীতি সংগ্রহ, গবেষণা ও সংকলন, সমালোচনা সাহিত্য, কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ ও শিশু সাহিত্যসহ বিভিন্ন শাখায় ছিল যার সদর্প পদচারণা। বাংলা, পালি, উর্দু ও ফার্সীসহ ইন্ডিয়ান ভার্নাকুলাসে যিনি অসাধারণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, শেরে বাংলা জাতীয় পুরস্কার ও স্বর্ণপদক, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, স্বাধীনতা পদক এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের…