-
আহম্মদপুর, কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তাঁতিবন্ধ, দুলাই, নাজিরগঞ্জ, ভায়না, মানিকহাট, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, রানিনগর, সাগরকান্দি, সাতবাড়িয়া, হাটখালী
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
সুজানগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার পৌরসভা এবং ইউনিয়নভিত্তিক গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: সুজানগর পৌরসভার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা: শহিদ আ. আউয়াল শহিদ ইব্রাহিম মোস্তফা কামাল দুলাল মো. তোফাজ্জল হোসেন (যুদ্ধাহত ) মো. শাহজাহান আলী মন্টু (যুদ্ধাহত ) শ্রী সুনিল কুমার সাহা মো. আব্দুস ছামাদ মো. আব্দুল হাই মো. আব্দুল কাদের মো. আব্দুল হামিদ মো. সুলতান মাহমুদ মো. আবুল কালাম আজাদ মো. মসলেম উদ্দিন মো. মোজাম্মেল হক চুন্নু মৃত আকবর আলী মো. আববাস আলী আব্দুল বাতেন শ্রী পরেশ চন্দ্র সাহা লিয়াকত আলী খন্দকার আবুল কালাম মো. সেলিম বদর মৃত হাবিবুর রহমান মো. ইয়াছিন উদ্দিন মো. আ. গণি মো. মনসুর রহমান…
-
আলাদীপুর, গল্প, তালিমনগর, নাজিরগঞ্জ, নাজিরগঞ্জ ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, মুক্তিযুদ্ধ, সাইফুর রহমান, সাতবাড়িয়া, সাহিত্য
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (২য় পর্ব)
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (২য় পর্ব) সাইফুর রহমান প্রত্যুষে উঠে পেটের ধান্দাটাই আগে করতে হয় রেজেকের। তাকে যেতে হয় রসু মিয়ার বাড়ি। রসু মিয়ার কাছে তিন মাস আগের পেঁয়াজ বিক্রির কিছু পাওনা বাকি পড়ে আছে। বেশ কয়েক মাস ধরে টাকাটা আটকে রেখেছে রসু মিয়া। চাইলেই শুধু গাইগুই করে। সাথে নানা রকম টালবাহানা, ওজর-আপত্তি ও ভাঁওতাবাজি প্রতিজ্ঞা। টাকাটা তুলতে পারলে কয়েক দিনের সংসার খরচটা আপাতত সামাল দেওয়া যায়। এরপর তাকে যেতে হবে লালডাঙ্গী বটতলায়। যেখানে হুজুর আস্তানা গেড়েছে, সেখানটায়। হুজুরের নাম শাহ সুফি কুতুব উদ্দিন জালালাবাদী। রসু মিয়ার বাড়িতে যাওয়ার পথে কুতুব উদ্দিন জালালাবাদী সম্পর্কে লোকমুখে অনেক কথাই শুনতে পায় রেজেক।…
-
স্বপ্ন জল (১ম পর্ব)
স্বপ্ন জল (১ম পর্ব) মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান বৃষ্টির ফোটাগুলো ছাদের কার্ণিশ থেকে পানির উপর পড়ছে। স্বচ্ছ পানি ছিটে পড়ছে চারিদিকে। এ এক বর্ণিল রঙ। হালকা মধুময় সুর। একদৃষ্টিতে তম্ময় হয়ে চেয়ে আছে সীমান্ত। এই বৃষ্টির ফোঁটা, নিচে জমে থাকা পানি, পানির নিচে পাথরের টুকরোগুলো এ সব সুরের আহ্বানে নিজের দৃষ্টি নিবদ্ধ রেখেছে সীমান্ত। মনে নেই কতক্ষণ কলাভবনের বারান্দার কার্ণিশে দাঁড়িয়ে আছে সে। এরই মাঝে বৃষ্টির হালকা ঠান্ডা হাওয়ায় নিজেকে সিক্ত করেছে কতবার। হঠাৎ পায়ের শব্দে তার তন্দ্রা ফিরে আসে। দেখলো বারান্দায় একজন ছেলে ও একটা মেয়ে দৌঁড়ে এসে দাঁড়াল। বৃষ্টিতে একটু ভিজে গেছে। ওড়না দিয়ে ছেলেটার মাথা মুছিয়ে দিলো মেয়েটি।…
-
মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান
মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান সদালাপী এবং জীবনবাদী কথাশিল্পী মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান। তিনি কবি, কথাশিল্পী ও গবেষক হিসেবে সমাজে সমধিক পরিচিত। বর্তমানে জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমি (নায়েম) এর পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) হিসেবে কর্মরত আছেন। জন্ম: পদ্মার পলিমাটি বিধৌত শ্যামল বাংলার প্রকৃতির সাথে বেড়ে ওঠা মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের গুপিনপুর গ্রামের সন্তান। সম্ভান্ত মুসলিম প্রামাণিক পরিবারে ১৯৬৯ সালের ১ জানুয়ারি-তে তাঁর জন্ম। পারিবারিক জীবন: পিতা মহির উদ্দিন প্রামানিক ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা (শহীদ), মাতা মরহুমা হাজেরা খাতুন। ছয় ভাই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। পিতামহ কফিল উদ্দিন প্রামাণিক ছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। স্ত্রী জাফরিন আক্তার,…
-
উপজেলার ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধে সুজানগর, মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধাদের কথা, মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা, সাতবাড়িয়া, সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য
সাতবাড়িয়া গণহত্যা
সাতবাড়িয়া গণহত্যা সাতবাড়িয়া গণহত্যা পাবনার জেলার প্রথম গণহত্যা। নিহতের সংখ্যার দিক থেকে এটি পাবনার দ্বিতীয় বৃহত্তম গণহত্যা। ১৯৭১ সালের ১২ মে, পাকিস্তান হানাদার বাহিনী পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ১৪টি গ্রামবাসীর ওপর নির্মম হত্যাকাণ্ড, ধর্ষণ ও লুটপাট চালায়। স্বাধীনতার পর থেকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও গ্রামবাসীরা ১২ মে দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করে আসছে। আক্রমণের কারণ: সাতবাড়িয়া এলাকাটি পদ্মা নদীর তীরবর্তী প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় পাবনা ও রাজবাড়ি জেলা শহরের অসংখ্য মানুষ সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে আশ্রয় নিয়েছিল। এমন সংবাদ সেনা ক্যাম্পে দেওয়া হলে পাবনা থেকে বিপুল পরিমাণ পাকিস্তানি সৈন্যরা সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় চৌদ্দটি গ্রামে অভিযান চালায়। বিভিন্ন সূত্র…
-
আনোয়ারুল হক
পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, সম্পাদক, প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ও ভাষাসৈনিক আনোয়ারুল হক ছিলেন সৎ ও আদর্শ সাংবাদিকতার অন্যতম পথিকৃত। জন্ম: সাংবাদিক ও ভাষাসৈনিক আনোয়ারুল হক ১৯৩৮ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা তাজউদ্দিন আহমেদ (বিএ) ব্রিটিশ আমলে কলকাতা করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। মা আমিরুন নেছা ছিলেন গৃহিণী। সাবেক ছাত্রনেতা নজমুল হক নান্নু এবং পাবনা জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক এম সাইদুল হক চুন্নু তাঁর ছোট দুই ভাই । তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক। ছেলে সুশোভন হক টুটুল পাবনার সাবেক ক্রিকেটার। শিক্ষা জীবন: আনোয়ারুল হক নিশ্চিন্তপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক…
-
আহমেদ তফিজ উদ্দিন
আহমেদ তফিজ উদ্দিন (১৯২৯-১৯৯৮) ছিলেন সাবেক প্রাদেশিক পরিষদ ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য, মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সংগঠক এবং সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক। জন্ম: আহমেদ তফিজ উদ্দিন ১৯২৯ সালে, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের তারাবাড়িয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতার নাম আব্দুল শুকুর মণ্ডল এবং মাতার নাম ভায়না খাতুন। তিনি বাবা মায়ের বেশ আদরের সন্তান ছিলেন। বাবা মায়ের আদর্শে তিনি বড় হতে থাকেন। স্ত্রী ফিরোজা বেগম (মৃত্যু: ২০২৩ খ্রি.) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ছিলেন। আহমেদ তফিজ উদ্দিন ও ফিরোজা বেগম দম্পত্তির তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। বড় ছেলে আহমেদ ফিরোজ কবির পাবনা-২ (সুজানগর-বেড়ার একাংশ) আসনের বর্তমান সংসদ…
-
মো. ফজলুল হক
মো. ফজলুল হক, পেশায় একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও রোমাঞ্চকর কাব্য রচয়িতা হিসেবে কাব্যিক জগতে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন। তাঁর লেখায় জাগতিক জগতের প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ-ব্যথা, প্রকৃতি ও সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অসঙ্গতি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তাঁর কবিতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ভাঁজপত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। জন্ম: ফজলুল হক ১৯৭০ সালের ১ আগস্ট, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের (বর্তমান ভাটপাড়া) বিশ্বাস পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মৃত ওয়াহেদ আলী বিশ্বাস এবং মাতা মোছা. শেফালী খাতুন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন ডিপ্লোমাধারী। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানীয় গ্রামের যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ ও…
-
পূর্ণিমা হক
পূর্ণিমা হক, এ সময়ের একজন জনপ্রিয় কবি হিসেবে কবিতা প্রেমিদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের বাইরেও তাঁর লেখা বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা ও অনলাইন পত্রিকায় নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। জন্ম: পূর্ণিমা হক ১৯৭৮ সালের ৫ নভেম্বর, রংপুর সদর উপজেলার পুটিমারি গ্রামের শেখ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটপাড়া গ্রামের পুত্রবধু। পারিবারিক জীবন: পিতা মৃত আতিয়ার রহমান (অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ), মাতা ফজিলাতুন্নেছা, পেশায় গৃহিণী। পাঁচ ভাইবোনের মধ্যে তিনি প্রথম। স্বামী কবি মো: ফজলুল হক, পেশায় সরকারি কর্মকর্তা। তিনি দুই কন্যা সন্তানের জননী। বড় মেয়ে রাজশাহী নিউ ডিগ্রী সরকারি কলেজ থেকে এবছর (২০২১) এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে।…