সুতা-ছেঁড়া-ঘুড়ি-৭ম-পর্ব
উপন্যাস,  তাহমিনা খাতুন,  সাহিত্য

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৭ম পর্ব)

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৭ম পর্ব) 

তাহমিনা খাতুন

তেরো.
অঘ্রান মাসের প্রায় শেষ। শীত পড়তে শুরু করেছে। কৃষকের নতুন ফসল কেটে মাড়াই করে গোলায় তোলা শেষ। মরা কার্তিকের আকালের দুর্দশা ঘুচিয়ে গরিব পরিবারগুলোতেও অভাবের মুখ-ব্যাদান করা রূপটি সাময়িক সময়ের জন্য হলেও ঢাকা পড়েছে। অবস্থাসম্পন্ন পরিবারগুলোতে নবান্নের উৎসব চলছে। গ্রামের খেজুর গাছগুলোতে ঝুলছে লাল আর কালো রঙের রসের হাঁড়ি। বাড়িতে বাড়িতে চলছে পিঠে, পুলির আয়োজন। একটা উৎসবমুখর পরিবেশ। সবার গায়েই শীতের পোশাক।

কয়েক মাস আগের ঘটনা। গ্রীষ্মের এক বিকেলে একটি ছইওয়ালা মহিষের গাড়ি নূরপুরের মধ্যপাড়ার শুকুর কাজির বাড়ির সামনের উঠানে এসে থামল। শুকুর কাজির বড়ো ছেলে ওয়াদুদ কাজি গাড়িতে শোয়া। গাড়োয়ান গাড়ি দাঁড় করাতেই দুইজন লোক গাড়ি থেকে নামলেন। পরনের পোশাকই বলে দিচ্ছে তাঁরা শিক্ষিত ভদ্রলোক। গাড়িটা বাড়ির উঠানে ঢুকতে দেখেই সবার আগে ছুটে এসেছে নুরুল ইসলামের ছেলে আতিকুল। আরও কয়েকজন দৌড়ে এল। দুই তিন জন মিলে ধরাধরি করে ওয়াদুদ কাজিকে গাড়ি থেকে নামিয়ে ঘরে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিল। বড়ো ভাইয়ের আসার খবর পেয়ে মাঠ থেকে ছুটে এসেছেন ওয়াদুদের ছোটো দুই ভাই নুরুল ইসলাম এবং মকবুল হোসেন। শুকুর কাজির বড়ো ছেলে ওয়াদুদ কোলকাতার হাইস্কুল থেকে এন্ট্রান্স পাশ করে কোলকাতার একটি স্কুলে ভূগোলের শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। পরিবার নিয়ে কোলকাতাতেই থাকেন। তিন ছেলেমেয়ে। স্ত্রী আসন্ন সন্তান সম্ভবা। একারণে কিছু দিন আগে স্ত্রীকে গ্রামে রেখে নিজ কর্মস্থলে ফিরে গেছেন।
কয়েক দিন আগে স্কুলে ক্লাস নিতে গিয়ে হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে পড়ে যান। সহকর্মীরা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরীক্ষায় মরণব্যাধি যক্ষ্মা ধরা পড়ে। ডাক্তার রোগীর ঔষধপথ্য পরিপূর্ণ বিশ্রাম এবং শুশ্রূষার উপর অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে সহকর্মীরা তাকে বাড়িতে পৌঁছে দিতে এসেছেন। মাস তিনেক ধরে এলোপ্যাথি, হোমিওপ্যাথি, কবিরাজি, ঝাড়ফুক, পানি পড়া, সবই চলল। কোনো কিছুতেই কাজ হচ্ছিল না। দিন দিন রোগীর অবস্থা খারাপ থেকে অধিকতর খারাপ হতে লাগল। ইদানীং কাশির সাথে রক্ত পড়তে শুরু করেছে।
শ্রাবণ মাসের এক সন্ধ্যা। আকাশে মেঘের ঘনঘটা। মাঝে মাঝে বিজলির চমক আর মুষলধারে বৃষ্টি হচ্ছে। হঠাৎ ওয়াদুদের প্রচণ্ড কাশি শুরু হলো। কাশির সঙ্গে গলা দিয়ে গল গল করে ফিনকি দিয়ে রক্ত পড়তে শুরু করল; সেই সঙ্গে শুরু হলো শ্বাস কষ্ট। অবস্থা এত খারাপ হয়ে পড়ল যে, পাশের গ্রামের ডাক্তার কুসুম কুমার চক্রবর্তীকে ডেকে পাঠানো হলো। ডাক্তার এসে পরীক্ষা করলেন। হাত টিপে নাড়ি দেখলেন। তার পর মাথা ঝাঁকিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। মাঝ রাতের দিকে সব জ্বালা যন্ত্রণার অবসান ঘটল। তিনটি অবোধ শিশু, আসন্ন সন্তান সম্ভবা স্ত্রী এবং একটি অনাগত সন্তানকে রেখে মাত্র একত্রিশ বছর বয়সে মারা গেলেন ওয়াদুদ।

চৌদ্দ.
নূরপুরের মধ্যপাড়ার নুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে শেষ রাত থেকেই সানাইয়ের সুর ভেসে আসছে। বাড়ির ভিতরের উঠানে খাসি, মুরগি জবাই করে বিশাল মাটির চুলা তৈরি করে বড়ো বড়ো তামার ডেকচিতে রান্না হচ্ছে বিরিয়ানি, রেজালা, ফিরনি ইত্যাদি মজাদার সব খাবার। পাশের খালি জায়গায় বড়ো বড়ো তিনটে ষাঁড় জবাই করে মাংস কাটায় ব্যস্ত কয়েকজন কসাই। দশ বারো জন নারী পেঁয়াজ-রসুন-আদার খোসা ছাড়ানোয় ব্যস্ত। কেউ কেউ শিল নোড়া দিয়ে মশলা পিষছে। শিশুরা রং-বেরঙের পোশাক পরে উৎসবে মেতে উঠেছে। তরুণ ও যুবারা রঙিন কাগজ কেটে কেটে ঝালর বানিয়ে বাইরের দিকের বড়ো উঠানটার এ মাথা থেকে ও মাথা পর্যন্ত সাজানোর জন্য মহা ব্যস্ততায় ছুটোছুটি করছে। বাড়িতে ঢোকার গেটের মুখে দেবদারু গাছের ডাল পালা দিয়ে আকর্ষণীয় এক ফটক নির্মাণ করা হয়েছে। মুরব্বি শ্রেণির কয়েকজন রান্নার জায়গায় আশেপাশে চেয়ার পেতে বসে বাবুর্চিদের রান্নার তদারকি করছেন। কেউ কেউ পান চিবোতে চিবোতে খোশগল্পে মেতে উঠেছেন।
এত বড়ো উৎসবের কারণ নুরুল ইসলামের একমাত্র পুত্র আতিকুল ইসলামের বিয়ে।
কিছু দিন আগেই এক পড়ন্ত বিকেলে শিহাব উদ্দিনের বোন লাইলি বেগম, নুরুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। সেদিনই নুরুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম শিহাব উদ্দিনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে নুরুল ইসলামের একমাত্র পুত্র আতিকুল ইসলামের বিয়ের ব্যাপারে আগ্রহের কথাটা প্রকাশ করেছিলেন। তার অল্প দিন পরেই নুরুল ইসলাম জমিলা বেগমের নিকট জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ের ব্যাপারে কথা বলে বিয়ের ব্যাপারটা চূড়ান্ত করেন। সেই সঙ্গে নুরুল ইসলাম এমন শর্ত দেন যে জান্নাতুল ফেরদৌসের বিয়ের সময় জমিলা বেগম অত্যন্ত সাদাসিধাভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। তিনি তাঁর এক মাত্র পুত্রের বিয়ের অনুষ্ঠান তাঁর সাধ্য মতো পালন করতে চান।
মাস তিনেক পরেই আতিকুল ইসলামের ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। সুতরাং পরীক্ষার পরেই বিয়ের আয়োজন করা হবে।

পনেরো.
খালেদার বাড়িতে কয়েক দিন বেড়িয়ে মেয়েকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে এল হালিমা। আবারও শুরু হলো মা মেয়ের ধরা বাঁধা দৈনন্দিন জীবন। মোমিনা প্রতিদিন সকালে পাড়ার কয়েকজন মেয়ের সাথে গ্রামের মসজিদের ইমাম সালাউদ্দিন সাহেবের নিকট আরবি পড়তে যায়। আরবি পড়ানোর বিনিময়ে ইমাম সাহেবকে কোনো সন্মানী দিতে হয় না। পাড়ার সব পরিবার মিলে ভাত রান্নার আগে এক মুঠো চাল তুলে জমিয়ে রাখে। জমানো এই চালকে স্থানীয় ভাবে বলা হয় ‘মুষ্টির চাল’। মাসের শেষে পাড়ার কোনো একজন যুবক বিভিন্ন বাড়ি থেকে ‘মুষ্টির চাল’ সংগ্রহ করে ইমাম সাহেবের নিকট পৌঁছে দেয়। একমাত্র আরবি পড়া শেখা ছাড়া শাজাহানপুরের মেয়েদের বাংলা কিংবা ইংরেজি লেখাপড়া শেখার কোনো সুযোগ নাই।

পৌষের প্রায় শেষ। উত্তরের কনকনে তীব্র ঠান্ডা বাতাস মনে হয় যেন হাড়-মজ্জা শুদ্ধ জমিয়ে দিবে। জবুথবু অবস্থা চারদিকে। প্রচণ্ড শীতের দাপটে কাঁপছে মানুষজনশ, পশু-পাখি। দুপুরের আগে সূর্যের দেখা মেলে কমই। পারতপক্ষে ঘরের বাইরে বের হতে চায় না কেউ।
হালিমা বাড়ি ফিরে আসার কয়েক দিন পরেই একদিন দুপুরের পরে একটি গোরুর গাড়ি এসে থামল হালিমার বাড়ির পিছনে। আবুল হাশেম খালেদাকে নিয়ে নামলেন গাড়ি থেকে। হঠাৎ করে বোন, ভগ্নিপতিকে আসতে দেখে খুশি হলো হালিমা।
অতিথিদের আপ্যায়ন শেষে হালিমা আবুল হাশেমের কাছে জানতে চাইল, তাঁর হঠাৎ আগমনের কারণ কী।
আবুল হাশেম বললেন,
“তোমাকে ঐ দিনই বলছিলাম, মোমিনাকে বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছ কি না। কিন্তু সেদিন তোমার মন অনেক খারাপ থাকায়, এর বেশি বলতে পারিনি। বিষয়টা নিয়ে আলাপ করার জন্যই আজ চলে এলাম।”
“জি, বলেন ভাইজান।”
“আমাদের গ্রাম থেকে কয়েক মাইল দূরের গ্রাম নূরপুর। নূরপুরের শিহাব উদ্দিন ভাই আমার বড়ো ভাইয়ের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের জীবনটা অনেক দুঃখের। অনেক বছর আগে নূরপুরে গুটি বসন্তের প্রাদুর্ভাব হয়েছিল। গুটি বসন্তের সেই সর্বনাশা ছোবলে শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের স্ত্রী তিনটি শিশুকে রেখে মাত্র তিন দিনের মধ্যে মারা যান। বিধাতার কি নিষ্ঠুর পরিহাস! স্ত্রী মারা যাওয়ার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই তিন নাবালক শিশুকে অকূলে ভাসিয়ে শিহাব উদ্দিন ভাইও দুনিয়া থেকে চিরবিদায় নেন। এই তিন নাবালক শিশুকে স্নেহে-যত্নে বড়ো করেছেন শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের বড়ো বোন এবং খালা। শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের বড়ো ছেলেটা গোপালপুর মাদ্রাসা থেকে ফাজিল পাশ করে গোপালপুর মাদ্রাসাতেই আরবি শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছে। আবার নূরপুর মসজিদের ইমাম হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছে।
নূরপুরের মধ্যপাড়ার কয়েকজন নারী আরবি, উর্দু এবং ফারসি ভাষায় শিক্ষিত। এর মধ্যে শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের বড়ো বোন লাইলি বেগম এবং খালা জমিলা বিবি-দুজনই অত্যন্ত শিক্ষিত এবং উদার মনা। ফুফু আর দাদির নিকট থেকে শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের তিনটা ছেলে মেয়েই উর্দু, ফারসি এবং আরবি শিখেছে!
শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের একমাত্র মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস। নূরপুরের মধ্যপাড়ার সম্ভ্রান্ত কাজি পরিবারের মেজো ছেলে সমাজ হিতৈষী নুরুল ইসলাম ভাইয়ের একমাত্র ছেলে আতিকুল ইসলাম। কিছু দিন আগে শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের বড়ো বোন লাইলি বেগম আর খালা জমিলা বিবি উদ্যোগী হয়ে জান্নাতুল ফেরদৌসকে আতিকুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছেন। কিছুদিন ধরে বড়ো ছেলে হাবিবুর রহমানকে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্রীর খোঁজ করছেন; ওনার বড়ো বোন আর খালা। হাবিবুর রহমান ব্যবসা করে। একই সাথে গোপালপুর জামে মসজিদের ইমাম হিসাবেও নিয়োগ পেয়েছে। এমন কর্মঠ ছেলে কমই দেখা যায়।
তোমরা যখন আমার বাড়িতে গিয়েছিলে, আমার বড়ো ভাইয়ের মেয়ে রেহানার সঙ্গে মোমিনা আমাদের পাড়ার ফয়েজ মোল্লার বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। ফয়েজ মোল্লার মেয়ে কুলসুম রেহানার সই। ফয়েজ মোল্লার ছেলে কবির হাবিবুর রহমানের দোস্ত। হাবিবুর রহমান সেদিন কাকতালীয় ভাবে ফয়েজ মোল্লার বাড়িতে কবিরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিল এবং রেহানার সঙ্গে মোমিনাকে দেখে কবিরের কাছে মোমিনার ব্যাপারে জানতে চেয়েছিল। আর মোমিনাতো বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যেমন সুন্দর হচ্ছে, যে কারও চোখে পড়বে!
বড়ো ভাই তো জয়নাল ভাইয়ের দুঃখজনক অকাল মৃত্যুর কথা, জয়নাল ভাই মারা যাওয়ার পরে চারদিক থেকে তোমাকে যে বিপদ মোকাবিলা করতে হয়েছে, সে সবই জানেন। কিছু দিন আগে আমার বড়ো ভাই আমাকে মোমিনার কথা জিজ্ঞেস করেছিলেন। মোমিনা কত বড়ো হয়েছে, তুমি ওকে বিয়ে দেওয়ার কথা ভাবছ কি না, জানতে চেয়েছিলেন। আমি তোমার সাথে কথা বলে ওনাকে জানাব বলেছি।”
“ভাই জান, আপনি তো আমার অবস্থা সবই জানেন। মোমিনার বাবার তো জমি-জমা কম ছিল না। দুর্ভাগ্য লোকটার এবং আমার ও। নইলে আমার মায়ের পেটের আপন বড়ো ভাই এত বড়ো বিশ্বাসঘাতকতা, এত বড়ো জালিয়াতি করবে, তা তো কোনো দিন স্বপ্নেও ভাবি নাই। আমার ভাইয়ের বিশ্বাসঘাতকতার জন্য লোকটা অকালে দুনিয়া থেকেই চিরবিদায় নিল, আমার মেয়েটা বাপ হারা হলো, আমার ননদের নির্বুদ্ধিতার কারণে তার অনেক জমি জালিয়াত মোবারক প্রামাণিক আত্মসাৎ করার সুযোগ পেয়েছে। আমার ভাইয়ের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে মোমিনার বাবা তার বাকি সম্পত্তির বেশিরভাগ মেয়ের নামে লিখে দিয়ে গেছে। আমার ইচ্ছে এবং জীবনের একমাত্র স্বপ্ন মেয়েটাকে একটা সৎ পাত্রের হাতে তুলে দিয়ে নিশ্চিন্ত হওয়া। যাতে আমার হবু জামাই আমার দুখি মেয়েটাকে যত্নে রাখে আর তার বাপের রেখে যাওয়া বাকি সম্পত্তির তত্ত্ব তালাশ করতে পারে।”
আবুল হাশেম বললেন,
“এ ব্যাপারে তুমি একদম নিশ্চিন্ত থাকতে পারো। শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের ছেলে-মেয়েগুলোকে দুই বিদুষী নারী মানুষ করেছেন। সবগুণেই তারা গুণান্বিত! আমার বড়ো ভাই তো মোমিনাকে নিজ চোখেই দেখেছেন। উনিই আগ্রহ করে নুরুল ইসলাম ভাইকে মোমিনার সঙ্গে হাবিবুর রহমানের বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছেন। আর এ জন্যই আমার হঠাৎ আসা। এখন তুমি রাজি থাকলে আমি প্রস্তাবটা নিয়ে অগ্রসর হতে পারি।”
হালিমা বলল,
“আমার বাপ-হারা দুখি মেয়েটার ভাগ্য আল্লাহর হাতে সঁপে দিয়েছি। তিনি যা ভালো মনে করবেন, তাই করবেন।”

আরও পড়ুন সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি-   
১ম পর্ব
২য় পর্ব 
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
৫ম পর্ব
৬ষ্ঠ পর্ব
৮ম পর্ব
৯ম পর্ব
১০ম পর্ব
১১তম পর্ব
শেষ পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও  ইউটিউব চ্যানেলে

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৭ম পর্ব)

Facebook Comments Box

তাহমিনা খাতুন একজন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব। তিনি ছড়া, কবিতা, গল্প, ভ্রমণকাহিনি এবং নারীর অধিকার নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। তার পেশাগত জীবনে তিনি নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করতেন। তাহমিনা খাতুন ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে এই গ্রামেই।

error: Content is protected !!