উপন্যাস,  তাহমিনা খাতুন,  সাহিত্য

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৪র্থ পর্ব)

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৪র্থ পর্ব)

তাহমিনা খাতুন

ছয়.
চৈত্র মাসের শেষ। দুই মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। ভোর হতেই লাল সূর্য যেন চারদিক পুড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে হাজির হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অঙ্গীকার পূরণ করে চলে। প্রচণ্ড রোদের তাপ চারদিক ঝলসে দেয়।
আরও একটা তাপদগ্ধ দিনের অবসানের পর সন্ধ্যার স্নিগ্ধ আগমন ঘটেছে। আকাশের এক কোণে শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদ মুখে এক রাশ উজ্জ্বল হাসি নিয়ে যেন পরম মমতায় পৃথিবীর দিকে অপলকে চেয়ে আছে। রুপোলি জোছনায় ভেসে যাচ্ছে চারদিক। সে হাসি যেন ছড়িয়ে পড়েছে নারকেল গাছের পাতায় পাতায়।
সন্ধ্যার পর মৃদু বাতাস বইতে শুরু করেছে। পূবের এই শীতল বাতাস নূরপুরের হাঁসফাঁস করা মানুষজনের প্রাণে একটুখানি শান্তির পরশ বুলিয়ে দিচ্ছে। চাঁদের আলোয় উঠানে খেজুর পাতার পাটি বিছিয়ে শিহাব উদ্দিনের বড়ো ছেলে হাবিবুর রহমান সুরেলা গলায় গাজী কালু চম্পাবতীর পুঁথি পড়ছে। হাবিবকে ঘিরে মুগ্ধ হয়ে পুঁথি পড়া শুনছে নূরপুরের কয়েকজন ছেলে আর বুড়ো জোয়ান। প্রায় প্রতি শুক্রবারই এ দৃশ্য চোখে পড়ে।
শিহাব উদ্দিন মারা যাওয়ার পর তার অসহায় তিন এতিম শিশুকে লালনপালন করার জন্য নিজেদের বাড়িতে নিয়ে এসেছেন শিহাব উদ্দিনের বড়ো বোন লাইলি বেগম আর সেজো খালা জমিলা বিবি। দয়াবতী আর বিদুষী এই দুই মহীয়সী নারীর স্নেহ-মমতায় শিক্ষাদীক্ষায় মানবিক গুণাবলিসম্পন্ন মানুষ হিসেবে বড়ো হচ্ছে তিন ভাইবোন। শিহাব উদ্দিনের দুই ছেলে তাদের পিতার মতোই গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির লেখাপড়া শেষ করে গোপালপুর মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছে। শিহাব উদ্দিনের মেয়ে জমিলা বিবির নিকটে আরবি-ফারসি শিখছে।

আরও পড়ুন  বিষফুল

বড়ো ছেলে হাবিবুর রহমান, মাত্র চৌদ্দ বছর বয়সেই বাংলা, আরবি, ফারসি আর উর্দু ভাষা আয়ত্ত করে ফেলেছে। লেখাপড়ায় প্রচণ্ড আগ্রহ হাবিবের। সময় পেলেই হাবিবকে দেখা যায় কোনো না কোনো বইয়ের মধ্যে ডুবে আছে। এই বয়সেই আরব্য উপন্যাস, পারস্য উপন্যাস শেষ করে ফেলেছে। অসম্ভব তীক্ষ্ণ স্মৃতিশক্তি হাবিবের। গ্রামের অনেকেই সারাদিনের কর্ম ব্যস্ততা শেষে তার কাছে গল্প শোনার জন্য হাজির হয়। দেখা যায়, গভীর রাত পর্যন্ত হাবিব গ্রামের লোকজনকে আরব্য অথবা পারস্য উপন্যাসের গল্পগুলো অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে মুখস্থ বলে চলেছে। লেখাপড়া শেষে গৃহস্থালির কাজে বড়ো ফুফু আর দাদিকে সহযোগিতা করাও হাবিবের একটা প্রিয় শখ। অবসর সময়ে গাছ লাগানো, বাগান করা, বিভিন্ন ধরনের খাঁচা তৈরি করে ময়না নদী অথবা কড়ই খালি বিলে মাছ ধরে হাবিব আর ফজলু, বড়ো ফুফু আর দাদিকে যতটা পারে সাহায্য করার চেষ্টা করে।
শিহাব উদ্দিনের মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস দশ বছর পূর্ণ করে এগারো বছরে পা দিয়েছে। এরই মধ্যে পবিত্র কোরআন পড়তে শুরু করেছে দাদির কাছে। সন্ধ্যার পরে লাইলি বেগম জান্নাতুল ফেরদৌসকে ডেকে বললেন,
“কই রে জান্নাত, আমাকে এক খিলি পান দে নারে মা। কাজি বাড়ি থেকে একটু ঘুরে আসি। অনেক দিন ও বাড়ি যাওয়া হয় না।”
জান্নাতুল ফেরদৌস যত্ন করে পানের খিলি বানিয়ে ফুফুর হাতে দিল। জমিলা বেগম জান্নাতুলকে মুগ্ধ চোখে দেখলেন খানিকক্ষণ। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এত সুন্দর হয়ে উঠছে মেয়েটা, ঠিক ওর মায়ের মতোই! যেমন দুধে আলতা গায়ের রঙ, বড়ো বড়ো টানা আয়ত চোখ, ঘন ঝাঁকড়া কালো চুলের রাশি কোমর ছাড়িয়ে প্রায় হাঁটুর নিচ অবধি নেমে এসেছে। জান্নাতকে দেখার সঙ্গে সঙ্গে আরও একটা ভাবনা উঁকি দিল মনে। ভাবলেন, মেয়েটা বড়ো হয়ে উঠছে। ওকে বিয়ে দিতে হবে। এখন থেকেই যোগ্য একটা পাত্রের সন্ধান করাটা জরুরি।

আরও পড়ুন সাদা কাগজে প্রেম

কাজি বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পিছনে একটা চিন্তা মাথায় কাজ করেছে। তা হলো নুরুল ইসলামের ছেলে আতিকুল ইসলামকে মনে মনে জান্নাতুল ফেরদৌসের পাত্র হিসাবে ভেবেছেন। আশা করে আছেন, নুরুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম নিজে থেকেই কথাটা পাড়বেন।
পানের খিলিটা মুখে পুরে আলনা থেকে বোরখাটা টেনে নিয়ে কাজি বাড়ির দিকে পা বাড়ালেন লাইলি বেগম।

সাত.
“মা, এবার ঈদে কিন্তু আমাকে লাল রঙের জামা কিনে দিতে হবে।”
“না মা, এবারের ঈদে কিনে দিতে পারব না। কোরবানির ঈদে কিনে দেব।”
“কেন মা, কেন কিনে দিতে পারবে না? কাল হাট থেকে শিউলির বাবা শিউলির জন্য কি সুন্দর লাল টুকটুকে একটা জামা কিনে এনেছে! শিউলি নাকি ঈদের দিন লাল জামাটা পড়ে ওর বাবার সাথে ঈদের মাঠে যাবে।”
পরক্ষণেই জিজ্ঞেস করে,
“আচ্ছা মা, আমার বাবা কোথায়? কবে আসবে? শিউলির বাবা আছে, রানির বাবা আছে, হাসানের বাবা আছে। ওদের বাবা হাট থেকে পেয়ারা, কলা, বিস্কুট কত কি নিয়ে আসে! আমার বাবা কেন আমার জন্য কিছু নিয়ে আসে না?”
তিন বছরের মোমিনার প্রশ্নের কি উত্তর দেবে। অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে আঁচলে চোখ মোছে হালিমা।
দুই বছর হয়ে গেল, জয়নাল মারা গেছে। মাত্র পনের বছর বয়সী হালিমার জীবনের উপর দিয়ে প্রচণ্ড এক কালবৈশাখী ঝড় বয়ে গেছে।
জয়নাল মারা যাওয়ার পর জবা কুসুম একবার এসে শুধু মৃত ভাইকে দেখে গেছে। হালিমার সাথে কোনো কথা বলে নাই। জবা কুসুমের স্বামী জালাল মিয়া, প্রতিবেশী হাতেম আলি ও অন্যদের সহায়তায় জয়নালকে কবরের শেষ বিছানায় শুইয়ে রেখে এসেছে। দরিদ্র প্রতিবেশীরা নিজেদের সাধ্য মতো হালিমার খোঁজ খবর নিয়েছে। হাতেম আলির স্ত্রী জোর করে একটু খাবার খাইয়ে গেছে। সারারাত ধরে কেঁদে কেঁদে শিশু কন্যাকে বুকে জড়িয়ে রাত পার করেছে সে।

আরও পড়ুন হাইয়া আলাল ফালাহ

ভোরের দিকে একটু তন্দ্রা মতো এসেছে হালিমার। হঠাৎ দরজায় সশব্দ করাঘাত শুনে দৌড়ে দরজা খুলে দেখে, দুই হাত কোমরে দিয়ে রণ-রঙিনী মূর্তিতে জবা কুসুম দাঁড়িয়ে আছে। একটু অবাক হয়ে হালিমা জিজ্ঞেস করল,
“কি হয়েছে বু জান?”
জবা কুসুম হালিমার প্রশ্নের জবাব না দিয়ে দরজা ঠেলে ভিতরে ঢুকল। হালিমার কোমড়ে গোঁজা চাবির গোছাটা জোর করে কেড়ে নিল! ঘরের কোণে রাখা লোহার সিন্দুকের তালা খুলে জমির দলিলপত্র বের করে নিল। সাথে মুখ খিস্তি করতে করতে বলতে লাগল,
“আরে আবাগীর বেটি, তোর কোমরে আমার ভাইয়ের সংসারের চাবির গোছা থাকবে কেন? তুই কে? অলক্ষুণে অপয়া কোথাকার। এ বাড়িতে পা দেওয়ার সাথে সাথে আমার বাপকে খেয়েছিস। তিন বছর পার না হতেই আমার ভাইকে খেয়েছিস। তোর ভাই আমার ভাইয়ের চিকিৎসার নাম করে জালিয়াতি করে আমার ভাইয়ের সম্পত্তি নিজের নামে দলিল করে নিয়েছে। তুই এই মুহূর্তে আমার ভাইয়ের বাড়ি থেকে বের হয়ে যা। না হলে আমার ভাইয়ের বাচ্চাকে রেখে গলা ধাক্কা দিয়ে রাস্তায় বের করে দেব তোকে। আমি এখন মোবারক মিয়ার কাছে যাচ্ছি। জয়নালের জমির দলিলপত্র তোর কাছে থাকা বিপজ্জনক। এ সব দলিল গ্রামের প্রধানের কাছেই থাকবে এখন থেকে।”
বলতে বলতে ঝড়ের বেগে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল জবা কুসুম। ঘরের চাবির গোছা জবা কুসুমের কোমরে।
সদ্য স্বামী হারানো হালিমা বড়ো ননদের এমন আচরণে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ল। কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না।
জবা কুসুমের চিৎকার চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে গেছে মোমিনার। ফুফুর রণ-রঙিনী মূর্তি দেখে ভয়ে কাঁদতে শুরু করেছে। ছুটে গিয়ে বাচ্চাকে কোলে তুলে বুকে জড়িয়ে ধরল হালিমা।
জবা কুসুম বেরিয়ে যেতেই বাচ্চাকে নিয়ে দৌড়ে গেল হাতেম আলির বাড়িতে। হাতেম আলি সবে সকালের নাশতা খেতে বসেছেন। হাতেম আলিকে জবা কুসুমের আচরণ খুলে বলল সব।
হাতেম আলি বললেন,
“ঠিক আছে। তুমি এখন ঘরে যাও। আমি নাশতা শেষ করেই আসছি। তুমি কোনো চিন্তা করো না।”

আরও পড়ুন ওরা তেরোজন

হালিমা ঘরে ফেরার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফিরে এল জবা কুসুম। ঘরে ঢুকেই বলল,
“কি রে অপয়ার বেটি, তুই এখনও বের হোস নাই? দে, আমার ভাইয়ের বাচ্চাকে দে।”
বলেই মোমিনাকে জোর করে হালিমার কোল থেকে কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করল!
ঘটনার আকস্মিকতায় প্রথমে হকচকিয়ে গেলেও পরমুহূর্তেই হালিমা সামলে নিল নিজেকে। শক্ত হয়ে ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল,
“এটা আমার স্বামীর ঘর। আপনি আমাকে এ বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারেন না। আমার জীবন থাকতে দুনিয়ায় এমন কোনো শক্তি নাই যে, আমার স্বামীরভিটা থেকে আমাকে বের করে দিতে পারে, আমার মেয়েকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে। আপনি এই মুহূর্তে আমার চাবির গোছা ফিরিয়ে দিন, না-হলে আমি আশেপাশের সবাইকে ডেকে আনব। আমি আপনার চেয়ে বয়সে অনেক ছোটো, তাই বলে আমাকে এতটা দুর্বল ভাবলে ভুল করবেন।”
হইচই শুনে এর মধ্যেই আশেপাশের বাড়ির কয়েকজন ছুটে এসেছে। বয়োজ্যেষ্ঠ হাতেম আলি এগিয়ে এলেন। জবা কুসুমকে ডেকে বললেন, “শোন কুসুম, তুমি কি মানুষ নাকি অন্য কিছু? তোমার মধ্যে কি কোনো দয়ামায়া নাই? বাচ্চা একটা মেয়ে। এক বছরের বেশি সময় ধরে অসুস্থ জয়নালকে বাঁচানোর জন্য যুদ্ধ করে যাচ্ছিল। পারল না। মাত্র গতকালই জয়নাল মারা গেছে। এর মধ্যেই তুমি তার স্ত্রী আর সন্তানের সঙ্গে এমন আচরণ কীভাবে করতে পারছে? তুমি তার চাবির গোছা এক্ষুনি ফিরিয়ে দাও, না-হলে আমি জোর করে চাবির গোছা কেড়ে নিয়ে হালিমাকে দেব। তুমি এ সব কার পরামর্শে করছ? জালাল মিয়া তো একজন ভদ্রলোক। উনি নিশ্চয়ই তোমাকে এমন পরামর্শ দেন নাই। জয়নালের স্ত্রীকে চাবির গোছা ফেরত না-দিলে আমি এখনি জালাল মিয়াকে জানাতে চললাম। তার কাছে শুনি, সে এ ব্যাপারে কি বলে।”

আরও পড়ুন অন্তর্জাল ও মৃত্যু

জবা কুসুম বেয়াড়াভাবে তেড়ে উঠল,
“আপনি কে? আমার ভাইয়ের সংসারের ব্যাপারে কথা বলার জন্য তো আপনাকে ডাকা হয় নাই। আমার ভাইয়ের বউয়ের সাথে আমার বোঝাপড়া হবে। আপনাকে এখানে নাক গলাতে হবে না।”
হাতেম আলি জবাব দিলেন,
“আমি কেউ না। তাই বলে একটা অন্যায় দেখে চুপ করে থাকার মানুষ আমি নই। তুমি যদি জয়নালের স্ত্রীর চাবি এখনই ফেরত না-দাও, তা হলে আমি এখনই জালাল মিয়ার কাছে যাচ্ছি।”
এ কথা বলে হাতেম আলি উপস্থিত আরও দুই একজনকে হালিমার পাশে থাকার কথা বলে ঘরের বাইরে পা বাড়ালেন।
অবস্থা বেগতিক দেখে জবা কুসুম আর বাড়াবাড়ি না-করে হাতের চাবির গোছা হালিমার দিকে ছুঁড়ে দিয়ে গটগট করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
বিপদের এখানেই শেষ হলো না। তিনদিন নিরুপদ্রবে কাটল। জয়নাল মারা যাওয়ার তিনদিন পরে সন্ধ্যার খানিকক্ষণ পরে মেয়েকে খাইয়ে ঘুম পাড়ানোর চেষ্টা করছে হালিমা। সেই সময় উগ্রমূর্তি ধারণ করে আবার হাজির হলো জবা কুসুম। জবা কুসুমের পিছনে ধুরন্ধর মোবারক! ঝড়ের বেগে ঘরে ঢুকল জবা কুসুম। এক ঝটকায় হালিমার কোল থেকে মোমিনাকে কেড়ে নিল। হালিমার হাত ধরে টেনে ঘর থেকে বের করে ধাক্কা মেরে বাইরে বের করে দিল। নিজের হাতে ধরা কাপড়ের থলে থেকে একটা তালা বের করে মোবারকের হাতে দিয়ে ইশারা করল ঘরের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিতে। কুচক্রী মোবারকের সাথে যোগ দিয়েছে গ্রামের ফজর আলি, ফরিদ আলি আর জিন্নাত মিয়া। জবা কুসুমের ইশারায় মোবারক প্রামাণিক হালিমার ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দিল এবং জবা কুসুম ক্রন্দনরত মোমিনাকে কোলে নিয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল। মাত্র এক বছর বয়সের দুধের শিশু। কিছুক্ষণ কান্নাকাটি করে ফুফুর কোলে ঘুমিয়ে পড়ল।

আরও পড়ুন সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি-   
১ম পর্ব
২য় পর্ব 
৩য় পর্ব
৫ম পর্ব
৬ষ্ঠ পর্ব
৭ম পর্ব
৮ম পর্ব
৯ম পর্ব
১০ম পর্ব
১১তম পর্ব
শেষ পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও  ইউটিউব চ্যানেলে

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৪র্থ পর্ব)

Facebook Comments Box

তাহমিনা খাতুন একজন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব। তিনি ছড়া, কবিতা, গল্প, ভ্রমণকাহিনি এবং নারীর অধিকার নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। তার পেশাগত জীবনে তিনি নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করতেন। তাহমিনা খাতুন ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে এই গ্রামেই।

error: Content is protected !!