মো. ফজলুল হক
মো. ফজলুল হক, পেশায় একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়েও রোমাঞ্চকর কাব্য রচয়িতা হিসেবে কাব্যিক জগতে নিজের অবস্থান সুদৃঢ় করেছেন। তাঁর লেখায় জাগতিক জগতের প্রেম-ভালোবাসা, বিরহ-ব্যথা, প্রকৃতি ও সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অসঙ্গতি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। তাঁর কবিতা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, অনলাইন পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ভাঁজপত্রসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে।
জন্ম: ফজলুল হক ১৯৭০ সালের ১ আগস্ট, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের হরিরামপুর গ্রামের (বর্তমান ভাটপাড়া) বিশ্বাস পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।
পারিবারিক জীবন: পিতা মৃত ওয়াহেদ আলী বিশ্বাস এবং মাতা মোছা. শেফালী খাতুন। তাঁর পিতা ছিলেন একজন ডিপ্লোমাধারী। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় স্থানীয় গ্রামের যুবকদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধ ও প্রশিক্ষণে এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সার্বিক সহযোগিতায় বিশেষ ভূমিকা পালন করেন এবং জীবনের অনেকটা সময় তিনি সন্তানদের লেখাপড়ার জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন ক্রীড়া অনুরাগী একজন সদালাপী হাসিখুশি মানুষ। মাতা ছিলেন গৃহিণী। বাবা-মায়ের সাত সন্তানের মধ্যে লেখক দ্বিতীয়।
স্ত্রী কবি পূর্ণিমা হক। তাদের সংসারে দুই মেয়ে।
প্রাথমিক জীবন: পদ্মা নদী বিধৌত পলি ও বালি মাটির সান্নিধ্য তার জীবনের অপার স্মৃতি জড়িয়ে আছে। পদ্মার পাড় ঘেঁষে বিস্তৃত গ্রামেই দুরন্তপনায় কেটেছে শৈশব কৈশোর। তিনি দেখেছেন নদীর উন্মত্ততা ও আগ্রাসী থাবা! নদীর জলে ছিলো তার অবাধ্য সাঁতার। গ্রামের সবুজাভ প্রকৃতি, মেঠোপথ, নদী, উৎসব, নির্মল আকাশ ও মানুষে মানুষে সখ্য কবিকে বিমোহিত করেছিলো, যা পরবর্তী জীবনে কবিতা লেখার পথকে বেগবান করেছে নিঃসন্দেহে।
আরও পড়ুন কবি, কথাসাহিত্যিক ও গবেষক বিমল কুণ্ডু
শিক্ষা জীবন:ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে কৃতিত্বের সাথে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত করে ১৯৮১ সালে সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র হিসেবে সাতবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় হতে ১৯৮৫ সালে এসএসসি এবং সাতবাড়িয়া কলেজ হতে ১৯৮৭ সালে এইচএসসি প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। অতঃপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ঢাকা কলেজ হতে দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হতে দ্বিতীয় শ্রেণিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন।
কর্ম জীবন: মো. ফজলুল হক পরপর দুটো সরকারি চাকুরি ছেড়ে, তৃতীয় সরকারি চাকুরি হিসেবে ১৯৯৯ সালে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। এখন নওগাঁ জেলায় কর্মরত আছেন।
আরও পড়ুন কবি ও গল্পকার খলিফা আশরাফ
শখ: গান শোনা, ভ্রমণ করা, বই পড়া, কবিতা লেখা ও খেলাধুলা।
পুরস্কার ও সম্মাননা: সঞ্চালক ও ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে সম্মাননা স্মারক,লিখিয়ে সাহিত্য পরিষদ হতে পাণ্ডুলিপি পুরস্কার, বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন হতে সাপ্তাহিক সেরা কবিতার স্বীকৃতি এবং কর্মজীবনে দক্ষ কর্মকর্তার পুরস্কার অর্জন করেছেন।
লেখালেখি ও প্রকাশিত কবিতা: কর্মজীবনে প্রবেশ করার পর থেকেই মূলত লেখালেখি শুরু। ২০১২ সাল থেকে নিয়মিত পত্রিকায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন ম্যাগাজিনে আনুষ্ঠানিকভাবে লেখা প্রকাশ হতে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাঁর সহধর্মিণীর অনুপ্রেরণা উল্লেখযোগ্য। তাঁর প্রকাশিত কবিতার সংখ্যা প্রায় ৪০০। তবে গ্রন্থ আকারে প্রকাশ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
স্বপ্ন: নিজেকে মানুষ ভাবতে গেলে যেসব অযোগ্যতা সামনে এসে দাঁড়ায়, তা দূর করে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা।
ঘুরে আসুন আমাদের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে