• সুতা-ছেঁড়া-ঘুড়ি-শেষ-পর্ব
    উপন্যাস,  তাহমিনা খাতুন,  সাহিত্য

    সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (শেষ পর্ব)

    সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (শেষ পর্ব) তাহমিনা খাতুন   চৌব্বিশ. দেখতে দেখতে কতগুলো বছর পার হয়ে গেছে। হাবিবুর, মোমিনা দুজনেরই বয়স বেড়েছে। ছেলে-মেয়েরা লেখাপড়া শিখে সবাই জীবনে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। তবুও হাবিবুর রহমান এখনো পুরোপুরি অবসরে যাননি। গ্রামের মসজিদে ইমামতি, সংসারের টুকটাক কাজ কর্ম, বাড়ির সঙ্গে লাগোয়া জমিতে শাক-সবজি লাগানো ইত্যাদি করে সময় কাটান। আষাঢ় মাস। আকাশ কালো করে অঝোরে বৃষ্টি নেমেছে। নূরপুরের মসজিদ থেকে আজানের ধ্বনি ভেসে আসছে। হাবিবুর রহমান একটা ছাতা নিয়ে অনেকক্ষণ আগেই মাগরিবের নামাজের ইমামতি করার জন্য মসজিদে চলে গেছেন। মাগরিবের নামাজের ইমামতি শেষ করে হাবিবুর রহমান সাধারণত এশার নামাজের সময় হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন এবং একেবারে এশার…

  • উপন্যাস,  তাহমিনা খাতুন,  সাহিত্য

    সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৪র্থ পর্ব)

    সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৪র্থ পর্ব) তাহমিনা খাতুন ছয়. চৈত্র মাসের শেষ। দুই মাস ধরে বৃষ্টির দেখা নেই। ভোর হতেই লাল সূর্য যেন চারদিক পুড়িয়ে দেওয়ার অঙ্গীকার নিয়ে হাজির হয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে অঙ্গীকার পূরণ করে চলে। প্রচণ্ড রোদের তাপ চারদিক ঝলসে দেয়। আরও একটা তাপদগ্ধ দিনের অবসানের পর সন্ধ্যার স্নিগ্ধ আগমন ঘটেছে। আকাশের এক কোণে শুক্লা দ্বাদশীর চাঁদ মুখে এক রাশ উজ্জ্বল হাসি নিয়ে যেন পরম মমতায় পৃথিবীর দিকে অপলকে চেয়ে আছে। রুপোলি জোছনায় ভেসে যাচ্ছে চারদিক। সে হাসি যেন ছড়িয়ে পড়েছে নারকেল গাছের পাতায় পাতায়। সন্ধ্যার পর মৃদু বাতাস বইতে শুরু করেছে। পূবের এই শীতল বাতাস নূরপুরের হাঁসফাঁস…

error: Content is protected !!