-
দ্বিধা, অপেক্ষা, ঘ্রাণ, গন্তব্য
দ্বিধা রিঙকু অনিমিখ এতো যে দ্বিধা কেন তবে রুমালে গেঁথেছো লাল সূর্য— নীলের নেপথ্যে সুইয়ের ডুব-সাঁতার—নিপুণ হাতের ঢেউ ঢেউয়ের চাতুর্য—কী এক রহস্য আঁকো অবিরত ! রুমালে রক্তের বিভ্রম। যতবার গেঁথেছো ফুটো বুকের পাজরে নীল বিন্দু; এতো যে বেদনার ভার নীরবে লুকিয়ে—কার দ্বিধা ভেঙে কামিজের ভাঁজে সাজাও গোপন উত্তাপ! আরও পড়ুন কবি রিঙকু অনিমিখের কবিতা- প্রচ্ছন্ন কুয়াশার দিন বটগাছ নিরবে বাড়ে অপেক্ষা মেঘের উৎস তবে নদী ধরা যাক, নীলিমার চোখে জল মেঘের শরীর থেকে উড়ে গেলো অন্ধকার এবং হিম হিম আর্দ্রতা নদীর আরশিতে কম্পন – ক্রমাগত নরম ত্রিশূল… বিদ্ধ জমাট ত্রিশূলে জল আজ জলকেলি জলের উঠোনে ফুলে ফেঁপে একাকার…
-
শোকবার্তা, নগর সংস্করণ, আলোর বর্জ্যে মুদ্রিত সন্ধ্যা, বটগাছ নিরবে বাড়ে
শোকবার্তা রিঙকু অনিমিখ বিষাদের দ্বি-প্রহর; এ জাগতিক পূর্ণ সূর্য অর্জুনের দীক্ষা ভেঙে পূরণ করেছো ফাঁকি ভরেছো কলার ভাঁড়ার। ও আরাধ্যজন— স্বারাধনায় করেছো জয় তপ্ত সিংহাসন বাতাসের নম্রতা নিয়ে অনুকম্পা মেঘ পুজোর ভাষ্যে করে গুণকীর্তন—বজ্র-সংলাপে পরম আনুগত্যে, স্তুতিবাক্যে হাসে স্মিতা বিষাদ ছড়াও তুমি বিষাদের পিতা…. হেমন্তভোরে রৌদ্রের পায়ে পায়ে ঘাসের ডগায় মৃত্যুর মতো শোক জমা হয়; প্রতিটি ঘাসের চূড়ায় জ্বলে ওঠে একটি দুটি অসংখ্য চিতা বিষাদ ছড়াও তুমি বিষাদের পিতা….. আরও পড়ুন কবি রিঙকু অনিমিখের কবিতা- ত্রিমোহনী অপেক্ষা নগরসংস্করণ পোড়া মাংসের ঘ্রাণ জানিয়ে দিচ্ছে শ্মশানের নিকটতর খবর শহরের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ছে এ সংক্রান্ত গুঞ্জন তবু…
-
প্রচ্ছন্ন কুয়াশার দিন, ত্রিমোহনী, আমাদের ছোট নদী, পতঙ্গ, সহজ সমীকরণ
প্রচ্ছন্ন কুয়াশার দিন রিঙকু অনিমিখ সমুদ্রের দুঃখ তুমি কী আর বুঝবে যখন তার সমস্ত শরীরজুড়ে অশ্রুর স্বাদ! সমুদ্রের দুঃখ বুঝতে হলে আপাদমস্তক নেমে যেতে হয় তার সমস্ত জলে যদি নামো যদি তুলে ধরো খোলা চোখ অবারিত জলে তবে তুমিও লবণে প্রতারিত জেনে রেখো তোমারই চোখের অজুহাতে সমুদ্র কাঁদে আরও পড়ুন কবি রিঙকু অনিমিখের কবিতা- শোকবার্তা দ্বিধা ত্রিমোহনী বাংলাদেশ লাল টিপটি পরার আগে কিছুটা সবুজ মেখে নিও, আজকের সূর্য না হয় উঠলো তোমার কপালেই মুক্তিযুদ্ধ ন্যুনতম মানুষের খুনতম প্রতিবাদ টিয়া বাঙলাদেশের উড়ন্ত পতাকা আমাদের ছোট নদী আমাদের ছোট নদীগুলো বড় বড় ব্রিজের নীচে লুকিয়ে থাকে বালু ফোটে, বালু…
-
রিঙকু অনিমিখ
রিঙকু অনিমিখ একজন কবি ও চারুশিল্পী হিসেবে সমধিক পরিচিত। জন্ম: রিঙকু অনিমিখ ১৯৮২ সালের ৫ এপ্রিল, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মিয়াপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এটি তাঁর পৈতৃক বাড়ি। পারিবারিক জীবন: পিতা মৃত সৈয়দ আব্দুস সাত্তার ও মাতা সৈয়দা রওশনারা সাত্তার। পিতা ছিলেন একজন সরকারি চাকরিজীবী এবং মা গৃহিণী। চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি তৃতীয়। শিক্ষাজীবন: স্কুল কলেজ পাবনাতেই। বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে ঢাকায়। চারুকলায় ‘ড্রয়িং এন্ড পেইন্টিংয়ে স্নাতকোত্তর। কর্মজীবন: বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা চলাকালীন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্সসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় চাকরির মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। বছর তিনেক আগে একটি নিউজ মিডিয়ার প্রধান নির্বাহীর পদ থেকে ইস্তফা দেয়ার মধ্য দিয়ে চাকরি থেকে…