-
টেরাকোটা আর্মি
টেরাকোটা আর্মি: মাটির নিচে এক দুর্ধর্ষ বাহিনী ইমরুল কায়েস উইচ্যাটে সিএপিপিসি (চায়না এশিয়া-প্যাসিফিক প্রেস সেন্টার) নামে একটা গ্রুপ আছে। এটি খুলেছে আয়োজকরা। গ্রুপে সপ্তাহের কার্যক্রম জানিয়ে দেয়া হয়। এই গ্রুপে জানানো হল ২২ জুন একটা ভার্চুয়াল ভিজিট আছে। টেরাকোটা ওয়ারিওর্স মিউজিয়াম ভিজিট। আমি অবশ্য ২০১৯ সালে একবার সরাসরি টেরাকোটা ওয়ারিওর্স মিউজিয়ামে গিয়েছিলাম। সেবার ঘুরে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল চীনের এই বিস্ময়কর পুরাকীর্তি। টেরাকোটা আর্মি সম্পর্কে আরও বেশি জানা এবং অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এবারের ভার্চুয়াল ভিজিটেও যোগ দিলাম। ভার্চুয়াল প্রোগ্রাম থেকে টেরাকোটা আর্মিদের সম্পর্কে ধারণা যতটা পরিস্কার হল আগেরবার সরাসরি দেখেও তা হয়নি। কারণ সরাসরি দেখতে গিয়ে গাইডের অনেক কথাই মনোযোগ…
-
চাইনিজ নট ও দারোয়ানের গল্প
চাইনিজ নট ও দারোয়ানের গল্প ইমরুল কায়েস জানালা দিয়ে বাইরে তাকালে রাস্তায় বিদ্যুৎ খুঁটির সাথে লাগানো একটা সিম্বল চোখে পড়ে। পুরো রাস্তার সব বিদ্যুৎ খুঁটির সাথেই এই লাল রঙের সিম্বল লাগানো। পাশাপাশি দুটি সিম্বল। খাড়া দন্ডের উপর চতুর্ভুজাকৃতির উপরের দিকটা চওড়া। দেখতে অনেকটা প্রজাপতির মত। রাতের বেলায় সিম্বলগুলো লাল আলোয় আলোকোজ্জ্বল হয়ে থাকে। সারি সারি এরকম আলোকিত লাল সিম্বলগুলো দেখতে অপূর্ব লাগে। মনে হয় একদল প্রজাপতি লাল পেখম মেলে নিশ্চল দাঁড়িয়ে। মনে মনে প্রশ্ন জাগে নিশ্চয়ই এগুলোর কোন গুঢ়ার্থ আছে। সেটা জানতে হবে। একবার ভাবলাম চীন যেহেতু সমাজতান্ত্রিক দেশ সেহেতু একরম লাল রঙের সিম্বল থাকতেই পারে। কারণ কমিউনিস্টদের সিম্বল…
-
কুনমিংয়ের বৃষ্টি ও শৈশবের বৃষ্টিবিলাস
কুনমিংয়ের বৃষ্টি ও শৈশবের বৃষ্টিবিলাস কয়েকদিন হয়ে গেল সূর্যের দেখা নাই। কুনমিংয়ের আকাশটা মেঘলাই থাকে সারাক্ষণ। পরিবেশটা কেমন বিষন্ন। কিছুক্ষণ পর পর ঝুম ঝুম করে বৃষ্টি পড়ে। কখনো বেডরুমের, কখনো ড্রয়িংরুমের জানালার পাশে দাঁড়িয়ে বৃষ্টি দেখি। এটাকে জানালা বললে ভুল হবে। ড্রয়িং রুমের পশ্চিম পাশের পুরো একটা দেয়াল স্বচ্ছ কাঁচ দিয়ে তৈরি। কাঁচের দেয়ালে ছোট্ট একটা জানালা। মাঝেমাঝে খুলে দিলে বাইরের হাল্কা শীতল বাতাস ঘরে প্রবেশ করে। বেডরুমেরও একই অবস্থা। দক্ষিণ পাশের পুরো অর্ধেক দেয়াল স্বচ্ছ কাঁচের। এর একপাশে ছোট্ট একটা জানালা। দক্ষিণা জানালা। তবে বৃষ্টি দেখার জন্য দক্ষিণা জানালা খোলার দরকার পড়ে না। পর্দা সরালেই বাহিরটা দেখা যায়। রুমের…
-
ঘুরে এলাম পর্তুগাল (শেষ পর্ব)
ঘুরে এলাম পর্তুগাল (শেষ পর্ব) তাহমিনা খাতুন রাজী রাতেই আমাদের নিয়ে গেল আটলান্টিকের পাড়ে, যেখান থেকে পর্তুগীজ নাবিক ভাস্কো-দা-গামা তাঁর সমুদ্র যাত্রা শুরু করেছিলেন।ভাস্কো-দা-গামা ১৪৯৭-১৪৯৯ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে ইউরোপ মহাদেশ থেকে এশিয়া মহাদেশে পৌঁছার জল পথ আবিষ্কার করেন। এ কাহিনী ইতিহাস পাঠে আগ্রহী পাঠক মাত্রেরই কম-বেশী জানা। এই জলপথ আবিষ্কার আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে ভারত মহাসাগরের জলপথকে যুক্ত করে। ভাস্কো-ডা-গামা কর্তৃক এই জলপথ আবিষ্কার পৃথিবীর ইতিহাসে এক বিশাল ঘটনা! এই আবিষ্কার সমুদ্রপথে বহুজাতিক সংস্কৃতি, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বৈশ্বিক সাম্রাজ্যবাদের পথ খুলে দেয়। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে পর্তুগীজদের আফ্রিকা থেকে শুরু করে এশিয়া পর্যন্ত দীর্ঘস্থায়ী ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্য সৃষ্টিতে সাহায্য করে লিসবনের যে…
-
ঘুরে এলাম পর্তুগাল (১ম পর্ব)
ঘুরে এলাম পর্তুগাল (১ম পর্ব) তাহমিনা খাতুন আমার মত অনেকেরই হয়তো প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময়ই পর্তুগীজ জল দস্যুদের কথা জানা থাকবে। ইতিহাসে আগ্রহীদের জানা আছে, আরাকানের মগ আর পর্তুগীজ জল দস্যু মিলে এক সময়ে বাংলার উপকূলীয় অঞ্চলের জনজীবনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। বাংলায় ‘হার্মাদ’ শব্দটির সঙ্গেও আমরা অনেকেই পরিচিত। পর্তুগীজ শব্দ ‘আর্মাডা’ থেকেই ’হার্মাদ’ শব্দটির উৎপত্তি। ‘আর্মাডা’ ছিল ১৩০টি জাহাজের সমন্বয়ে গঠিত স্পেনের এক বিশাল নৌ বাহিনী। ১৫৮৮ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের রানী ১ম এলিজাবেথকে ক্ষমতাচ্যুত করার উদ্দেশ্যে বর্তমান পর্তুগালের রাজধানী লিসবন থেকে এই জাহাজ যাত্রা শুরু করেছিল- এটাও ইতিহাসের বিষয়। এই মগ আর পর্তুগীজ জলদস্যুদের অত্যাচারের কাহিনী বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায়…