-
পদ্মা, বিবেক, গহন রাত, ইন্ট্রোভার্ট
পদ্মা খোন্দকার আমিনুজ্জামান হাত বাড়ালেই পদ্মা আমার প্রিয় নদীর নাম নদী ভাঙা গড়ার খেলা খেলে খেলে অবিরাম। তার ভালো লাগে খেলা ভালো লাগে ফুল ফল ফসল কাশফুলের দোলা তাই তো জীবনভর উর্বর পলি চারিদিকে ছড়ায় অবিরাম। তার ভালো লাগে চলা সমুদ্র পথে চলে দেখে ইলিশের দুরন্ত উজান চলা তাতে এলে স্বাদ স্বাস্থ্য বাড়ে বাড়ে ইলিশের দাম। ভালো লাগে গাঙচিল ভালো লাগে শাখা নদী খাল বিল এদের পেট ভরিয়ে তবেই সে ছোটে উদ্দাম। পদ্মা নদী নৌকা লঞ্চ স্টিমার চলে নিরবধি এজন্য দিতে হয় না কোনও দাম। তার যৎসামান্য নেওয়া অনেক অনেক বেশি দেওয়া তবুও মানুষ করে অনাচার অবিরাম। আরও পড়ুন…
-
প্রগতির গতি, স্বপ্ন, শিউলি সুবাস, কষ্ট
প্রগতির গতি খোন্দকার আমিনুজ্জামান প্রগতির গতি এনে এসো আলোর খেলা খেলি ভোরের সূর্য এনে এসো আঁধার ভেঙে ফেলি। আঁধার এলো বলে গলা ভাঙতে পারি তাতে আঁধার কাটবে না আলোর খেলা খেলে যদি আলো জ্বালাতে পারি তখন আঁধার টিকবে না। এসো সত্য পথে চলি মিথ্যা ছুড়ে ফেলি। মানবিকতা সাহসিকতা এ নহে কথার কথা এ যে আলো ত্যাগের কথা ছড়িয়ে দেই যথা তথা তবেই ফুটবে যে ফুল গোলাপ বেলী। আরও পড়ুন খোন্দকার আমিনুজ্জামানের কবিতা- ভালোবাসার গ্রাম হৃদয় ভেঙে যায় কবি ও কবিতা সাবাশ বাংলাদেশ স্বপ্ন একটা স্বপ্ন এসে মিষ্টি হেসে আমার ঘুম গুম করে যায়। ও তার রঞ্জন আমার দু-নয়নে…
-
অনন্ত, হয়ে গেল, বাঁকা দুটি আঁখি, কবি ও কবিতা
অনন্ত খোন্দকার আমিনুজ্জামান এক পলক দেখেছিলাম যারে সেই ঝলক উঁকি মারে বারে বারে। পলক ঝলকেই সেই স্নিগ্ধ হাতছানি হৃদয়ে এঁকে চলে অনন্য ছবিখানি আমি বিমোহিত হয়ে খুঁজি তারে। পূর্ণিমা আসে মাসে বর্ষা বর্ষে আসে তুমি এলে সারাটাক্ষণ থাকবো পাশে। শীত যায় আসে বসন্ত শরৎ হেমন্ত তোমাকে এঁকেছি হৃদয়ে তুমি তাই অনন্ত আমি বুক ভরা আশা নিয়ে খুঁজে ফিরি তারে। আরও পড়ুন খোন্দকার আমিনুজ্জামানের কবিতা- শরৎ স্বপ্ন সরসা শিউলি সুবাস দেশের মাটি হয়ে গেল দেখা হলো কথা হলো কী থেকে কী হয়ে গেল মধুর কাঁপন উঠিলো এক নবীনা আমার দিকে চেয়ে মিষ্টি হেসে দিলো আমার পরান কাড়িলো। শিহরিত হই…
-
শ্রাবণ ধারা, দিন চলে যায়, অন্য আলো, নেতা
শ্রাবণ ধারা খোন্দকার আমিনুজ্জামান পর্দা ঠেলে জানালা খুলে দেখি গো শ্রাবণ ধারা ওরে ওরে ও। একলা ঘরে ঘুম আসেনারে বন্ধু আছে দূর-সুদূরে ঝরো ঝরো বৃষ্টি ধারায় বন্ধুর কথা মনে পড়ে ও। এমন শ্রাবণ ধারা আগে দেখেও দেখিনি এমন উন্মনা মন জীবনে আর আসেনি। মেঘের এমন কান্না দেখে আমার বুক ভাসে চারিদিকে আঁধার নেমে দিনে রাত আসে শ্রাবণ ধারায় দূর সীমানায় তারে কাছে দেখি গো। ও রে ও। আরও পড়ুন খোন্দকার আমিনুজ্জামানের কবিতা- বাদল দিন অপেক্ষা প্রগতির গতি স্বাধীনতা দিন চলে যায় কথায় কথায় দিন চলে যায় আসল কথাই বললে না। আশায় আশায় রইলো হৃদয় জ্যোৎত্মা কী গো বইবে…
-
আষাঢ় শ্রাবণ, জ্যোৎস্না, তুমি ছাড়া, ভরে যায় মন
আষাঢ় শ্রাবণ খোন্দকার আমিনুজ্জামান আষাঢ় শ্রাবণ প্রকৃতিতে প্রাণের নতুন স্পন্দন বাদল বসন্তে অন্তরে তার আহা কতো নন্দন। প্রকৃতির সন্তানেরা এখন বাধাহীন উচ্ছ্বল আনন্দে মেঘ বৃষ্টি রোদের সাথে ওরা খেলছে গো মহানন্দে দেখে দেখে উন্মনা হয়ে যায় মন। প্রকৃতি হাসলে চলে আসে হাসি প্রকৃতিকে আমি হার্দিক ভালোবাসি প্রকৃতিতে ডুবে মন পকেটে আমি মুগ্ধতা করি আহরণ। আষাঢ় শ্রাবণ প্রকৃতির নতুন আবাহন ও তার রঞ্জনে ভরে যায় মন মনন প্রকৃতির সাথে এ এক অমর বন্ধন। আরও পড়ুন খোন্দকার আমিনুজ্জামানের কবিতা- ভালোবাসার গ্রাম হৃদয় ভেঙে যায় কবি ও কবিতা দেশের মাটি জ্যোৎস্না এই মন বার বার ছুটে যায় গ্রাম বাংলায় সেথায়…
-
ভালোবাসার গ্রাম, বাদল দিন, শরৎ
ভালোবাসার গ্রাম খোন্দকার আমিনুজ্জামান আমার ভালোবাসার গ্রামকে তোরা শহর বানানোর চেষ্টা করিস না তা হলে যে বাবুই পাখির একতলা দোতলা বাসা আর দেখতে পাবো না। টুনটুনিরা চলে যাবে, যাবে বহুদূর শুনতে পাবো না তাদের মিষ্টি মধুর সুর ছোটো গাছে তাদের জোড়া পাতার বাসা আর তো ভাই দেখা যাবে না। দোয়েল-কোয়েল ঘুঘু-শ্যামার সুমিষ্ট ডাক সেখানটায় দখল নিবে শহরের কাক বক-ডাহুক-মাছরাঙাদের উড়াউড়ি আর তো দেখা যাবে না। গ্রামের নির্মল বাতাস আর বিশুদ্ধ পানি ক্রমে দূষিত হবে জানি গো জানি শহরের বাস্তবতা আজ আর কারও অজানা না। সোঁদা সোঁদা মাটির গন্ধ পেতে গ্রামে ছুটে যাই মনময় দক্ষিণী হাওয়া সেখানে পাই পূর্ণিমা রাতে…