-
মোহাম্মদ আবিদ আলী (২য় পর্ব)
মোহাম্মদ আবিদ আলী (২য় পর্ব) মোহাম্মদ আবিদ আলীর ‘হাদীসের গল্পগুচ্ছ’ গ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছিলেন সুজানগর উপজেলার আরেক কৃতি সন্তান লোকসাহিত্য বিশারদ মুহম্মদ মনসুর উদ্দীন। ১৯৩৭ খ্রিস্টাব্দে লিখিত ভূমিকাটি- “ইসলাম ধর্ম সভ্য সমাজে সুপরিচিত। ইসলাম ধর্মের পয়গম্বর হজরত মুহম্মদ (সা.)। আরব দেশে সর্বপ্রথম এই শ্রেষ্ঠ পয়গম্বরের বাণী প্রচারিত হয়েছিল। আরবেরা তখন অসভ্য এবং সভ্য জগত হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে নানা পাপাচারে লিপ্ত হয়ে জীবন যাপন করত। সেদেশে এবং সে জাতির মধ্যে হজরত মুহম্মদের অভ্যুদয় একটি পরম বিস্ময়ের ব্যাপার। আরও অধিক বিশ্বয়ের কথা এই যে তাঁর একক এবং আপ্রাণ চেষ্টার ফলে ইসলামের তৌহিদ-বাণী সমগ্র আরব দেশে পরিগৃহীত হয়েছিল; বর্বর আরবজাতি নব উন্মাদনায় দুর্বার…
-
মোহাম্মদ আবিদ আলী (১ম পর্ব)
মোহাম্মদ আবিদ আলী (১ম পর্ব) মোহাম্মদ আবিদ আলী (১৯০৪-১৯৮৭ খ্রি.) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ ও লেখক। জন্ম: মোহাম্মদ আবিদ আলী ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মুন্সি মিয়াজান মল্লিক ও মাতা বুলুজান নেছা। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মোহাম্মদ আবিদ আলী ছিলেন সবার বড়ো। মোহাম্মদ আবিদ আলী, এম. আকবর আলী ও মোহাম্মদ আবদুল জব্বার এই তিন সহোদর যেন একই বৃত্তে তিনটি ফুল। তাঁদের জন্মদায়িনী মা ‘রত্নগর্ভা’ জননীর সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। পিতা মিয়াজান মল্লিক প্রথম জীবনে মাঝি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি স্বাধীনভাবে ছো্টো ছোটো ব্যবসা শুরু করেন এবং এই ব্যবসার সীমিত…
-
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (১ম পর্ব)
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (১ম পর্ব) জ্যোতির্বিজ্ঞানী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (১৯১৫-১৯৯৩ খ্রি.) বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অগ্রদূত। তিনিই প্রথম বাংলায় আকাশের তারাসমূহের ছক তৈরি করেন। তাঁর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পরিকল্পনায় বাংলাদেশের প্রথম খ-গোলক নির্মিত হয়। পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন শিক্ষাবিদ, লেখক ও বিজ্ঞানী। অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ড. কুদরত-ই-খুদা স্মৃতি পদক, একুশে পদক ও ব্রুনো পদকে ভূষিত হন। জন্ম: মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ১৯১৫ সালের ১লা জানুয়ারি (শিক্ষা সনদ অনুযায়ী), পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক…
-
মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ
মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ছিলেন উলাট সিদ্দিকীয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার সাবেক আরবি প্রভাষক। শারীরিক প্রতিবন্ধী এই মানুষটিকে যখন মহান স্রষ্টা পৃথিবীতে প্রেরণ করেছিলেন তখন বাবা, মা, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও গ্রামবাসী কেউ ভাবেননি যে এই মানুষটিই মহান রাব্বুল আলামীনের কৃপায় একদিন অত্র এলাকায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে আর দশজন প্রতিবন্ধীর জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করবেন। ‘জন্ম হোক যথাতথা কর্ম হোক ভালো’ বাংলা ব্যাকরণের ভাব সম্প্রসারণের এই প্রবাদটির একটি অনন্য উদাহরণ তিনি। জন্ম: মাওলানা শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ১৯৫৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর, পাবনার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের উলাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতার নাম মো: আলহাজ্ব আব্দুল কুদ্দুস সেখ। শিক্ষা জীবন: তিনি বাড়ির পাশেই…
-
মোহাম্মদ আব্দুল বাছেত
অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল বাছেত ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের মালিফা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মৃত ছাদেক আলী শেখ, মাতা মোছা. ছোলেমা কুলসুম। তিনি আট ভাইয়ের মধ্যে ষষ্ঠ। স্ত্রী শামীমা নাজনীন শিলা (বিএসএস) ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। ফাহিম ইমতিয়াজ অয়ন, আরাফাত আজমীর ও ইসরাফিল আনাস নামে তাঁদের তিন সন্তান রয়েছে। শিক্ষা জীবন: অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল বাছেত মালিফা ১ ন. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন। উলাট সিদ্দিকিয়া সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ১৯৮৭ সালে দাখিলে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে ১৯৮৯ সালে আলিমে দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে…