-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, গবেষক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুরারীপুর, লেখক পরিচিতি, শিক্ষাবিদ, সাগরকান্দি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, সাহিত্য
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (৪র্থ পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (৪র্থ পর্ব) ব্যক্তিত্ব: লোকসাহিত্যবিশারদ মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন সারাজীবন সাধারণ মানুষের সঙ্গে যেমন থেকেছেন নিজের জীবন যাপনেও ছিলেন সাধারণ। সরল নিরহঙ্কারী, নির্লোভ এই সাধক মানুষটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একবার কোনো একটা সরকারি দায়িত্ব দিতে চেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি তো ক্ষমতার কাছাকাছি থাকা মানুষ না।’ তিনি ক্ষমতা চাননি কোনো দিন। আজীবন সাধনা করেছেন। জীবদ্দশায় একটা ফোকলোর ইনস্টিটিউট করার চেষ্টা চালিয়েছিলেন। ঘুরেছেন দেশে বিদেশে। জুতা পরতে এবং ইংরেজি পড়তে বলতেন তিনি। যদিও আপাদমস্তক ছিলেন একজন গৃহী বাউল।” “বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনে বাঙালি হ’-গুরুসদয় দত্ত।হাতের কাছে হয় না খবর, কী দেখতে যাও দিল্লি-লাহোর।” লালন সাঁই এসবের উল্টো ভাসান কি ছিলেন…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তালিমনগর, মুরারীপুর, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, শ্যামসুন্দরপুর, সমাজসেবক, সাগরকান্দি, সাগরকান্দি ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সাহিত্য
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (২য় পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (২য় পর্ব) খ ম আবদুল আউয়াল ধর্ম সাধনা ও সমাজ সেবা: অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন নিজে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন যাকে বলে self made man. তিনি ছিলেন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ, সত্যনিষ্ঠ, আদর্শবাদী মানুষ। ধর্মবোধ থেকেই পিতামাতার প্রতি ছিলেন পরম ভক্ত ও কর্তব্যনিষ্ঠ। তাই পিতার ইচ্ছানুযায়ী ধর্মীয় জ্ঞানেই আধুনিক উচ্চ শিক্ষা লাভ করেছিলেন, যদিও তাঁর মেধা ও আকাঙ্ক্ষার বিষয় ছিল গণিতশাস্ত্র। শিক্ষা লাভের শুরু থেকেই তিনি আদর্শ মানব হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন হযরত মুহম্মদ (সা.) কে। তাই সচেতনভাবে তরুণ বয়স থেকেই মহানবীর মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বনবীকে গভীর ভালোবেসে অনুসরণ করে আমরণ জীবন যাপন করে গিয়েছেন। তিনি একাধারে যেমন ছিলেন পরম…
-
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (৩য় পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (৩য় পর্ব) ‘হারামণি’ নামকরণ সম্পর্কে একটি ইতিহাস আছে। কলকাতা থেকে প্রকাশিত ’প্রবাসী’ পত্রিকায় গ্রামাঞ্চল থেকে সংগৃহীত লুপ্তপ্রায় লোকগীতি প্রকাশের জন্য একটি বিভাগ রাখা হয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই বিভাগের নামকরণ করেন ‘হারামণি’। এই বিভাগে লোকগীতি প্রকাশিত হত। মনসুর উদ্দীন তাঁর সংগৃহীত লোকগীতি প্রকাশের জন্য সংকলন গ্রন্থের নাম ‘হারামণি’ এখান থেকেই গ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ‘হারামণি’ তাঁর সংকলন গ্রন্থের জন্যে গ্রহণ করেই ক্ষান্ত হননি, তাঁর প্রথম খণ্ড হারামণির জন্যে তাঁকে দিয়ে একটি ভূমিকা লিখিয়ে নিতে সক্ষম হন। এ পর্যন্ত মোট ১১ খণ্ড হারামণি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশনা: অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন রচিত মোট গ্রন্থসংখ্যা ৪০টি। সংকলন ১. হারামণি। প্রথম খণ্ড। প্রকাশ:…
-
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (২য় পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (২য় পর্ব) কর্মজীবন: অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে অস্থায়ী স্কুল সাব-ইন্সপেক্টর পদে যোগদান করেন। তিন বছর চাকরি করার পর ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ (স্কুল শাখা), হাওড়া জেলা স্কুল, চট্টগ্রাম সরকারি ইন্টারমিডিয়েট কলেজ এবং সিলেটের মুরারিচাঁদ কলেজে শিক্ষকতা করেন। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে ছয় মাসের জন্য তিনি ঢাকায় সরকার পরিচালিত মাহে নও মাসিকপত্রের সম্পাদক ছিলেন। ঐ বছরেরই শেষ দিকে সরকারি প্রতিনিধি হিসেবে তিনি আন্তর্জাতিক লোকসঙ্গীত সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে লন্ডন যান। সম্মেলনে ‘Bengali Folksong’ নামে একটি প্রবন্ধ পাঠ করে তিনি সকলের প্রশংসা অর্জন করেন। ঐ সম্মেলনে ফোকলোর বিশেষজ্ঞ হিসেবে গণ্য হওয়ায় তাঁকে International Folksongs Council-এর সদস্যপদ প্রদান…
-
খোন্দকার আমিনুজ্জামান
খোন্দকার আমিনুজ্জামান এ সময়ের একজন জনপ্রিয় লেখক। সৃজনশীল লেখার পাশাপাশি মননশীল লেখায়ও তিনি অনবদ্য। কবিতা, ছড়া, গান, গল্প-উপন্যাসের পাশাপাশি তিনি প্রবন্ধ লিখে থাকেন। তাঁর লেখার মূল কথা, ‘আধার কাটো, আলোর পথে হাটো। অনন্ত আলোতে সংলগ্ন হও, মানবিকতার বিকাশ ঘটাও।’ জন্ম: পাবনা জেলা সদর থেকে প্রায় ৫০ কি.মি. দূরে সুজানগর উপজেলার সাগরকান্দি ইউনিয়নের প্রাচীন গ্রাম মুরারীপুর লেখক এর পৈতৃক নিবাস। তবে জন্ম রাজবাড়ী জেলার বাহাদুরপুর গ্রামের মাতুয়াইলে। দিনটি ছিল ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মে। পারিবারিক জীবন: পিতা খন্দকার আব্দুল খালেক, পেশায় শিক্ষক এবং মা লুৎফুন্নাহার রুবি ছিলেন গৃহিণী। দশ ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। স্ত্রী ইসরাত খোন্দকার। তাঁদের একমাত্র কন্যা সন্তান অর্থি খোন্দকার।…
-
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (১ম পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন (১ম পর্ব) অধ্যাপক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন ছিলেন একজন লোকসাহিত্যবিশারদ, লেখক ও শিক্ষাবিদ। দেহকেন্দ্রিক সাধনমার্গের বিষয়বস্তু কিংবা নিয়মকানুন এবং শারীরবৃত্তীয় ব্যবহারিক কলাকৌশলের বর্ণনা করতে গিয়ে যার বক্তব্য অনেকখানি স্বস্তি জোগায়, তিনি হলেন প্রখ্যাত গবেষক মুহম্মদ মনসুরউদ্দীন। লোকগীতি সংগ্রহ, গবেষণা ও সংকলন, সমালোচনা সাহিত্য, কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ ও শিশু সাহিত্যসহ বিভিন্ন শাখায় ছিল যার সদর্প পদচারণা। বাংলা, পালি, উর্দু ও ফার্সীসহ ইন্ডিয়ান ভার্নাকুলাসে যিনি অসাধারণ কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে গেছেন। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী সাহিত্য পুরস্কার, শেরে বাংলা জাতীয় পুরস্কার ও স্বর্ণপদক, মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার, একুশে পদক, নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক, স্বাধীনতা পদক এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের…