-
ন্যানোবট // ২য় পর্ব // সায়েন্স ফিকশন
ন্যানোবট // ২য় পর্ব // সায়েন্স ফিকশন আলতাব হোসেন বৃষ্টি থেমে গেছে। ঢাকা শহরের বাতাসে এখন একটা নিঃশব্দ সোঁদা গন্ধ। হাসপাতালের জানালা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে রিদুয়ানের মনে হলো—এই শহরটা আর আগের মতো মনে হচ্ছে না। যেন চারপাশের সবকিছুই পালটে গেছে। এই শহরের ইট, রিকশা, হাসপাতালের ভাঙা লিফট—সব কিছুই এখন তার কাছে অদ্ভুতভাবে বাস্তব এবং একই সাথে অপরিচিত। মাঝে মাঝে মানুষ নিজেকে খুঁজে পায় অন্য কারো ভেতরে। রিদুয়ান এখন নিজেকে খুঁজে পেয়েছে তার বাবার রক্তনালির গভীরে, যেখানে সে এক অভিযাত্রী, এক যাত্রী, যাকে যন্ত্রের সেনারা ‘মানব-সিগন্যাল হোস্ট’ বলে ডাকে। সকালে ঘুম ভাঙতেই ডাক্তার সাইফ আবার ডেকে পাঠালেন তাকে। এই ডাক এবার…
-
ন্যানোবট // ১ম পর্ব // সায়েন্স ফিকশন
ন্যানোবট // ১ম পর্ব // সায়েন্স ফিকশন আলতাব হোসেন ঘুম ভাঙল অদ্ভুত এক শব্দে। যেন কারো মৃদু ফিসফাস, আবার মনে হলো কোথাও পানি পড়ছে ধীরে ধীরে। চোখ খুলেই বুঝতে পারল রিদুয়ান—এই শব্দ বাইরের না, মাথার ভেতরেই। একটা ঠান্ডা শীতল বোধ ঘিরে রেখেছে পুরো শরীর, কানে কানে কেউ যেন বলছে, “তুমি এখন ভেতরে… মানুষের শরীরের গভীরে।” সে ঝাঁকিয়ে উঠল, কিন্তু উঠে বসতে গিয়ে আবিষ্কার করল—সে তো কোথাও শুয়ে নেই, সে যেন ভাসছে। এক অনির্বচনীয় জায়গা, চারপাশে গাঢ় লাল আলো, কোথাও সোনালি স্রোত, কোথাও গাঢ় নীল তন্তু ছড়িয়ে আছে। রিদুয়ান চোখ বন্ধ করে ফেলল। আবার খুলল। তখন ধীরে ধীরে বাস্তবে ফিরে এল।…
-
অভিমান ।। শেষ পর্ব ।। ছোটোগল্প ।। আলতাব হোসেন
অভিমান ।। শেষ পর্ব আলতাব হোসেন ২. মার মুখটা কেমন যেন বদলে যাচ্ছে দিনকে দিন। আগের মতো আর কথা বলেন না। বাড়ি গেলে সকালে রুটি বানিয়ে রেখে দেন, কিন্তু ডাকেন না। টেবিলে বসে থাকেন, মুখ গম্ভীর করে। আমি বুঝি, কিছু একটা পুড়ে যাচ্ছে ভেতরে ভেতরে। একদিন সন্ধ্যাবেলা বারান্দায় বসে ছিলাম, পায়ের কাছে বিছানো শীতলপাটি। মা এসে চুপ করে বসলেন পাশে। তারপর হঠাৎ বললেন— “তোর আব্বা থাকলে বুঝত, মা কেমন করে ভিতরে ভিতরে একা হয়ে যায়।” আমি কোনো উত্তর দিই না। চুপ করে বসে থাকি। মা আবার বললেন, “তুই ছোটো ছিলি তখন। তোর আব্বার মৃত্যুর পর কত নিদ্রাহীন রাত কাটিয়েছি। তোর…
-
অভিমান ।। ১ম পর্ব ।। ছোটোগল্প ।। আলতাব হোসেন
অভিমান ।। ১ম পর্ব আলতাব হোসেন রোজ সকালে উঠেই মা রুটি বানিয়ে দেন, সঙ্গে ডিমভাজি। ছোটোবেলা থেকে এই অভ্যেস। এখন আমি চব্বিশের তরুণ, তবুও সকালে ঘুম ভাঙে মায়ের রুটি-গন্ধে। মনে হয়, ঘড়িটা থেমে থাকুক, আমি যেন আজও সেই স্কুলপড়ুয়া ছেলেটাই থাকি। কিন্তু সময় তো থেমে থাকে না। আমাদের বাড়িটা পাবনার সুজানগর উপজেলার এক প্রান্তে। চারপাশে মাঠঘেরা, শীতে ধোঁয়াটে কুয়াশা, আর বরষায় কাঁদামাখা কাঁচা রাস্তা। বাবা মারা গেছেন চার বছর আগে। হঠাৎ এক বিকেলে হার্ট অ্যাটাক, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সব শেষ। বাবা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। আমরা চার ভাইবো— আমি সবার বড়ো, তারপর ছোটো দুই বোন। বাবার মৃত্যুর পর সংসারের…
-
মির্জা আব্দুর রশিদ ।। শিক্ষক ।। রাজনীতিবিদ ।। মানবহিতৈষী
আলহাজ মির্জা আব্দুর রশিদ পাবনার সুজানগর উপজেলার একটি উল্লেখযোগ্য নাম। কর্মগুণে তিনি মানুষের মনে স্থায়ী আসন করে নেন। জন্ম ও পারিবারিক জীবন মির্জা আব্দুর রশিদ ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৩ই অক্টোবর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মির্জা ইসমাইল উদ্দিন ছিলেন দূর্গাপুর গ্রামের জোতদার। মির্জা আব্দুর রশিদ চার ছেলে ও তিন মেয়ের জনক। তাঁর বড়ো ছেলে ড. এ বি মির্জা আজিজুল ইসলাম বাংলাদেশের স্বনামধন্য অর্থনীতিবিদ, যিনি নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ, পরিকল্পনা, বাণিজ্য, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর চার ছেলে এবং এক মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন…
-
অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, উচ্চ-মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কিন্ডার গার্টেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
সকল শ্রেণির বইয়ের পিডিএফ ২০২৫
সকল শ্রেণির বইয়ের পিডিএফ ২০২৫ প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক, ইবতেদায়ি, মাধ্যমিক, দাখিল, কারিগরি এবং উচ্চমাধ্যমিক স্তরের সকল শ্রেণির বইয়ের পিডিএফ ভার্সন ডাউনলোড করার লিংক নিচে প্রদান করা হলো। যে শ্রেণির বই প্রয়োজন, সেই শ্রেণির বইয়ের নামের উপর ক্লিক করলেই ডাউনলোড লিংক পেয়ে যাবেন। পিডিএফ ফাইল পড়ার জন্য আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে একটি পিডিএফ রিডার সফটওয়্যার ইনস্টল থাকতে হবে। ১. প্রাক-প্রাথমিক পর্যায়: আমার বই এসো লিখতে শিখি ২. প্রাথমিক স্তর: ১ম শ্রেণি: আমার বাংলা বই English for Today প্রাথমিক গণিত ২য় শ্রেণি: আমার বাংলা বই English for Today প্রাথমিক গণিত ৩য় শ্রেণি: আমার বাংলা বই English for Today প্রাথমিক গণিত প্রাথমিক…
-
ধূপছায়া সন্ধ্যা: প্রেমের স্নিগ্ধ রূপমাল্য
ধূপছায়া সন্ধ্যা: প্রেমের স্নিগ্ধ রূপমাল্য @ আলতাব হোসেন কবি মঞ্জুরুল ইসলামের কবিতা ‘ধূপছায়া সন্ধ্যা’ প্রেম, স্মৃতি এবং অনুভূতির এক মনোমুগ্ধকর চিত্র তুলে ধরে। কবিতাটি তার শৈল্পিকতায় গভীর, আবেগে তীব্র এবং ভাষার মাধুর্যে অপূর্ব। ধূপছায়ার মায়া এবং সন্ধ্যার আবেশে, কবি প্রেমের অতলান্তিক অনুভূতিকে পাঠকের হৃদয়ে ছুঁয়ে দেন। কবিতার সূচনা নীরবতার মুগ্ধতায়: “ধূপছায়া সন্ধ্যার আবেশে হারিয়েছ নীরব মুগ্ধতার গভীরে..” এই পঙ্ক্তিতে কবি সন্ধ্যার এক অদ্ভুত আবেশ তৈরি করেন। ধূপছায়া সন্ধ্যা এখানে শুধু সময়ের একটি রূপ নয়; এটি এক ধরনের অনুভবের প্রতীক। নীরবতা এখানে মুগ্ধতা এবং প্রেমের গভীরতার প্রতিচ্ছবি। কবির ভাষা পাঠককে এক নস্টালজিক অনুভূতির ভেতর নিয়ে যায়, যেখানে প্রেম ভাষার তীব্রতা ছাড়িয়ে…
-
রাত্রির সাদা ফুল প্রেম: অন্তর্নিহিত আবেগের নৈবেদ্য
রাত্রির সাদা ফুল প্রেম: অন্তর্নিহিত আবেগের নৈবেদ্য @ আলতাব হোসেন কবি জহুরুল ইসলামের কবিতা ‘রাত্রির সাদা ফুল প্রেম’ পাঠকের সামনে একটি অন্তর্গত আবেগের জগৎ উন্মোচন করে। এটি প্রেম, বেদনা এবং জীবনের ক্ষণস্থায়িত্বের এমন এক সমন্বয়, যা প্রতিটি শব্দের গভীরে নিহিত। কবিতাটি প্রতীক ও চিত্রকল্পের সাহায্যে পাঠককে আবেগময় ভ্রমণে নিয়ে যায়, যেখানে প্রেম মানে শুধু আকাঙ্ক্ষা নয়, বরং জীবনের প্রতিটি দুঃখবোধের সাথেও তার ওতপ্রোত সম্পর্ক। কবিতার শুরুতেই ‘রাত্রির সাদা ফুল প্রেম’ শিরোনামের মাধ্যমে এক গভীর রূপকের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। রাত্রি এখানে জীবনের গোপন মুহূর্ত, আর সাদা ফুল হলো বিশুদ্ধ প্রেমের প্রতীক। এই প্রেম শিথানে সুঘ্রাণ হয়ে থাকা মানে হলো প্রেম সবসময়…
-
কোরাস: বিভেদের ঊর্ধ্বে মানবতার জয়গান
কোরাস: বিভেদের ঊর্ধ্বে মানবতার জয়গান আলতাব হোসেন কবি মজিদ মাহমুদের কবিতা ‘কোরাস’ এক অনন্য মানবিক আবেদনপূর্ণ রচনা, যা সমাজ, সংস্কৃতি এবং ধর্মের ভিন্নতা সত্ত্বেও মানুষের সম্প্রীতি ও একাত্মতার প্রতি আহ্বান জানায়। কবিতাটির প্রতিটি স্তবকে কবি দুই ভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্বকারী চরিত্রের মধ্যকার সম্পর্ক এবং তাদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। এই কবিতা মূলত মানবিক ঐক্যের জয়গান, যা একাধারে ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ব্যক্তিগত অনুভূতির মেলবন্ধনে রচিত। কবিতার শুরুতেই কবি গভীর এক শোকের সুরে লেখেন, “তুমি পদতলে পিষলে- আমি পোড়ালাম আগুনে / খুব কাঁদলেন আমাদের এই অধপতন মা শুনে।” এখানে কবি সমাজে সংঘর্ষ এবং বিভাজনের যন্ত্রণা প্রকাশ করেছেন। দুই ভিন্ন সম্প্রদায় নিজেদের অহংকারে বিভক্ত, অথচ…
-
শফিক নহোরের ‘কসুর’ গল্পগ্রন্থের রিভিউ
শফিক নহোরের ‘কসুর’ গল্পগ্রন্থের রিভিউ আলতাব হোসেন শফিক নহোরের ‘কসুর’ গল্পগ্রন্থে বর্তমান সমাজের নৈতিকতা, সম্পর্কের দ্বন্দ্ব ও মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্বকে সুনিপণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই গ্রন্থটি মোট ১৭টি গল্পের সমাহার, যার প্রতিটি গল্পই আলাদা রকমের চিন্তা ও অনুভূতির প্রতিফলন ঘটায়। লেখক নিখুঁতভাবে প্রতিটি চরিত্রের মধ্যে যে অন্তর্দ্বন্দ্ব ও মনস্তাত্ত্বিক জটিলতা রয়েছে, তা তুলে ধরেছেন। গল্পগুলোতে মূলত মানুষের ভুল ও অপরাধের বিশ্লেষণ করা হয়েছে, যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানান রূপে প্রতিফলিত হয়। এই গ্রন্থের গল্পগুলো সাধারণ মানুষের জীবন থেকে নেওয়া, যেখানে সামাজিক নৈতিকতা এবং ব্যক্তিগত দ্বিধা-বোধের মুখোমুখি হতে হয় প্রতিটি চরিত্রকে। প্রত্যেক গল্পে কিছু সাধারণ মানুষকে কেন্দ্রীয় চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে,…