টাল, রসের য়াঁড়ি
টাল
কী যে টাল! শীতকাল পুষ মাঘ মাসে
পুবিত্ত্যি দাপায়া য়িঙ্যেল য্যাহোন আসে
শিতি কাঁপে গাও।
ব্যান ব্যালা সাঁজাল জ্বালা আগুন তাপায়
বাপের তপোন মার ছাঁয়াঁ যে যা পায়
গায় দেয় খ্যাঁতাও।
কুশ্যেরের খুলায় য়াহা-চুলায় য়াত-পাউ ছ্যাহা
ব্যালা ওটে কুয়্যির চোটে তাও না যায় দ্যাহা
উহ্-কী জবর জার!
চয়োল কাঁপে থুতমা কাঁপে য়াত- পাউ টাটায়
আরাম কোরি যায়না য়াঁসা ঠোঁটের ফাটায়
ঠান্টায় বুহি ঘ্যারঘ্যার।
তামান রাত নিঙের পড়ে টিনির ঘরের চালে
গরু গুয়ালি, পোক-পাহালি পলায়া থাহে ডালে
জাঁতায় কাবু শিয়্যিল।
ঠিল্যে বাঁদা খাজ্যোর গাচে নালে কুলি পোক্কি
জিরিন রসের পাটালী বানায় গাছির বৌ লোক্কী
যতই পড়ুক য়িঙ্যেল।
কুটুম আলি পিট্যে বানান্যির লাগ্যি যাতো দুম
যবের ছাতু ঢ্যাঁপের খই বালুর খুলার য়ুরুম
দোকাট রসে জাউ নাদ্যি চামটা বানাতো উলায়।
গুড় ঘুট্যি ফুঁপরা বানায় কুশ্যেরের খুলায় মনে রয়চে পষ্ট।
সুহির দিন স্যাহোনই ছিল যতই এ্যাহোন লাফাউ
সব খাঁটি হয়চে মাটি- আসল তা কি আর পাও?
খালি শিতিই ইটু কষ্ট।
আরও পড়ুন মোহাম্মদ আব্দুল বাছেতের কবিতা-
বাঁঝা
রসের য়াঁড়ি
মাজার সাথে ঠিল্যে বাঁধ্যে গাছে ওঠে গাছি
পায়ের তলে পাউরি বাঁধা
তার উপ্যিরে খাড়ায় সিধা
গাছে কোমরে গিঁট বাঁধে শক্ত দড়ি কাচি।
গূয়্যের কাচা-বালু ভাজা ছ্যান করে ধার
ঠিল্যে শুহ্যেয় রোদির আঁচে
ছ্যান দিয়ে গাছের আগা চাঁচে
গলার সাথে দড়ি দিয়ে বাঁধে রসের ভাঁড়।
বাঁশের নাল চুকতা করে গাছে দেয় গাড়্যে
টোপেটোপে রস পড়ে
সহালে যায় ভাঁড় ভরে
ব্যান সহালে ভরা ঠিল্যে গাছি আনে পাড়্যে।
মাঘের রস প্যাটে গেলি ঠকঠক করে মাড়ি
য়াহায় রস দিলি জ্বাল
অয়া যায় টকটকে লাল
ঘোটোনে গাঢ় বানায়া থালে ঢালে পাটারি।
গাছিরা সপ্তায় দুই দিন গাছের আগা চাঁছে
পয়লা কাটে রস জিরিন
দোকাট রস পরের দিন
পোশু দিন উলার খুঁটি ঝুল্যে থোয় গাছে।
উলা বেশি ঘুলা য়োলি তাড়ির মতো লাগে
তা দিয়ে বানাতো চামটা
অমূল্য কিন্তু তার দামটা
এ্যাহোন সিতা মনে পোলি খুব দুক্কু জাগে।
দুদ পাটালি ঢাহুন পিট্যে শিতির মহোচ্চব
কুশল্যে পিট্যে ভাপা ছোই
খুদির মূয়ায় গুড়ির লই
গুঁদ্যে কালে খাতাম সিতা মনে আছে সব।
আরও পড়ুন কবিতা-
মানবতার ঢাল
আত্রাই নদী
ভালোবাসার উপহার
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে
টাল