সুতা-ছেঁড়া-ঘুড়ি-৬ষ্ঠ-পর্ব
উপন্যাস,  তাহমিনা খাতুন,  সাহিত্য

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৬ষ্ঠ পর্ব)

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৬ষ্ঠ পর্ব)

তাহমিনা খাতুন

দশ.
তিন বছর হলো জয়নাল মারা গেছে। শিশু কন্যাকে নিয়ে কোনো মতে স্বামীর ভিটায় জীবন পার করছে আঠারো  বছরের হালিমা। শ্বশুরের আমলের টিনের ছাউনি দেওয়া চার চালা বড়ো ঘরটিতেই ছোট্ট মোমিনাকে নিয়ে ঘুমায় সে। শ্বশুরের আমলে করা বিশাল বাড়িটির চার পাশেই আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুর বড়ো বড়ো গাছ, ঝোপঝাড়। কেমন যেন গা ছমছম করা একটা পরিবেশ। রাতে দরজা জানালা ভালোভাবে বন্ধ করে ঘুমানোর চেষ্টা করে। বিছানার বালিশের নিচে খেজুর গাছ কাটার একটা হাঁসুলি রেখে দেয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর পরই ঘুম ভেঙে যায়।
গত কয়েকদিন ধরেই ঘরে ফসল রাখার জন্য তৈরি বাঁশের বড়ো মাচাটার নিচে একটা ইঁদুরের গর্ত দেখতে পেয়েছে। মাটি দিয়ে ভরাট করে ফেললেও ইঁদুর বার বারই গর্ত করে ফেলছে। অন্যান্য দিনের মতোই মোমিনাকে রাতের খাবার খাইয়ে নিজেও খেয়ে নিয়ে মেয়েকে শুয়ে পড়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ল মোমিনা। শিশু কন্যাকে নিয়ে একা কীভাবে জীবনের কঠিন পথ পাড়ি দিবে, কীভাবে মোমিনার ভবিষ্যতকে গড়ে দিবে-এসব সাত পাঁচ ভাবতে ভাবতেই একটু ঘুমিয়ে পড়েছিল। হঠাৎই একটা ফোঁসফোঁস আওয়াজে ঘুম ভেঙে গেল। ধড়মড় করে উঠে বসল।

ঘরের মেঝের দিকে চোখ পড়তেই ভয়ে সিঁটিয়ে গেল। ঘরের মেঝের মাঝখানে বড়ো এক ফণা তুলে বসে আছে এক গোখরা। কি করবে বুঝে উঠতে পারছে না। বুকে সাহস সঞ্চয় করে আস্তে করে মেয়েকে কোলে তুলে নিল। কোনো শব্দ না করে আস্তে বেড়া ঘেঁষে মেয়েকে নিয়ে সাপের চোখে চোখে চেয়ে চুপ করে বসে থাকল। কি মনে করে ভয়ঙ্কর সাপটা আস্তে আস্তে ঘুরে আবার ইঁদুরের গর্তে ঢুকে গেল। সারা রাত ভয়ে আর ঘুম এল না হালিমার। ভোর হতেই মোমিনাকে কোলে নিয়ে দৌড়ে ছুটে গেল প্রতিবেশি হাতেম আলির বাড়িতে। উদভ্রান্তের মতো হালিমাকে ছুটে আসতে দেখে ব্যস্ত হয়ে উঠলেন হাতেম আলি।
“কি রে মা, কি হয়েছে? কি মনে করে এত সকালে? এমন দেখাচ্ছে কেন তোমাকে?”

আরও পড়ুন নতুন সূর্যের অপেক্ষায়

“চাচা, গত রাতে বিশাল একটা সাপ ঢুকেছে আমার ঘরে! সারা রাত বাচ্চাকে নিয়ে বসে কাটিয়েছি! ভোর হতেই ভয়ে ভয়ে চৌকি থেকে নেমে দৌড়ে আপনার কাছে এসেছি। চাচা, অন্যদের ডেকে সাপটা মারার ব্যবস্থা করেন দয়া করে। না হলে বাচ্চাকে নিয়ে ওই ঘরে থাকা আমার জন্য বিপদজনক হয়ে যাবে।”
হাতেম আলি সঙ্গে সঙ্গেই বেড়িয়ে পড়লেন। মুহূর্তে খবর পৌঁছে গেল আশেপাশের বাড়িতে। কোদাল, শাবল, লাঠি হাতে ছুটে এল আট-দশ জন তরুণ ছুটলো হালিমার বাড়ির দিকে। কোদাল দিয়ে কুপিয়ে হালিমার ঘরের মেঝে থেকে বের করে আনল প্রায় চার সাড়ে চার হাত দীর্ঘ দুটো বিষধর সাপ। পরের কয়েক রাত কোনো ক্রমে আধা ঘুমিয়ে না ঘুমিয়ে পার করল হালিমা।

এগারো.
গ্রামের মসজিদ থেকে যখন আসরের নামাজের আজান শোনা গেল তখন লাইলি বেগম নুরুল ইসলামের বাড়িতে এসে ঢুকলেন। সালেহা বেগম আসরের নামাজ আদায় করার জন্য অজুর বদনা হাতে পাত কুয়ার দিকে এগোচ্ছিলেন। লাইলি বেগমকে দেখতে পেয়ে হাসি মুখে এগিয়ে এলেন। “কি বু জান! আমাদের কথা মনে পড়ল? ভাবলাম, বু জান বুঝি আমাদের কথা ভুলেই গেছেন। কয়েক দিন ধরেই ভাবছিলাম আপনার সাথে দেখা করতে যাব। ঘরের নানান ঝামেলার জন্য সময় করে উঠতে পারিনি। আসরের আজান পরে গেছে, নামাজ আদায় করেই কথা বলি।”
“সেই ভালো।”
দুজনেই নামাজ আদায় করে কথা শুরু করলেন।
কুশলাদি বিনিময়ের পর সালেহা বেগম বললেন,
“বুজান, অনেকদিন ধরেই মনে মনে একটা কথা নাড়া-চাড়া করছি। কিন্তু বলব বলব করেও বলা হচ্ছে না। আজ যখন সুযোগ পেয়েছি, বলেই ফেলি।”
“কি ব্যাপার সালেহা? তুমি কি আমার পর, যে এত সংকোচ করতে হবে? মন খুলে মনের কথাটা বলে ফেল।”

আরও পড়ুন নিরুপায় নীলাঞ্জনা

“বু’জান, আমার আতিককে তো আপনি খুব ভালো করেই চেনেন। আপনাদের সামনেই বড়ো হলো। আপনাদের দোয়ায় এখন বটতলা হাইস্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ছে। আমার খুব শখ ছেলেটাকে বিয়ে দিয়ে একটা লক্ষ্মি বউ ঘরে আনি। নিজের হাতে কাজ-কর্ম শিখিয়ে সংসারের চাবির গোছাটা তার আঁচলে বেঁধে দিয়ে নিশ্চিন্ত হই। শিহাব উদ্দিন ভাইয়ের মেয়েটাও তো ডাগর হয়ে উঠেছে। আপনি আর জমিলা খালাও নিশ্চয়ই জান্নাতুল ফেরদৌসকে বিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করছেন। আমি যদি তাকে আমার আতিকের বউ করে আনতে চাই, আপনারা কি আপত্তি করবেন?”
লাইলি বেগম মনে মনে খুশী হলেন।
তবু মুখে বললেন,
“এ তো খুবই খুশির কথা। আতিক তো নুরুল ইসলাম ভাইয়ের যোগ্য উত্তরসুরী। আপত্তি করার তো কারণই থাকতে পারে না। তারপরও আমার মাথার উপরে খালাজান মুরব্বি রয়েছেন। ওনার মতামত না জেনে তো আমি তোমাকে তো কথা দিতে পারব না। তবে আমার বিশ্বাস এ সমন্ধের ব্যাপারে খালা জানেরও কোনো আপত্তি থাকবে না। নুরুল ইসলাম ভাইয়ের মতামতটাও গুরুত্বপূর্ণ।”
কথা প্রসঙ্গে অভাগী সুন্দরী পাগলীর কথাও উঠল। একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সালেহা বললেন,
“আহারে! কোথা থেকে যে বেচারা পাগলীটা এল আর এভাবে অপঘাতে মারা গেল! জানেন বু জান, পাগলিটার মরদেহ নয়ানজুলির মধ্যে ভাসতে দেখার পর আমার আতিক আর ওর বন্ধু পূর্ব পাড়ার শোয়েব এবং আরও কয়েকটা ছেলে মিলে পুলিশে খবর দেওয়া, ওর জানাজা পরানো, দাফন করানোসহ যাবতীয় কাজ ওরা করেছে। সুন্দরীর লাশ এভাবে দেখার পর থেকে আমার ছেলেটা এতটা মুষড়ে পড়েছিল যে কয়েক দিন ঠিক মতো খাবার খেতে পারেনি। জানেন বু জান সুন্দরী মারা যাওয়ার পরে ওর বালিশের মধ্যে থেকে প্রায় সত্তরটা টাকা পাওয়া যায়, আমার আতিক আর ওর বন্ধুরা মিলে ওই টাকার সাথে আরও কিছু টাকা দিয়ে শিরনী রান্না করে গরীব দুখীদের খাইয়ে দিয়েছে।
“এই বয়সেই তোমার ছেলেটার মধ্যে এমন দয়া মায়া! যাক, বড়ো হয়ে ও অনেক বড়ো মনের মানুষ হোক-এই দোয়া করি।”
আরও কিছুক্ষণ বিভিন্ন বিষয়ে আলাপচারিতা শেষে এক খিলি পান মুখে দিয়ে লাইলি বেগম বাড়ির পথ ধরলেন।

আরও পড়ুন কালো কঙ্কাল

বারো.
দশ বছর হয়ে গেল জয়নাল মারা গেছে। মোমিনার বয়স এখন এগারো। জয়নালের পৈতৃক বাড়িটিতে সাপের উপদ্রব হওয়ার পর হালিমার পক্ষে মোমিনাকে নিয়ে আর ও বাড়িতে থাকা সম্ভব হয়নি। জয়নালের পিতা জলিল মিয়া বিশাল সম্পত্তির মালিক ছিলেন। জয়নাল মারা যাওয়ার পর জবা কুসুমের নির্বুদ্ধিতার কারণে আম বাগানের আশেপাশের জমির অনেকটাই জালিয়াত মোবারক প্রামাণিক আত্মসাৎ করার সুযোগ পেয়েছেন। তারপরও আম বাগানের শেষ অংশে প্রায় আড়াই বিঘার একটা খালি জায়গা পড়ে ছিল। ওই খালি জায়গাটার পূর্বকোণে হাতেম আলির বাড়িসহ আরও আট দশটা বাড়ি মিলে একটা পাড়া গড়ে উঠেছে। সাপ মারার পরদিন থেকেই হালিমা হাতেম আলির সহযোগিতায় কয়েকজন ঘরামী আর দিন মজুরকে দিয়ে ছোটো একটা দোচালা শোয়ার ঘর আর একটা রান্না ঘর তৈরির কাজ শুরু করেছিল। নতুন বাড়িটি তৈরি হয়ে যাওয়ার পরে শিশু কন্যাকে নিয়ে নতুন বাড়িতে ওঠে। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মোমিনা হয়ে উঠেছে নজর কাড়া সুন্দরী।
জয়নাল মারা যাওয়ার পরে একা একা এতগুলো সমস্যা মোকাবিলা করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছে হালিমা। ভাবল, কিছু দিনের জন্য বড়ো বোন খালেদার কাছে থেকে আসবে। খালেদার শ্বশুর বাড়ি শাজাহানপুর থেকে বেশ কয়েক মাইল দূরের বনগ্রামে। জয়নাল মারা যাওয়ার পরে খালেদা মাঝে মাঝেই আসে হালিমাকে দেখতে। প্রায়ই খবর পাঠায় তার বাড়ি থেকে দিন কয়েকের জন্য বেড়িয়ে আসতে। মোমিনাও কয়েক দিন ধরেই বলছে খালার বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার কথা। মোমিনা এখন তার বাবার অকাল মৃত্যুর কথা জানে। তাকে নিয়ে মায়ের যুদ্ধও সে এখন ভালোই বুঝতে পারে।
এক দিন মাকে বলল,
“মা, চল খালার বাড়ি থেকে কয়েক দিন বেড়িয়ে আসি।”
“আমিও ভাবছি, তোর খালার ওখানে কয়েকদিন থেকে আসি। তোর খালাও প্রায়ই খবর পাঠায় তার ওখানে যাওয়ার জন্য। দেখি, কাল সকালে হানিফ গাড়োয়ানকে খবর পাঠাব, আগামী শুক্রবার সকালে আমাদেরকে বনগাঁয়ে পৌঁছে দিতে। কয়েকদিন থেকে আসব।”

আরও পড়ুন মাধবী নিশীথিনী

চার-পাঁচ দিন ধরে মোমিনাকে নিয়ে হালিমা খালেদার বাড়িতে আছে। খালেদার স্বামী আবুল হাশেম খুবই সজ্জন একজন মানুষ। হালিমার অকাল বৈধব্য, একটা শিশুকে নিয়ে একা বেঁচে থাকার লড়াই, আপন বড়ো ভাইয়ের বিশ্বাসঘাতকতা, জবা কুসুমের নিষ্ঠুর আচরণ; আবুল হাশেমকে ব্যথিত করেছে। কিন্তু নিজের বৃদ্ধ পিতা-মাতা, অনেকগুলো ভাইবোন, নিজের ছেলেমেয়ের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মাঝেমধ্যে কিছু বাজার সওদা করে দেওয়া ছাড়া হালিমার জন্য ইচ্ছে থাকলেও তেমন কিছু করতে পারেননি। হালিমা মেয়েকে নিয়ে কয়েকদিনের জন্য তাঁর বাড়িতে বেড়াতে আসায় খুবই খুশি হয়েছেন আবুল হাশেম।
রাতের খাবার খাওয়ার পর আবুল হাশেম আর খালেদা হালিমাকে নিয়ে গল্প গুজব করতে বসলেন। মোমিনা এবং খালেদার ছেলে মেয়েরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েছে। হালিমার নতুন বাড়িতে থাকতে কোনো অসুবিধা হচ্ছে কি না, জবা কুসুম আর কোনো ঝামেলা করেছে কি না, প্রতিবেশীরা কেমন ইত্যাদি জানতে চাইলেন আবুল হাশেম। কথা শেষ হওয়ার আগে মোমিনার বয়স কত হলো এবং হালিমা পিতৃহীন মোমিনাকে বিয়ে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে কিনা জানতে চাইলেন।
আবুল হাশেমের কথা শুনে হালিমা খানিকক্ষণ চুপ করে রইল। তারপর আঁচলে মুখ ঢেকে ডুকরে কেঁদে উঠল। প্রথমে থতমত খেয়ে গেলেন আবুল হাশেম। বোনের এমন ডুকরে কাঁদতে দেখে একটু অপ্রস্তুত হয়ে গেছেন খালেদাও। একটু সামলে নিয়ে নিজের আসন ছেড়ে আস্তে আস্তে উঠে গেলেন ছোটো বোনের দিকে। মাথায় হাত রেখে বুকের মধ্যে টেনে নিলেন। দু’হাতে চোখের অশ্রু মুছে দিতে দিতে বললেন,
“আর কাঁদিস না সোনা বোনটি আমার। গত দশটা বছর ধরেই তো কাঁদছিস। বাকি জীবনও কাঁদবি? তোর কান্না থামানোর সাধ্য তো কারও নাই। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তোকে ধৈর্য ধরার শক্তি দেন!”

আরও পড়ুন সুকৃতি এবং বৈরীকাল

দশ বছরের পুঞ্জীভূত বেদনা যেন পাথরের পাহাড়ের বুক চিরে আগ্নেয়গিরির লাভার মতো গল গল করে নেমে এল হালিমার দু’চোখ বেয়ে। কান্নার নিরুদ্ধ আবেগে দমকে দমকে ফুলে ফুলে উঠতে লাগল হালিমার হালকা পাতলা শরীরটা।
আবুল হাশেম স্ত্রীকে ইশারা করলেন হালিমাকে থামানোর চেষ্টা না করতে। পাশে ডেকে নিয়ে বললেন,
“কাঁদতে দাও বেচারিকে। কয়টা দিনই বা ভালো করে সংসার করতে পেরেছে। স্বামীর সোহাগ কি জিনিস তা বুঝে ওঠার আগেই তো যুদ্ধ শুরু হয়েছে। স্বামীকে হারিয়ে চোখের পানি ফেলার ফুরসৎও তো পায়নি। কেঁদে কেঁদে একটু হালকা হোক।”
অনেকক্ষণ কাঁদার পর নিজেকে সামলে নিল হালিমা। উঠে গিয়ে বারান্দা থেকে চোখে মুখে পানি দিয়ে এল।
শান্ত গলায় বলল,
“ভাই জান, মেয়েটাকে তো বিয়ে দিতেই হবে। দশ পেরিয়ে এগারোতে পা দিল মোমিনা। একা একটা বাড়িতে থাকি, কত সময় কত কাজে এদিক-সেদিক যেতে হয়। মেয়েটাকে একা ঘরে রেখে যেতে ভয় হয়। কার মনে কি আছে কে জানে। তাই মনে মনে ঠিক করেছি একটা যোগ্য পাত্র পেলে মেয়েটাকে বিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতাম।”
একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আবার বলল,
“ভাই জান, সৃষ্টিকর্তা আমার ভাগ্যে যা লিখে রেখেছিলেন, তাই হয়েছে। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আমার কোনো নালিশ নাই। আমার বাকি জীবনটা এক ভাবে কেটে যাবে। আমার জীবনের একটাই চাওয়া, আমার জনম দুখী মেয়েটা যেন একটা সুখের সংসার পায়।”

আরও পড়ুন সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি-   
১ম পর্ব
২য় পর্ব 
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
৫ম পর্ব
৭ম পর্ব
৮ম পর্ব
৯ম পর্ব
১০ম পর্ব
১১তম পর্ব
শেষ পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও  ইউটিউব চ্যানেলে

সুতা ছেঁড়া ঘুড়ি (৬ষ্ঠ পর্ব)

Facebook Comments Box

তাহমিনা খাতুন একজন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব। তিনি ছড়া, কবিতা, গল্প, ভ্রমণকাহিনি এবং নারীর অধিকার নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। তার পেশাগত জীবনে তিনি নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করতেন। তাহমিনা খাতুন ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে এই গ্রামেই।

error: Content is protected !!