সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (৪র্থ পর্ব)
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (৪র্থ পর্ব)
সৈকত আরেফিন
৩.
বিভাগোত্তর কালের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সাংস্কৃতিক আবহের মধ্যে বেড়ে উঠে, যে সমস্ত লেখকের কথাশিল্পী বিকাশ ঘটে ষাটের দশকের কালখন্ডে, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—সৈয়দ শামসুল হক (১৯৩৫-২০১৬), রাবেয়া খাতুন (১৯৩৫-২০২১), শওকত আলী (১৯৩৬-২০১৮), রাজিয়া খান (১৯৩৬-২০১১), হাসান আজিজুল হক (১৯৩৯-২০২১), রিজিয়া রহমান (১৯৩৯-২০১৯), মাহমুদুল হক (১৯৪০-২০০৮), আখতারুজ্জামান ইলিয়াস (১৯৪৩-১৯৯৭) ও আহমদ ছফা (১৯৪৩-২০০১) প্রমুখ। সাহিত্যাদশের্র নিরিখে এ পর্যায়ের লেখকরা পুরনো রীতির গদ্য—মূলত গ্রামীণজীবনপ্রধান আরামপ্রিয় সাহিত্যরচনা থেকে বেরিয়ে এসে নব্য নাগরিক মধ্যবিত্তজীবনের বহুমাত্রিক জটিলতাকে অধিকার করতে চাইছিলেন। তাঁরা ‘বিরাটের জন্য, জীবনের ঐশ্বর্যের জন্য এদের ক্ষুধার কথা লিখেছেন কেউ, কেউ লিখেছেন অন্তর্লীন বিমর্ষতার কথা। প্রেম আর স্বপ্ন, কল্পনাচারিতা আর ধূসর বাস্তব, ভাবপ্রবণতা আর ব্যাকুল হৃদয়ভার, আকাক্সক্ষা আর অক্ষমতা’-র কথাও লিখেছেন এসব লেখক।
বিভাগোত্তর কালের প্রথম দশকে নিপীড়নমূলক পরিস্থিতির ভেতরে থেকেই পূর্ববঙ্গের গণমানুষ এগিয়ে যাওয়ার আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটে ১৯৫৪ সালের নির্বাচনী ফলাফলে। কিন্তু পূর্ববঙ্গের রাজনীতিতে কেন্দ্রীয় সরকারের অযাচিত হস্তক্ষেপে হক মন্ত্রীসভা বাতিল হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যে অসন্তোষ ও অবিশ্বাসের পরিবেশ তৈরি হয়, তা আর কখনো কমেনি। ১৯৫৪ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী রাজনৈতিক পরিবর্তনের গতিপ্রকৃতিতে বিশেষ প্রভাব ফেলে এবং বলা যায়, ভাষা-আন্দোলনের মাধ্যমে যে স্বপ্ন কেবল অঙ্কুরিত হয়েছিল, সেই স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। তদুপরি ‘পূর্ব বাংলার ওপর চাপানো হলো সামরিক শাসন। গত দশ বছরের নড়বড়ে বাংলার সামন্তসমাজকে পুনর্বিন্যস্ত করা হল Basic Democracy-র শৃঙ্খলে। অখণ্ড পাকিস্তানের শ্লোগান, পরাজিত-প্রায় সামন্ত-ধ্যান-ধারণা, ধর্মমোহ, সাম্প্রদায়িকতা হল পুনরুজ্জীবিত।’
আরও পড়ুন প্রবন্ধ সাহিত্য চর্চার একাল সেকাল
পরবর্তীকালে ‘৫৪ সালের নির্বাচনের এক যুগ পরে আওয়ামী লীগের ৬ দফা কর্মসূচির মধ্যে ‘৫৪-এর নির্বাচনের যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী মেনিফেস্টোর ২১ দফা কর্মসূচির প্রতিফলন ঘটে। বিশেষ করে, ২১ দফা কর্মসূচিভুক্ত ১৯ সংখ্যক দফাটি আংশিক সংশোধন করে ৬ দফা কর্মসূচিতে অন্তর্ভূত হয়। দেশরক্ষা ও পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয় কেন্দ্রের হাতে রেখে অন্য বিষয়গুলো যেমন—মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক বাণিজ্য ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, কর ও রাজস্ব সংগ্রহ প্রাদেশিক সরকারের হাতে থাকার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের ৬ দফায় গুরুত্ব আরোপ করা হয়। ফলে, ৬ দফা কর্মসূচি বাঙালি জনগণের প্রাণের দাবিতে পরিণত হতে সময় লাগেনি। এখানকার উদ্যোক্তা শ্রেণির ৬ দফাকে সমর্থন প্রকৃত-অর্থে পূর্ববঙ্গের রাজনীতিতে এমন পরিবর্তন নিয়ে আসে যে, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনকে ৬ দফার ওপর গণভোট বলে ঘোষণা করেন। ফলত, নির্বাচনসাফল্য শেখ মুজিবকে একজন শক্তিশালী নেতায় পরিণত করে। তাছাড়া পশ্চিম পাকিস্তানি নেতাদের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবকে ক্রমাগতভাবে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ হিসেবে চিহ্নিত করার প্রয়াস বরং স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নকে নিকটবর্তী করে দেয়।
প্রায় দশকব্যাপী আর্থ-সামজিক-রাজনৈতিক ঘটনাবহ ও বিদ্যমান প্রতিবেশের মধ্যে মার্কসবাদী সাহিত্যিকগণ একদিকে জীবিকার উন্নতির ও নিরাপত্তাকে অঙ্গীকার করে তাঁদের সাহিত্যভাবনা ও শিল্পের রূপান্তর করে এগিয়ে যাওয়ার পথনির্মাণ করেন। তাঁদের ‘কেউ হলেন ফ্রয়েডে আশ্রয়ী, কেউ-বা আত্মগোপন করলেন রোম্যান্টিক স্বপ্নলোকে, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপে। মানবতাবাদী শ্রেণী অংশত আক্রান্ত হলেন, কারণ অশক্ত বুর্জোয়া মানবতাবাদ যতখানি বর্ণচোরা ততোধিক নিরাপদ। এদের অধিকাংশই হলেন আত্মরোমন্থনে তুষ্ট, কল্পলোকের জ্বলন্ত জতুগৃহে যন্ত্রণাদগ্ধ, ক্রমবিকাশে শঙ্কাগ্রস্ত, দেহবাদী পঙ্কে আকণ্ঠ নিমজ্জিত।’ এ পর্বে আগে থেকেই সক্রিয় কথাকারদের সঙ্গে যুক্ত হন সৈয়দ শামসুল হক, রাবেয়া খাতুন, শওকত আলী, রাজিয়া খান, হাসান আজিজুল হক, রিজিয়া রহমান, মাহমুদুল হক, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ও আহমদ ছফা প্রমুখ।
আরও পড়ুন প্রবন্ধ ব্রিটিশ লাইব্রেরির কথা
৪.
১৯৫১ সালের মে মাসে ফজলে লোহানী (১৯২৮-১৯৮৫) সম্পাদিত অগত্যা পত্রিকায় প্রথম গল্প ‘উদয়াস্ত’ প্রকাশের মধ্য দিয়ে সৈয়দ শামসুল হকের সাহিত্যজীবনের সূচনা। কিন্তু সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায় সাবলীল দক্ষতার জন্য তিনি কালে ‘সব্যসাচী লেখক’ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন। তিনি প্রধানত নগরমনস্ক রোমান্টিক গল্পকার। যে জীবনকে তিনি রূপায়ণ করেন তা কখনো আত্মকেন্দ্রিকতায় পীড়িত, কখনো স্বার্থপরতায় সীমিত। দেয়ালের দেশ (১৯৫৬) সৈয়দ শামসুল হকের প্রথম উপন্যাস। অবশ্য তারও আগে তাঁর গল্পগ্রন্থ তাস (১৯৫৪) বেরিয়ে যায়। বস্তুত এক নিরন্তর লেখকের নাম সৈয়দ শামসুল হক। তাঁর উপন্যাস এক মহিলার ছবি (১৯৫৯), অনুপম দিন (১৯৬২), সীমানা ছাড়িয়ে (১৯৬৪), খেলারাম খেলে যা (১৯৭৩), নীলদংশন (১৯৮১), বৃষ্টি ও বিদ্রোহীগণ (১ম খণ্ড ১৯৮৯, ২য় খণ্ড ১৯৯০)) ও নিষিদ্ধ লোবান প্রভৃতি; গল্পের বইয়ের মধ্যে আছে শীত বিকেল (১৯৫৯), রক্তগোলাপ (১৯৬৪), আনন্দের মৃত্যু (১৯৬৭) ও প্রাচীন বংশের নিঃস্ব সন্তান (১৯৮২) প্রভৃতি।
একজন নারীর মানসসত্তার জটিল অবস্থার শিল্পরূপ এক মহিলার ছবি উপন্যাস, আরেক নারীর দ্বৈত ভালোবাসা ও সন্তানাকাঙ্ক্ষার টানাপোড়েনের উপন্যাস দেয়ালের দেশ, রাজনীতি, প্রেম ও পরাহত শিল্পসত্তার অন্তঃরূপ সীমানা ছাড়িয়ে। তাঁর উপনাস সম্পর্কে হাসান আজিজুল হকের মন্তব্য—‘খেলারাম খেলে যা-র মতো রাগী উপন্যাস বাদ দিলে সৈয়দ শামসুল প্রায় সব লেখাই মিষ্টি প্রেমোপাখ্যান।’ তাঁর গল্পের ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। তবে চরিত্রের অন্তর্যন্ত্রণা ও অন্তর্মুখিতার তীব্রতা তিনি ভাষায় সাবলীলভাবে প্রকাশ করতে পারেন।
আরও পড়ুন প্রবন্ধ কামাল লোহানীর বিপ্লবমন্ত্রের প্রথম পাঠ
বাংলাদেশের কথাসাহিত্যে রাবেয়া খাতুন প্রকাশ শৈলীর স্বাতন্ত্র্যে কেবল নয়, সমাজের গভীরে যে ভাবস্রােত বিরাজমান তা চিহ্নায়নের ক্ষেত্রে বিশিষ্ট হয়ে ওঠেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস মধুমতী (১৯৬৩)-তেও গ্রাম ও নগরসমাজের পরিবর্তমানতা ক্ষয়িষ্ণু তাঁতি জীবনের সঙ্কটের সঙ্গে নব্য মধ্যবিত্ত নাগরিক জীবনের জিজ্ঞাসা উন্মোচিত হয়। তাছাড়া কথাকার হিসেবে রাবেয়া খাতুনের উন্মেষকাল এমন একটা পরিবর্তনের সন্ধিক্ষণে যে, যখন মানুষ আধুনিকতা ও গ্রামীণতার দোলাচলে দোদুল্যমান। ঢাকাকেন্দ্রিক মধ্যবিত্ত সমাজের সঙ্গে গ্রামজীবনের শিথিল বন্ধনকে উপন্যাস ও ছোটগল্পের বিষয়ীভূত করে রাবেয়া খাতুন নতুন এক মাত্রা দেন। তাঁর কথাসাহিত্য কালের গঠমান সমাজমানসে ক্রিয়াশীল চেতনাপ্রবাহের অন্তরঙ্গ ছবি। সাহেব বাজার (১৯৬৫), রাজারবাগ শালিমারবাগ (১৯৬৭), বায়ান্নো গলির এক গলি (১৯৮৪), প্রভৃতি উপন্যাসের সঙ্গে ভাষা আন্দোলনের পটভূমিকায় লেখেন পাখী সব করে রব (১৯৮৭), মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে লেখেন ফেরারী সূর্য (১৯৭৫), ঘাতক রাত্রি (১৯৯৯) প্রভৃতি উপন্যাস। বাংলাদেশের মানুষের জীবন ও জীবনাচরণ বহুমাত্রিক হয়ে ধরা দেয় রাবেয়া খাতুনের গল্পে। তাঁর আমার এগারোটি গল্প (১৯৮৩), মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী (১৯৮৬) প্রভৃতি গল্পের বই আছে।
বিভাগোত্তর কালে কলকাতার বামপন্থীদের নতুন সাহিত্য নামক পত্রিকায় গল্প প্রকাশের মধ্য দিয়ে শওকত আলীর সাহিত্যিক জীবন শুরু হয়। কালে, নিরন্তর সৃষ্টিশীলতার মধ্য দিয়ে তিনি বাংলাদেশের খ্যাতিমান কথাশিল্পী হয়ে ওঠেন। শওকত আলীর কথাসাহিত্যের একটি বৈশিষ্ট্য এমন যে, তাঁর ছোটগল্পের পটভূমি হিসেবে বাংলাদেশের গ্রামজীবন এবং উপন্যাসে পটভূমিকা নাগরিকজীবন। নিজের জীবনে দেশভাগের ক্ষত ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা তাঁর কথাসাহিত্যকে শৈল্পিক সুষমা দেয়। ওয়ারিশ (১৯৮৯) উপন্যাসে ব্রিটিশ শাসনামল, দেশভাগ আর হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় সাধারণ মানুষের জীবন চিত্রণ করেন। দক্ষিণায়নের দিন (১৯৮৫), কুলায় কালস্রােত (১৯৮৬), পূর্বরাত্রি পূবদিন (১৯৮৬) শওকত আলীর তিনটি মূলত ত্রয়ী ।
আরও পড়ুন প্রবন্ধ উচ্চশিক্ষা পরিকল্পনায় গ্রন্থাগার
শওকত আলীর উল্লেখযোগ্য আরেকটি সাহিত্যকর্ম প্রদোষে প্রাকৃতজন (১৯৮৪)। একটি ঐতিহাসিক সময় বা পর্যায়কে নিয়ে এ উপন্যাস। এ অঞ্চলে যখন হিন্দু শাসনের শেষে মুসলিম শাসনের সূচনা ঘটছে সে সময়কাল নিয়ে এ উপন্যাস রচিত হলেও এখানে সাম্প্রদায়িকতার চেয়ে বড় হয়ে ওঠে একটি নির্দিষ্ট ভূখণ্ডে নতুন ধর্ম, নতুন চিন্তা ও বিবর্তিত শাসকদের নিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনচিত্র। সময় ও সমাজের সঙ্গে অসম যুদ্ধে হেরে যায় এ উপন্যাসের প্রান্তিক মানুষ শ্যামাঙ্গ। বস্তুতপক্ষে, মাটিবর্তী মানুষই তাঁর উপন্যাসে এমনকি গল্পেও একটা হার্দ্য জায়গা নিয়ে আছে—একেবারে প্রথম উপন্যাস পিঙ্গল আকাশ (১৯৬৩) থেকে শুরু করে যাত্রা (১৯৭৬), উত্তরের খেপ (১৯৯১) ও দলিল (২০০০) প্রভৃতি উপন্যাস এবং উন্মূল বাসনা (১৯৬৮), লেলিহান সাধ (১৯৭৮), শুন হে লখিন্দর (১৯৮৮), বাবা আপনে যান (১৯৯৪) ও দিনগুজরান (২০০৬) প্রভৃতি গল্পগ্রন্থে একথা প্রমাণ পাওয়া যায়। গল্পে তাঁর শৈল্পিক নৈপুণ্য ধরা পড়ে যখন তিনি অনায়াসে মানুষের বেঁচে থাকার উদগ্র বাসনাকে ফুটিয়ে তোলেন।
রাজিয়া খানের কথাসাহিত্যের অভিমুখ তৎকালীন নগরের দিকে ফেরানো। তবে, চার দেয়াল, বিছানার সীমিত বৃত্তের বাইরে তাঁর উপন্যাসে দেশজ পরিপ্রেক্ষিত এবং বহির্বিশ্বের সম্মিলন ঘটে। ফলত তাঁর সৃজনশীলতায় বাংলাদেশের উপন্যাসে যে নারীভাবমূর্তি বিনির্মিত হয়, তা সাহিত্যক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যের অভিযোগের একটা জবাব তৈরি করে। অবশ্য কবিতা দিয়ে রাজিয়া খানের সাহিত্য-উন্মেষ ঘটলেও মাত্র ১৫ বছর বয়সে উপন্যাস লিখতে শুরু করেন এবং মাত্র ১৮ বছর বয়সে তাঁর প্রথম উপন্যাস বটতলার উপন্যাস (১৯৫৮) প্রকাশিত হয়। তাঁর বটতলার উপন্যাস-এর মঈন, সুমিতা, হেটি, শামসা, তরু, মিন্টু —সবাই যেন এক একটি বিচ্ছিন্ন নিঃসঙ্গ দ্বীপ। সবাই জীবনের সঙ্গতির সন্ধানী, শান্তির প্রত্যাশী—অথচ শূন্যতাবোধ তাদেরকে নিঃশেষিত করল।’
আরও পড়ুন ভালো মানুষ হওয়ার শিক্ষাই প্রকৃত শিক্ষা
প্রতিচিত্র (১৯৭৬) উপন্যাসে গ্রামের দরিদ্র ছেলের সাফল্যের শীর্ষে উত্তরণ যেমন দেখান তেমনি বিশ্লেষণধর্মী কার্যকারণের মাধ্যমে নাগরিক যুবকযুবতির মানসিক যন্ত্রণার চিত্রায়ণও দেখান। ফর্মের দিক বিবেচনায় অনুকল্প (১৯৫৯) বেশ সুগঠিত। বিশ্লেষণমুখি রাজিয়া খান নিরবয়ব চেতনাকে বিমূর্ত করে প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক, বরং জীবনের অস্তিত্বচেতনাকে পর্যালোচনার মাধ্যমে উন্মোচন করতেই তাঁর আগ্রহ। তাঁর অন্যান্য উপন্যাসের মধ্যে আছে হে মহাজীবন (১৯৮৩), দ্রৌপদী (১৯৯৩) ও পাদবিক (১৯৯৮) প্রভৃতি। এছাড়া অনেক ছোটগল্প লিখলেও প্রকাশ-অবহেলায় রাজিয়া খানের পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত গল্পগুলোও গ্রন্থিত হয়নি।
আরও পড়ুন সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর: বাংলাদেশের কথাসাহিত্য-
১ম পর্ব
২য় পর্ব
৩য় পর্ব
শেষ পর্ব
ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজে
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (৪র্থ পর্ব)