সাতচল্লিশ-থেকে-একাত্তর-২য়-পর্ব
প্রবন্ধ,  সাহিত্য

সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (২য় পর্ব)

সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (২য় পর্ব)

সৈকত আরেফিন

 

২.

দেশবিভাগোত্তর কালে কথাসাহিত্যের বিভাগপূর্ব কালে সূচিত ধারাকে যাঁরা এগিয়ে নেন তাঁদের মধ্যে আছেন—সত্যেন সেন (১৯০৭-১৯৮১), শওকত ওসমান, সরদার জয়েনউদদীন (১৯১৮-১৯৮৬), আবু রুশদ (১৯১৯-২০১০), সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, রশীদ করিম (১৯২৫-২০১১), আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩), শামসুদ্দীন আবুল কালাম (১৯২৬-১৯৯৭), শহীদুল্লা কায়সার (১৯২৬-১৯৭১), আনোয়ার পাশা (১৯২৮-১৯৭১), আলাউদ্দিন আল আজাদ (১৯৩২-২০০৯) আবদুল গাফফার চৌধুরী (১৯৩৪-২০২২) প্রমুখ। সাহিত্যরুচির দিক বিবেচনায় বলা যায়, এ বর্গের লেখকরা কখনো গ্রাম থেকে মনোযোগ সরাননি। তবে এঁদের মধ্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ও রশীদ করিম নিজেদের পরবর্তীকালের কথাসাহিত্যে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। সত্যেন সেন বয়সে এ পর্যায়ভুক্ত অন্য লেখকদের তুলনায় বয়স্ক হলেও, বেশি বয়সে লিখতে শুরু করার কারণে তিনি মূলত দশকোত্তীর্ণ কথাকারে পরিণত হন।

১৯৫৯ সালে  প্রকাশিত সত্যেন সেনের প্রথম উপন্যাস ভোরের বিহঙ্গীর প্রকাশকের মাধ্যমে জানা যায়, প্রায় পনর বছর আগে রচিত উপন্যাসটি বই আকারে বেরোয় প্রকাশকের হাতে আসারও এক বছর পর। ফলে বলা যায়, বিভাগোত্তর কালে উপন্যাস প্রকাশিত হলেও তাঁর সাহিত্যমানস গড়ে উঠেছিল বিভাগপূর্বকালের ভাবধারায়। কিন্তু দীর্ঘ প্রস্তুতির পর বিভাগোত্তর কালে, বাংলাদেশের সামাজিক জীবন-আবহে সৃষ্ট সংকট এবং জীবনের প্রত্যক্ষ বাস্তবতার সঙ্গে অন্তর্জীবনের দ্বান্দ্বিক সঙ্গতি উঠে আসে সত্যেন সেনের কথাসাহিত্যে। ব্যক্তিজীবনের রাজনৈতিক দর্শন ও আদর্শই তাঁকে লোকায়ত মানুষ ও গ্রামজীবনের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা দিয়েছিল, ফলে বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবনবাস্তবতার লুকায়িত ছবিটি তাঁর কাছে অবিদিত ছিল না।

আরও পড়ুন তথ্যসেবা ও তথ্য অধিকার আইন

কিন্তু, উপন্যাসে তিনি তিরিশ-চল্লিশের দশকের গ্রামকে নয় বরং আঁকলেন বিভাগোত্তর কালের অর্থনৈতিক-রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে পর্যদুস্ত বাংলাদেশের গ্রামীণজীবনকে। জীবনের বহির্বাস্তবতার বিবর্তনের ফলে মানুষের অন্তর্সত্তার পরিবর্তনও অনিবার্র্য হয়ে যায় এবং তাতে করে যে সংকটের আবহ তৈরি হয়, তার রূপায়ণে সত্যেন সেন সার্থকতার পরিচয় দেন। তাঁর সাহিত্যকর্ম সমাজতান্ত্রিক বাস্তবতা থেকে উৎসারিত। মানুষের যাপিত জীবন ও ইতিহাসকে তিনি সর্বদ্রষ্টার দৃষ্টিতে কেবল অবলোকনই করেন না, বলা যায় অনুধাবন করেন এবং বিদ্যমান সমাজকে বৈষম্যমুক্ত করে ভবিষ্যতের জন্য আদর্শ সমাজ নির্মাণে নিজেকে উৎসর্গ করে কর্মোদ্দীপনার মাধ্যমে পরিণত বয়সে সাহিত্য রচনা করেও নিজেকে কথাকার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে খুব বেশি সময় নেননি। অভিশপ্ত নগরী (১৯৬৭), পদচিহ্ন (১৯৬৮), পাপের সন্তান (১৯৬৯), কুমারজীব (১৯৬৯), বিদ্রোহী কৈবর্ত (১৯৬৯), পুরুষমেধ (১৯৬৯), প্রভৃতি উপন্যাসশিল্পে তাঁর এই অন্তর্লিপ্ত সমাজমনস্কতা গভীরভাবে ধরা পড়ে। বস্তুত, ব্যক্তিগত জীবনে সুদীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার সঙ্গে দ্বান্দ্বিক বস্তুবাদী তত্ত্বকে মিলিয়ে দেয় তাঁর কথাসাহিত্য।

শওকত ওসমানকে বলা যায়, তিন আমলের দ্রষ্টা। কেননা, কথাশিল্পী শওকত ওসমানের সাহিত্যিক-মানস গড়ে ওঠে ব্রিটিশ, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক পরিকাঠামোয়। ইংরেজ শাসনকালে পশ্চাৎপদ মুসলমানদের ইংরেজি শিক্ষায় পারদর্শী করে তোলার জন্য স্যার সৈয়দ আহমদ (১৮১৭-১৮৯৮) যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন, শওকত ওসমান আলিয়া মাদ্রাসার ছাত্র হয়েও ইংরেজি শিক্ষায় প্রয়াসী হন। ছাত্রজীবনে মাদ্রাসার ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি ইংরেজি শিক্ষার প্রতি অনুরক্তি তাঁকে যেমন বহির্জগতের জ্ঞানপিপাসা নিবৃত্তির পথ দেখায় তেমনি আজীবন সকল সংস্কারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার মত শক্তিশালী করে বাংলা ভাষার একজন কথাশিল্পী হিসেবেও প্রতিষ্ঠিত করে।

আরও পড়ুন প্রবন্ধ সমকালীন ভাবনা

বিভাগোত্তর বাংলাদেশ ভূখণ্ডের কথাসাহিত্যে শওকত ওসমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। যদিও বিভাগ-পূর্ব আর্থ-সামাজিক বাস্তবতার পশ্চিমবঙ্গীয় প্রেক্ষাপট নিয়ে জননী (১৯৬১) কিংবা বনী আদম (১৯৮৯) উপন্যাস দিয়ে শওকত ওসমানের সাহিত্যিক অভিযাত্রা সূচিত হয়েছিল, বিভাগোত্তরকালে তিনি পূর্ববঙ্গে চলে আসেন এবং অচিরে পূর্ববঙ্গের আর্থ-রাজনৈতিক চেতনার সঙ্গে নিজেকে মিলিয়ে নেন। ফলে, পাকিস্তানের সামরিক শাসনে পূর্ববঙ্গের মানুষের সামূহিক অবরুদ্ধতাকে রূপকায়িত করেন ক্রীতদাসের হাসি (১৯৬২) উপন্যাসে। পরবর্তীকালে শওকত ওসমান যে সমস্ত গল্প ও উপন্যাস রচনা করেন তাতে করে বলা যায়, তিনি বাংলাদেশের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হন—তাঁর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাসসমূহ যেমন—জাহান্নম হইতে বিদায় (১৯৭১), দুই সৈনিক (১৯৭৩), নেকড়ে অরণ্য (১৯৭৩), জলাঙ্গী (১৯৮৬) সে কথাই প্রমাণ করে।

সরদার জয়েনউদদীন লিখতে শুরু করেন চল্লিশের দশকে। প্রথম গল্পগ্রন্থ নয়ান ঢুলি (১৯৫২) দিয়ে শুরু করে পরবর্তীতে তিনি রচনা করেন গল্পগ্রন্থ হচ্ছে বীরকণ্ঠীর বিয়ে (১৯৫৫), খরস্রােত (১৯৫৫), বেলা ব্যানার্জীর প্রেম (১৯৬৮) ও অষ্টপ্রহর (১৯৭৩)। উপন্যাসও লেখেন বেশ কয়েকটি—নীল রং রক্ত (১৯৫৬), পান্নামতি (১৯৬৪), আদিগন্ত (১৯৬৫), অনেক সূর্যের আশা (১৯৬৬), বেগম শেফালী মির্জা (১৯৬৮) ও বিধস্ত রোদের ঢেউ (১৯৭৫) প্রভৃতি। কুৎসিত পরশাসনের নির্মম শোষণ, ধর্মের নামে ভাষা-সংস্কৃতি, অর্থবিত্তের বিবেকহীন অধিগ্রহণ আর বিপরীত প্রতিরোধের জ্বলন্ত আগুনের কঠিন সময়ের বাস্তবতার মধ্যে সরদার জয়েনউদদীন ফিরে গেছেন গ্রামবাংলার বাস্তবতায়। বস্তুতপক্ষে, তাঁর কথাসাহিত্যে আধুনিকতার ছাঁচহীন মানুষগুলো যেন শোষণের তীব্র অগ্নিশিখার অঢেল সরবরাহ করা জ্বালানি। তারা দাউ দাউ করে পোড়ে না, পোড়ে তুষের আগুনের মতো ধিকিধিকি।

 আরও পড়ুন প্রবন্ধ গ্রন্থাগার আইন

এ সময়ের আরেক কথাকার আবু রুশদের পুরো নাম আবু রুশদ মতিনউদ্দিন। তাঁর অনুজ কথাশিল্পী রশীদ করিম আবু রুশদ সম্পর্কে লেখেন, “সেজ আবু রুশদ (মতিনউদ্দিন), যাঁর পরিচয় দেওয়া বাহুল্য মাত্র।” কিন্তু এটা ঠিক, তিনি কথাকার হিসেবে যথার্থ-অর্থে আলোচিত নন। আত্মজীবনীতে আবু রুশদ নিজেই লেখেন,  “প্রচণ্ড কোনো আকাক্সক্ষার বশবর্তী হয়ে আমি কখনও এমন কিছু করিনি, যাতে আমার মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে।” তবুও তাঁর উপন্যাসের নামের মতোই তিনি জানেন, সামনে নতুন দিন। সামনে নতুন দিন (১৯৫৬) নামের উপন্যাসে মধ্যবিত্তজীবনের সঙ্কট, অস্তিত্বপ্রশ্ন ও ক্ষতকে আলগোছে সরিয়ে রেখে নাগরিকজীবনের পরোক্ষতাকে আঁকেন আবু রুশদ।

ব্যক্তিজীবনের দ্বন্দ্বমুখরতা তাঁর কথাসাহিত্যকে কখনো পরিপুিষ্ট দেয়। মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে শিক্ষকতাজীবনে, ডেপুটেশনে কিংবা বিদেশে দূতাবাসের চাকরিকালে সহকর্মীদের ঈর্ষা কিংবা ইংরেজি দৈনিকে সম্মানী নিয়ে সমস্যার বাস্তবতা তিনি জীবনে উপলব্ধি করেন। তাঁর নোঙর (১৯৬৩) উপন্যাসে পাকিস্তানের স্বপ্নভঙ্গ, বাঙালি মুসলিম মধ্যবিত্ত অস্তিত্বমুখর; অবক্ষয় গ্রাস করে এ মধ্যবিত্তকে—মূলচরিত্র কামালের চেতনায় দৃশ্যমান সবকিছু। নোঙর মূলত সদ্য-পাকিস্তানের বাঙালি মুসলিম-মানসের আশা-আকাক্সক্ষা আর স্বপ্নভঙ্গের বার্তাবাহী শিল্প। আবু রুশদের আরেক উপন্যাস স্থগিত দ্বীপ (১৯৭৪)-এও মধ্যবিত্ত সমাজের আস্থানির্ভরতার প্রসঙ্গসমূহ প্রতীকী তাৎপর্যে রূপায়িত হয়। আবু রুশদের কথাসাহিত্য নির্মাণে যে অর্জন, তা বিভাগোত্তর কালে নাগরিক অভিজ্ঞতায় জীবনবাদী ধারাটির একেবারে গোড়ায় জলসিঞ্চনে সতেজতা পায়।

আরও পড়ুন প্রবন্ধ ভাষা নিয়ে ভাবনা

সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ নিঃসন্দেহে আধুনিক বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ কথাকার। তবে তিনি ‘অতিপ্রজ লেখক ছিলেন না। তিনি স্বল্পায়ু ছিলেন, কিন্তু আনুপাতিকভাবে তাঁর লেখকজীবন দীর্ঘ ছিল, যেহেতু বাইশ-তেইশ বৎসর বয়স থেকেই তাঁর রচনা প্রকাশ পেতে শুরু করে।’ পঁচিশ বছরের বেশিকাল ধরে সৃষ্টিশীল থাকার পরে, চারটি বাংলা উপন্যাস (লালসালু-১৯৪৮, চাঁদের অমাবস্যা-১৯৬৪, কাঁদো নদী কাঁদো-১৯৬৮, শিম কীভাবে রান্না করতে হয়-২০১২); একটি ইংরেজি উপন্যাস (The Ugly Asian-২০১৩); দুটি গল্পগ্রন্থ (নয়নচারা ও অন্যান্য গল্প-১৯৪৫, দুই তীর ও অন্যান্য গল্প-১৯৬৫); কিছু অগ্রন্থিত গল্প কয়েকটি নাটক (বহিপীর-১৯৬০, উজানে মৃত্যু-১৯৬৩, সুড়ঙ্গ-১৯৬৪, তরঙ্গভঙ্গ-১৯৬৪) ও কতিপয় ইংরেজি-বাংলা প্রবন্ধের সৃজনকর্মকে বিপুল বলা যায় না। তবুও যে কালে ও যে সাহিত্যপটে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর মতো লেখকের আবির্ভাব ঘটে তার কোনো সহজ ব্যাখ্যা নেই।

অনতিবিপুল সাহিত্যকর্মে একটির পর একটি উপন্যাসে যে ক্ষিপ্রতা ও কুশলতায় যেভাবে তিনি বিষয়ান্তরে গিয়েছেন, আমাদের অভিজ্ঞতার পরিম-লকে ছিঁড়েখুঁড়ে অভাবনীয় চেহারা দিয়েছেন এবং প্রতিটি রচনায় নতুনতর শিল্পরূপ গড়ে তোলার যে সৃষ্টিশীল সক্ষমতা দেখিয়েছেন; তার তুলনা শুধু বাঙালি মুসলমান সমাজে নয়, সে সময়ের বাংলা সাহিত্যের বিস্তৃততর পটভূমিতেও সহজে মেলে না। এই অনন্যতা তাঁর জন্য শুভ হয়নি। কেননা, আমাদের বৃহত্তর সমাজ তো বটেই, সাহিত্যজগৎও সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর তাৎপর্য বুঝে ওঠার জন্য অপ্রস্তুত ছিল। সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর প্রতি আমরা উৎসুক হয়ে উঠেছি অনেক বিলম্বে—মৃত্যুর পরে, ধীরে, ধীরে।

জগদীশ গুপ্ত ও মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরসূরি এই লেখকের কথাসাহিত্যের কেন্দ্রমর্মে আছে উন্মুখ প্রবৃত্তি আর মনোভাবের বিশ্লেষণ। বহির্জগতের রূপায়ণ, ব্যক্তি ও সমাজের দোলাচল ও ব্যক্তির আরণ্যক অন্তর্ভুবনের অন্তঃশায়ী তলকে আবিষ্কার করে ভেতরকার মানুষের অবিরল উন্মোচনই সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহর অভীষ্ট। তবে তিনি কেবল ভেতর-লোকই উদ্ঘাটন করেন এমন নয়, বাইরের বাস্তবকেও তিনি যথাযথ অঙ্গীকার করেন। তাঁর কথাসাহিত্য তুলে ধরে মাজারের খাদেম, গ্রামের স্কুল মাস্টার, মফঃস্বল শহরের স্কুল-মিস্ট্রেস, নৌকার মাঝি, স্টীমারের সারেং, খালাসি, ভিখিরি, খুনী, কৃষক, মৌলবী, পীরসাহেব—এবং এরকম আরও অনেকের অন্তস্থ ও বহির্জীবন।

আরও পড়ুন সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর: বাংলাদেশের কথাসাহিত্য-
১ম পর্ব
৩য় পর্ব
৪র্থ পর্ব
শেষ পর্ব

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (২য় পর্ব)

Facebook Comments Box

সৈকত আরেফিন একজন গল্পকার ও প্রাবন্ধিক। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ: পাতা ও পতত্রি, মৃদু ব্যথা হতে পারে; প্রবন্ধগ্রন্থ: সমাপ্তি-শাস্তি-অতিথি, সাহিত্য পাঠ ও পর্যেষণ। তিনি ১৯৮০ খ্রিস্টাব্দের ২১ ফেব্রুয়ারি, পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহাম্মদপুর ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

error: Content is protected !!