ঘনঘটা
কবিতা,  জাহাঙ্গীর পানু,  সাহিত্য

ঘনঘটা

ঘনঘটা

জাহাঙ্গীর পানু

গভীর রজনী
হবে কী প্রত্যাশিত ভোর?
নতুন আলোয় হাসবে কী কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি?
আচমকা রাত জেগে চিন্তাক্লিষ্ট ভাবাবেগ নিয়ে
নিশাচর পাখির সাথে মিতালি।
নতুন আলোয় উদ্ভাসিত ভোরের অপেক্ষায় চৌদ্দ শিকায় বন্দিদের আর্তনাদ
কোনো দিশা খুঁজে পায় না হাওয়ায় উড়তে থাকা সাদা সিংহ শাবকের দল।
অভিনয়ের আগুনে জীবন্ত চিতায় পোড়ে
শত মানুষের স্বপ্ন।
আতঙ্কিত সিংহাসনের কাঁপুনিতে রাজপথে রক্তিম হয় গার্মেন্টসের সাদা সুতো।
উদাস দুপুরে আকাশের পানে ছলছল করে চেয়ে থাকে পিতৃস্নেহ বঞ্চিত শিশুর চোখ;
আবার কবে আসবে ফিরে আপন গৃহে।
জনগণের সেবায় নিয়োজিত পাইক পেয়াদারা আজ সিংহাসনের খুটি ধরে বসে আছে;
যদি আবার পরে যায়, উন্মত্ত হাওয়ায়।
থমথমে রাজপথের টুকরো পাথরগুলো ভয়ে একে অপরকে জড়িয়ে থাকে।
বঞ্চিত নগরের সুপ্তমন চেয়ে দেখে স্বেচ্ছাচারীর নব কূটকৌশলী রণহুংকার।
পায়রার  ছদ্মাবরণে আজ শকুনের হানা,
ওপারের মনোবাসনায় এপারের ঘনঘটা।
গোরস্তানের আবাসিরা চিন্তায় মগ্ন
আবার কি যেতে হবে ধরায়?
রাজাসন টিকে রাখতে।
নরকের পাহারাদারের বিমর্ষ মুচকি হাসিতে দেখা যায় অপমানের লজ্জা।
বিশ্রামাগার থেকে মাঝে মাঝেই ভেসে আসে; ইবলিসের অট্টহাসির প্রতিধ্বনি।

আরও পড়ুন কবি জাহাঙ্গীর পানুর কবিতা-
অন্ধকারের জ্যোতি
স্বপ্ন সারথি
শ্বাশত বাণী

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ফেসবুক ও  ইউটিউব চ্যানেলে

ঘনঘটা

Facebook Comments Box

কবি জাহাঙ্গীর পানু একজন বহুমাত্রিক লেখক, যাঁর লেখালেখির মধ্যে নির্দিষ্ট কোনো বিষয়বস্তু নেই। তিনি যে সময় যেটি প্রাসঙ্গিক মনে করেন এবং যেটি তাঁকে আকৃষ্ট করে, সেই বিষয়েই লেখেন। তাঁর রচনাগুলোর মধ্যে গ্রামীণ জীবনের সৌন্দর্য, সংস্কৃতির বৈচিত্র্য এবং মানুষের অন্তর্নিহিত অনুভূতিগুলো ফুটে ওঠে। এছাড়াও, তিনি নিয়মিত 'আমাদের সুজানগর' ওয়েব ম্যাগাজিনে লেখেন, যেখানে তাঁর বিভিন্ন ধরনের লেখা প্রকাশিত হয়। তিনি ১৯৭৭ খ্রিষ্টাব্দে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের অন্তর্গত উলাট গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

error: Content is protected !!