ঈদুল-ফিতর
কবিতা,  তাহমিনা খাতুন,  সাহিত্য

ঈদুল ফিতর

ঈদুল ফিতর

তাহমিনা খাতুন

 

সাঁঝের আকাশে এক ফালি চাঁদ উঠেছে ফের হেসে
ছুটিছে সবাই দেখিতে তাহারে, বড়ই ভালোবেসে।

নিত্য দিন একই চাঁদ ওঠে, একই আকাশ কোলে
সবার অলক্ষে ডুবে যায় ফের, মন কি সদাই দোলে?

ঈদের খুশী এনেছে সে বহিয়া, বিশ্ব মুসলিম তরে
আকাশ বাতাস তার বারতা জানায়, মহা আড়ম্বরেক।

সাগর নদী সে কথা জানায়, ছলাৎ ছলাৎ গানে
পাখ-পাখালি জানায় সে খুশী, তাদের কলতানে।

হরেক রঙের পোশাক পরিবে খোকা খুকুর দল
ফিরনী পোলাও পায়েস খাবে, হবে তারা উচ্ছ্বল।

কিশোরী তরুনী মেহেদীর রঙে, রাঙাবে হস্ত খানি
খুশী আনন্দ আর উচ্ছ্বলতায়, ভাসিবে তাহারা জান।

আতর গোলাপ খুশবু ছড়াবে, সারাটি দুনিয়া জুড়ে
দানে আর গানে জগৎ মাতিবে, ভেদাভেদ যাবে দূরে।

যাবে ঈদগাহে পড়বে নামাজ, ছোট বড় বিভেদ ভুলি
নামাজ শেষে সব মুসলিম, করবে যে কোলাকুলি।

কে বেশী বড় ধনে আর মানে, কে বা ক্ষুদ্র অতি
সব কিছু ভুলে বিশ্ব মুসলিম, হয়ে যাবে এক জাতি।

নাইকো হিংসা নাই তো বিদ্বেষ, নাই তো অহঙ্কার
ছোট আর বড় সে কথা ভুলে, হবে সব একাকার।

মনের কালিমা দূর হয়ে যাক, সবার হৃদয় হতে
সকল মানুষ সুখেতে থাকুক, ভাসুক আনন্দ স্রোতে।

ঈদের খুশী একদিন নয়, থাকুক বছর জুড়ে
হাসি আনন্দে জীবন কাটুক, ঈদ থাক অন্তরে।

ঈদ উৎসব পূর্ণতা পাবে, হানাহানি হলে দূর
মানব জনম সার্থক হবে, খুশী হবে ভরপুর।

আরও পড়ুন কবিতা-
স্মৃতির পাতায়
ব্যবধান
পদ শব্দ মিলিয়ে যায়
বিবাগী মন

 

 

ঘুরে আসুন আমাদের সুজানগর এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলফেসবুক পেইজে

ঈদুল ফিতর

Facebook Comments Box

তাহমিনা খাতুন একজন বহুমুখী প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব। তিনি ছড়া, কবিতা, গল্প, ভ্রমণকাহিনি এবং নারীর অধিকার নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে নিয়মিত কলাম লিখে থাকেন। পেশায় তিনি একজন আইনজীবী। তার পেশাগত জীবনে তিনি নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান এবং তাদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ করতেন। তাহমিনা খাতুন ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দের ১লা মার্চ পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত আহম্মদপুর ইউনিয়নের দ্বারিয়াপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শৈশব ও কৈশোর কাটে এই গ্রামেই।

error: Content is protected !!