-
সোনালী সকাল (শেষ পর্ব)
সোনালী সকাল (শেষ পর্ব) মোহাম্মাদ শাহ্ আলম এদিকে রবি স্যান্ডেল নিয়ে পথে বের হল। কিন্তু যে পথে বসে মুচিরা জুতো মেরামত করেন, সে পথে তাদের গ্রামের অনেকেই আসা যাওয়া করে। দুশ্চিন্তায় রবির মুখটা হঠাৎ নিস্প্রভ হয়ে গেল। কারণ যেখানে সে জুতাগুলো সারাতে নিয়ে যাবে সেখান থেকে তাদের বাড়ি বেশি দূর নয়। এমন কি সে পথে দিনে দশ বার তাদের বাড়ির প্রত্যেককে যেতে আসতে হয়। আজ তার নির্ঘাত ধরা পরতে হবে। তাই সে পথে এসে দ্রুত তার বেশভূষা পরিবর্তন করল। দু’মিনিটের মধ্যে গন্তব্য স্থলে পৌছে গেল রবি। একজন বলল, _বাবু এদিকে আনুন, খুব ভালো করে সেরে দেব। এটা বলার পর…
-
সোনালী সকাল (৩য় পর্ব)
সোনালী সকাল (৩য় পর্ব) মোহাম্মাদ শাহ্ আলম সেই থেকে আজ এক মাস হলো সকাল রবি সেজে এ বাড়িতে ফাইফরমাস পালন করে চলেছে। তবে বেশি কিছু করতে হয় না তাকে। এই থালা বাসন মাজা, বাগান সাফ করা, এই আর কি। তবে ছেলেটা অলস নয়। যে কাজেই পাঠানো যাক, তা সে ঠিক ঠিক করে দেয়। বোবা হলেও জ্ঞান তার কম নেই এ ব্যাপারটা সবাই বুঝতে পেরেছেন। আজ সকালে উঠেই রবি বাগানে গেল। কিন্তু প্রতিদিনের মত আজ আর সোনাই সেখানে উপস্থিত নেই। রবির মনটা খারাপ হয়ে গেল। কারণ সোনাই যেন তার প্রতিদিনের জীবনের রবি। তার মুখটা না দেখলে অথবা একটু হাসি হাসি…
-
সোনালী সকাল (২য় পর্ব)
সোনালী সকাল (২য় পর্ব) মোহাম্মাদ শাহ্ আলম বাবা জিজ্ঞেস করলেন, _এতো দেরি করলি কেনরে? _(মিতা) আর শুনো না বাবা। বর কনের বিদায় পর্যন্ত বাধ্য হয়ে থাকতে হলো। _ঠিক আছে। কিছু খেতে হয় যদি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়। _না বাবা, খেতে হবে না। খুব ঘুম পাচ্ছে। এরই মধ্যে পনেরো দিন গত হয়ে গেল। বর বধুর শুভদৃষ্টি অসমাপ্তই রয়ে গেল। দুজনার মনেই একই কৌতূহল। যাকে বিয়ে করলাম তার চেহারা চরিত্র কেমন? এই যে কৌতূহল, তা সেখানেই সীমাবদ্ধ রইলো না। তারা উভয়েই অনিদ্রা আর আহারে অরুচি জানিত রোগে ভূগতে লাগল। সকাল দেবদাস সেজে বের হল, ছিপ বড়শি নিয়ে মাছ ধরতে। অবশ্য মাছ ধরার…
-
সোনালী সকাল (১ম পর্ব)
সোনালী সকাল (১ম পর্ব) মোহাম্মাদ শাহ্ আলম ছেলের বাবা বললেন, এক হাতে যৌতুকের টাকা আরেক হাতে ছেলে, নইলে না। মেয়ের বাবা যতোটা অনুনয়ে অনুযোগ প্রকাশ পায়, তার সাধ্য সাধনায় নিজেকে ক্ষুদ্রতম প্রতিপন্ন করে বললেন, _এতোটা নির্দয় হলে চলে না। ঠাণ্ডা মাথায় একটু ভাবুন, এক্ষেত্রে আমার এতটুকু দোষ খুঁজে পাবেন না। হরতালটা এমন অকস্মাৎ ঘটবে কে তা জানতো, বলুন? নইলে মাত্র পঁচিশ লক্ষ টাকা, ব্যাংক থেকে যখন তখন তুলতে পারতাম। কিন্তু এখন তো ব্যাংক বন্ধ। তবে ভাববেন না। আগামিকাল নয়টার মধ্যেই পুরোটা পেমেন্ট পেয়ে যাবেন। ছেলের বাবা উচ্চ স্বরে হেসে বললেন, _আমাদের বাংলা ভাষায় একটা কথা আছে ‘আজ না কাল,…