-
খ ম আব্দুল আউয়াল
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের সাবেক পরিচালক, কবি ও গবেষক খ ম আব্দুল আউয়াল (মন্টু)। জন্ম: কবি ও গবেষক খ ম আব্দুল আউয়াল ১৯৫১ খ্রিষ্টাব্দের ১লা জানুয়ারি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত সাগরকান্দী ইউনিয়নের শ্যামসুন্দরপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা অধ্যাপক মুহাম্মদ খোয়াজউদ্দিন ছিলেন ত্রিশের দশকের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃতী ছাত্র, সর্বোচ্চ ডিগ্রিপ্রাপ্ত একজন ইসলামি শিক্ষাবিদ ও সরকারি কবি কাজী নজরুল ইসলাম কলেজের (সাবেক ঢাকা ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েট কলেজ) অধ্যক্ষ (জন্ম: ০১-১১-১৯১১ খ্রি., মৃত্যু: ৩০-০৫-১৯৮৫ খ্রি.) এবং মাতা হাজেরা খাতুন (১৯১৮-২০০০ খ্রি.) ছিলেন গৃহিণী ও রত্নগর্ভা মা। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থতম। চার ভাই অধ্যাপক…
-
কৃতি ব্যক্তিবর্গ, তালিমনগর, মুরারীপুর, লেখক পরিচিতি, শিক্ষকবৃন্দ, শিক্ষাবিদ, শ্যামসুন্দরপুর, সমাজসেবক, সাগরকান্দি, সাগরকান্দি ইউনিয়নের ইতিহাস ও ঐতিহ্য, সাহিত্য
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (২য় পর্ব)
অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন (২য় পর্ব) খ ম আবদুল আউয়াল ধর্ম সাধনা ও সমাজ সেবা: অধ্যাপক মুহম্মদ খোয়াজউদ্দিন নিজে নিজেকে গড়ে তুলেছিলেন যাকে বলে self made man. তিনি ছিলেন প্রকৃত ধর্মপ্রাণ, সত্যনিষ্ঠ, আদর্শবাদী মানুষ। ধর্মবোধ থেকেই পিতামাতার প্রতি ছিলেন পরম ভক্ত ও কর্তব্যনিষ্ঠ। তাই পিতার ইচ্ছানুযায়ী ধর্মীয় জ্ঞানেই আধুনিক উচ্চ শিক্ষা লাভ করেছিলেন, যদিও তাঁর মেধা ও আকাঙ্ক্ষার বিষয় ছিল গণিতশাস্ত্র। শিক্ষা লাভের শুরু থেকেই তিনি আদর্শ মানব হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন হযরত মুহম্মদ (সা.) কে। তাই সচেতনভাবে তরুণ বয়স থেকেই মহানবীর মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বিশ্বনবীকে গভীর ভালোবেসে অনুসরণ করে আমরণ জীবন যাপন করে গিয়েছেন। তিনি একাধারে যেমন ছিলেন পরম…
-
মোহাম্মদ আবিদ আলী (১ম পর্ব)
মোহাম্মদ আবিদ আলী (১ম পর্ব) মোহাম্মদ আবিদ আলী (১৯০৪-১৯৮৭ খ্রি.) ছিলেন একজন শিক্ষাবিদ ও লেখক। জন্ম: মোহাম্মদ আবিদ আলী ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: পিতা মুন্সি মিয়াজান মল্লিক ও মাতা বুলুজান নেছা। তিন ভাই ও দুই বোনের মধ্যে মোহাম্মদ আবিদ আলী ছিলেন সবার বড়ো। মোহাম্মদ আবিদ আলী, এম. আকবর আলী ও মোহাম্মদ আবদুল জব্বার এই তিন সহোদর যেন একই বৃত্তে তিনটি ফুল। তাঁদের জন্মদায়িনী মা ‘রত্নগর্ভা’ জননীর সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন। পিতা মিয়াজান মল্লিক প্রথম জীবনে মাঝি ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি স্বাধীনভাবে ছো্টো ছোটো ব্যবসা শুরু করেন এবং এই ব্যবসার সীমিত…
-
সাইফুর রহমান
সাইফুর রহমান মূলত একজন গল্পকার। মানবজীবনের বৈপরীত্য ও মনস্তাত্ত্বিক বহুমুখিতা তাঁর লেখার প্রধান উপজীব্য। জন্ম: সাইফুর রহমান ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দের ১২ ডিসেম্বর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার দুলাই ইউনিয়নের চরদুলাই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবন: সাইফুর রহমানের পিতা জনাব মো. বজলুর রহমান পেশায় ছিলেন একজন সরকারি কর্মকর্তা। তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরে দীর্ঘদিন চিফ একাউন্টস অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চরদুলাইয়ে প্রতিষ্ঠিত “বজলুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়” তাঁর একক প্রচেষ্টার উজ্জ্বল উদাহরণ। মাতা বেগম হোসনে আরা রহমান একজন গৃহিণী। তিনি পিতা-মাতার একমাত্র পুত্র সন্তান। তাঁর তিন বোন রয়েছে। প্রথম বোন বদরুন নাহার শেলী। দ্বিতীয় বোন ডা. বিলকিস নাহার শিল্পী, পেশায় ডাক্তার। তৃতীয় বোন…
-
আদ্যনাথ ঘোষ
কবি ও প্রাবন্ধিক আদ্যনাথ ঘোষ প্রতিনিয়ত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক ও স্থানীয় পত্রিকায় কবিতা ও প্রবন্ধ লিখেন। কবিতা আশ্রম (ভারত) এবং কালি ও কলম সাহিত্য পত্রিকাসহ দেশ ও বিদেশের বিভিন্ন লিটল ম্যাগ ও সাহিত্য পত্রিকায় নিয়মিত লিখে থাকেন। জন্ম: আদ্যনাথ ঘোষ ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২রা জানুয়ারি পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের পদ্মার তীরবর্তী নিসর্গ সৌন্দর্যশোভিত গ্রাম হেমরাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন. পারিবারিক জীবন: পিতা বীরমুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ কুমার ঘোষ এবং মাতা নিভা রানী ঘোষ। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি তৃতীয়। বড় ভাই বৈদ্যনাথ ঘোষ, সত্যনাথ ঘোষ, স্বপন কুমার ঘোষ, তাপস কুমার ঘোষ এবং বড় বোন মেনোকা রানী ঘোষ, প্রতিমা রানী ঘোষ, প্রতিভা রানী ঘোষ,…
-
আবদুল গনি হাজারী (৩য় পর্ব)
আবদুল গনি হাজারী (৩য় পর্ব) আবদুল গনি হাজারীর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘‘জাগ্রত প্রদীপ’’ প্রকাশিত হয় ১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে। এ গ্রন্থেও কবি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি, বক্তব্য ও কবিভাষার উৎকৃষ্টতর উত্তরণের স্বাক্ষর রেখেছেন। মূলত এ কাব্যগ্রন্থেই তাঁর কবিপ্রতিভার পূর্ণতা প্রকাশ পেয়েছে। এ গ্রন্থের নামকবিতা ‘জাগ্রত প্রদীপ’-এ পাওয়া যায় মুমূর্ষ পিতাকে ঘিরে অসহায় সন্তানদের করূণ প্রার্থনার বিষন্নরুপ। পুরো কবিতাটির মধ্যে একটি নাটকীয় পরিবেশ বিরাজিত। এ কবিতাটির মধ্যে একজন যথার্থ কবির স্বরূপ প্রকাশিত হয়েছে। এ দীর্ঘ কবিতাটির শেষের পংক্তিগুলো সহসা আমাদের দৃষ্টি ফিরিয়েছে মৃত্যু অতীত রহস্যোলোকের প্রতি, নৈরাশ্যের অন্ধকার থেকে বিশ্বাসের আলোতে- “তোমাদের পিতাকে চড়িয়ে দিরাম সংশয়ের ভ্রুভঙ্গে প্রত্যয়ের অস্থিতে, বন্ধা রাত্রির উন্মুখ গর্ভে…
-
আবদুল গনি হাজারী (২য় পর্ব)
আবদুল গনি হাজারী (২য় পর্ব) কাব্য মূল্যায়ন: আবদুল গনি হাজারীর কাব্য-প্রতিভা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিয়ে কবি শামসুর রাহমান বলেছেন,‘‘ ‘সামান্য ধন’ অসমান্য খ্যাতি অর্জন করতে পারে নি। এই গ্রন্থে আবদুল গনি হাজারীর কাব্যকৃতি তেমন উজ্জ্বল নয় যদিও প্রথম বইতেই তাঁর কোনো কোনো বৈশিষ্ট্য কাব্যরসিকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু ‘সূর্যের সিঁড়ি’ প্রকাশিত হবার পরে এই কবির শক্তি সম্পর্কে কারো মনে কোনো দ্বিধা রইল না। একজন শক্তিশালী বিদগ্ধ কবি হিসেবে আবদুল গনি হাজারীর প্রতিষ্ঠিত হলেন পাঠক সমাজে।’’ তিনি জীবনের অধিকাংশ সময় বাস করেছেন কলকাতা ও ঢাকা শহরে। ফলে নাগরিক-জীবনের চালচিত্র প্রধানভাবে তাঁর কবিতার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে। সৈয়দ আলী আহসান লিখেছেন, “নগর…
-
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (৩য় পর্ব)
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (৩য় পর্ব) তারা পরিচিতি রিভিউ: তারা পরিচিতি জ্যোতির্বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশল শিক্ষক মোহাম্মদ আবদুল জব্বার রচিত একটি জ্যোতির্বিজ্ঞান গ্রন্থ। এই বইয়ে আধুনিক ৮৮টি তারামণ্ডলের সবগুলোর বিস্তারিত বর্ননা করা হয়েছে। পৃথিবীর আকাশে তাদের অবস্থান এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত তারার তালিকা উল্লেখিত আছে। প্রত্যেকটি তারামণ্ডলের বৈশিষ্ট্য,অবস্থান চেনার সহজ উপায়,স্পষ্ট ম্যাপ এবং তারকা সমূহের চিহ্ন,বাংলা ও ইংরেজি নাম। বিশেষত্ব, উজ্জ্বলতা এবং জোড়াতারা সমূহেরও বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে বইটিতে। এছাড়াও বইটিতে বারটি রাশির আলোচনার পাশাপাশি তারার শ্রেণীবিভাগ (বিষম, যুক্ত, নব তারা), তারার আয়তন, উজ্জ্বলতা, সীমারেখা, Hour circle, Celestial equator, Meridian,অয়ন, বিষুবন চলন এর মতো জটিল বিষয়সমূহ অতি প্রাঞ্জল ও সাবলীল ভাষায় ব্যাখ্যা করা…
-
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (২য় পর্ব)
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (২য় পর্ব) জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চা: মোহাম্মদ আবদুল জব্বার জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি বিশেষভাবে আকৃষ্ট হয়েছিলেন প্রেসিডেন্সি কলেজে শিক্ষকতা করার সময়। এই কলেজে ছোট একটি অবজারভেটরি ছিল। সেখান থেকে টেলিস্কোপে আকাশের গ্রহ-নক্ষত্রের গতিবিধি দেখানো হতো। সে সময়েই জ্যোতির্বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলায় তাঁর লেখা বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হয় ‘মোহাম্মদী’, ‘সওগাত’, ‘পাঠশালা’ ইত্যাদি পত্রিকায়। বুয়েটে ড. রশীদ অধ্যাপক হিসেবে কাজ করার সময় তিনি রচনা করেন গবেষণাধর্মী গ্রন্থ ‘বিশ্ব ও সৌরজগৎ’। ১৯৮৬ সালে প্রকাশিত এই গ্রন্থের ভূমিকায় তিনি বলেছেন “..জ্যোতির্বিদ্যা আমার সখের বিষয়।…” এই শখের বিষয়টি নিয়ে গবেষণাকাজ চালিয়ে যাবার ইচ্ছে তাঁর অবশ্যই ছিল। কিন্তু এর জন্য বিষয়োপযোগী বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম, গবেষণাগার ও…
-
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (১ম পর্ব)
মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (১ম পর্ব) জ্যোতির্বিজ্ঞানী মোহাম্মদ আবদুল জব্বার (১৯১৫-১৯৯৩ খ্রি.) বাংলাদেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান চর্চার অগ্রদূত। তিনিই প্রথম বাংলায় আকাশের তারাসমূহের ছক তৈরি করেন। তাঁর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পরিকল্পনায় বাংলাদেশের প্রথম খ-গোলক নির্মিত হয়। পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন একাধারে একজন শিক্ষাবিদ, লেখক ও বিজ্ঞানী। অসামান্য অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, ড. কুদরত-ই-খুদা স্মৃতি পদক, একুশে পদক ও ব্রুনো পদকে ভূষিত হন। জন্ম: মোহাম্মদ আবদুল জব্বার ১৯১৫ সালের ১লা জানুয়ারি (শিক্ষা সনদ অনুযায়ী), পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার অন্তর্গত ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক…