-
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (৩য় পর্ব)
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (৩য় পর্ব) সৈকত আরেফিন ১৯৪২ সালে সওগাত পত্রিকায় ‘আয়েশা’ নামের একটি গল্প প্রকাশের মধ্য দিয়ে বাংলা কথাসাহিত্যে রশীদ করিমের আবির্ভাব হলেও তাঁর লেখকসত্তার স্ফূরণ ঘটে মূলত ষাটের দশকে। প্রথম উপন্যাস উত্তম পুরুষ (১৯৬১)-ভাষাগত বৈদগ্ধ, শাণিত বিশ্লেষণপ্রবণতা, আঙ্গিকশৈলী বিচারে সমকালীন অন্য কথাকারদের থেকে রশীদ করিমকে আলাদা করে দেয়। আত্মজৈবনিক স্মৃতিচারণধর্মী উপন্যাসে ‘এক বিরাট রাজনৈতিক ও সামাজিক ডামাডোলের মধ্যে দিয়ে আসা যে মধ্যবিত্ত এখনো স্থিত হয়নি, যার পশ্চাদভূমিতে আছে কলকাতা থেকে উৎসদেশের বেদনা নতুন সমাজের অশ্চিয়তা ও সংশয়, সর্বোপরি রাজনৈতিক মতাদর্শ প্ররোচিত আবহমান ইতিহাস ও সংস্কৃতির খণ্ডিত বিচারের দায় যে মধ্যবিত্তকে উচ্চকিত রেখেছে, তারাই এ উপন্যাসের অভিনিবেশকেন্দ্র। প্রথম…
-
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (২য় পর্ব)
সাতচল্লিশ থেকে একাত্তর (২য় পর্ব) সৈকত আরেফিন ২. দেশবিভাগোত্তর কালে কথাসাহিত্যের বিভাগপূর্ব কালে সূচিত ধারাকে যাঁরা এগিয়ে নেন তাঁদের মধ্যে আছেন—সত্যেন সেন (১৯০৭-১৯৮১), শওকত ওসমান, সরদার জয়েনউদদীন (১৯১৮-১৯৮৬), আবু রুশদ (১৯১৯-২০১০), সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, রশীদ করিম (১৯২৫-২০১১), আবু ইসহাক (১৯২৬-২০০৩), শামসুদ্দীন আবুল কালাম (১৯২৬-১৯৯৭), শহীদুল্লা কায়সার (১৯২৬-১৯৭১), আনোয়ার পাশা (১৯২৮-১৯৭১), আলাউদ্দিন আল আজাদ (১৯৩২-২০০৯) আবদুল গাফফার চৌধুরী (১৯৩৪-২০২২) প্রমুখ। সাহিত্যরুচির দিক বিবেচনায় বলা যায়, এ বর্গের লেখকরা কখনো গ্রাম থেকে মনোযোগ সরাননি। তবে এঁদের মধ্যে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ও রশীদ করিম নিজেদের পরবর্তীকালের কথাসাহিত্যে নতুনভাবে উপস্থাপন করেন। সত্যেন সেন বয়সে এ পর্যায়ভুক্ত অন্য লেখকদের তুলনায় বয়স্ক হলেও, বেশি বয়সে লিখতে শুরু…