-
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৪র্থ পর্ব)
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৪র্থ পর্ব) সাইফুর রহমান এবারের অপারেশন হবে বনকোলা নামক গ্রামে। সেখানে জনা পঞ্চাশেক মিলিটারির একটি ক্যাম্প গঠিত হয়েছে। যেকোনো মূল্যে সে ক্যাম্পটিকে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। বনকোলা গ্রামটি একেবারে গাজনার বিলের তীর ঘেঁষে। সেই হিসেবে জলপথেই আক্রমণ সবচেয়ে সুবিধা ও নিরাপদ। তিনটি নৌকায় তোলা হলো মোট বিশ জন মুক্তিযোদ্ধা। দুটি ভাউলিয়া নৌকা ও একটি জেলে ডিঙি। ভাউলিয়া নৌকাটির পেছন থেকে অর্ধেক পর্যন্ত বাঁশের শক্ত চাতালের মতো ছই। সামনেরটুকু একেবারেই ফাঁকা। এতে করে বেশ সুবিধাই হয়। পাকসেনাদের নিয়োজিত অনুচরদের আর সন্দেহ থাকে না যে সেগুলোতে আসলে মুক্তিযোদ্ধারা লুকিয়ে আছে। ভাউলিয়া নৌকাটি ক্ষুদ্রাকার, অপ্রয়োজনীয় বাহুল্যবর্জিত ও হালকা। অপেক্ষাকৃত কম…
-
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৩য় পর্ব)
একশত ছিদ্রযুক্ত জামা (৩য় পর্ব) সাইফুর রহমান রেজেক বাড়ি ফিরতেই লক্ষ করে, মোমেনাও আসন্ন যুদ্ধবিগ্রহে শঙ্কিত ও চিন্তাগ্রস্ত। মোমেনা রেজেককে উদ্দেশ করে বলে, ── পাকিস্তানিরা নাকি সত্যই আমারে দেশের মানষির মাইরে ফেলাচ্ছে। ইডা কেমন কতা? ওরা না মুসলমান। মুসলমান হয়া আরেক মুসলমানরে মারতিছে। ওদের কি ধর্মটর্ম কিছু নেই তালি? ── কী আর কবো রে মোমেনা। পাকিস্তানি মিলিটারিরা কাশিনাথপুর ক্যাম্প গাড়েছে। ওরা নাকি আমারে গিরামেও আসপি। অল্প বয়স্ক বেটা-ছেলেদের নাকি ধইরে নিয়ে যাচ্ছে। কী হরবো, কিছুই বুঝবের পারতেছিনে। মোমেনা উৎকণ্ঠিত গলায় বলে, আগে আপনি হাটে যান। গ্রামের অনেকেই চাল-ডাল-নুন-তেল মজুত করতিছে। যুদ্ধ শুরু হয়া গেলি মানুষজন খাবি-পরবি কেবি কইরে? ──…