-
ভালোবাসি যারে, কবি ওমর আলী
ভালোবাসি যারে পথিক জামান ভালোবাসি যারে পাইনিকো তারে এই পৃথিবীর মাঝে, তাই ঘুরি ফিরি এখানে-সেখানে মন বসে নাকো কাজে। জানি আমি কি যে করিয়াছি ভুল, তাই বাগিচায় ফুটিল না ফুল, গাহিল না গান পাখি না পেয়ে তোমায় কী করে ঘুমায় আমার তৃষিত আঁখি? তুমি ছিলে মোর নয়নের মনি তোমার কথা ভাবি যখনি মন কাঁদে বারে বার, মানে না বারণ, কাঁদে সারাক্ষণ কী করিব আমি তার? জান না তোমাকে কত ভালোবাসি, তাই শত বার ফিরে ফিরে আসি, তোমাকে দেখার ছলে, তোমার বিহনে বিরহ অনল ধিকি-ধিকি বুকে জ্বলে। কিভাবে বল থাকিব দাঁড়ায়ে? পাগল হয়েছি তোমাকে হারায়ে একুশ বছর আগে, আজও নিশিদিন…
-
প্রেমের পরশ, আমার গানের পাখি
প্রেমের পরশ পথিক জামান তোমার প্রেমের পরশ, আমার বুকে কাঁটা হয়ে ফোঁটে কখনো তা হয় সরস। প্রেমের এ কেমন ধারা, প্রেমের পরশ পেয়েছে যেজন বাঁচিবে না প্রেম ছাড়া। ওগো মোর প্রেম বালা, প্রেম-প্রেম খেলা খেলিও না আর বাড়িও না প্রেম জ্বালা। তোমার প্রেম যে আগুন কখনো বুকে রক্ত ঝরায় কখনো তা হয় ফাগুন। জানো না তোমার প্রেমের দহনে নিশিদিন আমি দহি, সব জ্বালা আমি বুক পেতে নিয়ে চুপ করে সবই সহি। আমার কাব্য রানী, চুপি চুপি মোর মন্দিরে এসে শোনাও মধুর বাণী ওগো প্রেম সুন্দরী, সব কিছু মোর অবহেলা করে মনটা করিলে চুরি। আমার পরাণ পাখি, তোমার ছাড়া ফুল…
-
রবে শুধু রব, হঠাৎ দেখা
রবে শুধু রব পথিক জামান একদিন এ পথে আর কেউ হাঁটবে না কোনোদিন চিরতরে বন্ধ হবে আনাগোনা – তারকা খচিত রাত জোছনার শুভ্র আলো ভোরের পাখির সুরেলা গান বসন্তের রঙিন আভা এবং ভোমরের মধু গুঞ্জন সব নীরব হয়ে যাবে – ফুলের রঙিন হাসি শিশুদের তালহীন নাচ সাগরের তরঙ্গমালা মাছখেকো শিয়ালের হুক্কা হুয়া, হিমালয়ের শীতল হাওয়া শিল্পীর গজল গাওয়া গবাদি পশুর অবাধ বিচরণ কৃষকের ভাটিয়ালি গান চির অম্লান রবে না কিছু- মেয়েদের খোঁপায় পরা রজনী গন্ধা ফুল লাল আলতা পরা চরণ যুগল দৃশ্যমান হবে না ধরায় সব অন্ধকারে বিলীন হবে গাঢ় অন্ধকারে, রবে শুধু রব,পবিত্র মহান। আরও পড়ুন কবি পথিক…
-
টুনটুনি, একটি স্বপ্নের মৃত্যু
টুনটুনি পথিক জামান টুনটুনি তোমার টুনটুন শব্দ আমার ঘুমঘুম ভাবকে দূর করে দেয় ধীরে ধীরে – তোমার অদ্ভুত চঞ্চলতা আমাকে মুগ্ধ করে সারাক্ষণ, সবুজ পাতার আড়ালে তোমার বাসার সন্ধান আমি জানি, চিকচিক যুগল ছানার ক্ষুধার্ত চিৎকারে তুমি পাগল প্রায়, তাই দূরন্ত ছুটাছুটি ডাল হতে ডালে, সবুজ পাতায় নরম তুলার শৈল্পিক বুননি পরম আরাম দেয় চরম শীতেও নিশ্চয়। অবুঝ শিশুটি বারবার হাত বাড়ায় তোমার স্পর্শ পাবার তীব্র আকাঙ্ক্ষায়- কাঁদে,আবার মাকে ডাকে ইশারায় ধরে দিতে তোমাকে, সন্তানের অপূর্ণ সাধ মেটাতে শিশু মাতা তোমাকে মুষ্ঠিবদ্ধ করতে চায়, নিজের শিশুর মুখে হাসি দেখার জন্যে, কখনো ভাব না তুমিও মা, বাসায় যুগল ছানা তখনো…
-
কেশবতী প্রিয়ংগনা, আমার কবিতার রাণী
কেশবতী প্রিয়ংগনা পথিক জামান কেশবতী প্রিয়ংগনা, তুমিতো সন্ধ্যাকাশের শুকতারার চেয়েও সুন্দর। তুমি অসীম আকাশে একাকী জেগে থাকা পূর্ণিমার চাঁদের মতোই উজ্জ্বল, কিন্তু আমার আকাশতো এখনো ঘোর অন্ধকার। এখানে আর চাঁদ ওঠেনা, তারাও ফোটেনা বহেনা মৃদুমন্দ বাতাস, ডাকেনা বসন্তের কোকিল ফোটেনা লাল কৃষ্ণচূড়ার ফুল ভরা বসন্তেও। বারান্দায় দাঁড়িয়ে এদিক সেদিক চাই, কত লোক আসে কত লোক যায়, শুধু তুমি নাই তাদের ভিড়ে। প্রতীক্ষার প্রহরগুলো হতাশায় শুধু দীর্ঘতরই হয়, আশার আলো ফোটেনা আর এ প্রতীক্ষিত জীবনে আমার! আরও পড়ুন কবি পথিক জামানের কবিতা- বারবার ফিরে আসি ঝড়ের পূর্বাভাস ভালোবাসি যারে সুখের সন্ধান আমার কবিতার রাণী কোন এক ফাগুনে তুমি এসেছিলে…
-
সেদিন কি আর আসবে কভু ফিরে, তোমায় ভোলা সহজ নয়
সেদিন কি আর আসবে কভু ফিরে পথিক জামান ধানসিঁড়ি আর পদ্মা নদীর তীরে আসবে কি আর মধুর অতীত ফিরে, কাটবে কি আর রাখাল দিনের বেলা, হায়রে জীবন হায়রে মধুর স্মৃতি হায়রে আমার মধুর পল্লিগীতি হায়রে আমার পুতুল পুতুল খেলা। স্মৃতিকাতর মানুষগুলো ভাই বাল্যকালের জন্য কাদেঁ তাই মনটা আমার কেঁদে ওঠে ছোট্ট শিশুর মতো, মনটা বলে এমন হয়না কেনো জন্মে মানুষ বুড়ো হয়না যেন তাহলে কি দুঃখ অত হতো? ছবির মতো দিনগুলো যায় চলে কেউ ডাকে না মানুষ বৃদ্ধ হলে সেই তো সবার বৃদ্ধকালের জ্বালা, তারুণ্য যার ছিলো সারা অঙ্গে বেড়াতো সে কত রঙে ঢঙে নাতিরা কয় আসছে বুড়ো পালা…
-
দোয়েল পাখি, নির্ঘুম রাত কাটে, সেই ছেলেটি
দোয়েল পাখি পথিক জামান দোয়েল পাখি, ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই তোমার উপস্থিতি অনুভব করি ভোরের অন্ধকারে, তুমি অদ্ভত চঞ্চলা পলে পলে এ গাছে ও গাছে- আমার বাড়ির আঙিনায় তোমার ফুরুত ফুরুত পাখনার শব্দ প্রতিদিন কানে বাজে – আমি অপলক চেয়ে থাকি তোমার ধূসর কালো চঞ্চল দুটি ডানার দিকে। প্রকৃতির কোলে তুমি অনিন্দ্য সুন্দর এক তিলক রেখা- আলকুশি গাছটায় প্রতিদিন তোমায় দেখি সকাল সন্ধ্যায়। তোমাকে ভূষিত করেছি জাতীয় পাখির বিশাল উচ্চ মর্যাদায় জাতীয় জীবনে তুমি এক নতুন অধ্যায়- তোমাকে প্রতিদিন দেখি আলকুশি গাছটায়। ভোরের আলো ফোটার আগে তোমাকে চিরদিন দেখতে চাই – আমার বাড়ির আঙিনায় চিরচেনা আলকুশি গাছটায়। আরও…
-
আমার জন্মভূমি
আমার জন্মভূমি পথিক জামান এই যে মধুর স্নিগ্ধ কোমল মুগ্ধ স্নেহের পরশ, সে যে আমার জন্মভূমি চিত্তে জাগায় হরষ। আমার প্রাণে পুলক জাগায় আমার মায়ের ছোঁয়া, লাবণ্যময় মুখখানি তার শরৎ শিশির ধোয়া। ভোরের বেলা হাজার পাখির হরেক রকম গান, খুশিতে তাই দুলে ওঠে পথিক জনের প্রাণ। কি যে মধুর ডাকাডাকি বসে গাছের ডালে, এমন মধুর মাতৃমূর্তি দেখেছে কোন কালে। কৃষক ছোটে মাঠের পানে শিশুর কোলাহল, সবুজ ঘাসে শিশির কণা রোদ্রে ঝলমল। নদীর বুকে পাল তোলা নাও চলছে অবিরত, নদীর চরে অচীন পাখি জুটছে শত শত। প্রেম পিয়াসী পথিক জনে হাঁটে নদীর পাড়ে, বিকাল বেলার অপূর্বরূপ সবার হৃদয় কাড়ে। পূবের…
-
শুধু দীর্ঘ শ্বাস ফেলি, আমার ন্যায্য দাবি
শুধু দীর্ঘ শ্বাস ফেলি পথিক জামান ঘৃণার আগুন দাউদাউ করে জ্বলে – এখনো তা জ্বলছে আমার সমস্ত অঙ্গ জুড়ে। কি ভয়ংকর বৈষম্যের বেড়াজালে আটকা পড়ে আছে জাতি, আর এ জাতির মেধাবী সন্তান। প্রতি পদে পদে মানুষ অবহেলিত, নির্যাতিত বঞ্চিত শোষিত অহরহ, রাজদণ্ডের প্রবল দৌরাত্ম্যে, শঙ্কিত খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ, সত্য ভয়ে থরথর কাঁপে- মাদকের উলঙ্গ থাবা সমাজের প্রতিটি রন্ধ্রে, ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে দাঁড়িয়ে একটি গর্বিত জাতি ধুঁকে ধুঁকে মরছে তোমার আমার চোখের সম্মুখে উদাস দাঁড়িয়ে দেখি গর্বিত জাতির উত্থান পতনের বিচিত্র ইতিহাস – শুধু দীর্ঘ শ্বাস ফেলি নীরবে নিঃশব্দে। আরও পড়ুন কবি পথিক জামানের কবিতা- মাছ-বিল-পাখি-পদাবলি আমার গানের পাখি…
-
রহস্যের সন্ধান, যখন নামিবে সন্ধ্যা, মিথ্যা অহংকার
রহস্যের সন্ধান পথিক জামান তুমি অসীম শূন্যতায় মিশে আছো, সকল দৃষ্টির আড়ালে অনাদি অনন্তকাল ধরে। কি অসম্ভব ক্ষমতা তোমার! তোমার বিশাল আকাশে উজ্জ্বল নক্ষত্র আর তারার মিছিল, চরম গরমে শীতল বাতাসের নরম ছোঁয়া, কি অদ্ভুত মুগ্ধতা আনে এ অস্থির প্রাণে। স্তম্ভবিহীন বিশাল আকাশ চাঁদ সূর্যের শৃঙ্খলিত অস্ত উদয় বিশাল বিস্ময় জাগায় এ অন্তরে, কোন ইন্দ্রজাল কাজ করে অলক্ষ্যে অগোচরে, কবে খুঁজে পাবো তোমার রহস্যের সন্ধান? তুমি প্রকাশিত, তুমি বিকশিত শতরূপে স্রষ্টার মহান মহিমায়। আরও পড়ুন কবি পথিক জামানের কবিতা- মাছ-বিল-পাখি-পদাবলি প্রেমের পরশ ভালোবাসা রঙ পাল্টায় যখন নামিবে সন্ধ্যা যখন নামিবে সন্ধ্যা ঘটাবে এ জীবনের অবসান, আমারে শোনায়ো তুমি…