-
পথভোলা এক পথিক (শেষ পর্ব)
পথভোলা এক পথিক (শেষ পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল বড় বোন নতুন বৌকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নতুন গৃহিণী বু’র সাথে দল বেধেছে। ছুটির ব্যবস্থা করেছে। বাকী আমি। ভাগনের পরীক্ষা শেষ হলেই যাত্রা শুরু করবো। তারা কেনাকাটা শুরু করেছে। আর মাত্র ক’টা দিন, তারপর এক সপ্তাহের ছুটি। কতদিন গ্রামে যাওয়া হয় না। সাথে থাকবে নতুন বৌ। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে ছুটি শুরু হবে। কলেজে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বেড়িয়ে পড়লাম। সাথে শাহানা। হাঁটতে হাঁটতে বাসস্টাণ্ডে এসে, ওভার ব্রিজের মাথায় দাঁড়াতেই ঘুর্ণিঝড়ের মত সাঁ করে সামনে দাঁড়ালো শ্যামলী। আজ সুন্দর করে সেজেছে। চোখে পড়ার মত। প্রথমে টের পায়নি। কথা বলার…
-
পথভোলা এক পথিক (৩য় পর্ব)
পথভোলা এক পথিক (৩য় পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল শ্যামলীর সঙ্গে প্রতিদিন বাস স্টেশনে দেখা হচ্ছে, কথা হচ্ছে। ইদানিং লক্ষ্য করছি, আমাকে আরো কাছে পেতে চায় এবং বেশ কিছু সময় কাটাতে আগ্রহ দেখায়। ভাবলাম এভাবে চলতে দেয়া ঠিক হবে না। আবার হঠাৎ করে বন্ধও করা যাবে না। কৌশলে সব কিছু করতে হবে। কথায় আছে লাঠিও ভাঙবে, না সাপও মরবে। একটু সময় নিয়ে কথা বলতে হবে, তারপর মন্ত্র পড়তে হবে, যদি কাজে লাগে তো ভাল। আর যদি না হয়, পথ তো একটা ধরতেই হবে। এ নিয়ে কারো সাথে আলোচনা-পরামর্শ করার উপায় নেই। বাসা হতে সিদ্ধান্ত নিয়েই বের হলাম। আজ বৃহস্পতিবার।…
-
পথভোলা এক পথিক (২য় পর্ব)
পথভোলা এক পথিক (২য় পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল তখন আমি সবেমাত্র সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেছি। থাকি মোহাম্মদপুর, বড় বোনের বাসায়। মোহাম্মদপুর হতে ফার্মগেট, তারপর সরকারী বিজ্ঞান কলেজ। দশটা-পাঁচটা কলেজ। পাবলিক বাসে আসা-যাওয়া। উপায় নেই। বিয়ে না করা পর্যন্ত আলাদা বাসস্থানে যাওয়া যাবে না, বড় বোনের নির্দেশ। দুলাভাই এজিবি অফিসে অডিটর পদে চাকরিরত। দুটো বাচ্চা। বোনের সাথে চুক্তি ছিলো মাস শেষে তাদের সংসারে কিছু অর্থ দেবো। বোন বলে কথা। প্রথমে রাজি হয়নি। অনেক পীড়াপীড়িতে রাজি হয়েছিল। ছোট দুটো ভাই-বোন এখন ছাত্র। বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। চাকরি বেশি দিন নেই। সংসারের কথা চিন্তা করে বিয়ের পথে এখনো হাটা…
-
পথভোলা এক পথিক (১ম পর্ব)
পথভোলা এক পথিক (১ম পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল করোনা বিষাদ কাল। সারা বিশ্ব স্থবির। ব্যবসা থেকে আরম্ভ করে সকল প্রকার কর্মকাণ্ড এক কথায় অচল। এর মধ্যে বিনোদনের কথা ভাবাই যায় না। তাই বলতে গেলে গত বছর বাঙালির জীবনের শ্রেষ্ঠ উৎসব পহেলা বৈশাখ এবং ভাষার মাস ফ্রেরুয়ারি যাপন করা সম্ভব হয়নি। এ বছরে যথা সময়ে বইমেলা আয়োজন করা সম্ভবপর হয়নি। তবে সেটা হয়েছে মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে, দু-সপ্তাহের জন্য। এবার একটা উপন্যাস বের হয়েছে। প্রকাশক সাহেব একদিন মোবাইলে কটুকথা শোনালেন। __আরে ভাই, বই প্রকাশ করে, ঘরে ঘোমটা দিয়ে বসে থাকলে কি বই প্রচার হবে? কাহিনী ভালো দেখে বইটি প্রকাশ করলাম।…