-
জোছনা মাখা আলো (শেষ পর্ব)
জোছনা মাখা আলো (শেষ পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল হক সাহেবের পিছনে পিছনে পশ্চিম দিকের দরজা দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়ে লম্বা বারান্দা। বারান্দায় ডান দিকে পর পর দুটো কামরা। তালা দেয়া। তারপর রান্না ঘর। রান্না ঘরের সামনে ডাইনিং। বাম দিক পুরোটা গ্রিল দিয়ে আটকানো। বেশ বড় উঠোন এবং তারপর বিভিন্ন জাতের ফলজ গাছ। আছে বিভিন্ন জাতের ফুল গাছ। এটা একটা সৌখিন রুচিশীল শিক্ষিত ভদ্রলোকের বাড়ি এতে কোন সন্দেহ নেই। দু’ভাই একে অপরের দিকে তাকায়। আলো বুঝতে পারছে, এ রকম পরিবেশ দেখে মনে খটকা লাগছে দু’ভাইয়ের মনে। —কি, বিশ্বাস হচ্ছে না গ্রামে এ রকম একটা বাড়ি থাকতে পারে? এটা আমার…
-
জোছনা মাখা আলো (৩য় পর্ব)
জোছনা মাখা আলো (৩য় পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল —আরও দুঃখের কথা শুনবেন? —বাবার পরিচিত অনেকেই সেদিন বুকে আশা বেঁধে গিয়েছিলেন এই ভেবে, তাদেরই পরিচিত স্বজন ব্যক্তিবর্গ যাচাই-বাছাই বোর্ডে আছেন। এবার নাম তালিকাভুক্ত হবেই। অনেকে আবার আপসোস করে বললেন এত দিনে কেন নাম তালিকাভুক্ত হয়নি। কথা শুনলাম। বয়সে ছোট ছিলাম তো অতশত বুঝে উঠতে পারিনি। এখন বুঝি কিসে কি হয়। —বলেন কি? —ঠিকই তাই। পরে শুনেছিলাম ২০০৪ সালে যে তালিকা করা হয়েছিল তাতে বাবার নাম আছে তাই তার নাম বাদ পরেছে। বেশ কিছু দিন পর বুঝতে পারলাম এখানে অন্য খেলা ছিলো। —২০০৪ সালের তালিকা নিয়ে চেষ্টা করেননি? —করিনি আবার।…
-
জোছনা মাখা আলো (২য় পর্ব)
জোছনা মাখা আলো (২য় পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল একটা জিনিস শামিমের চোখে পড়ে ঘরে ঢুকতেই তা হলো, সামনে দেয়ালে বঙ্গবন্ধুর একটা ছবি টাঙানো এবং তার পাশে একটু নিচে পাঁচজনের একটা গ্রুপ ছবি। তাদের হাতে যুদ্ধকালীন ব্যবহৃত অস্ত্র। কি সুন্দর উজ্জ্বল সাহসী যুবক। এক নজরে শামিম সব দেখে নিয়েছে। ভেতরে হয়ত আরো দু’তিনটি ঘর বা রুম থাকতে পারে। সব মিলে রুচি সম্পন্ন ভদ্র লোকের বাসগৃহ। গ্রামে এ রকম পরিবেশ খুব কমই চোখে পড়ে। দুজন দুটো চেয়ারে বসে পড়ে। ডান দিকে দরজা দিয়ে মুরুব্বি ভেতরে গেলেন। হয়ত তিনি তার মেয়ের অনুমতি নিয়ে ফিরে আসবেন। প্রায় পনের মিনিট পর গায়ের পোশাক…
-
জোছনা মাখা আলো (১ম পর্ব)
জোছনা মাখা আলো (১ম পর্ব) এ কে আজাদ দুলাল হেমন্ত কাল চলছে। বর্ষা-শরৎ শেষ হলেও হেমন্তে বর্ষায় প্লাবিত ডুবে যাওয়া খাল-বিল এখনো পানিতে থৈ থৈ। গ্রামের নিচু জায়গা নরম কাঁদায় তুলতুলে মাটি। কেমন যেন একটা মিষ্টি গন্ধ শামিমের নাকে এসে ঢোকে । গন্ধটা খারাপ লাগছে না শামিমের। এমন গ্রাম বাংলা পৃথিবীর অন্য কোথাও আছে কিনা সন্দেহ। “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি” জাতীয় সংগীতের লাইনটি মনের ভেতরে বেজে ওঠে। এই তো মাস ছয় হলো এমপিও ভুক্ত কলেজে পদার্থ বিজ্ঞানে প্রভাষক পদে যোগদান করেছে। হাতের নাগালেই কলেজ। মায়ের ইচ্ছে তাকে বাড়িতে থাকতে হবে। আর বাবার ইচ্ছে ছোট ভাই তামিম একজন…